‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্য এতদিন বিএনপিকে অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে। তবে ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের নামে কোনো সহিংসতার চেষ্টা করা হলে বিএনপিকে ছাড় দেয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভায় এমন হুশিয়ারি দেন। একইসঙ্গে সেদিন সারাদেশে ১০ ডিসেম্বরের মতো সতর্ক পাহারায় থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দল বিএনপিসহ তাদের জোট ১০ তারিখ সরকার পতনের হুমকি দিয়েছিল। তাদের সেই কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত ভণ্ডুল হয়ে গেছে। সেই কর্মসূচির দিন গোটা রাজধানী বলতে গেলে মিছিল-সমাবেশে আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো যৌথভাবে সেই অপশক্তিকে রুখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী অপশক্তি। এই অপশক্তি আবার গণমিছিলের নামে ৩০ তারিখ সারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে ষড়যন্ত্রমূলক প্রস্তুতি নিয়েছে। আগুন-সন্ত্রাস, ভাঙচুর- এসব নেগেটিভ কর্মসূচি, ভায়োলেন্ট কর্মসূচি। তারা তাদের কর্মসূচির সঙ্গে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং সরকারবিরোধী গণমিছিলের নামে ষড়যন্ত্রমূলক কার্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে৷ সে জন্য আমাদের নেতাকর্মীরাও ঢাকা সিটিসহ সারা দেশে সতর্ক পাহারায় থাকবে।
‘আমরা কাউকে আক্রমণ করব না। আমরা সংঘাত চাই না। তবে আমরা আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমণ করব কিনা তা উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আমরা এভাবেই চিন্তা-ভাবনা করছি এবং আমরা কোনো অবস্থাতেই ছেড়ে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্য আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করলে, লাফালাফি করলে অবশ্যই ছেড়ে দেয়া হবে না।’
যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোয়ন চূড়ান্ত করতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা থেকে তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সরকারি দলের সভা কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানাান।
সভায় ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর দলের সব সংসদ সদস্য এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।
সবমিলে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সেক্ষেত্রে তারিখটি ১৯ ফেব্রুয়ারি হতে পারে। কারণ ওইদিন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের কয়েক এমপি জানান, বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের প্রসঙ্গটি তোলেন। এ বিষয়ে তিনি এমপিদের মতামত চাইলে শুরুতে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের সভায় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সে দায়িত্ব আমরা সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে আমাদের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে চাই। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন প্রয়োজন হলে আমরা সবাই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব।’
উপস্থিত এমপিরা সবাই সমস্বরে তার বক্তব্য সমর্থন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন বেশ কঠিন হবে। ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হবে। নানা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হবে। এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব উন্নয়ন আছে সেসব নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রসঙ্গ, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। পরদিন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। তবে একাধিক প্রার্থী না থাকলে ১৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।
অবশ্য একাধিক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আর আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:বিএনপির ছেড়ে দেয়া সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সর্বোপরি দেশের একজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের বা কারোরই এমন উপহাস করার কোনো অধিকার নেই।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে জানা যায়, হিরো আলমকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবমাননা এবং উপহাসমূলক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে। দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।
“উল্টোদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘...এই আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার সঙ্গে জিততে হয়।”
তিনি বলেন, ‘দুই ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যসূচক বিবেচনায় পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন দুই নেতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক রীতি অনুযায়ী পরস্পরকে নিয়ে বিষোদ্গার নতুন কিছু নয়। কিন্তু সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের ব্যক্তি-পরিচয় ও অবস্থাকে মানদণ্ড হিসেবে দাঁড় করিয়ে দুই দল একে অপরকে আক্রমণ করেছেন। সেই মানদণ্ড যে ইতিবাচক কিছু নয়, বরং এর মাধ্যমে আলম ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
‘পাশাপাশি দেশের সাধারণ একজন নাগরিকের প্রতি দুই বর্ষীয়াণ রাজনীতিকের এমন আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্থুলতাকেই জনসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করে।’
ড. জামান আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং তার বয়স পঁচিশ বছর পূর্ণ হলে, কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত না হলে, দেউলিয়া না হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করলে বা আনুগত্য স্বীকার না করাসহ কিছু শর্ত পূরণে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন।
‘সংবিধানের শর্ত পূরণের পরও আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকেই ভূলুণ্ঠিত করে না, বরং তার সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তরও বটে।
‘হিরো আলম নির্বাচিত হলে সংসদকে ছোট করা হতো- এমন বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে সংসদকে ছোট করা হয়েছে। কারণ সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা ও চর্চায় মানুষে মানুষে বৈষম্যের প্রকাশ অগ্রহণযোগ্য।’
আরও পড়ুন:বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ‘শান্তি সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবার আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নতুন কর্মসূচির দিনে সারা দেশে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
এ উপলক্ষে দেশের ৪০ জেলায় যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ৫৩ জন কেন্দ্রীয় নেতা। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের প্রতিটি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে’ শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল। জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের ৪০টি জেলায় দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে ৫৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে।
শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে লালমনিরহাটের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সফুরা বেগম রুমি। রংপুর যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
জয়পুরহাটে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। বগুড়ায় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। নওগায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন শফিক।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান।
সিরাজগঞ্জে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান, পাবনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, যশোরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মাগুরায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
নড়াইলের আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি-বিন-মর্তুজা, বাগেরহাটে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম মিলন, খুলনায় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বরগুনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান, পটুয়াখালীতে সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বরিশাল জেলায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান।
পিরোজপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম কবির রব্বানী চিনু, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার, মানিকগঞ্জে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, গাজীপুরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, নরসিংদীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সানজিদা খানম।
রাজবাড়ীতে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং শাহাবুদ্দিন ফরাজী।
শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জামালপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শেরপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও কেন্দ্রীয় সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরুকে। কুমিল্লা উত্তরে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ যাচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছেন কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। চট্টগ্রাম উত্তরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
কক্সবাজারে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, রাঙ্গামাটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার এবং বান্দরবানে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যে সব জেলার নাম উল্লেখ করা হয়নি সেই সব জেলায় স্থানীয় নেতারা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ের শান্তি সমাবেশ আয়োজন করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বগুড়ার দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নেয়া আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে কিছু বলেননি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজা শেষে তিনি এমন দাবি করেন।
বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনে অংশ নেয়া হিরো আলম নির্বাচনের আগে-পরে দেশজুড়ে আলোচিত নাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কথা বলেছেন সরকারি ও বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
গত শনিবার হিরো আলমকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। ওই দিন পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে কাদের বলেছিলেন, “ফখরুল সাহেব বললেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে।’ হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তার।
“তিনি (ফখরুল) ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে, কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে।”
প্রতিক্রিয়ায় ওই রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। যারা আমাকে জিরো বানাতে এসেছে, তারাই এখন জিরো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে আমাকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। হিরো আলমকে নাকি বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমাকে কেন বিএনপি দাঁড় করাবে? ভোটের মাঠে আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখা গিয়েছিল?’
কাদের ও হিরো আলমের ওই বক্তব্যের রেশ না কাটতেই সোমবার আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা দাবি করেন, হিরো আলম নয়; তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন।
কাদের বলেন, ‘হিরো আলম প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করে ভালো ভোট পেয়েছেন। তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য ছিল না আমার; মন্তব্য ছিল মির্জা ফখরুলকে নিয়ে।’
হিরো আলম বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারালেও বগুড়া-৪-এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন। ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।
পরে হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এটি দেখার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেন।
দলীয় এমপির জানাজায় এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মোসলেম উদ্দিন নেতা থেকে কর্মী হয়েছেন। দলের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর চেতনার সৈনিক। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই লালন করেন তিনি। তার এমপি হওয়ার মতো শেষ স্বপ্ন শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন।’
জানাজায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কীভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, তার কাছে শেখার রয়েছে।’
আরও পড়ুন:সংসদ বর্জন ও পদত্যাগের মতো অপরাজনীতি বিএনপি না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন বলে বিএনপি নেতারা যখন বক্তব্য দিচ্ছেন, ঠিক তখনই বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, তারা যে বক্তব্য রাখেন, তা মিথ্যা ও অসাড়। বিএনপির অপরাজনীতি না থাকলে, সংসদ বর্জন না করলে, সংসদ থেকে পদত্যাগ না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো।
গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। এখন এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গত বৃহস্পতিবার ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে।
বিএনপির ১০ দফা দাবি কোনোদিনই বাস্তবায়ন হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তাদের দাবি বাস্তব সম্মত নয়। যদি দলটি ঘরে ফিরতে না চায় তাহলে রাস্তায় রাস্তায়ই থাকুক।
ভোলায় রোববার বিকেলে একাধিক পথসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ বিএনপি দাবি আদায় না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। আমার মনে হয়, তাদের ঘরে না ফেরাই উচিত। তারা রাস্তায় রাস্তায় থাকুক সেটাই ভালো। কারণ বিএনপির দাবি কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না। ’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন,‘আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। আশা করি আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম তার সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে রোববার দুপুরে কথা বলার সময় তিনি এমন কথা বলেন। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে ভোট পুনঃগণনার আবেদন জমা দিতে আসেন সেখানে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় দুটি আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ করেন হিরো আলম।
তার ভোট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে তারা। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।’
কাদেরের সেই বক্তব্যের সূত্র টেনে হিরো আলম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের স্যার আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। একজন মন্ত্রী দেশের নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন আসুন খেলা হবে। শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে চান। আমি ওবায়দুল স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সঙ্গে করতে হবে না। আমি হিরো আলমের সঙ্গে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কি না। খেলার জন্য নাকি তিনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পান না।’
এই পরাজিত প্রার্থী বলেন, ‘আমার সঙ্গে একটু প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন। তিনি কেন আমাকে ছোট করে কথা বলেন। তাকে বলবো, বগুড়া-৪ থেকে ভোট করুন, আমাকে যেই আসন থেকে পরাজিত করে দেয়া হয়েছে।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই, যেখানে সব দল অংশ নেবে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।’
এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর দাবি করেন, তার আসনের নির্বাচনী ফলাফল সুষ্ঠুভাবে দেয়া হয়নি। তাই সবগুলো ভোট কেন্দ্রের ফলাফল তিনি জোগাড় করেছেন।
হিরো আলম বলেন, ‘ওই কেন্দ্রগুলো উল্লেখ করে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে ভোট পুনঃগণনার আবেদন দিয়েছি। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তবে কবে ভোট আবারও গণনা করবেন, সেই বিষয়ে কিছু জানাননি। যদি তারা সাড়া না দেন, আমি হাইকোর্টে যাবো।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য