× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP JPA have built their own destiny not the people Sheikh Hasina
google_news print-icon

বিএনপি-জাতীয় পার্টি নিজেদের ভাগ্য গড়েছে: শেখ হাসিনা

বিএনপি-জাতীয়-পার্টি-নিজেদের-ভাগ্য-গড়েছে-শেখ-হাসিনা
গণভবনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জাতীয় পার্টি, এগুলো তো অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলকারী একজন মিলিটারি শাসক তার পকেট থেকে বের হওয়া। এরা ভাসমান। কাজেই এদের দায়দায়িত্বটা জনগণের ওপর নেই।’

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েছে; গড়েনি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য।

আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটি গঠনের পর রোববার দুপুরে গণভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে জনগণের ভাগ্য গড়া। আর সেটাই আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি এবং সেটা আমাদের করতে হবে। মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, এটাই আমাদের বড় শক্তি। আমাদের আর কোনো শক্তি নাই। একমাত্র জনগণের শক্তিতেই আমরা বিশ্বাস করি।

‘আওয়ামী লীগই এ দেশের জনগণের জন্য কাজ করে এবং আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষের আজকে ভাগ্য ফিরে এসেছে।’

সংগঠন বলতে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই আছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সংগঠন বলতে সারা বাংলাদেশে সত্যি কথাটা বলা যায়, তবে আওয়ামী লীগই আছে, এটা ঠিক। আমরা তো মাটি মানুষ থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন।’

তিনি বলেন, ‘আর বিএনপি-জাতীয় পার্টি, এগুলো তো অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলকারী একজন মিলিটারি শাসক তার পকেট থেকে বের হওয়া। এরা ভাসমান। কাজেই এদের দায়দায়িত্বটা জনগণের ওপর নেই।

‘যদিও তারা দাবি করে অনেক বছর ক্ষমতায়, কিন্তু ক্ষমতায় থেকেই তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েছে; বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়েনি।’

স্বাধীনচেতা হলে বড় দেশগুলোর অনেকে পছন্দ করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ যদি খুব স্বাধীনচেতা হয়, তাহলে অনেকেই তাদের পছন্দ করে না। অনেক বড় বড় দেশ, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীরা কখনও এটা পছন্দ করবে না, কিন্তু আমাদের জনগণকে যদি আমরা ঠিক রাখতে পারি, তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি এটা কেউ আটকাতে পারবে না, যেটা জাতির পিতা বলে গিয়েছিলেন, ‘কেউ দাবায় রাখতে পারবা না’। সেটা পারবে না।

“কাজেই এটা আপনারা সবাই সব সময় মাথায় রেখেই সংগঠনটির ওপর বেশি গুরুত্ব দেবেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন, এটাই আমার অনুরোধ।’

নতুন সদস্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা কিন্তু বই ছাপিয়ে দিয়েছি সদস্য সংগ্রহ করার। এই কাজটা আমাদের প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত সকাইতে সম্পন্ন করতে হবে এবং মুড়ি বইগুলো ফেরত দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আবার নতুনভাবে টিম করে দেব। একটা বিভাগে বিভাগীয় যে টিম আমরা করে দেব, তাদের ওপর দায়িত্ব থাকবে প্রত্যেকটা জায়গায় সদস্য সংগ্রহ হলো কি না।’

বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনগুলো যথাসময়ে করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্মেলনটা আপনারা যথাযথ সময় করবেন…আমরা নতুনভাবে টিম করে দেব একটা বিভাগের জন্য।

‘প্রত্যেকটা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত যাদের সম্মেলনগুলো হয়, সেটা করা। অনেকগুলো এখনও বাদ রয়ে গেছে। একটাও যেন বাদ না থাকে।’

নেতা-কর্মীদের কাছে দোয়া চেয়ে টানা দশবারের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দোয়া করবেন। আপনারা নির্বাচিত করেছেন আবার। এই এতবার আমার মনে হয় একটা পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না। তারপরেও এখন যেহেতু সারা বিশ্বব্যাপী একটা দুঃসময়...বিশ্বব্যাপী দুঃসময়ের জন্যই আমি হয়তো মানা করিনি, কিন্তু আমার বয়স হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে, কিন্তু সংগঠনটা যেন ঠিক থাকে চলতে থাকে, সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে।’

গণভবনে নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যা-ই হোক আপনারা এসেছেন কষ্ট করে। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন গণভবনে, এই ভবন আপনাদেরই ভবন। এটা নাম আব্বা দিয়েছেন গণভবন। কারণ এটা জনগণেরই ভবন।’

গণভবনে টানা দশমবারের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

দলের সভাপতিকে শুভেচ্ছা জানাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতারাও গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।

গণভবনে শুভেচ্ছাবিনিময়ের আগে সকাল ১০টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দলের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হয়।

নতুন এই কার্যনির্বাহী সংসদে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অধিকাংশ সদস্যই পুনর্নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন:
সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান: প্রধানমন্ত্রী
সীমান্ত পিলার থেকে পাকিস্তান নাম উঠতে এত দেরি কেন: প্রধানমন্ত্রী
দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
দেশ লজ্জায় পড়বে, এমন কিছু করিনি, করব না: শেখ হাসিনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
883 bends of highways across the country are death traps

সারা দেশে মহাসড়কের ৮৮৩ বাঁকে মরণফাঁদ

সারা দেশে মহাসড়কের ৮৮৩ বাঁকে মরণফাঁদ হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিওনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিপজ্জনক এক বাঁক। ফাইল ছবি
হাইওয়ে পুলিশের ৫টি রিজিওনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৪টি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে দক্ষিণ বিভাগের মাদারীপুর রিজিওনে। এছাড়া বগুড়ায় ২৪৮, কুমিল্লায় ১৮১, সিলেটে ১২৬ ও গাজীপুর রিজিওনে ৬৪টি বাঁক মরণফাঁদ হয়ে আছে।

সারা দেশের মহাসড়কে রয়েছে ৮৮৩টি বিপজ্জনক বাঁক। তাতে এসব পয়েন্টে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। এসব বাঁকে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী ও পথচারী।

মহাসড়কে বিগত ১০ বছরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এসব বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে মহাসড়কের ওই অংশ সোজা করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে।

তথ্যমতে, ৮৮৩টি বাঁকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৪টি বাঁক রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের মাদারীপুর রিজিওনে। এই রিজিওনের আওতায় রয়েছে মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, বরিশাল, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরা, যশোর ও নড়াইল।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে বগুড়া রিজিওনে। এই রিজিওনের আওতাধীন বগুড়া, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধার মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে ২৪৮টি।

এর বাইরে কুমিল্লা রিজিওনে ১৮১টি ও সিলেট রিজিওনে ১২৬টি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। এই মরণফাঁদ সবচেয়ে কম রয়েছে গাজীপুর রিজিওনে। এখানকার মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকের সংখ্যা ৬৪টি।

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দীন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় মহাসড়কের বাঁকগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। সে অনুযায়ী কাজও হচ্ছে। এসব বাঁকে যে রেগুলার দুর্ঘটনা ঘটছে এমনটা নয়। তবে এই স্পটগুলোতে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কোনোটাতে কম ঝুঁকি, কোনোটাতে বেশি।

তিনি জানান, দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কিছু সড়কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ হয়েছে। আরিচা মহাসড়কে কাজ হয়েছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রোড প্রশস্ত করা এবং সার্ভিস লেন করার মাধ্যমে কাজ হয়েছে। এভাবে ঝুঁকি কমানোর কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সচেতনতার পাশাপাশি মহাসড়ককে বাঁকমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে অভিমত গবেষকদের। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘মহাসড়কের এসব বাঁক বছরের পর বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাঁক সোজা করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বাঁকই আগের মতোই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়ে গেছে। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনার হার বাড়ছে।

‘পাশাপাশি অনেক যানবাহনের ফিটনেস না থাকার পরও তারা মহাসড়কে বেপরোয়া। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই তদন্তে ফিটনেস ফেইলের তথ্য বেরিয়ে আসে।’

হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, বরিশাল থেকে মহাসড়ক ধরে গৌরনদী পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে একজন চালককে অতিক্রম করতে হয় চারটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এসব বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের অবস্থান চিহ্নিত করা যায় না। চালক যখন বুঝতে পারেন ততক্ষণে ঘটে যায় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। সারাদেশে এ ধরনের ৮৮৩টি বাঁক রয়েছে।

মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে নানামুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুর্ঘটনাপ্রবণ বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করার কাজটিও করে থাকে হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, বরিশাল থেকে ভুরঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে অন্তত দুই ডজন। এর মধ্যে কাশিপুরের বন বিভাগ ও সমবায় ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তা, গড়িয়ারপাড়ের জননী পেট্রোল পাম্প ও কলাডেমা, ক্যাডেট কলেজ, রহমতপুর সেতুর ঢাল, বিমানবন্দর মোড়, দোয়ারিকা ব্রিজের ঢাল, জয়শ্রী, গৌরনদীর প্রবেশপথ, বামরাইল স্কুল সংলগ্ন, বাটাজোড়, আশুকাঠি, টরকি বাজার, কটকস্থল, বার্থি ও ভুরঘাটা সেতুর আগে বিপজ্জনক এসব বাঁক রয়েছে।

বিপজ্জনক বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলেও মনে করে হাইওয়ে পুলিশ। গত এক বছরে সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সবচেয়ে বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে মাদারীপুর রিজিওনে। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে কুমিল্লা, গাজীপুর, সিলেট ও বগুড়া রিজিওন।

মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (এইচ আর অ্যান্ড মিডিয়া) মো. শামসুল আলম।

তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। বাঁকগুলো সম্পর্কে আশপাশ এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহনের চালকদের নিয়েও সভা করা হয়েছে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি এখনও পালন করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
বৃষ্টিতে বেহাল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক
কুমিল্লার ৯৬ কিলোমিটারে স্বস্তি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In case of irregularities the EC will cancel the vote of the Parliament like Gaibandha

অনিয়ম হলে গাইবান্ধার মতো সংসদের ভোট বাতিল করবে ইসি

অনিয়ম হলে গাইবান্ধার মতো সংসদের ভোট বাতিল করবে ইসি নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আর অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করার হুশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এ প্রসঙ্গে তিনি অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

‘ভোটাররা কোনো ধরনের বাধা ছাড়া পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা বর্তমান কমিশন দিচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অনিয়মের কারণে গত বছরের ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বন্ধ করে দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় কেন্দ্রের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে এ সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কমিশন। পাশাপাশি ভোটে দায়িত্বরত ১৩৩ জনকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।’

চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে এই কমিশনার বলেন, ‘ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও রয়েছে। সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারব না। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা কমিশন নেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কিভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।’

সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কী পদক্ষেপ রয়েছে কমিশনের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা বলেন, ‘আস্থার বিষয়টি তো মানসিক। কে কিভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ কমিশনকে আস্থায় নেবে না। গাইবান্ধার উপনির্বাচনে আমরা সে প্রমাণ দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
ইভিএম মেরামত: ১২৬০ কোটি টাকা চেয়ে ইসির চিঠি
ইভিএম মেরামত: অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাল চিঠি দিতে পারে ইসি
ইসলামি মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
ইসিকে ‘কেউ চাপ দেয়নি’
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম: অর্থছাড়ের অপেক্ষায় ইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Roadmap is essential to make Bangladesh an aviation hub Prime Minister

বাংলাদেশকে বিমান চলাচল কেন্দ্র করতে রোডম্যাপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশকে বিমান চলাচল কেন্দ্র করতে রোডম্যাপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভিডিও ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’

বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম এভিয়েশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বুধবার এক ভিডিও ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩’ এর আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী এই শীর্ষ সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। কারণ, এটি এই অঞ্চলে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার আকাঙক্ষা রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইসিএও-এর সদস্যপদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’- এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তাবায়ন করেছি।’

আরও পড়ুন:
আরও ৭ জেলা ১৫৯ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
জমি অনাবাদি না রাখতে ফের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
US Human Rights Report Based on Biased Sources Information Minister

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অফ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদন একপেশে। পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না। কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও আছে। তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যেসব বিষয় ওই প্রতিবেদনে আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।’

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনকে একপেশে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অফ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘একটি সূত্র থেকে নয়, সরকারবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদন একপেশে। পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না। কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে। তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যেসব বিষয় ওই প্রতিবেদনে আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনও নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা তো আমাদের দেশে কখনও ঘটেনি।

‘সুতরাং নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে যে হামলা হয়েছে, সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন।’

ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না, সেটিও দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র মাঝে-মধ্যেই বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে সেখানে নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন। এছাড়া ২০২০ সালে ৯৯৬ জন এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে গড়ে প্রায় এক হাজার জন।

‘যে দেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, তাদের অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। আমাদের দেশে যে কখনও এমন হয় না সেটি বলছি না। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয় এবং তদন্তসাপেক্ষে শাস্তির বিধান করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The price of Hajj package has reduced by about 12000

হজ প্যাকেজের ব্যয় কমল প্রায় ১২ হাজার, বাড়ল নিবন্ধনের সময়

হজ প্যাকেজের ব্যয় কমল প্রায় ১২ হাজার, বাড়ল নিবন্ধনের সময় পবিত্র কাবায় হজযাত্রীরা। ফাইল ছবি
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য প্রায় ১২ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে হজ প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা।

হজ প্যাকেজের ব্যয় নিয়ে অসন্তোষের মধ্যে বুধবার তা কমানোর কথা জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য প্রায় ১২ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে হজ প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি সরকার সৌদি পর্বের মিনার ক্যাটাগরিভিত্তিক সেবা মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য কমিয়েছে। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ সংশোধন করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেহেতু মিনার তাঁবু ‘সি’ ক্যাটাগরি ধরে প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, সেহেতু সরকারি প্যাকেজ মূল্য ৪১৩ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ ৪১৩*২৮.৩৯= ১১,৭২৫ টাকা (এক রিয়াল সমান ২৮.৩৯ টাকা) কমানো হলো। সে ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তথা হাবও যেহেতু মিনার তাঁবু ‘সি’ ক্যাটাগরি ধরে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে, সেহেতু বেসরকারি এজেন্সির ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থ কমানোর জন্য হাবকে অনুরোধ করা হলো। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজের নতুন দাম হবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা, যা আগে ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে হজ প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানিয়ে বলা হয়, ‘প্যাকেজ মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এবং সম্মানিত হজযাত্রীদের বয়সসীমা না থাকায় অনেক হজযাত্রী নতুন করে হজে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করায় পরিবর্তিত প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২৭ মার্চ, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।’

আরও পড়ুন:
পৌনে ৭ লাখ টাকার হজ প্যাকেজ অমানবিক: হাইকোর্ট
কীভাবে কোমরে ব্যথা পেলেন, জানালেন মেহজাবীন
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও ৯ দিন বৃদ্ধি
হজের খরচ ৪ লাখে আনতে আইনি নোটিশ
ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Agreement signed with Bhutan on transit facility

ট্রানজিট সুবিধায় যান চলাচলে ভুটানের সঙ্গে চুক্তি সই

ট্রানজিট সুবিধায় যান চলাচলে ভুটানের সঙ্গে চুক্তি সই বাংলাদেশ ও ভুটানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী। ছবি: টুইটার
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ চুক্তিকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচল নিয়ে ভুটানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ।

ভুটানের রাজধানীতে থিম্পুতে বুধবার এ চুক্তি সই হয়।

দুই দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভুটানের বাণিজ্যমন্ত্রী কর্মা দরজি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ চুক্তিকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
রপ্তানি আয় সময়মতো আনতে কঠোর নির্দেশনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eid Yatra Advance train tickets will be available online only

ঈদযাত্রা: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট মিলবে শুধু অনলাইনে

ঈদযাত্রা: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট মিলবে শুধু অনলাইনে ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ফাইল ছবি
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এর আগে ৫ দিন আগের অগ্রিম টিকিট দেয়া হতো।

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৭ এপ্রিল থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে।

এ বছর ঈদযাত্রার ৫ দিনের অগ্রিম টিকিটের শতভাগ বিক্রি হবে অনলাইনে। এ যাত্রার কোনো টিকিট মিলবে না রেলওয়ে স্টেশনগুলোর কাউন্টারে।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এর আগে ৫ দিন আগের অগ্রিম টিকিট দেয়া হতো।

রেল ভবনে বুধবার দুপুরে ঈদুল ফিতরের টিকিট ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি জানান, এবারের ঈদে বিভিন্ন রুটে ৯ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালানো হবে। পরবর্তী সময়ে আরও একটি ট্রেন বাড়ানো হতে পারে। এবার যাতে কালোবাজারি না হয়, সে জন্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো টিকিট দেয়া হচ্ছে না। ঈদযাত্রায় যাতে রেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্য এবার ঈদুল ফিতরের সব অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

কোন দিন কত তারিখের টিকিট

মন্ত্রী জানান, আগামী ৭ এপ্রিল দেয়া হবে ১৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ৮ এপ্রিল দেয়া হবে ১৮ এপ্রিলের টিকিট। ৯ এপ্রিল দেয়া হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট। ১০ এপ্রিল দেয়া হবে ২০ এপ্রিলের টিকিট। ১১ এপ্রিল দেয়া হবে ২১ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট।

এদিকে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি টিকিট দেয়া শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। সেই হিসাবে আগামী ১৫ এপ্রিল দেয়া হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ১৬ এপ্রিল ২৬ এপ্রিলের টিকিট, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের এবং ১৯ এপ্রিল দেয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আন্তদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আন্তদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।

এদিকে ঈদুল ফিতরের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কিছু মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে, তবে কোনো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

২০ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধে ব্যবস্থা

বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও সব গন্তব্য স্টেশনসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র‍্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশের প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

চলন্ত ট্রেন, স্টেশন বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এ ছাড়া র‍্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

ঈদযাত্রার শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেসের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে ইঞ্জিন বিকলের আধা ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল
ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
চট্টগ্রামে লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেন উদ্ধার, তদন্ত কমিটি
লালপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ট্রেন লাইনচ্যুত, ৫০ হাজার লিটার তেল খালে

মন্তব্য

p
উপরে