১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি হাঁকডাক দিলেও তাদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওই কর্মসূচিকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘অশ্বডিম্ব’ নামে। ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচিও ব্যর্থ হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘৩০ তারিখেও যদি পাড়ে ঘোড়ায় ডিম পাড়বে।’
দুর্নীতি, লুটপাট, ভোট চুরির বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। বলেছেন, দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকালে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা কিছুটা বিপদে। এই পরিস্থিতিতেও তিনি রাত জেগে সারা দিন কাজ করে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ট্রাবলশ্যুটার। নাম কী? শেখ হাসিনা। তিনি আছেন বলেই পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে। সারা দুনিয়ার কাছে আমাদের সামর্থ্য, সক্ষমতা তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। সারা বিশ্ব অবাক। কী করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘আর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষরা, আমি শত্রুরা বলছি না। প্রতিপক্ষরা তারা হিংসায় জ্বলে। মনে বড় জ্বালা। বড়ই অন্তর জ্বালা। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেই ফেললেন। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। ১০০ সেতু উদ্বোধন করলেন। ১০০ সড়ক উদ্বোধন করলেন। এই জ্বালা আর সইতে পারে না। এই জন্য জানে যে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। সে জন্য সরকার হটাবে, ২০ বার অ্যাটেম্পট নিয়েছে শেখ হাসিনার জীবনের ওপর। তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারলে, তারা মনে করে তারা সব হারানোর ময়ূর সিংহাসন খুঁজে পাবে না। পাবে না। ১০ তারিখে পারেনি। অশ্বডিম্ব। ৩০ তারিখেও যদি পাড়ে ঘোড়ায় ডিম পাড়বে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। মোকাবিলা হবে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। মোকাবিলা হবে, খেলা হবে। হবে খেলা ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটারের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আবারও হবে। নির্বাচনে হবে, আন্দোলনে হবে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি জানতে চান, সবাই প্রস্তুত কি না। এ সময় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর, ডেলিগেটরা হাত তুলে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানান।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে, তার কোনো বিকল্প নেই।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা এবং ৩ নভেম্বর নিরাপদ হেফাজত কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে দায়ী করেন ওবায়দুল কাদের। তাকে এসবের জন্য ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানের সন্তান তারেক রহমান। তারেক রহমান হাওয়া ভবনের সেই যুবরাজ। মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে, আর রাজনীতি করব না। এফবিআই এখানে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে, সাত বছরের দণ্ড হয়েছে। সেই তারেক রহমান ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। এসব ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।’
এর আগে আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনে ২২তম সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টায় পায়রা উড়িয়ে দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম দলটির সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ১০টা ২৮ মিনিটের সময় সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন দলের সভাপতিকে।
এ সময় জাতীয় সংগীতের মূর্ছনায় দেশের পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানেই দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের পর কাউন্সিলরদের মতামতের আলোকে হবে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি।
এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলন ঘিরে প্রায় এক লাখ নেতা-কর্মী সম্মেলনস্থল ও আশপাশে সমবেত হবে বলে আশাবাদী ক্ষমতাসীন দলটি।
আরও পড়ুন:বিদ্যমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রোববার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারপ্রধান, যাতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে খাদ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তাকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, এ দেশের মাটি এতটা উর্বর যে, বীজ ফেললেই ফসল হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বক্তব্যে সরকারপ্রধান দেশের শিল্পকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, কারখানাগুলো পরিদর্শনে ৫ হাজার পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। আগামীতে আরও ১০ হাজার পরিদর্শক পরিদর্শনকাজ শুরু করবেন।
দেশের যুবসমাজকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে কারিগরি স্কুল, ট্রেনিং সেন্টার করার পাশাপাশি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে কারণে সবাই শান্তিতে ব্যবসা করতে পারছে।
আরও পড়ুন:বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের যাত্রী ভাই ও বোন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় বোনের স্বামী হুমায়ূন আহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা চকপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিয়াম ও তার বোন কুহেলী আক্তার। তারা লালমনিরহাটের বাসিন্দা। আর হুমায়ূন বরিশালের হিজলা উপজেলার হোসেন আহম্মেদের ছেলে।
ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রাসেল আহম্মেদ জানান, প্রাইভেট কারে তিনজন ছিলেন। তারা রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের চকপাড়া এলাকায় আসার পর প্রাইভেট কারের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারালে বিপরীত দিক থেকে আসা বগুড়াগামী এক ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷
দুর্ঘটনার পর তিনজনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক ভাই ও বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বোনের স্বামী হুমায়ূনের চিকিৎসা চলছে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দুর্ঘটনাকবলিত কার ও ট্রাক পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট আগামী সপ্তাহে পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা ।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিদর্শনে এসে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি এমনটি জানান।
প্রনয় ভার্মা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সব ধরনের পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা করে প্লান্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে সুন্দরবনের কেন ক্ষতি হবে না।
বাংলাদেশে-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রামপাল কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলার রিলিজ করতে কিছুটা সময় লাগার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে সমস্যা সমাধান হওয়ায় নতুন করে কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ সেখান থেকে রওনা দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে। ফলে জুন মাস থেকে আবারও কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জোরেশোরে কাজ চলছে। সবমিলিয়ে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কোনও সমস্যা হবে না।
গত ১৪ জানুয়ারি ডলার সংকটের জেরে কয়লা আমদানি না হওয়ায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় কয়লার আমদানি বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদী থেকে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৫৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। পরে স্থানীয় বাজারে মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বাবলু হালদার।
শনিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে বাগাড় মাছটি বিক্রির জন্য আনেন বাবলু হালদার। এদিন সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি এলাকায় যমুনা নদী থেকে এক জেলের কাছ থেকে মাছটি কেনেন তিনি।
গোবিন্দাসী মাছ বাজার সমিতির সভাপতি বাবলু হালদার পরে গোবিন্দাসী বাজারে বাগাড় মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি কিনে নেন মধুপুর উপজেলার গারোবাজারের সুজন নামে এক ব্যক্তি।
ক্রেতা সুজন জানান, বিশাল আকৃতির বাগাড় মাছটি কিনে তারা কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিয়েছেন।
বাবলু হালদার বলেন, ‘বেলকুচির যমুনা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি। বিক্রির উদ্দেশ্যেই সেখান থেকে মাছটি কিনে আনি আমি। পরে মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন প্রাণ হারিয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, বিগত মাসে যাত্রাপথে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল বা বাইক আরোহীরা।
সংবাদমাধ্যমে শনিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাটি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ প্রাণহানি ও ৭৮ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নৌপথে ১৩ দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু, একজন আহত ও ছয়জন নিখোঁজ হয়।
সংস্থাটির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২০৫ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত জন ১১৪ বাইক আরোহী।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক সংবাদপত্র ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারির চেয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সড়কে দুর্ঘটনা ৫.৩ শতাংশ এবং আহত ১০.০৪ শতাংশ বেড়েছে, তবে প্রাণহানি ৪.৬ শতাংশ কমেছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জানুয়ারিতে সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯.৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২৪.৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে।
সারা দেশে মোট দুর্ঘটনার ৫.২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবং ১.০১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয় ১৭ জানুয়ারি। ওই দিনে ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়।
সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২ জানুয়ারি, যেদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধ চলাচল, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে শুক্রবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও শনিবার কোথাও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসেও শৈত্যপ্রবাহের কোনো বার্তা দেয়া হয়নি।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস দিয়েছে, যার অর্থ হলো দেশজুড়ে কমতে পারে শীতের অনুভূতি।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চতাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
কুয়াশা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য