ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান ও আব্দুল মঈন খান।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে আমন্ত্রণ জানায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদপ্তর সম্পাদক আবু সায়েমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
এ সময় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আমাদের সব নেতা কারাগারে। আমরা সম্মেলনে কীভাবে যাব।’
এর জবাবে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম বলেন, ‘এটা সরকারের ব্যাপার। আমরা দলের পক্ষ থেকে এসেছি, আমরা আশা করি, আপনাদের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যাবে।’
দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে বলে জানান প্রিন্স।
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণের সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুলসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার জোটসঙ্গী দলের প্রধানদের প্রতীকী ফাঁসি দেয়া হয়েছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী নেতা ওবায়দুল কাদের, জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে টিএসসির পায়রা চত্বরে সোমবার দুপুরে ‘ছাত্র-জনতার ফাঁসির মঞ্চ বানিয়ে করে এই প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ পরিষদের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করার আগে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেউ পা হারিয়েছেন, হাত হারিয়েছেন আর কেউ চোখ হারিয়েছেন। ভাই তার বোন হারিয়েছেন, পিতা তার সন্তান হারিয়েছেন, মা তার ছেলেকে হারিয়েছেন। তারা কেউ কি আর কখনও ফিরে আসবে? তাহলে আওয়ামী লীগ কোন যুক্তিতে ফিরে আসতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের যেসব নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
কাউন্সিলের ২০ মাস পর সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরিবর্তন আনা হয়েছে সভাপতি পদে।
সোমবার দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটিতে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ছিলেন। এছাড়া তিনি মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
২০২৩ সালের ১০ মার্চ কাউন্সিলরদের ভোটে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক পদে এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ সাফেক মাহবুব নির্বাচিত হন।
গত জুলাইয়ে নাসিম হোসাইনের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন আবার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা হলো।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ২০ জন। তারা হলেন- ডা. নামুল ইসলাম, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, জিয়াউল হক জিয়া, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পা, মাহবুব কাদির শাহি, আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহ্ আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান সাদিক, নিপার সুলতানা ডেইজী, ডা. আশরাফ আলী, মুরাদ মুমিন খোকন, আব্দুল হাকিম, আফজাল হোসেন, ব্যারিস্টার রিয়াসত আজিম আদনান, রহিম মল্লিক, মুফতি নেহাল, জাহাঙ্গীর আলম ও মোতাহির আলী মখন।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন- নজিবুর রহমান নজিব, মূর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়াত হোসেন লিটন, নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শুয়াইব আমন শোয়েব, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আহমদ মনজুরুল হাসান মঞ্জু, মতিউল বারী খোরশেদ, ফাতেমা আমান রোজী, নাদির খান ও আবুল কালাম।
সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন- জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, দেওয়ান জাকির, খসরুজ্জামান খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম আলী রাসু, রেজাউর রহমান রুজল, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন ও সফিক নুর।
এছাড়া অর্থ-সম্পাদক এনামুল কুদ্দুস, সহ-অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, সহ-প্রচার সম্পাদক আলী হায়দার মজনু, দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, সহ-মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মারুফ আহমদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এজাজ আহমদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান হিরু, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালিক সেকু, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ডা. এম এ হক বাবুল, সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ লোকমান, যুববিষয়ক সম্পাদক মির্জা সম্রাট, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক রুবেল বক্স।
স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আফছর খান, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ মাহমুদ, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ কবির আহমদ, সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ পাঠান, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুদিপ জ্যোতি এষ, সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম জুনাক, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুনিম, সহ-অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রানা, প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান আরাফাত জাকি, সহ-প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আহমদ খুশু, যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমদ মুরাদ, সহ-যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক কয়েছ আহমদ সাগর, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাহির, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক কামাল আহমদ, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্পাদক সবুর আহমদ, সহ-জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক তারেক আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তাজ উদ্দিন মাসুম, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন শামীম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রীনা আক্তার, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহানা ফারুক শিরিন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, সহ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ রাজন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমদ, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুনিম, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জমজম বাদশা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. লুৎফুর রহমান মোহন, সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলী আমজাদ, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাদী মাসুম, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন শামীম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, ক্ষুদ্র কুটি শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মিজান আহমদ, সহ-ক্ষুদ্র কুটি শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর রাসেল, শ্রমিকবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সহ-শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক খোকন ইসলাম, জুবেদ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজিব কুমার দে, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মুফতি রায়হান উদ্দিন, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আহমদ, পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক হাবিব আহমদ, সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল কামাল, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ লাকী, সহ-তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সালেহ আহমদ গেদা, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সায়েম, মৎস্যজীবিবিষয়ক সম্পাদক দুলাল আহমদ, সহমৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আহমদ, শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া খাতুন মনি, সহ-শিশু বিষয়ক সম্পাদক বিলকিস জাহান চৌধুরী, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক খায়েরুল ইসলাম খায়ের এবং সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
কমিটির সম্মানিত সদস্য হলেন- খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, ডা. এনামুল হক চৌধুরী, মিফতাহ্ সিদ্দিকী, আব্দুর রাজ্জাক, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ূম জালালী পংঙ্কী, বদরুজ্জামান সেলিম, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, হুমায়ূন কবির শাহিন, বদরুদ্দোজা বদর ও মোকবুল হোসেন।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন- লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মুহিবুর রহমান, লল্লিক আহমদ চৌধুরী, মো. জমির উদ্দিন, বজলুর রহমান ফয়েজ, আলী আকবর ফকির, ওলিউর রহমান ডেনি, মন্তাজ মিয়া, সেলিম আহমদ শেলু, রানা মিয়া, আমিনুল ইসলাম আমিন, সিরাজ খান, আলী আহমদ, রাজন মিয়া, পিয়ার উদ্দিন পিয়ার, আসমা আলম, ফখর উদ্দিন আহমদ (পংকি), মোহাম্মদ মকসুদ, সুহেল আহমদ, চান মিয়া বাচ্চু, শাহজাহান আহমদ, রাসেল আহমদ খান, মিনারা বেগম, সালেক আহমদ, মঈন খান, সাইফুল ইসলাম, নুরুল হক রাজু, মতিউর রহমান শিমুল, ইফতেখার আহমদ পাবেল, ফরহাদ আহমদ, আব্দুল মুমিন, আব্দুল মুমিন মামুন, জাহেদ আহমদ, আকবর হোসেন কায়ছার, শহিদুর রহমান সানি, শফিকুর রহমান সুমন, রিয়াজ আহমদ সুমন, মো. হারুনুর রশিদ, নুরুল ইসলাম লিমন, জাকারিয়া খান, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন পারভেজ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন এক হাজার ৬৬টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর বিএনপির সাবেক (কাউন্সিলের আগের) আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব (বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) মিফতাহ সিদ্দিকী পান ৭৬৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী এক হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফরহাদ চৌধুরী শামীম পান ৭৭২ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রদল নেতা সৈয়দ সাফেক মাহবুব ৬৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম নাচন পান ৬২৩ ভোট।
আরও পড়ুন:দেশের ১০ জেলা ও মহানগরে পূর্ণাঙ্গ এবং আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এসব কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি এবং শেরপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর
বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মহানগর উত্তরে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আমিনুল হককে আহ্বায়ক ও মোস্তফা জামানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান সেতু, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি ও আব্দুর রাজ্জাক।
চট্টগ্রাম মহানগর
চট্টগ্রাম মহানগরে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে এরশাদ উল্লাহকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে নাজিমুর রহমানকে। যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, আব্দুস সাত্তার ও সৈয়দ আজম উদ্দিন।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠার মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে তা চূড়ান্তভাবে জনগণই নির্ধারণ করবে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্রকে যারা ধ্বংস করেছে তাদের জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এক ধরনের প্রতিশোধ হিসেবে কাজ করবে।
‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপিকে কেন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি উভয়েই চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করুক।
‘কাকে প্রত্যাখ্যান করা হবে আর কাকে গ্রহণ করা হবে- নির্বাচনের মাধ্যমে তা জনগণই ঠিক করবে। অবিবেচনাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কল্যাণ বা শান্তি বয়ে আনবে না।’
গয়েশ্বর রায় বলেন, “১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে ‘সংস্কার’ শব্দটি কলঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
“প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ব্যাপক সমর্থন থাকলেও একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে বা বিরাজনীতিকীকরণকে উৎসাহিত করে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না।”
তিনি বলেন, ‘যারা নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য, তারা কার্যত নিজেদের নিষিদ্ধ করেছে এবং দেশ থেকে চলে গেছে। এখন তাদের ব্যানার বা স্লোগান দেয়ার কেউ নেই।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া উচিত নয়। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি এবং সেই প্রতিশোধ নেয়ার উপায় হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।’
আইন অবমাননার দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘তার পতনের পর তিনি কীভাবে আইন মানবেন? আইনকে ভয় না পেলে তিনি দেশ ছাড়তেন না, তিনি জেলেই থাকতেন।’
আরও পড়ুন:অতি দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শনিবার একজন উপদেষ্টা একটা মন্তব্য করেছেন, যেটা আমরা তার কাছ থেকে আশা করিনি। তিনি বলেছেন যে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কথা। আমরা আশা করি না, এই মাপের মানুষ এ ধরনের কথা বলবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করি না। আমরা বাংলাদেশকে হাসিনা-মুক্ত করার জন্য কাজ করেছি, জীবন দিয়েছি। এখন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছি।’
বিএনপির এই নেতা প্রশ্নের সুরে বলেন, ‘আমরা তো ক্ষমতায় যেতেই চাই। সেজন্যই তো রাজনৈতিক দল করি। নির্বাচন করব, ক্ষমতায় যাব। এটার জন্য তো আমরা রাজনীতি করছি, তাই না? সেখানে এ ধরনের কথা বললে সঠিক হবে না।’
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আবারও বলছি- অতি দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। জঞ্জাল যা আছে তা সাফ করে ফেলুন। দায়িত্বটা আপনাদের ওপর দেয়া হয়েছে। আমরা সহযোগিতা করছি, আপনারাও করুন।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি নয় শুধু, বাংলাদেশই সঙ্কট অতিক্রম করতে পারেনি। হাসিনা গেছেন। হাসিনা যাওয়াতে বিদেশে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছে। আমরা ভয়াবহ একটা দানবের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। তবে এখনও কিন্তু স্বস্তি নেই। কোথায় যেন আটকে আছি।
‘আটকে আছি এখানেই যে, আমাদের জনগণের সরকার এখনও প্রতিষ্ঠা হয়নি। আছে একটা সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার), যাকে আমরা সমর্থন দিয়েছি।
ফখরুল বলেন, ‘খুব পরিষ্কার কথা, আবারও চক্রান্ত করে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। একবার মাইনাস-টু করার চেষ্টা হয়েছে। আবারও ওই রাস্তায় যাওয়ার কথা কেউ চিন্তা করবেন না।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
আরও পড়ুন:নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নাম চেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি। আগামী ৭ নভেম্বরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নাম প্রস্তাব করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সর্বোচ্চ পাঁচটি নাম প্রস্তাব করার সুযোগ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টে রোববার সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানায় সার্চ কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে নাম আহ্বান করছে।
রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন বা ব্যক্তি পর্যায় থেকে আগামী ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
পূর্ণাঙ্গ জীবন-বৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বা ই-মেইলে (([email protected])) পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সার্চ কমিটি গঠন করে সরকার।
নির্বাচন কমিশন গঠনে ছয় সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। এই দু’জনকে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি।
কমিটির অন্য চার সদস্যের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে অনুসন্ধান কমিটি।
আরও পড়ুন:৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করাসহ তিন দফা দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।
রোববার রাজধানীর মিণ্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সারকলিপি দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি দেয়ার পর সোহেল তাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে যে প্রধান উপদেষ্টা আমার স্মারকলিপি পড়ে ব্যবস্থা নেবেন। আমাকে তার মতামত জানাবেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েছি। আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার যেটা সেটা করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই দাবিগুলো দিয়েছি। একইসঙ্গে একটু লজ্জা বোধ করছি যে আমাকে এই দাবিগুলো করতে হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন যে আমার আরেকটি পরিচয় আছে- আমি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সন্তান।
‘তবে বাবার স্বীকৃতির জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি এসেছি মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারীদের স্বীকৃতির জন্য। যাতে করে এই ইতিহাসটা নতুন প্রজন্ম বুকে ধারণ করে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারে। যে বাংলাদেশের জন্য ২০২৪ সালের জুলাইয়ে যুদ্ধ হয়েছে।’
সোহেল তাজের দাবি তিনটি হলো- ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান, জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য