মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈশ্বিক মন্দার এ সময়ে দেশের অর্থনীতি এখনও ভালো জানিয়ে দেশবাসীকে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার সকালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ আছি কাজ করে যাব, তবে আমি চাই, সব মানুষই যেন ন্যায়বিচারটা পায়। দ্রুত মামলাগুলো যেন নিষ্পত্তি হয়। একটা স্বচ্ছতা, জবাবদিহি যেন সৃষ্টি হয়। সেই পরিবেশটা যেন থাকে। সেটাই আমরা চাই।
‘আমরা তো আইন প্রণয়ন করি। আপনারা (বিচারক) আইন ব্যবহার করেন। কাজেই সেখানেও যখন যেটা হয়, আমরা সংশোধন করি, আরও উন্নত করি। যা-ই করি, মানুষের কল্যাণে, মানুষের উন্নয়নে।’
তিনি বলেন, ‘আমি যতক্ষণ আছি, এটুকু বলব, বাংলাদেশে আমাদের মানুষ যেন অন্তত আইনের শাসন পায়, সঠিক বিচার পায়। তাদের স্বার্থে এই জুডিশিয়াল সার্ভিসের জন্য যা যা করণীয়, তা আমরা করে দেব।’
সারা দেশে ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নের কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ই-জুডিশিয়ারি চালু করা গেলে মামলা ব্যবস্থাপনায় আরও গতি আসবে। বিচারকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা আমরা করে দেব…সেই সঙ্গে একটা আইনি বিশ্ববিদ্যালয় আমরা প্রতিষ্ঠা করব। আমি মনে করি যে, সর্বক্ষেত্রে ট্রেনিংটা একান্তভাবে দরকার।’
তিনি বলেন, ‘এখন এই সময়টা আসলে অর্থনৈতিক মন্দা যেহেতু বিশ্বব্যাপী, তার একটা ধাক্কা আমাদের আছে। তাই আমি বলতে পারি না যে, এক্ষুনি করে দিতে পারব, তবে আমার ইচ্ছে আছে আমাদের এই জুডিশিয়ারি সার্ভিসটাকে আরও আধুনিক, যুগোপযোগী এবং অ্যাকাডেমি বা যা-ই করব, তা আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন হয়, যাতে বিশ্ব থেকে কেউ এসে দেখতে পারে। আমরা যেমন বিদেশে পাঠাব ট্রেনিংয়ের জন্য, বিদেশ থেকেও যেন আমাদের এখানে আসে, সেই ধরনের করেই আমি করতে চাই।’
করোনাভাইরাসের অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট মন্দা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। আমাদেরও কৃচ্ছ্রসাধন করতে হচ্ছে। অনেক কাজ এখন আমাদের একটু কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। কারণ সারা বিশ্বের তো এই দুরবস্থা।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও আলোচনা ছিল সরকারপ্রধানের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। আমেরিকার এই স্যাংশনের কারণেই আমাদের যে পণ্য, বিশেষ করে যেগুলো বিদেশ থেকে আমাদের আনতে হয়, কিনতে হয়, সেগুলোর এত বেশি দাম বেড়ে গেছে; জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেছে। ভোজ্যতেলের মূল্য বেড়ে গেছে। গম, চিনি, সার—যা যা আমাদের কিনতে হচ্ছে, ভুট্টা যে আমাদের কিনতে হয় বিদেশ থেকে, সেগুলোও কয়েক গুণ বেশি; মুদ্রাস্ফীতি সারা বিশ্বব্যাপী।
‘উন্নত দেশ ধনী দেশ, তারাও নিজেদের এখন অর্থনৈতিক মন্দার দেশ ঘোষণা করে দিয়েছে, তবে বাংলাদেশটা এখনও আমরা ওই অবস্থায় পৌঁছায়নি। সে কারণেই আমি সবাইকে আহ্বান করেছি, যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, যে যা পারবেন, অন্তত উৎপাদন বাড়ান, যেন আমাদের খাদ্য বা অন্য কোনো কারণে কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়। জ্বালানি তেল হোক, ভোজ্যতেল হোক, বিদ্যুৎ। কারণ আমাদের কথা ছিল বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার, আমরা কিন্তু সেটা দিতে পেরেছি, কিন্তু এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।’
সারা দেশের আদালত ভবনগুলোর উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিচার করবেন, যারা বিচার চাইতে আসবেন, সবাই যেন একটা সুস্থ পরিবেশ পায়। ভালোভাবে থাকলে, ভালো পরিবেশ পেলে পরে চিন্তা করারও একটা সুযোগ হয়। কাজেই একটা সঠিক চিন্তা করেই কিন্তু বিচারটা করতে হয়। এটা একটা কঠিন কাজ। কাজেই সেই কাজটা যেন সহজভাবে হয়, তার ব্যবস্থা করা, এটা আমাদের দায়িত্ব।
‘এ জন্য ৬৪ জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য ৮ থেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৪টির কাজ শেষ; আরও ৭টি সমাপ্তির পথে। তা ছাড়া সব জেলারগুলো উন্নতি করে দিচ্ছি। জেলা জজ আদালতে এজলাস সংকট নিরসনে ২৮টি জেলায় জজ আদালত ভবন যেগুলো তিন তলা, সেগুলো চার তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী করে দেয়া হয়েছে।’
অবশিষ্ট ভবনগুলোর উন্নয়নেও প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিচারকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের দিকটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্ব যখন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে একেবারে বিধ্বস্ত, বাংলাদেশে কিন্তু মাত্র একটা ঘটনাই ঘটতে পেরেছে। সেই হোলি আর্টিজান। তারপর থেকে কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা বা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা প্রত্যেকেই সতর্ক। আর কোনো ঘটনা এমনভাবে ঘটতে দিইনি আজ পর্যন্ত, ঘটতে পারেনি।’
আদালতেও সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় বিচারকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘রায় দিয়ে যখন ঘরে ফিরতে যান, যেকোনো সময় তাদের ওপরে হামলা হতে পারে। সেটা যাতে না হয়, সে ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে…কিছু ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। সামনে আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে, সবাই যেন নিরাপদ থাকতে পারেন সে জন্য।’
সন্ত্রাসবিরোধী মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম—এটারও কিন্তু ধরন পাল্টে যাচ্ছে। এখানেও কিন্তু সাইবার ক্রাইমটা সব থেকে বেশি। তার জন্য আমরা আইনও করেছি। অনেকে এর বিরুদ্ধে অনেক কথা বলে, কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা আমাদের একান্তভাবে প্রয়োজন। এই কারণে যে এখন কিন্তু আগের মতো যুদ্ধ আর মল্ল যুদ্ধ তো হয় না।
‘এটাও বোতাম টিপে হয়, এখন তো ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। যুদ্ধও ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ক্রাইমগুলোও এ ধরনের পদ্ধতিতে হয়ে যায়। এমনকি ট্রেনিং পর্যন্ত। কারণ অনলাইনে ট্রেনিং দেয়া হয় কীভাবে বোমা বানাবে, কীভাবে মানুষ খুন করবে—সেগুলো শেখানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী মামলাগুলোর দ্রুত বিচার সম্পন্ন হলে পরে তখন যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তারা আর হবে না।’
নিজের বাবা-মা হত্যার বিচার পেতে ৩৫ বছর অপেক্ষার যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি একটি মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। কেউ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না। প্রতিটি মানুষের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু কাজ করে যাচ্ছি। নইলে যতবার আমার ওপর আঘাত এসেছে, সব তো মামলাও করতে পারিনি।
‘অনেক ক্ষেত্রে মামলা করারও সুযোগ ছিল না তখন। কারণ বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় আমরা মামলা করতে পারিনি। অনেক মামলা পেন্ডিং ছিল। সেগুলো একে একে আপনারা নিষ্পত্তি করে দিচ্ছেন। দোষীরা সাজা পাচ্ছে।’
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও দূরদর্শিতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। উঠে আসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বদলে যাওয়া রাজনীতি এবং ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে নিজের ছয় বছরের শরণার্থী জীবনের দুঃখ-দুর্দশার কথা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) যদি বেঁচে থাকতেন ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারত।’
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত মোট ২৯ বছরের এই সময়কালকে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এই সময়গুলোতে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে শুধু অন্ধকারই নেমে এসেছে। কোনো ক্ষেত্রেই কিন্তু কোনো অগ্রগতি সাধিত হয়নি। বাংলাদেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল যেন তখনও ওই পাকিস্তানের একটা প্রদেশ হিসেবে রয়ে গেছে।’
জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচারের পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধী বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়েও নানা বাধা, প্রতিবন্ধকতা আসে বলে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশে না, অনেক অনেক বড় বড় দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরাও এই বিচারে অনেক বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। কেউ কেউ তো সরাসরি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথাও বলে, কিন্তু যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, তাদের বিচার হবে না…তাদের শুধু আমি একটা কথা বলেছিলাম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা অপরাধ করেছিল, তাদের বিচার তো এখনও চলছে। তো বাংলাদেশে মানুষের ওপর যারা এ রকম অত্যাচার করেছে, আমার মা-বোনদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে, তারা এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের বিচার হবে না কেন? এ ধরনের চাপ কিন্তু সবসময় ছিল। তারপরেও এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিন্তু আমরা করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর গুলশানে শনিবার ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
সকালে এ উদ্বোধন শেষে ভবনটি পরিদর্শন করেন মহাসচিব।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা জানায়, বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন গুতেরেস।
তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। পরে তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন গুতেরেস।
এ বৈঠক শেষে তরুণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। রবিবার সকালে ঢাকা ছাড়বেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাজধানীর গুলশানে শনিবার সকালে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, তারা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন।
গুতেরেস আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করতে গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনে যান।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন।
গুতেরেস এবং শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যৌথভাবে গুলশানে ‘ইউএন হাউস ইন বাংলাদেশ’ উদ্বোধন করেন।
ওই সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে রবিবার।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ।
আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে শনিবার দেখা যায়, এটি রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের পানিবণ্টন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম ওরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), এ এস এম নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমী (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০), এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০), যিনি পলাতক, মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২), যিনি পলাতক এবং মুজতবা রাফিদ (২১), যিনি পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) ও মো. মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)।
বিচারিক আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এটাকেই ডেথ রেফারেন্স বলা হয়।
পরে কারাবন্দি আসামিরা জেল আপিল করেন। পাশাপাশি অনেকে ফৌজদারি আপিলও করেন।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশে সফরকালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, বিশেষ করে নারী ও মেয়েশিশুদের তীব্র মানবিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে একশনএইড বাংলাদেশ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য তহবিল বরাদ্দ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে (১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে) বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কঠিন হুমকির মুখে পড়বে।
ডব্লিউএফপির মতে, তহবিল সংকটের কারণে বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেকে আনার ফলে শরণার্থীদের জীবনধারণের ন্যূনতম সীমার নিচে ঠেলে দেবে, যা অপুষ্টি এবং স্বাস্থ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
খাদ্য সহায়তা বরাদ্দের এ মারাত্মক হ্রাসের কারণে নারী ও কিশোরীরা অসমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মা, কিশোরী ও শিশুরা ইতোমধ্যেই তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলতে পারে।
খাদ্য ঘাটতির চাপ পারিবারিক সহিংসতা এবং শোষণসহ জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে।
এ চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পর্যাপ্ত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (এসআরএইচআর) পরিষেবার বিঘ্নের আশঙ্কা। এতে নারী ও কিশোরীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য রেশন কমানোর খবরে এরই মধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং এতে অপরাধপ্রবণতা বাড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এটি নারী ও কিশোরীদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলবে। তারা প্রায়ই এ ধরনের অস্থিতিশীলতার সবচেয়ে বেশি শিকার হন। উপরন্তু আন্তর্জাতিক কমিউনিটির তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যর্থতা মানবিক সংস্থাগুলোকে শরণার্থীদের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতেও হিমশিম খেতে বাধ্য করেছে।
অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে একশনএইড বাংলাদেশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পূর্ণ খাদ্য রেশন পুনরুদ্ধার করতে এবং নারী ও কিশোরীদের অগ্রাধিকার দিয়ে জেন্ডার-সংবেদনশীল সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানাই। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় টেকসই প্রত্যাবাসন এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনাসহ দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।
‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। জাতিসংঘের মহাসচিব যখন এই সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, তখন আমরা ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থীর, বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় দ্রুত এবং সহানুভূতিশীল পদক্ষেপের আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন:জরুরি অবতরণের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দুই পাইলট বৈমানিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোল্লা মোহাম্মদ তহিদুল হাসান ও স্কোয়াড্রন লিডার আহমদ মুসা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমান বাহিনীর গ্রোব-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমানটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে যশোর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বিমানটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান থেকে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে।
‘প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিমান বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।’
যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘স্বাভাবিক অবতরণের সময় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ভূমিতে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং হয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। দুই পাইলট অক্ষত আছেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে ক্লিয়ার করা হয়।’
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।
ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট আমলি আদালতের বিচারক রাশেদ হোসাইন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আইসিটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন এ আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার এসএম মইনুল করিম।
ব্যারিস্টার মইনুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রংপুরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
‘মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের জিম্মায় আগের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে আলামতগুলো আছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় জব্দের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
তিনি জানান, এর আগে এ হত্যা মামলায় রংপুরে এসে সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল। আলামত জব্দের অনুমতির মাধ্যমে মামলার তদন্তে আরেক ধাপ অগ্রগতি হলো। প্রয়োজনে জব্দকৃত আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষা করে শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আলামত জব্দের আবেদনের পক্ষে তারা বলেছেন। এর মাধ্যমে এ মামলার তদন্ত গতি পাবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরদিন তাজহাট থানায় মামলা করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালানোর পরে ১৮ আগস্ট পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনের অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ করে মামলা করেন শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই মো. রমজান আলী।
পরে তিনি সম্পূরক এজাহারে আরও সাতজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন।
মামলা দুটির তদন্ত করছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। কিন্তু মামলার তদন্তে অগ্রগতি না থাকায় বাদী অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কক্সবাজার সফরে যাবেন। সেখানে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করার পাশাপাশি আরও কিছু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
মন্তব্য