‘সিএমজি বেতার দিবস’ উদযাপন করেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরো।
রাজধানীর গুলশানে সিএমজির কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করেন ঢাকা ব্যুরোর সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, রেডিও ভূমির প্রধান নির্বাহী শামস সুমন, রেডিও ঢোলের প্রধান নির্বাহী সিলভিয়া পারভীন লেনি, নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব, শিক্ষাবিদ শাহ নিসতার জাহান, সংগীতশিল্পী ইমরান হোসেনসহ অনেকে।
চীনের বেইজিং থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।
ওই সময় ঢাকা ব্যুরোর পরিচিতি এবং ব্যুরো নির্মিত রেডিও অনুষ্ঠানগুলোর পরিচিতি তুলে ধরেন সংবাদকর্মীরা।
ঢাকা ব্যুরোর কর্মীদের পরিবেশনায় শ্রুতি নাটক উপভোগ করেন অতিথিরা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে কেক কেটে সিএমজির জন্মদিনও পালন করা হয়।
ঢাকা ব্যুরোর অনুষ্ঠান
সিএমজির ঢাকা ব্যুরো থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো হলো ‘আকাশ ছুঁতে চাই’ (নারী ও মানবাধিকারবিষয়ক অনুষ্ঠান), ‘ব্যবসাপাতি’ (ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক অনুষ্ঠান), ‘আপন আলোয়’ (শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠান) এবং ‘দেহঘড়ি’ (স্বাস্থ্ বিষয়ক অনুষ্ঠান)।
অনুষ্ঠানগুলোর সঞ্চালনায় রয়েছেন শান্তা মারিয়া, সাজিদ রাজু, মাহমুদ হাশিম ও হাবিবুর রহমান অভি।
মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন যাত্রীদের জন্য খুলে দেয়া হবে আগামী ৩১ মার্চ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ইতোমধ্যে এই দুটি স্টেশন খোলার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। মেট্রোরেল সেবা পরিচালনাকারী ডিএমটিসিএল সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। খবর বাসসের
উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন চালু হলে যাত্রীরা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন ব্যবহার করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
ডিএমটিসিএল-এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দুটি দল গঠন করেছি যারা অপারেশনের জন্য উত্তরা দক্ষিণ এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের অপারেশন টিমের সাথে সমন্বয় করবে।’
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে একটি মাইলফলক স্থাপন করে প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন।
তিনি শহরের দিয়াবাড়িতে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ এর ১১.৭৩ কিলোমিটার অংশের ফলক উন্মোচন করেন।
বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যাত্রী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন:সংবিধানের বাইরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরা সম্ভব নয় মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখুক, তা কখনও পূরণ হবে না।
সচিবালয়ে বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন লাঞ্চের দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে বলেছি সংবিধান অনুযায়ী আমরা কেয়ারটেকার সরকারে ফেরত যেতে পারব না। তারা চায় বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হোক। তা তারা বলতেই পারে।
‘এটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রও বলতে পারে। কেননা তারা আমাদের বন্ধু। ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন বাস্তবায়ন করবে ইলেকশন কমিশন। তখনকার সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।’
সাভারে সম্প্রতি স্কুলছাত্রকে দিনমজুর বানিয়ে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও পক্ষপাতমূলক সংবাদ করা হচ্ছে। এগুলো হলুদ সাংবাদিকতা।’
এগুলো পরিহারের আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাভারে একটা বাচ্চার হাতে ১০ টাকা দিয়ে ছবি ছেপে ভাইরাল করা হলো। এটা হলুদ সাংবাদিকতা, এখন হলুদ সাংবাদিকতা বেশি হচ্ছে।’
মন্ত্রিসভায় গণপ্রতিনিধিত্ব সংশোধিত আইন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় এটার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে; চূড়ান্ত হয়নি। আইন মন্ত্রণালয়ে এখন এটি ভেটিং হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে ফলাও করে বলার সুযোগ নেই।’
সড়ক দুঘটনা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি মিনিটে কত মানুষ মারা যায়? ২০ জন মারা গেছে সৌদিতে। এর মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি। সড়কের দুর্ঘটনার কারণে কোনো মন্ত্রণালয় ব্যর্থ এমন বলা ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে। ধীরে ধীরে আরও কমবে। শুধু দেশে না, সারা দুনিয়াতে পণ্যের দাম বাড়ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের ভাষায় যে জনগণ কষ্টে আছে, সেই জনগণই বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। কেননা তাহলে গণআন্দোলন গড়ে উঠত।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের থেকে ভালো আছি, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কিন্তু চেয়ে দেখেন পাকিস্তানের দিকে, তাদের রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। দেশের উন্নয়ন থেমে থাকলে বিশ্বনেতারা কি বাংলাদেশের প্রশংসা করত?’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ অন্য অনেক দেশ থেকে ভালো আছি। চেষ্টার কোনো কমতি নেই। সংকটটা আমাদের একার নয়। এটা বিশ্বময়।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কিল-ঘুষিতে এক যুবক মারা গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গোলাপবাগের মানিক নগর এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৮ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ আল সোহানের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার, বাউফল উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামে। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করে কানাডায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তার বাবা বাউফল ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মুগদা জেনারেল হাসপাতালে যেয়ে সেখানে জানতে পারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাপবাগ মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে কিলঘুষির ঘটনায় সোহান নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে কী কারণে তাকে মারধর করা হলো এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
নিহতের চাচতো ভাই সাগর মিয়া বলেন, ‘আমার চাচতো ভাই সোহান গত দুই বছর আগে দোলা আক্তার নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে। বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন জানতেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী দোলাকে নিয়ে তার বাবার গোলাপবাগের ভাড়া বাসায় যান। বাসা থেকে ফেরার সময় বাড়িওয়ালা জামাল মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়, তখন জামাল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সোহানকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে সোহান অচেতন অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, পরে তাকে দ্রুত মুগদা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের বিষয়টা বাড়িওয়ালা ও আশেপাশের লোকজন জানতেন না। এ ঘটনায় মধ্যরাতে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালকে আটক করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।’
আরও পড়ুন:স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রেস সচিব অনিকেত রাজেশ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হেলিকপ্টারে করে সকাল ১০টায় তার মরদেহ নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজার পর আছরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
নূরে আলম সিদ্দিকীকে মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফার একজন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি। তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ছিলেন।
নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন।
বিশ্বের ১০টি সর্বাধিক বায়ু দূষণ শহরের মধ্যে নয়টিই দক্ষিণ এশিয়াতে এবং ঢাকা এদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্যই দায়ী এই বায়ু দূষণ।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব এবং সাশ্রয়ী সমাধান রয়েছে। তবে এর জন্য দেশগুলোর মধ্যে নীতিমালা ও বিনিয়োগের সমন্বয় প্রয়োজন।
‘স্ট্রিভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পল্যুশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার ঢাকায় উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই অঞ্চলের কিছু অতি ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র এলাকার বায়ূকণা যেমন ঝুল এবং ধূলিকণা (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বায়ুদূষণ প্রতি বছর আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোকের অকাল মৃত্যু ঘটায়। এর কারণে অর্থনৈতিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
‘মারাত্মক বায়ুদূষণের ফলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা দেয় এবং এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি একটি দেশের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বাড়ায় এবং উৎপাদন ক্ষমতা ও কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক বলেন, ‘বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এমন অনেক নজির রয়েছে যে অঙ্গীকার, সঠিক পদক্ষেপ ও নীতিমালা গৃহীত হলে এই বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব।
‘বাতাসের গুণমান ব্যবস্থাপনা বাড়াতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বায়ূদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে এই শক্তিশালী পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত সমাধান এই বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি বড় এয়ারশেড চিহ্নিত করা হয়েছে- যেখানে স্থানিক বাতাসের গুণমানে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান- ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিস্তৃত একটি সাধারণ এয়ারশেডের আওতাভুক্ত। প্রতিটি এয়ারশেডের বায়ূকণা বিভিন্ন উৎস ও অবস্থান থেকে আসে। উদাহরণস্বরূপ- ঢাকা, কাঠমান্ডু ও কলম্বোর মতো শহরে শুধু সংশ্লিষ্ট শহরের মধ্যে থেকেই এক-তৃতীয়াংশ বায়ুদূষণ সৃষ্টি হয়। এই বায়ুদূষণের আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই চারটি দেশ ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয় পাদদেশের বাতাসের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কাঠমাণ্ডু রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয় পরিচালক সিসিল ফ্রুম্যান বলেন, ‘বায়ুদূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অল্প কিছুসংখ্যক দেশ বাতাসের মান উন্নয়নে নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করাটা অতিজরুরি।’
প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট, বড় কারখানা ও পরিবহনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চলমান নীতিগত পদক্ষেপগুলো যদি দক্ষিণ এশিয়াজুড়েও সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলেও শুধু পিএম২.৫ হ্রাসের মতো আংশিক সাফল্য আসবে।
বৃহত্তর অর্জনের লক্ষ্যে অন্যান্য খাত বিশেষ করে ছোট উৎপাদন, কৃষি, আবাসিক রান্না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি দিতে হবে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ফার্নিচার কারখানায় আগুন লেগে একটি শিশুসহ দুজন দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকের এই ঘটনায় দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
কামরাঙ্গীচরে বাসার মিয়া প্রাইমারি স্কুলের পাশেও ফার্নিচার কারখানায় দগ্ধরা হলেন ছয় বছর বয়সী মিম আক্তার ও ৩৩ বছরের জহিরুল ইসলাম।
দগ্ধ জহিরুল ইসলামের সহকর্মী শেখ ফরিদ বলেন, ‘আমাদের ফার্নিচার কারখানার পাশে ওই শিশুটির বাসা । সব সময় আমাদের এখানে আসা-যাওয়া ছিল তার । আমার হাতে ফার্নিচারের বার্নিশ ছিল এবং পাশেই মোমবাতি জ্বালানো ছিল।
‘ওই বাচ্চা আগুনের পাশ দিয়ে দৌড় দিলে তাকে বাঁচাতে গেলে বার্নিশ মোমের উপরে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে দুজনের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে আমরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচর থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে মিম নামে ছয় বছরের একটি শিশু রয়েছে। তার শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। জহিরুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে তার কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গৃহবধূ তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ মে দিন ধার্য করেছে আদালত।
ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালতে মঙ্গলবার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন। এদিন ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।
আসামিরা হলেন, ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।
জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ নামে দুজন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য