× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bangladeshi killed in Sylhet border shooting
google_news print-icon

সিলেট সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

সিলেট-সীমান্তে-গুলিতে-বাংলাদেশি-নিহত
কাঁটাতারের সীমান্ত। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় নিহত মদসসির সুপারি সংগ্রহে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় ভারতীয় খাসিয়ার একটি দল তাকে গুলি করে...

সিলেটের জৈন্তাপুরে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে এক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার ভোরে গোয়াবাড়ি সীমান্ত এলাকায় মদসসির আলী নামের ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি স্থানীয় আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শনিবার রাতের কোনো একসময় ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় সুপারি সংগ্রহে গিয়েছিলেন। এ সময় ভারতীয় খাসিয়ার একটি দল তাকে গুলি করে।’

সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে জানান তিনি।

পরে বিকেলে যোগাযোগ করা হলে ওসি দস্তগীর জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মদসসির আলীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে কয়েকজন জানান, ভারতের সীমান্ত এলাকায় সেখানকার খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন সুপারি চাষ করে। এসব সুপারি আনতে বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। অনেক সময় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, ‘সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনেকে ভারতীয় খাসিয়াপুঞ্জিতে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ে। এদের অনেকে খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ হারান।

এরআগে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ সীমান্তে ভারতীয়দের গুলিতে লোকেশ রায় নামে এক ব্যক্তি প্রাণ হারান।

আরও পড়ুন:
সীমান্ত হত্যা: বিজিবি-বিএসএফ ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক
সীমান্তে হত্যা: ১৭ দিন পর গলিত মরদেহ ফেরত বিএসএফের
সীমান্তে বিজিবি-বিজিপির যৌথ টহল শিগগিরই
বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
তুমব্রু সীমান্তে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত: ৩১ জনের নামে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Protest march in Jabi demanding the release of journalist Shamsuzzaman

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। সরকার তার প্রয়োজনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন ব্যবহার করছে। নিকৃষ্ট উপায়ে সাদা পোশাকে এসে রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেছে।’

সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। সরকার তার প্রয়োজনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন ব্যবহার করছে। নিকৃষ্ট উপায়ে সাদা পোশাকে এসে রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেছে।’

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, ‘কোনো সংবাদে আপত্তি থাকলে তার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু এখানে অন্যায়ভাবে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rubel used to see Ayanis sacked body every day

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সবজি বিক্রেতা রুবেলকে বুধবার আটক করে পিবিআই। ছবি: নিউজবাংলা
জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘২১ মার্চ রাত ৯টার পর আঁখির বস্তাবন্দি মরদেহ সবজির ভ্যানে করে ত্রিফল দিয়ে ঢেকে মুরগি ফার্ম এলাকার ডোবায় ফেলে আসে রুবেল। রাত ১০টার দিকে শিশুটির পরিহিত স্যান্ডেল, পায়জামা ও হিজাব কনকা সিএনজি স্টেশনের পাশে নালায় ফেলে দেয় সে। এরপর থেকে রুবেল প্রতিদিন মরদেহের অবস্থা দেখে আসত এবং খড়কুটো দিয়ে তা ঢেকে দিত।’

চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৮ দিন পর বুধবার উদ্ধার হয়েছে শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর মরদেহ। আর বস্তাবন্দি এই মরদেহ প্রতিদিন গিয়ে দেখে আসত অভিযুক্ত রুবেল। লোকজনের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে সে খড়কুটো দিয়ে ওই বস্তা ঢেকে রাখত নিয়মিত।

বুধবার দুপুরে ডবলমুরিং এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার (এসপি, চট্টগ্রাম মেট্রো) নাঈমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন (২১ মার্চ) রাত ৯টার পর আখির মরদেহ বস্তাবন্দি করে সবজির ভ্যানে করে ত্রিফল দিয়ে ঢেকে মুরগি ফার্ম এলাকার ডোবায় ফেলে আসে রুবেল। রাত ১০টার দিকে আঁখির পরিহিত স্যান্ডেল, পায়জামা ও হিজাব কনকা সিএনজি স্টেশনের দক্ষিণ পাশের নালায় ফেলে দেয় সে। ডোবায় মরদেহ ফেলে আসার পর থেকে রুবেল প্রতিদিন মরদেহের অবস্থা দেখে আসত এবং লোকজনের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে দিত।’

২১ মার্চ বিকেলে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার কাজীর দিঘি এলাকার বাসা থেকে আরবি পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ১০ বছর বয়সী আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনি। নিখোঁজের ৮ দিন পর বুধবার ভোরে পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়া মুরগি ফার্ম এলাকার একটি জলাশয় থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পিবিআই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যায় জড়িত সন্দেহে সবজি বিক্রেতা রুবেলকে আটক করে পিবিআই।

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল
আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনি। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে নাঈমা সুলতানা জানান, পাহাড়তলী থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি ও আঁখি মনির মায়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ মার্চ ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। সিসিটিভি ফুটেজ ও শিশুটির স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রুবেলকে শনাক্ত করে তারা৷

‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবেলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল আঁখি মনিকে বিড়ালছানার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি খালি ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেখানো মতেই মঙ্গলবার ভোরে আঁখি মনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আটক রুবেলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে পাহাড়তলী থানার মুরগি ফার্ম বাজারের পাশে আলমতারা পুকুর এলাকার ডোবার আবর্জনায় চটের বস্তায় বাঁধা অবস্থায় শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে কালো রঙের একটি গেঞ্জি ছাড়া আর কোনো কাপড় ছিল না। পরবর্তীতে আটক রুবেলের তথ্যে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাহাড়তলীর পোর্ট কানেকটিং রোডে কনকা সিএনজি স্টেশনের দক্ষিণ পাশের নালা থেকে শিশুটির স্যান্ডেল, পায়জামা ও হিজাব উদ্ধার করা হয়।

‘তিন মাস আগে স্বামী আবুল হাশেমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হওয়ায় আঁখি মনিকে নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে মায়ের বাসায় ওঠেন বিবি ফাতেমা। মেয়েকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তিনি।’

পিবিআই এসপি জানান, সবজি বিক্রির সুবাদে আঁখি মনির নানী বিবি খাদিজার সঙ্গে পরিচয় ছিল রুবেলের। মাস তিনেক আগে একটি বিড়ালছানা ধরতে গিয়ে রিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে আঁখি মনির। তখন শিশুটির সঙ্গে পরিচয় হয় রুবেলের। সব সময় রুবেলের কাছে বিড়ালছানা চাইতো আঁখি, রুবেলও বোনের বাসা থেকে আঁখিকে বিড়ালছানা এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

ঘটনার আগের দিন, ২০ মার্চ এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বিড়ালছানা আনতে রুবেলের বাসায় যায় আঁখি। ওইদিন বেলা ১১টায় সবজি বিক্রির সময় নিজেদের বাসার নিচে রুবেলের সঙ্গে কথা হয় আঁখির। সে সময় বিকেলে বিড়ালছানা দেয়ার কথা বলে আঁখিকে পার্শ্ববর্তী একটি নির্দিষ্ট স্থানে যেতে বলে রুবেল।

বিকেলে আঁখি ওই নির্দিষ্ট স্থানে গেলেও রুবেলের দেখা না পেয়ে ফিরে আসে সে। পরদিন স্কুলের সামনে রুবেলকে দেখে বিড়ালছানার কথা জিজ্ঞেস করে সে। ওই সময় স্কুল শেষে আঁখিকে আগের নির্ধারিত স্থানে যেতে বলে রুবেল। স্কুল শেষে আঁখি পোশাক পরিবর্তন করে হিজাব পরে নির্ধারিত স্থানে যায়। হিজাব পরায় শুরুতে রুবেল চিনতে না পারলেও আঁখির ডাকে চিনতে পারে৷ তখন আঁখিকে কৌশলে রুবেল তার ফুফুর ভবনের চতুর্থ তলার খালি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় আঁখি চিৎকার করলে গলাটিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে রুবেল।

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল
বুধবার দুপুরে বন্দর নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা মোড় এলাকায় মানববন্ধন করে আয়নীর সহপাঠিরা। এতে অংশ নেন অভিভাবকরাও। ছবি: নিউজবাংলা

আঁখি হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে সহপাঠীদের মানববন্ধন

চট্টগ্রামে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনিকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তের বিচার দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেছে ওর সহপাঠীরা। আয়নীর স্কুল সরাইপাড়া হাজি আব্দুল আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দেন অভিভাবকরাও।

বুধবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা মোড় এলাকায় এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত রুবেলের ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিবাবক এবং শিক্ষকরাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িত সবজি বিক্রেতা রুবেলের যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

আঁখি মনির সহপাঠী সুমাইয়া আক্তার সানজিদার বাবা মো. সেলিম বলেন, ‘এক সময় আমাদের বাসা পাশাপাশি ছিল। কিছুদিন আগে আমরা বাসা চেঞ্জ করে একটু দূরে চলে গেছি। বাচ্চাটি আমার মেয়ের সঙ্গে হাজী আব্দুল আলী স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। দুজনের বন্ধুত্বও ছিল। ঘটনাটি শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আমরা খুনির ফাঁসি চাই।’

বর্ষা ও আয়াতের পথ ধরে আয়নী আঁখি

আবিদা সুলতানা আয়নী হত্যাকাণ্ডের আগে চট্টগ্রামে গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে নিখোঁজের পর দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৪ অক্টোবর চিপস কিনতে বের হয়ে নগরীর জামালখান এলাকায় নিখোঁজ হয় ৭ বছর বয়সী মার্জনা হক বর্ষা। এর তিন দিন পর একই এলাকার একটি নালা থেকে বর্ষার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে লক্ষণ দাশ নামের এক দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

নিখোঁজের ৯ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত সন্দেহে আয়াতের পরিবারের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে আদালতে জবানবন্দি দেয় আবির। এরপর পিবিআইয়ের কয়েক দফা চেষ্টায় নগরীর আকমল আলী সড়কের আশপাশে বিভিন্ন জলাশয় থেকে আয়াতের খণ্ডিত পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়। সে সময় আয়াতের ওই মৃত্যুর ঘটনাও নাড়া দেয় সবাইকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former A League MP acquitted in rape case for marrying plaintiff

বাদীকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলায় আ.লীগের সাবেক এমপিকে অব্যাহতি

বাদীকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলায় আ.লীগের সাবেক এমপিকে অব্যাহতি আদালতে সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু। ছবি: সংগৃহীত
পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে ১৩ মার্চ আদালত জামিন দেয়। শর্ত ছিল তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করতে হবে। জামিনের সেই শর্ত মানার পর বুধবার তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ধর্ষণ মামলার বাদীকে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে সংসার শুরু করায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার বুধবার এই অব্যাহতির আদেশ দেন।

এর আগে ১৩ মার্চ একই আদালত বাদীকে বিয়ের শর্তে আরজুকে জামিন দিয়েছিল। সে অনুযায়ী বাদীকে বিয়ে করেন আসামি।

গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে প্রথম স্বামীর বিয়েবিচ্ছেদ হয়। সে সময় ওই নারী একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় অনেকটা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। স্বজনরা তাকে ফের বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে চাচার মাধ্যমে আসামি আরজুর সঙ্গে পরিচয় হয় বাদীর। আরজু নিয়মিত ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে একপর্যায়ে সফল হন। আরজু তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। একাকীত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান তিনি। ওই নারী আরজুর প্রেমে পড়ে তার বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন। ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই দম্পতির একটি মেয়ে সন্তান হয়। এ সন্তান গর্ভে আসার সময় থেকে আরজু বিভিন্ন ছলচাতুরির মাধ্যমে ভ্রূণ নষ্ট করার চেষ্টা করেন। ওই নারীর দৃঢ়তায় তার সে চেষ্টা সফল হয়নি।

মামলার বিবরণে আরও বলা হয়, সন্তান হওয়ার পর আরজুর আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ‍্য করা যায়। তিনি ওই নারীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। এ ছাড়া ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার কথা বলে ওই নারীর বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং নারীর জমানো ৮ লাখ টাকা নিলেও ফ্ল্যাট কিনে দেননি আরজু। তিনি টাকাও ফেরত দেননি।

পরে খোঁজ নিয়ে ওই নারী জানতে পারেন, আরজুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। তার ঘরে মেয়েসন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন তিনি।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামি বাদীর কাছে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন তিনি। আরজু কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালান। একপর্যায়ে বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি।

মামলার তদন্তে বাদীর মেয়ে সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই সন্তান বাদীর গর্ভজাত এবং আরজু তার জন্মদাতা বলে তথ্য-প্রমাণ উঠে আসে।

আরও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলায় জামিন নাকচ, সাবেক এমপি আরজু কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prothom Alo journalist Shamsuzzaman filed a case under the Digital Security Act

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা মো. শামসুজ্জামান
ওসি বলেন, গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।

প্রথম আলোর সাংবাদিক মো. শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁও থানায় সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া নামে একজন বুধবার এ মামলা করেন।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।’

মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হইছে, এই সংবাদপত্রটা মিথ্যা এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা মামলাটা করছি, আর কিছু না।’

যুবলীগের এই নেতা বলেন, ‘মামলা করার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা করছি। আমি দলীয় পরিচয় বা হাইলাইট হওয়ার জন্য এটা করি নাই।’

মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত এসপি রবিউল ইসলামের ভাই তিনি। এই সাংবাদিক সাভারের আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই থাকেন।

শামসুজ্জামান যে বাসায় থাকেন সে বাড়ির মালিক ফেরদৌস আলম কবির বলেন, ‘রাতে সিআইডি পরিচয়ে ৫-৭ জন বাসায় এসেছিল। তাদের আচরণ পেশাদার ছিল। শামসুজ্জামানকে নিয়ে তারা ভোর ৪টার দিকে বের হয়ে যায়, এক সাথে সেহরি খাওয়ার কথা বলে। পরে তাকে নিয়ে তারা আবার আসছে।

‘কাপড়চোপর আর ফোন ও ল্যাপটপজাতীয় ডিভাইসগুলো নিয়ে গেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, আসলে কী ব্যাপার। তারা বলেছে, উনি একটা নিউজ করেছিল। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে একটা মামলা হয়েছে।’

এদিকে সচিবালয়ে বুধবার এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আইন নিজস্ব গতিতে চলে। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রসহ সব চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, থানায় মামলা করে, সে অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে, আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে। সেই জন্য সিআইডি...।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে সব রিপোর্ট আসেনি। আমি যতটুকু অবগত হয়েছি, এই মামলাকে কেন্দ্র করে খুব সম্ভব কিছু একটা ঘটেছে, এখনও পরিষ্কার নই।’

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে প্রথম আলোর সাংবাদিক সাহেব যেটা করেছেন, এটা সঠিক ছিল না, যেটা নাকি একাত্তর টিভির মাধ্যমে আপনারাই প্রচার করেছেন।

‘আপনারাই সাংবাদিক ভাইরা সংক্ষুব্ধ হয়ে একাত্তর টিভির মাধ্যমে এই সংবাদটা যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা ছাপানো হয়েছে, একাত্তর টিভিতে এটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Young man arrested for death of young woman in residential hotel in Nikli

নিকলীতে আবাসিক হোটেলে তরুণীর ‘মৃত্যু’, যুবক আটক

নিকলীতে আবাসিক হোটেলে তরুণীর ‘মৃত্যু’, যুবক আটক নিকলীর হাওর প্যারাডাইজ হোটেলের নামফলক। ছবি: সংগৃহীত
নিকলী উপজেলা কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তনুশ্রী সাহা বলেন, ‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্বামী পরিচয়ে হুমায়ুন কবীর নামে একজন হাসপাতালে তরুণীকে নিয়ে আসেন। তার সঙ্গে আরেকজন লোক ছিল। তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের নাকি অন্য কেউ বলতে পারছি না, তবে এই যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে গেছে।’

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আবাসিক হোটেল থেকে হাসপাতালে নেয়া এক তরুণীকে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

নিকলী সদরের ‘হাওর প্যারাডাইজ’ হোটেল থেকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে তরুণীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম তামান্না আক্তার। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম জগন্নাথপুর এলাকার ওয়াহিদ মিয়ার মেয়ে।

এ ঘটনায় আটক ২৯ বছর বয়সী হুয়ামুন কবীরের বাড়ী কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা গ্রামে।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিকলী উপজেলা কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তনুশ্রী সাহা বলেন, ‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্বামী পরিচয়ে হুমায়ুন কবীর নামে একজন হাসপাতালে তরুণীকে নিয়ে আসেন। তার সঙ্গে আরেকজন লোক ছিল। তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের নাকি অন্য কেউ বলতে পারছি না, তবে এই যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে হাওর প্যারাডাইজ হোটেল কর্তৃপক্ষের নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ জানান, গত ২৫ মার্চ হুমায়ুন কবীর ও তামান্না আক্তার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হাওর প্যারাডাইজ হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে ওঠেন। আজ সকালে হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। তরুণীর গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় স্বামী পরিচয় দেয়া হুমায়ুন কবীরকে হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ ঘরে, গাছে ঝুলছিল স্বামীর
ফ্লাইওভারের ঢালে বাসচাপায় গেল শিক্ষানবিশ আইনজীবীর প্রাণ
বরিশালে হোটেল কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গোমতীতে ভেসে উঠল আনসার সদস্যের মরদেহ  
সেচ পাম্পের পাইপে নারীর মরদেহ, স্বামী আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
UNORA is losing absolute authority in Upazila Parishad

উপজেলা পরিষদে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব হারাচ্ছেন ইউএনওরা

উপজেলা পরিষদে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব হারাচ্ছেন ইউএনওরা সুপ্রিম কোর্ট চত্বর। ফাইল ছবি
হাইকোর্টের রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন, এমন আইনের ৩৩ ধারাটি বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

হাইকোর্টের রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

আইনের ৩৩ (১) ধারায় বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। ৩৩ (২) ধারায় বলা হয়, পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।

রায়ের পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ৩৩ ধারা বাতিল চেয়ে রিট করা হয়েছিল। সেই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজকে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে ৩৩ ধারা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে এগুলো চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ১৫ জুন রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর রুল জারি করা হয়।

রুলে উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদসংক্রান্ত আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট করেন।

আরও পড়ুন:
ইউএনও’র থাপ্পড়, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসপাতালে
ইউএনওর অপসারণ চেয়ে ঝাড়ু মিছিল
ঘোড়াঘাটের ইউএনওকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ বছরের জেল
আ.লীগ নেতার ছেলের পিটুনিতে ইউএনওর স্বামীর ‘হাড়ের স্ক্রু ডিসপ্লেসড’
নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prothom Alo journalist detained in Savar

সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিককে ‘আটক’

সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিককে ‘আটক’ সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শামসুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে।

ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসা থেকে প্রথম আলোর এক সাংবাদিককে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে বুধবার ভোররাতে ওই সাংবাদিককে ‘আটক’ করা হয়।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওখানে সিআইডির এক এসপি স্যার ছিলেন। ওখানে আমাকে জাস্ট উনারা প্রেজেন্ট থাকতে বলছে। পোশাক পরিহিত পুলিশ হিসেবে আমাকে রাখছে। এটা খুব সিকিউরড করে ধরা হয়েছে। এডিশনাল এসপি স্যার আসছিলেন চারজন। কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না।

‘কাকে ধরতে আসছে, কাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, এটা সম্বন্ধে আমি জানিই না। আসলে কোন ব্যাপারে তাকে কেন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমি জানি না। পরে আপনাদের স্থানীয় এক সাংবাদিক একটু বলল।’

মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে।

শামসুজ্জামান গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত এসপি রবিউল ইসলামের ভাই। তিনি সাভারের আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন, তবে মঙ্গলবার রাতে আরিফুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন, যিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাভার-ধামরাইয়ে সাংবাদিকতা করছি। মাঝেমধ্যে অফিসের কাজে ঢাকা যাই। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা গিয়েছিলাম। ফেরার পথে বেশি রাত হওয়ায় ভাইয়ের বাসায় আসি কাল সকালে আবার ঢাকা যাব এ জন্য।’

আরিফ আরও বলেন, “আমি রাতে ঘুমিয়েছিলাম। ভোর ৪টার দিকে শামস ভাই আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। উঠে দেখি, ডাইনিংয়ে পাঁচ/ছয় ব্যক্তি দাঁড়ানো। আর এক ব্যক্তি ভাইয়ের কক্ষে তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ড ডিস্ক নিয়ে নেয়। বাইরে থাকা একটি ব্যাগ ফাঁকা করে সেই ব্যাগে ওসব ঢুকাচ্ছে। এরপর কর্মকর্তা গোছের একজন ঘরের ভিতরে ঢুকে আমার কাছে পরিচয় জানতে চায়। বলে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারপর বাসায় দিয়ে যাবে।

“সিআইডি পরিচয়দানকারী এদের মধ্যে একজন বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলছিলেন, ‘নিউজ দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে। সেটাই শুনব।’ তাদেরই একজন শামস ভাইয়ের প্রয়াত বড় ভাই রবিউলের কথা বলেন। উনি তো এসি রবিউলের ছোট ভাই। এরপর ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করার পর তারা বাসা ছেড়ে চলে যায়।’

ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এর ৪৫ মিনিট পর তারা আবার শামসুজ্জামান ভাইকে নিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় তারা জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন। শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবি তোলা হয়। পাঁচ/সাত মিনিটের মধ্যে আবার তারা বের হয়ে যান। বাসা তল্লাশির সময় দুইবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন।’

প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে বটতলার নূরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী, শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সেহরির খাবার খান। ভোর পৌনে ৫টার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান। শামসুজ্জামানের বাসার সামনে থাকা দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো চ ৫৬-২৭৪৭ ও ঢাকা মেট্রো জ ৭৪-০৩৩১। আরেকটিতে কোনো নম্বর প্লেট দেখা যায়নি। দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার এসআই রাজু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শামসুজ্জামান যে বাসায় থাকতেন, সে বাড়ির মালিক ফেরদৌস আলম কবির বলেন, ‘শামসুজ্জামান নিচ তলায় এক বছর আগে বাসা ভাড়া নেয়। ওই একমাত্র ব্যাচেলর ছিল। গুলশানে হলি আর্টিজানে ওর ভাই রবি শহীদ হয়েছেন। সে হিসেবেই ওর প্রতি আলাদা মায়া ছিল আমার, যে কারণে ওরে বাসা ভাড়া দিয়েছি।

‘গতকাল রাতে সিআইডি পরিচয়ে ৫-৭ জন বাসায় এসেছিল। তাদের আচরণ পেশাদার ছিল। শামসকে নিয়ে তারা ভোর ৪টার দিকে বের হয়ে যায় একসাথে সেহরি খাওয়ার কথা বলে। পরে শামসকে নিয়ে তারা আবার আসছে। কাপড়চোপর আর ফোন ও ল্যাপটপজাতীয় ডিভাইসগুলো নিয়ে গেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, আসলে কী ব্যাপার। তারা বলেছে, উনি একটা নিউজ করেছিল। সেটার প্রেক্ষিতে একটা মামলা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, যারা সিআইডি পরিচয়ে এসেছিল, তাদের সাথে শামসের আচরণও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল তারা পূর্ব পরিচিত।

সিআইডির ভাষ্য

সিআইডি ঢাকা বিভাগের ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা বিভাগ কাউকে আটক করেনি।’

সিআইডি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’

সিআইডি ঢাকা মেট্রোর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ঢাকা মেট্রোর কেউ আটক করলে বিষয়টা জানতাম। সিআইডির নাম করে অন্য কেউ করেছে কি না, বিষয়টা জানি না।’

যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এদিকে সচিবালয়ে বুধবার এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আইন নিজস্ব গতিতে চলে। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রসহ সব চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, থানায় মামলা করে, সে অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে, আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে। সেই জন্য সিআইডি...।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে সব রিপোর্ট আসেনি। আমি যতটুকু অবগত হয়েছি, এই মামলাকে কেন্দ্র করে খুব সম্ভব কিছু একটা ঘটেছে, এখনও পরিষ্কার নই।’

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে প্রথম আলোর সাংবাদিক সাহেব যেটা করেছেন, এটা সঠিক ছিল না, যেটা নাকি একাত্তর টিভির মাধ্যমে আপনারাই প্রচার করেছেন। আপনারাই সাংবাদিক ভাইরা সংক্ষুব্ধ হয়ে একাত্তর টিভির মাধ্যমে এই সংবাদটা যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা ছাপানো হয়েছে, একাত্তর টিভিতে এটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, এসআই প্রত্যাহার
‘গাড়ি চালকের সাহায্যে বাসায় ঢুকে সাংবাদিক আফতাবকে হত্যা’
সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর মায়ের মৃত্যু
মিরপুরে ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে সংবাদের জে‌রেই অপূর্বর ওপর হামলা

মন্তব্য

p
উপরে