ভারতের সঙ্গে কথা বলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘আমরা এক তরফা কোনো কিছু করতে চাই না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী, তাদের আমরা সম্মান করি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে তাদেরকে (ভারত) অসম্মান করে কোনো কিছু করব না। আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে মিলে জনগণের যাতে মঙ্গল হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করব।’
বুধবার বিকেল ৩টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফিহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘লালমনিরহাটে অর্থনৈতিক জোন করা হবে, সে লক্ষ্যে পরিত্যক্ত জমির পরিমাণ যে এলাকায় রয়েছে, তা সিলেক্ট করা হলে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে কাজ চালু করবো।
এছাড়া লালমনিরহাটে পরিত্যক্ত বিমান বন্দরটিও চালু করা হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়টি যেহেতু চালু হয়েছে সে কারণে এ বিমানবন্দরটিও চালু করা হবে।’
‘এসো মিলি সকলে প্রাণের মেল বন্ধনে’ স্লোগানকে সামনে রেখে মোস্তফিহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. অ্যাড. মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কারকাজের অংশ হিসেবে আগামী দুই মাস ৫ ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে শুরু হবে এ সংস্কারকাজ।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইন লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়বে। এর অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ এপ্রিল বিমানবন্দরের রানওয়ে রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ চলবে, যে কারণে এ ৫ ঘণ্টায় বন্ধ থাকবে উড়োজাহাজ ওঠানামা।
এই সময়ে যেসব ফ্লাইটের শিডিউল থাকবে, সেগুলো দিনের অন্য সময়ে চলবে। ফ্লাইট চলাচলের সূচি পুর্নবিন্যাস করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) বিভাগ থেকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
ফ্লাইট পুর্নবিন্যাসের ফলে সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইটের চাপ হতে পারে। এ চাপ সামলাতে মনিটরিং টিম গঠন করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সাধারণত রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাত থেকে আটটি ফ্লাইট চলাচল করে।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থার সংস্কারকাজ শুরু হবে। এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মাস রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
‘বছরের এ সময়ে কুয়াশা থাকায় ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যে কারণে লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কারকাজ করতে এ সময়কে বেছে নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার খরচ পড়বে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারি হজ প্যাকেজ কত টাকার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।’
তিনি আরও জানান, সরকারি হজ প্যাকেজের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা লাগবে বিমান ভাড়া বাবদ। রিয়ালের মূল্য ২১ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হওয়ায় হজে যাওয়ার খরচ বেড়েছে।
বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।
বেসরকারি হজ প্যাকেজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন হাব নেতারা।
আরও পড়ুন:সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে বৃহস্পতিবার থেকে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা কমে একই রকম থাকতে পারে চার থেকে পাঁচ দিন।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ ছাড়া উপমহাদেশীয় উচ্চতাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কুয়াশা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন:বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বুধবার ভোট শুরু হয়েছে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
উপনির্বাচনের ছয়টি আসন হলো ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
ঢাকার গোলাপবাগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যদের একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরের দিন পদত্যাগপত্র জমা দিতে পাঁচজন এমপি সংসদ ভবনে যান।
ওই দিন অসুস্থ থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে আসতে পারেননি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। অন্যদিকে বিদেশে থাকায় যেতে পারেননি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনুর রশীদ। তাদের হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন রুমিন ফারহানা।
নিজেদের অধীন প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করলেও এ ভোটে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন, তবে জাতীয় নির্বাচনে ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ রয়েছে তাদের।
প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া না গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এক প্রার্থী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মনে করছেন, নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আত্মগোপনে আছেন।
এ নিয়ে ইসি আনিছ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।’
নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ট্রাক, পিকআপ ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত, তবে ইসির অনুমতি নিয়ে যেকোনো যান চলাচল করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ছয় আসনের ভোটে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন:বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন আজ বুধবার। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একটানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
উপনির্বাচনের ছয়টি আসন হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
নিজেদের প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করলেও এ ভোটে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তবে জাতীয় নির্বাচনে ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ রয়েছে তাদের।
প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া না গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এক প্রার্থী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মনে করছেন, নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আত্মগোপনে আছেন।
এ নিয়ে ইসি আনিছ সাংবাদিকদের বলেন, 'সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।'
ইতোমধ্যে এসব নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ওইসব এলাকায় ভোটের দিন ট্রাক, পিকআপ ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে ইসির অনুমতি নিয়ে যেকোনো যান চলাচল করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ছয় আসনের ভোটে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি হতে চান জগদীশ বড়ুয়া পার্থ। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বারান্দায় ঘুরছেন কক্সবাজারের এই বাসিন্দা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের পাশে মঙ্গলবার দেখা গেছে তাকে। কয়েকদিন ধরে ঘুরলেও মনোনয়নপত্র কিনতে পারেননি তিনি। জগদীশ জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র পেতে প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাবেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। যাচাই-বাছাই হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
জগদীশ বড়ুয়া পার্থ এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে ২৫ জানুয়ারির পর থেকেই মনোনয়নপত্র কেনার জন্য ইসিতে ঘুরছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত তার আবেদনপত্র গৃহীত হয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হতে হলে বয়স ৩৫ বছরের বেশি হতে হবে। তার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া থাকতে হবে একজন করে প্রস্তাবক ও সমর্থক।
আবেদনপত্র হাতে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে জগদীশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের ২১তম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সে সুবাদে তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখানে ২৫ তারিখের পর বার বার আসছি। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন ফরম দিচ্ছে না। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করছে না। রাষ্ট্রপতি পদে আমি একজন প্রার্থী৷’
নিজেকে বাংলাদেশ মঙ্গল পার্টির চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে জগদীশ দাবি করেন, তিনি এর আগে জেলা পরিষদ নির্বাচন করেছেন। ঢাকা-৮ আসনে সংসদ সদস্য পদেও নির্বাচন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে অনলাইনে আবেদনের জন্য বলা হয়েছে উল্লেখ করে জগদীশ বলেন, ‘অনলাইনে গিয়ে দেখছি ভুয়া। তফসিলে যে টিঅ্যান্ডটি নম্বর দিয়েছে, সেই নম্বরে অনেক ফোন দিয়েছি। পাওয়া যায় না। আজকে আসছি আবেদন নিয়ে।’
এই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, ‘(নির্বাচন কমিশনের) জনসংযোগ শাখার (সহকারী পরিচালক) আশাদুল হককে কল দিলে তিনি বলেন বাইরে থাকেন। সবসময় মিটিংয়ে থাকেন। একবার বাইরের অভ্যর্থনা কক্ষে পাঠায়, একবার ভেতরের অভ্যর্থনা কক্ষে পাঠায়। এদিকে ফোনও রিসিভ করছে না তারা। রিসিভ করলে সমস্যা কোথায়? আমি কি নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছি?’
প্রতিবেশী দেশ ভারতে দলিত সম্প্রদায় থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে জগদীশ বলেন, ‘আমি বড়ুয়া সম্প্রদায়ের। এই বাঙালি জাতিকে রক্ষা করার জন্য মঙ্গল ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে আমার অধিকার আছে ভালো কথা বলার। আমি নিজের জমি বিক্রি করে রাজনীতি করি। কারও ধার ধারি না।’
কতিপয় এমপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। সে রকম ভোট একটাও লাগবে না। আমাকে যে ভোট দেবে এরকম ভোট আমি দেখছি না।
‘এরা যদি রিসিভ না করে, তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমি মামলার পর্যায়ে যাব। যেমন হিরো আলম একতারা প্রতীক নিয়ে (বগুড়া-২ আসন) উপনির্বাচনে গেছে। ঠিক তেমনিভাবে আমি যাব।’
নিজেকে নির্বাচনপ্রিয় মানুষ উল্লেখ করে জগদীশ বলেন, ‘আমি ২০১১ সাল থেকে নির্বাচন করি। আইনি জটিলতা যেটা আছে, এজন্য অবশ্যই আমি লড়াই করব।’
নির্বাচনে নিজের তৈরি করা ইশতেহার তুলে ধরে জগদীশ বলেন, ‘বাংলাদেশে ১০ কোটি টাকার ওপরে যারা মালিক আছেন, তাদের টাকা বাজেয়াপ্ত করার কথা থাকবে আমার ইশতেহারে। বাংলাদেশে যত খাস জমি আছে, সেগুলো মাথাপিছু ৫ শতাংশ করে দান করব।’
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি আমার কাছে এলে তো হবে না। এ জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা সিইসির দপ্তরে যেতে হবে। আমার কাছে চাইলে তো হবে না। আমার সঙ্গে ওনার দেখা হয়নি। আমি নির্বাচনী শাখায় যোগাযোগ করতে বলেছি।’
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নলেজে নেই। কাল অফিসে গেলে খোঁজ নেব- কে বা কারা বাধার সৃষ্টি করেছে। তবে আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই। আইন অনুযায়ী হলে যে কেউ মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার মানসিকতা পরিহার করতে এই খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করে জ্ঞান বিতরণ ও একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী গ্রাজুয়েট তৈরির প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)-এর প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, ‘শিক্ষাকে নিয়ে ব্যবসা করার মন-মানসিকতা পরিহার করা সবার জন্যই মঙ্গল।’
উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আইন ও বিধি-বিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন। নিজেদের ইচ্ছে আর সুবিধামতো বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না।
‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হোক সেটা চাই না। আবার এটাও চাই না যে শিক্ষাকে পণ্য বিবেচনা করে শিক্ষার নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হোক।’
দেশে বর্তমানে দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায় কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রির নামে সার্টিফিকেট বিতরণ করে চলেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট তৈরির কারখানা খুলে বসেছে।
‘একবিংশ শতাব্দীতে বৈশ্বিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে, জাতির উন্নয়ন, উন্নত সমাজ গঠন এবং বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
‘গুণগত মান ছাড়া উচ্চশিক্ষা মূল্যহীন। তাই, উচ্চ শিক্ষা যাতে কোনোভাবেই সার্টিফিকেট-সর্বস্ব না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিক্ষার সঙ্গে কর্মের সংযোগ ঘটাতে না পারলে ভবিষ্যতে হয়তোবা শিক্ষার্থীর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজস্ব ক্যাম্পাস ও অবকাঠামো নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়ারও তাগিদ দেন।
স্নাতক ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিতকরণে তোমাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। তোমাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
‘প্রত্যাশা করি, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সমৃদ্ধ হয়ে তোমরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না, পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে বহির্জগতের জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে।
‘নিজেকে কর্মবীর ও জ্ঞানী করে তোলাই হবে শিক্ষার মূল লক্ষ্য। উচ্চ চিন্তা ও সহজ জীবনাচরণ তোমাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। সদাচরণ আর সদালাপ হচ্ছে শিক্ষা জীবনের ভূষণ।’
শিক্ষকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা উন্নত জাতি তৈরির মহান কারিগর। আপনাদের হতে হবে নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী, নিরপেক্ষ, অকুতোভয় এবং সত্যবাদী।’
দেশের তরুণ প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমাদের গর্বের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারের কোনো বিকল্প নেই।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর মতো বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়নেরও নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সমাবর্তনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ও অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিস সরাফাত, সিইউবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচএম জহিরুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেখ মামুন খালেদ, উপদেষ্টা প্রফেসর ড. রিদওয়ানুল হক এবং মার্শাল (প্রফেসর সৈয়দ আখতার হোসেন) প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য