শেষ হতে যাচ্ছে নগরবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ঢাকার যানজট নিরসনে বুধবার খুলে দেয়া হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিন মেট্রোরেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সাধারণ মানুষের চলাচল শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে।
শুরুতে উত্তরা প্রান্ত থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অনেকগুলো স্টেশন থাকলেও কোথাও দাঁড়াবে না ঢাকার শহরের নতুন এই পরিবহনটি। সেই হিসেবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও বা আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত বিরতিহীন যাত্রী সেবা পেতে গুণতে হবে ৬০ টাকা। ১০ মিনিট পর পর ট্রেন আসবে এবং শুরুতে এক সঙ্গে ২০০ জন যাত্রী এই ট্রেনে উঠার সুযোগ পাবেন।
তবে আগামী স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ থেকে পূর্ণাঙ্গরূপে শুরু হবে এই মেট্রোরেল সেবা। তখন প্রতিটি স্টেশনে নিয়ম করে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামার মধ্য দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে। তখন যাত্রীদের গন্তব্য অনুযায়ী নির্ধারিত হারে আদায় করা হবে ভাড়া।
ম্যাস ট্রানজটি কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ‘প্রথমে উত্তরা উত্তর (শুরুর স্টেশন) থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে। আর একটি আগারগাঁও থেকে ছাড়বে। ১০ মিনিট পর পর এই ট্রেন ছাড়া হবে। এই পুরো লাইনে আর কোনো স্টেশনে ট্রেন থামবে না।’
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডিএমটিসিএল-এর এমডি। তিনি বলেন, ‘মানুষদের অভ্যস্ততার জন্য প্রথমে আমরা এভাবেই চালাব। তবে যাত্রী না হলে ট্রেন কম চলবে। মানুষ অভ্যস্ত হলে পরে ধীরে ধীরে আমরা অন্য স্টেশনে ট্রেন থামাব।’
তিনি বলেন, ‘আপাতত ২৯ তারিখ থেকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা মেট্রোরেল চলাচল করবে। বিকেলে কোনো ট্রেন চলবে না।’
তবে যাত্রীদের আশানুরূপ সাড়া না পেলেও সেখানে পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন এমএএন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘তবে মানুষ যদি কম থাকে বা মানুষকে যদি অভ্যস্ত করতে না পারি তাহলে এর চেয়েও কম সময় চলবে ট্রেন। তারপর ৭ দিন দেখে আমরা রিভিউ করব। তখন যদি মনে হয় এই সময় আরও বাড়ানোও দরকার বা বিকেলে ট্রেন চালানো দরকার, তাহলে তখন আমরা নতুন করে আবার সিদ্ধান্ত নেব।’
রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্নআত্তির কথা ভেবে সপ্তাহে একদিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কারণ একদিন যদি আমরা মেইনটেইন্যান্স না করি তাহলে যে কোনো চ্যালঞ্জে উদ্ভব হতে পারে।’
যাত্রীদের কেমন সাড়া মিলছে তার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনারও বিষয়টিও মাথায় রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিদ্দিক বলেন, ‘১০ মিনিট পর পর ট্রেন আসবে এবং ২০০ মানুষ এই ট্রেনে উঠার সুযোগ পাবে।’
১০ মিনিটের মধ্যে যদি যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে না পারেন সেক্ষেত্রে মধ্যবর্তী সময় আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন এমএএন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘এই ১০ মিনিটে উঠতে না পারে তাহলে আমরা আস্তে আস্তে ১০ মিনিটের জায়গায় ১৫ মিনিট অথবা ২০ করে দেব। আমরা চেষ্টা করছি ২০০ মানুষকে অভ্যস্ত করতে।’
যাত্রী পরিবহনের প্রথম দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলেও জানান এমএএন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘২৯ তারিখ থেকেই স্টেশনে যাত্রীরা সিঙ্গেল টিকিট, র্যাপিড পাস, এমআরটি পাস কিনতে পারবে।’
যাত্রীদের টিকিট কেনার কাজটি সহজ করেতে স্টেশনগুলোতে প্রশিক্ষিত জনবল থাকবে বলে জানান এমএএন ছিদ্দিক। বলেন, ‘স্টেশনের প্রতিটা টিকিট মেশিনের সামনেই স্কাউটের সদস্যরা থাকবে। আমরা তাদের ট্রেনিং দিয়েছি। তারা যাত্রীদের মেশিনে টিকিট কাটতে সাহায্য করবে।’
সাধারণ মানুষকে মেট্রোরেলে অভ্যস্ত করা এবং নিয়মকানুন শেখাতেও বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা জানালেন তিনি। বলেন, ‘এখানে আমাদরে স্কাউট থাকবে, আমাদের কর্মীরা থাকবে। এরা মানুষকে দিক-নির্দেশনা দেবে।’
যাত্রী উঠানামায় ৯টি স্টেশনের সিঁড়ি তৈরির কাজ শেষ হলেও বাকি রয়ে গেছে শেওড়া পাড়া স্টেশনের কাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেওড়া পাড়ায় একটা বাদ আছে। কারণ সেখানে একটা ব্যাংক আছে। আর ব্যাংক চাইলইে সরানো যায় না। তবে ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া ডিসি অফিস করছে।’
সব দেখে শুনে, সব চ্যালেঞ্জ জয় করেই মেট্রোরেল পূর্ণরূপে চালু করার কথা জানালেন এমএএন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আগামী ৩ মাস বা আগামী ২৬ মার্চ আমরা মেট্রোরেলকে পূর্ণ অপারশেনে নিয়ে যাব। এর মধ্যইে সাধারণ মানুষ মেট্রোরেলে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এটা আমাদের বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের পর একটি ধর্মীয় সংগঠন মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দুপুরের এ ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটি’নামে একটি সংগঠন সব নাগরিকের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে মিছিল বের করে।
এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়। সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান জানান, রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিলে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়।
তিনি জানান, মিছিল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে জামা, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ কাঠের টেবিল বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন।
ফার্মগেট ওভারব্রিজের সামনে ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা সেলিম মিয়া জানান, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও এখন বেশ বেড়েছে।
স্থায়ীভাবে বসতে পারছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই জায়গায় আগে থেকেই বসি। ঈদের জন্য কালেকশন বাড়াইছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয় নাই।’
নীলক্ষেত ওভারব্রিজের নিচে নারীদের পোশাক নিয়ে বসা রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের তো এই সময়টাতেই একটু আয় বেশি হয়, কিন্তু পুলিশ বললে আবার উঠতে হয়। বেচাকেনা অবশ্য খারাপ না।’
ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বেচাকেনা চলে জানিয়ে রইছ বলেন, রাজধানীর ইসলামপুর, বঙ্গবাজার, সদরঘাটের বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে পণ্য এনে ফুটপাতে বিক্রি করছেন।
মিরপুর ১০ নম্বর ফুটপাতে নিয়মিতই চলে কেনাবেচা। ঈদকে সামনে রেখে নতুন উদ্যমে নামেন বিক্রেতারা।
এখানে পোশাক কিনতে আসা নিলুফা বলেন, ‘আমি একটা গার্মেন্টসে চাকরি করি। কেনাকাটার জন্য ফুটপাতে বসা মার্কেটগুলোই আমাদের ভরসা।
‘বাচ্চাদের পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসই এখান থেকে কম দামে কিনতে পারি।’
এবার মোটামুটি কম দামেই সব পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আরেক ক্রেতা আফতাব বলেন, ‘আমি একটি কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টসে চাকরি করি। বাচ্চাদের জন্য জামা কিনতে এসেছি। বেতন-বোনাস পেলে সবার জন্যই কিনব।
‘প্রতি বছর এসব জায়গা থেকেই কিনি। ছেলে, মেয়ে ছাড়াও তো পরিবারের অনেকের জন্য কিনতে হয়।’
কী পাওয়া যায় ফুটপাতে
রাজধানীর ফার্মগেট ওভারব্রিজ, বলাকা সিনেমা হলের পাশে, নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেটের সামনে, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনে, মিরপুর-১০ নম্বর ওভারব্রিজের নিচে, মালিবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও, গুলিস্তানের মতো জায়গার ফুটপাতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ করা যায়।
এসব জায়গায় স্বল্প আয়ের মানুষ ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাকটি কিনেন।
ফুটপাতে রয়েছে শিশুদের পোশাক, জুতা, মেয়েদের ওয়ান পিস, টপস, ফ্রক, ডিভাইডার টপস। এমনকি তুলনামূলক অনেক কম দামে পার্টি ড্রেসও পাওয়া যায়। পাশাপাশি রয়েছে প্রসাধনী।
অপেক্ষাকৃত কম দামে দুল, মালা, ক্লিপ, লিপস্টিক, নেইলপলিশের মতো কসমেটিক সামগ্রীও মেলে। দোকানগুলোতে ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট পাওয়া যায়।
কোন পোশাকের দাম কত
বিভিন্ন ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে শিশুদের জন্য ডেনিম (জিন্স) প্যান্ট ১০০ থেকে ২৫০, অন্য প্যান্ট ৩০ থেকে ৬০, প্যান্ট ও গেঞ্জির সেট ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৪৫০, ওয়ান পিস ১৫০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
মেয়েদের থ্রি পিস ৩৫০ থেকে ৬৫০, টপস ও ওয়ান পিস ২৫০ থেকে ৩৫০, পার্টি ড্রেস ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০, স্যান্ডেল ও জুতা ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মিরপুর থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ হওয়া চার কিশোরী বাসায় ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তারা মিরপুর ১৩ নম্বরে নিজেদের বাসায় ফিরে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান শুক্রবার বলেন, ‘গতকাল রাতে কিশোরীরা বাসায় ফিরেছে বলে শুনেছি। পরে তাদের আমরা প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।’
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে রাগ করে তারা প্রথমে সিলেট যায়। সিলেট থেকে আবার ওই চার বান্ধবী খুলনায় একটি হোটেলে গিয়ে ওঠে। এর মধ্যে তাদের হাতে টাকা শেষ হয়ে আসতে শুরু করে। তখন ওই চার বান্ধবী আবার বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা বলাবলি করে, তাদের এই কাজটা ঠিক হয়নি। পরে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় গতকাল রাতে তারা বাসায় ফিরে এসেছে।’
এই চার বান্ধবীর মধ্যে তিনজন মাদ্রাসার ও একজন স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের বাসা মিরপুর ১৩ নম্বরে।
গত ২৮ মার্চ সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা নিখোঁজ হয়ে যায় চার কিশোরী। এ ঘটনায় চারজনের অভিভাবক থানায় আলাদা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আরও পড়ুন:বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত শীর্ষ দশে থাকা ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে।
আগের রাতে বৃষ্টির পর সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ‘সহনীয়’ বা ‘মধ্যম মানের’ বাতাস পেয়েছে রাজধানীবাসী।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে বাতাসের মানের দিক থেকে ১০০টি শহরের মধ্যে ২৭তম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
একই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে শীর্ষে ছিল থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু ও চীনের শেনইয়াং।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৫ গুণ বেশি। একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৪৯ দশমিক ৭ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ৭৮। এর মানে হলো সে সময়টাতে মধ্যম মানের বা সহনীয় বাতাস নিতে পেরেছেন রাজধানীবাসী।
একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ২৯২। এর অর্থ হলো ওই সময়ে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় চিয়াংমাইবাসীকে।
আরও পড়ুন:যাত্রীদের ওঠানামার জন্য শুক্রবার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন।
এর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশনের সবগুলোই চালু হলো।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন।
তিনি রাজধানীর দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬-এর ১১.৭৩ কিলোমিটার অংশের ফলক উন্মোচন করেন।
বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যাত্রী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে মেট্রো ট্রেন চলাচল। তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
মেট্রো ট্রেন চালু হওয়ার পর যাত্রা ছিল উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনকেন্দ্রিক। তখন মাঝের অন্য কোনো স্টেশনে ট্রেন থামত না। পরে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে ৯টি স্টেশন চালু হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মিরপুর থেকে চার শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে, এ ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা ও স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি ওই চার ছাত্রী। এদের তিনজন মাদ্রাসার আর একজন স্কুলের ছাত্রী। তারা একে অপরের বান্ধবী।
সারাদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকার এ ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে কাফরুল থানায় জিডি করা হয়।
পুলিশ জানায়, তিনজন স্থানীয় আল-জাহরা গার্লস একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাকিজন পড়ে আবুল হোসেন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীকে সহজে ট্রেস করা যাচ্ছে না। কারণ তাদের কারও কাছেই মোবাইল নেই। তারা ইচ্ছা করেই ঘর ছেড়েছে। তারা চার জনই খুবই কাছের বান্ধবী।
‘তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তারা হেঁটে গিয়ে সরদার বাড়ির মোড়ে একত্রিত হয়। এরপর এক সঙ্গে রওনা হয়।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে চার বান্ধবীর মধ্যে দুই বান্ধবীর পরিবার তাদের বকাঝকা করে। সে কারণে হয়তো তারা পালিয়ে যেতে পারে। তাদের এক বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি তারা সিলেটে যেতে পারে। আমরা সব থানায় তথ্য পাঠিয়েছি। আমাদের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কার্যালয়টির সামনে মানববন্ধন হতে যাওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়ে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, সকাল থেকে প্রথম আলোর সামনে তারা অবস্থান করছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে তারা এসেছেন।
পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সারোয়ার আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জনগণের মানববন্ধন করার কথা ছিল, তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
কী বিষয়ে মানববন্ধন করার কথা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানববন্ধন করবে, কেন এ রকম নিউজ করলো অথবা পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন করার একটা তথ্য ছিল আমাদের কাছে। কিন্তু মানববন্ধন হয় নাই। এ কারণে সকাল ১০টা থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তবে পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে কিছুই জানেন না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর সামনে পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে আমি তো জানি না।’
আপনার এলাকাতে পুলিশ মোতায়েন আর আপনি জানেন না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা সেন্ট্রালি হতে পারে। আমি জানি না।’
স্বাধীনতা দিবসে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার প্রথম আলোর সাংবাদিক মো. শামসুজ্জামান শামসের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
এদিন ভোরে তাকে সাভারের বাসা থেকে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শামসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য