× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Landlord Mustafas rent jump vote on next Rs
google_news print-icon

বাড়িওয়ালা মোস্তফার ভাড়ায় লাফ, পরের টাকায় ভোট

বাড়িওয়ালা-মোস্তফার-ভাড়ায়-লাফ-পরের-টাকায়-ভোট
রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটের প্রচারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সম্পদে খুব একটা হেরফের হয়নি। তবে আগেরবার তিনি বছরে বাড়িভাড়া দেখিয়েছেন ৭১ হাজার টাকা। সেটি বেড়ে এবার হয়েছে সাড়ে ২০ লাখ টাকা। ভোটের আগে এবার তিনি অনুদান পেয়েছেন সাড়ে ১০ লাখ টাকা।

পাঁচ বছর রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকার পর নতুন করে ভোটের লড়াইয়ে নামার আগে নির্বাচন কমিশনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা তার সম্পদের যে হিসাব দেখিয়েছেন, তাতে তার নগদ টাকার হেরফের না হলেও বেড়েছে স্থাবর সম্পত্তি। পরিশোধ হয়েছে ১৫ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণও।

তবে ভোটের আগে স্বজন ও পরিচিতদের কাছ থেকে আবার অনুদান নিয়েছেন তিনি। অন্য মানুষ কেন তাকে টাকা দেবে, এই প্রশ্নে বলেছেন, এটা কোনো অপরাধ নয়।

আগামী ২৭ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে টানা দ্বিতীয় জয়ের আশায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা এখন প্রচারে। আর নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দেয়ার সময় আয়-ব্যয় ও সম্পদের হিসাবও দিয়েছেন। ২০১৭ এবং এবারের সম্পদের এই হিসাব তুলনা করে পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য।

বাড়িভাড়ায় বিপুল ব্যবধান
২০১৭ সালের নির্বাচনের আগে হলফনামায় মোস্তফার বার্ষিক আয় দেখানো হয় ৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৭২ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে দেখানো হয় ৭২ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে দেখানো হয় দুই লাখ ৯২ হাজার ২৭২ টাকা।

বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে আয়ে দিয়েছে লাফ। এবার হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বাড়িভাড়া ২৮ গুণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিভিএস সেন্টার এবং ব্যাংক ভবন ভাড়ার অ্যাডভান্স হিসেবে ৩০ লাখ টাকা পেয়েছি। সেখান থেকে প্রতি মাসে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাড়া পাই। তা ছাড়া ছাত্রাবাস থেকেও ভাড়া পাই। সেই টাকা এসব। অন্য কোনো টাকা নেই।

শহরের শাপলা ও মডার্ন মোড় এলাকায় একতলা দুটি ছোট আকারের ভবন আছেন মোস্তফার। ২০১৮ সালে সংস্কার করে একটি মোটরসাইকেল কোম্পানি টিভিএসের শোরুম হিসেবে এবং একটি ব্যাংককে ভাড়া দেয়া হয়েছে।’

হাতে নগদ একই, বেড়েছে ব্যাংকে জমা
মোস্তফার গত পাঁচ বছরে নগদ টাকার পরিমাণ বাড়েনি এক টাকাও। গতবারের মতোই এবারও হাত নগদ দেখিয়েছেন সাড়ে সাত লাখ টাকা।

তবে ব্যাংকে জমা বেড়েছে। ২০১৭ সালে ব্যাংকে জমা দেখানো হয় ১ লাখ ৫০ হাজার, স্ত্রীর নামে ছিল আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবার ব্যাংক জমা বেড়ে হয়েছে ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ২৯৪ টাকা, স্ত্রীর নামে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা।

স্ত্রীর হাতে নগদ ২০১৭ সালে ছিল ২০ হাজার টাকা, এবার দেখানো হয় ৯০ হাজার।

পাঁচ বছরে স্ত্রীর স্বর্ণ ১০ ভরি থেকে বেড়ে এবার হয়েছে ১৫ ভরি।

২০১৭ সালে নিজ নামে ১৬ শতক ও স্ত্রীর নামে ৬ শতক জমি দেখানো হয়। জনতা ব্যাংকে ঋণ দেখানো হয় ১৫ লাখ টাকা।

এবার স্ত্রীর নামে ৪ শতক জমি ও একটি বাড়ি দেখিয়েছেন মোস্তফা। পাশাপাশি পরিশোধ করেছেন ১৫ লাখ টাকার ব্যাংকঋণ।

এবার বন্ডে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ, এ ছাড়া দুই লাখ টাকার ইলেকট্রনিক পণ্য, তিন লাখ ২০ হাজার টাকার আববাবপত্র, আগেরবারের মতোই নিজের নামে মোটরসাইকেল দেখিয়েছেন মোস্তফা।

ভোটের আগে বড় অঙ্কের অনুদান
মোস্তফার হলফনামায় ভাই আতাউর রহমানের কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ, খামারপাড়া নিবাসী সাদেকুর রহমান লিদুর কাছ থেকে পৌনে চার লাখ টাকা এবং আওলাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আরও ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দান হিসেবে গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে ভোটের প্রচারে সব মিলিয়ে সাড়ে ১০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

অন্যের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে জাপা প্রার্থী বলেন, ‘ভোটের সময় টাকা লাগে। আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা নিতে হয়। খরচ বাবদ আমার স্বজনরা টাকা ধার দিয়েছে, কেউ এককালীন দিয়েছে। এটা তো অপরাধ না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ওয়ার্কে বের হলে মানুষ খাওয়ায়, টাকাও দেয়। সেদিন এক ওয়ার্কে একজন পাঁচশত টাকা দিয়েছে, এটা ভালোবাসা। মানুষ ভালো বাসে তাই কাজও করে।’

অন্য প্রার্থীদের হলফনামা
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া হলফনামায় জানিয়েছেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (এলএলবি)। পেশায় আইনজীবী।

নিজ নামে নগদই আছে ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৪ টাকা।
২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের খাট, আলমারি রয়েছে।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩০ শতক কৃষিজমি, ৩ শতক এবং ৩ কাঠা অকৃষি জমি, ৩ শতক জমিসহ ৪ তলা আবাসিক বাড়ি রয়েছে।
কৃষি খাত থেকে বছরে ৪২ হাজার টাকা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইন পেশা থেকে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ৯৫ হাজার ৪০ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা আয় রয়েছে তার।

জাসদ নেতা শফিয়ার রহমান পেশায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি এম কম পাস। অতীত ও বর্তমানে তার নামে মামলা নেই, ছিল না।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নগদ ৩৬ লাখ ২০ হাজার ৪৮২ টাকা, ব্যাংকে ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।

শেয়ার আছে ৭১ লাখ ১১ হাজার ১৭১ টাকার, বিনিয়োগ আছে আরও ৩৫ লাখ টাকা।

তার স্বর্ণালংকার ১০ তোলা, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী আছে ৬০ হাজার আর আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকার।

স্ত্রীর নামে শেয়ারে বিনিয়োগ ছার লাখ ১৫ হাজার ৮৪৬ টাকার, সঞ্চয়পত্র বাবদ ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ২৬ তোলা।

ইলেকট্রনিকস সামগ্রী আছেদ দেড় লাখ ও আসবাবপত্র এক লাখ টাকার।
অন্যান্য আছে ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ১২২ টাকা।

নিজ নামে কৃষিজমি আছে ২৭.৩ বিঘা, অকৃষি জমি আছে ০.৬৭৫ একর, বাড়ি দুটি।

স্ত্রীর নামে জমি আছে ১.১১ একর, অকৃষি জমি আছে ০.০৩ একর।

তার আয়ের উৎস কৃষিতে ২ লাখ ২৫ হাজার, ব্যবসায় ৪ লাখ ৩০ হাজার, শেয়ার থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৮ টাকা, পেশা থেকে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯২ টাকা, অন্যান্য ৫২ লাখ ২২ হাজার এক টাকা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান মিলনের নগদ আছে ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকা, ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৯০৬ টাক।

ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র আছে ২ লাখ টাকার।

স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বাবদ আছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

কৃষি থেকে বছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার, ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার, মূলধনী লাভ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে কম নগদ টাকা জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলমের। তিনি দেখিয়েছেন নগদ ১ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন:
জাপায় নির্ভার মোস্তফা, মুকুট চায় আওয়ামী লীগ
নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসুন, রংপুরে সিইসি
আপিলে মনোনয়ন ফিরে পেলেন ২২ কাউন্সিলর প্রার্থী
রংপুর সিটিতে সুন্দর ভোট আয়োজনে কোনো ছাড় দেবে না ইসি
রংপুর সিটিতে ভোট ২৭ ডিসেম্বর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Rina won the seat of Rumin unopposed

রুমিনের আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী রিনা

রুমিনের আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী রিনা আফরোজা হক রিনা
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের প্যাডে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আফরোজা হক রিনা। ২ মার্চ বাছাইয়ে মনোনয়নপত্রটি বৈধ হয়। ২০ মার্চ এই আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার ছেড়ে যাওয়া সংরক্ষিত নারী সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সহ-সভাপতি আফরোজা হক রিনা।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফজরোজা হক রিনা বর্তমানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নারী জোটের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে না নেয়ায় এবং আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আফরোজা হক রিনাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে আসনটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পেলেও তা ১৪ দলের জোটের শরিককে দেয়া হল। একাদশ সংসদে জাসদের তিনজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এখন সংরক্ষিত একটি আসনও তাদের দখলে।

গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে দলটির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া ছয় আসনে উপ-নির্বাচন হয় ১ ফেব্রুয়ারি ।

২৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের প্যাডে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আফরোজা হক রিনা। ২ মার্চ বাছাইয়ে মনোনয়নপত্রটি বৈধ হয়। ২০ মার্চ এই আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

আরও পড়ুন:
রুমিন ফারহানার আসনে ইনুর স্ত্রী রীনার মনোনয়নপত্র জমা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inus wife Reenas nomination papers have been submitted for Rumin Farhanas seat

রুমিন ফারহানার আসনে ইনুর স্ত্রী রীনার মনোনয়নপত্র জমা

রুমিন ফারহানার আসনে ইনুর স্ত্রী রীনার মনোনয়নপত্র জমা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আফরোজা হক রীনা। ছবি: নিউজবাংলা
একক প্রার্থী হলে রীনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। একাদশ সংসদে জাসদের তিনজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এখন সংরক্ষিত একটি আসনও তাদের হতে যাচ্ছে।

বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার ছেড়ে যাওয়া সংরক্ষিত নারী সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়পত্র জমা দিযেছেন জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হক রীনা।

এই নির্বাচনে জাসদের সহসভাপতি ও ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী রীনাকে সমর্থন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা যুগ্মসচিব মো. আব্দুল বাতেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। তার সঙ্গে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ছিলেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংরক্ষিত আসনের এ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ মার্চ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ মার্চ। এরপর ২০ মার্চ ভোট হবে।

একক প্রার্থী হলে রীনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। একাদশ সংসদে জাসদের তিনজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এখন সংরক্ষিত একটি আসনও তাদের হতে যাচ্ছে।

আফরোজা ১৯৫১ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন ইডেন কলেজে পড়ার সময়ে। ১৯৬৯ সালে ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে সহযোদ্ধা ইনুকে বিয়ে করেন রীনা। ১৯৯৮ সালে জাসদের কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসেন তিনি।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোট কম বিএনপির কারণে: ইসি
নৌকার জয় ৩ আসনে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেই সাত্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Parliamentary Constituency Boundary Final Objection Period 20 days

সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত, দাবি-আপত্তির সময় ২০ দিন

সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত, দাবি-আপত্তির সময় ২০ দিন নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
মো. আলমগীর বলেন, ‘কালকের মধ্যে গেজেট হয়ে যাবে। এখানে নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ্ন রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের চূড়ান্ত করে যাওয়া সীমানাই সেখানে অক্ষুণ্ন রয়েছে। সেই খসড়া সীমানার ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার যেকোনো ব্যক্তি দাবি-আপত্তি জানানোর সময় পাবেন ২০ দিন।

রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রোববার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘কালকের মধ্যে গেজেট হয়ে যাবে। এখানে নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ্ন রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে। কোনো পরিবর্তন নেই। সম্ভবত পাঁচ-ছয়টা এ ধরনের হতে পারে। কমিশন অনুমোদন করেছে। এখন সচিব এটি গেজেট করবেন।’

পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে বলে জানান এই কমিশনার। তিনি বলেন,‘ কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তাই আমরা অপেক্ষা তো করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে সেটা আমলে নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং ভৌগলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’

খসড়া সীমানার প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, ‘এটা প্রকাশ করার পর যদি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সমস্যা মনে করেন, ২০ দিন সময় দেব, তারা আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি আবেদনই আমরা শুনানি করবো। তাদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করেন এবং আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে তাদের বক্তব্য যৌক্তিক, তখন হয়তো আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এছাড়া কোনো পরিবর্তন হবে না।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘আগে একটা উপজেলা ছিল এখন দুইটা উপজেলা হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে আমরা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর কোনো পরিবর্তন আনিনি। কোনো রাজনীতিবিদ বা যে কেউ এই ক্ষেত্রে সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।’

দেশের যে জনসংখ্যা এতে প্রতি আসনে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ভোটার জানিয়ে তিনি বলেন,‘ জনসংখ্যার হিসেবে যদি আসনের সীমানা করি তাহলে দেখা যাবে যেকোনো কোনো জেলায় একটা আসন হবে। আবার কোনো কোনো জেলা থেকে আসন কেটে এনে অন্য জেলায় দিতে হবে। যেমন ঢাকায় যদি পাঁচ লাখ ৫০ হাজারের ভিত্তিতে দিই, তাহলে আরও ১০টা আসন বাড়াতে হবে। গাজীপুরে পাঁচটা, চট্টগ্রামে দুইটা, খুলনায় মনে হয় দুইটা বাড়াতে হয়, রাজশাহীতে বাড়াতে হয়। এভাবে যদি সব শহরে চলে আসে আসন, তাহলে অন্য জেলায় তো আসন হারাবে। একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে জনসংখ্যার আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য কাজ করবেন, কীভাবে করবেন। এজন্যই প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনেও তাই বলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
অবশেষে নিবন্ধন পেল হুদার তৃণমূল বিএনপি
দ্রুতই নিবন্ধন পাচ্ছে হুদার ‘তৃণমূল বিএনপি’
আরএফইডির নেতৃত্বে সাইদুর-হিমেল, প্রকাশনা সম্পাদক বাশার
মে মাসে সীমানা নির্ধারণ, জুনে নিবন্ধন পাবে নতুন দল
নিবন্ধন চেয়ে আবেদন: সঠিকভাবে ফরম পূরণেই ব্যর্থ সব দল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
It is not appropriate to expect a solution from the commission on political issues EC Ahsan

রাজনৈতিক বিষয়ে কমিশনের কাছে সমাধানের প্রত্যাশা সমীচীন নয়: ইসি আহসান

রাজনৈতিক বিষয়ে কমিশনের কাছে সমাধানের প্রত্যাশা সমীচীন নয়: ইসি আহসান নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। ফাইল ছবি
আহসান হাবিব বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠাভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে আমরা কর্মপরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করেছি, তা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।

যেসব বিষয় রাজনৈতিকভাবে সমাধানযোগ্য সেগুলোর সমাধান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রত্যাশা করাও সমীচীন নয় বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান। সাংবিধানিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব যতটুকু তার শতভাগ তারা পালন করবেন বলে জানান তিনি।

রোববার সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে ইসি আহসান হাবিব এসব কথা বলেন। এতে দায়িত্বের এক বছরে নিজেদের কাজের ফিরিস্তিও তুলে ধরা হয়।

আহসান হাবিব বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠাভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে আমরা কর্মপরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করেছি, তা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।

‘কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সমাধানযোগ্য কোনো বিষয় কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করাও সমীচীন নয়। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দায়িত্ব যতটুকু তার শতভাগ আমরা পালন করে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘কত সময় পার হলো, প্রথম বছর গেল কিংবা শেষ বছর এলো-এটি আমার কাছে মুখ্য নয়। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি; এটা করেই যাবো। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করবো।

‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যত নির্বাচন করেছি সবগুলোই আমরা সততার সাথে আন্তরিকভাবে করেছি এবং প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের কাজের মূল্যায়ন সময়ই বলবে।’

ইসি আহসান হাবিব বলেন, ‘আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, প্রতিটি নির্বাচন যেভাবে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করেছি; একইভাবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও করবো ইনশাল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও ইতোমধ্যে বলেছেন, দেশে-বিদেশে সবার কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

‘আমরা কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি নির্বাচন ব্যবস্থাপনায়; গাইবান্ধা উপনির্বাচন অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ভোটারদের আস্থা ফিরছে। সামনেও নির্বাচন রয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সুন্দর নির্বাচনের।’

বিএনপির ছেড়ে দেয়া ছয় আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়ায় ও উপনির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়েছে। এটা সব নির্বাচনের দৃষ্টান্ত নয়। প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের কঠোর মনোভাব, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি ছিল না, আগামীতেও থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি বরারবই বলেছি, দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আর প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়েছে। সব দলের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে, ভোটে অংশ নিন। কমিশনের একার পক্ষে সব সম্ভব হবে না; সবার সহযোগিতাও দরকার। আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি। উদ্দেশ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।'

ইসি আহসান হাবিব বলেন, ‘সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের কোনো সময় নষ্ট হয়নি; বরং জনসচেতনতা বেড়েছে। ইভিএমে সবগুলো নির্বাচন করেছি আমরা। সারা দেশেই ইভিএম নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ ও সচেতনা তৈরি করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও সবার প্রত্যাশা বিবেচনা করে

‘বড় পরিসরে ইভিএমে ভোট হচ্ছে না। তবে বিদ্যমান সচল ও কার্যক্ষম ইভিএম এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মনে করি। এমন পরিস্থিতিতে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং কমিশনকে সহায়তা করবে বলেই প্রত্যাশা আমাদের।'

তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুস্ঠু নির্বাচন গনতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য এবং ভোট সকল নাগরিকের অধিকার। বর্তমান কমিশন এ লক্ষ্যেই কাজ করছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে এই কর্তব্য পালনে সর্বদা সচেষ্ট।

‘দেশ ও জাতিকে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য কমিশন বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক আহ্বান জানিয়ে আসছে। কারণ কমিশন বিশ্বাস করে মূল ধারার রাজনৈতিক দল গুলির নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমই আসন্ন দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনকে অর্থবহভাবে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব। কমিশন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক আহ্বান জানাতে থাকবে।’

কাজ করলে কিছু না কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল বা আলোচনা বা সমালোচনা হতেই পারে জানিয়ে এই কমিশণার বলেন, ‘তবে যেসব বিতর্কের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। দু একটি ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এসবে ইসির কাজে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেননি।’

আরও পড়ুন:
পক্ষপাতহীন নির্বাচন চায় ইএমএফ
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দু’দলের অনড় অবস্থান বিপজ্জনক: সিইসি
চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
IMF wants impartial elections

পক্ষপাতহীন নির্বাচন চায় ইএমএফ

পক্ষপাতহীন নির্বাচন চায় ইএমএফ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইএমএফের প্রতিনিধি দল। ছবি: নিউজবাংলা
ইএমএফের সদস্য এবং নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালা নাথ খানাল সাংবাদিকদের বলেন, 'কীভাবে খুব পক্ষপাতহীন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা যায়, এই দিক থেকে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। আমরা এই বিষয়টিও আলোচনা করেছি যে, নির্বাচন খুব ব্যয় বহুল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। কীভাবে এটি কমানো যায়, আমরা তা নিয়ে আমাদের মতামত আদান প্রদান করেছি।'

বাংলাদেশ কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া পক্ষপাতহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ)। পাশাপাশি নির্বাচের ব্যয় কমানোর বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে সংস্থাটির প্রতিনিধিদল এসব কথা জানান।

ইএমএফের সদস্য এবং নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালা নাথ খানাল সাংবাদিকদের বলেন, 'কীভাবে খুব পক্ষপাতহীন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা যায়, এই দিক থেকে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। আমরা এই বিষয়টিও আলোচনা করেছি যে, নির্বাচন খুব ব্যয় বহুল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। কীভাবে এটি কমানো যায়, আমরা তা নিয়ে আমাদের মতামত আদান প্রদান করেছি।'

জার্মানভিত্তিক সংস্থা জিবিপি ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভলকার ইউ. ফ্রেডরিচ বলেন, 'আমরা সিইসির কাছ থেকে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে পরিকল্পনা শুনেছি। আমরা পারস্পারিক মতামত আদান-প্রদান করেছি। কোনোকিছুই পারফেক্ট নয়, এমনকি গণতন্ত্রও নয়।'

দেশের প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণের ওপর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রেডরিচ বলেন, এখানে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, কোনো একটি দলকে অংশগ্রহণ করতেই হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান এবং ইএমএফ সদস্য নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য তাজ মোহাম্মদ মিয়া, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের (ভারত) বিশেষ প্রতিনিধি মিসেস স্বপ্না, ইএমএফ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবেদ আলী, ডুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে ‘অবান্তর’ বিতর্ক চান না সিইসি
৬ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ১৫-২৫ শতাংশ: সিইসি
ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে মিডিয়া: সিইসি
‘সহিংসতা ছাড়া’ ভোটে অর্জন দেখছেন সিইসি
রংপুর সিটির ভোট হতে পারে রাত ৮টা পর্যন্ত: সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two party intransigence on election time government is dangerous CEC

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দু’দলের অনড় অবস্থান বিপজ্জনক: সিইসি

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দু’দলের অনড় অবস্থান বিপজ্জনক: সিইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,' আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সংবিধানে যেভাবে আছে আমাদের সেই অনুযায়ী চলতে হবে।'

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থান দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আগামী কয়েকমাসে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন,'আমরা আশাকরি আগামী কয়েকমাসের মধ্যে একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হবে। আসছে নির্বাচনে সব দলই অংশগ্রহণ করবে। আমাদের বিভিন্ন দল থেকে বলা হয়েছে যে, তারাও সমঝোতা হবে বলে বিশ্বাস করে। আমরাও আশাবাদী অবাধ নিরপেক্ষ উৎসবমুখর পরিবেশে ফলপ্রসূভাবে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে। '

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের অনড় অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন,' এটি দেশের জন্য খুব বিপজ্জনক। যদি নির্বাচনে এই অনড় অবস্থার কারণে কোনো বড় দল না আসে তাহলে মূল ফলাফলের ওপর একটা ঝুঁকি থাকবে। কোনো দল ফল মেনে না নিলে এটা নিয়ে অরাজকতা তৈরি হতে পারে। আমরা চাই না ওই ধরনের কোনো পরিস্থিতি। '

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,' আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সংবিধানে যেভাবে আছে আমাদের সেই অনুযায়ী চলতে হবে।'

ইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিইসি বলেন,'আসলে এটা ছিল অনেকটা অ্যাকাডেমিক আলোচনা। এখানে তারা আমাদের পরামর্শ দেন নাই। আমরাও পরামর্শ দিই নাই। আমরা গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচনে অর্থ ব্যয় গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। এই অর্থ ব্যয়টাকে যদি লিমিট করে আরও গণতান্ত্রিক করা যেত। যেটা খুব কঠিন।'

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান এবং ইএমএফ সদস্য নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য তাজ মোহাম্মদ মিয়া, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের (ভারত) বিশেষ প্রতিনিধি মিসেস স্বপ্না, ইএমএফ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবেদ আলী, ডুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
কৃষিজাত ও নিত্যপণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় আইসিএমএবি
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে ‘অবান্তর’ বিতর্ক চান না সিইসি
রাষ্ট্রপতি লাভজনক পদ নয়: ইসি
সংসদীয় সীমানা নিয়ে হুদার পথে আউয়াল কমিশন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 seats vacated by BNP will be voted late at night

বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬ আসনে ভোট আজ

বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬ আসনে ভোট আজ গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের একটি কেন্দ্র। ফাইল ছবি
নিজেদের প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করলেও এ ভোটে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। তবে জাতীয় নির্বাচনে ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ রয়েছে তাদের।

বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন আজ বুধবার। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একটানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

উপনির্বাচনের ছয়টি আসন হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।

নিজেদের প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করলেও এ ভোটে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তবে জাতীয় নির্বাচনে ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ রয়েছে তাদের।

প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া না গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এক প্রার্থী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মনে করছেন, নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আত্মগোপনে আছেন।

এ নিয়ে ইসি আনিছ সাংবাদিকদের বলেন, 'সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।'

ইতোমধ্যে এসব নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ওইসব এলাকায় ভোটের দিন ট্রাক, পিকআপ ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে ইসির অনুমতি নিয়ে যেকোনো যান চলাচল করতে পারবে।

নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ছয় আসনের ভোটে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সাত্তার-চমকের কী প্রভাব
ছয় আসনে ৫৩ মনোনয়নপত্র
জামানত হারালেন বিকল্পধারার প্রার্থীসহ ৩ জন
ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট বর্জনে গণসংযোগ করবে বিএনপি
দ্বিতীয় ভোটে গাইবান্ধায় রিপনের জয়

মন্তব্য

p
উপরে