তিন দিনের ছুটিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নেমেছে পর্যটকের ঢল। সেখানকার হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে রুম খালি নেই বলে জানিয়েছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, এক মাস আগে থেকেই হোটেল-মোটেল বুক করা শুরু করেছেন পর্যটকরা। গত সপ্তাহ থেকে কোনো রুম খালি নেই।
লাউয়াছড়ার ট্যুর গাইড সাজু মারচিয়াং জানান, সকাল থেকে পর্যটকদের যে ভিড় দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলবে এবার।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর রোববার বড়দিনের ছুটি। এই তিন দিন মিলিয়ে পর্যটকরা ছুটছেন দেশের নানা প্রান্তে।
ঢাকা থেকে সপরিবারে শ্রীমঙ্গল এসেছেন ব্যবসায়ী আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার এসেই হোটেল রিজার্ভ করি। এবার এসে সেটা করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজারের একটি হোটেলে উঠেছি।
‘মনে হচ্ছে এবার প্রচুর পর্যটক এসেছে। সবাই মিলে সুন্দরভাবে সময় কাটিয়ে যেতে পারলেই খুশি। দেশের মানুষ এখন প্রচুর ঘোরেন। এটা দেখতে ভালো লাগে।’
‘এসকেডি আমার বাড়ি’ রিসোর্টের এমডি সজল দাশ বলেন, ‘আমার এখানে কোনো রুম খালি নেই। পরিচিত অনেকের রিকয়েস্ট ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রথম প্রথম নিজের রিসোর্টে জায়গা দিতে না পারলে অন্য রিসোর্টে পাঠিয়ে দিতাম। এখন সেটাও করতে পারছি না রুম সংকটের কারণে। এমন পরিস্থিতি সাধারণত ঈদের ছুটিতে হয়। কিন্তু এবার তিন দিন ছুটি একসঙ্গে পাওয়ায় অনেকেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের ৭০টি হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সব রুম অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছে। পাঁচতারা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ মানের হোটেলেও রুম খালি নেই।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থা বলছে, পর্যটকরা প্রতিদিনই রুমের জন্য কল দিচ্ছেন। সে জন্য তারা অতিরিক্ত টাকা গুনতেও রাজি, কিন্তু কোনো উপায় নেই।
পর্যটকের ঢলে খুশি নতুন বিনিয়োগকারীরা। নির্জন রিসোর্টের পরিচালক ছোটন হক বলেন, ‘সম্প্রতি ছয় বন্ধু মিলে রিসোর্টটি চালু করেছি। চালুর সঙ্গে সঙ্গে শতভাগ বুকিং পেয়ে আমরা খুশি।’
এদিকে জেলায় বিপুলসংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসের রিকাবদার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রমণ করলে ভালো করবেন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা পুষ্টিতে ভরপুর। পিনাট বাটার স্মুদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটারের মজাদার স্মুদি। এনডিটিভি ফুডের পিনাট বাটার স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১টি কলা
২. ১ কাপ দুধ
৩. ৩ টেবিল চামচ পিনাট বাটার
প্রস্তুত প্রণালি
টুকরো করে রাখা কলা, দুধ, পিনাট বাটার একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন স্ট্রবেরির মজাদার স্মুদি। শেফ স্নেহা শিন্ডের স্ট্রবেরি স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ৮টি স্ট্রবেরি
২. ১/২ কাপ দুধ
৩. ১/২ কাপ দই
৪. ৩ টেবিল চামচ চিনি
৫. ২ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
৬. পরিমাণমতো বরফ কুচি
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা স্ট্রবেরি, দুধ, দই, চিনি, ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট ও পরিমাণমতো বরফ কুচি একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন দই শসার মজাদার সালাদ। এনডিটিভি ফুডের দই শসার মজাদার সালাদ রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১ কাপ স্লাইস করা শসা
২. ১/২ কাপ দই
৩. ১/২ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি
৪. ১/২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
৫. স্বাদমতো গোলাপী লবণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন । তারপর একটি বাটিতে ফেটিয়ে রাখা দই, স্লাইস করা শসা, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি ও স্বাদমতো গোলাপী লবণ দিয়ে ভালোমতো মিক্সড করুন। তারপর মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। এ সময়ে পানি ছাড়া প্রায় পুরো দিন কাটানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। তাই সেহরি এবং ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে তরল পানীয় গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমাদের শরীরে পানির সুষ্ঠু পরিমাণ বজায় থাকে।
এ রমজানে চাঙা থাকতে নিচের ৫টি পানীয় আপনার সেহরি এবং ইফতারের তালিকায় থাকতে পারে।
ডাবের পানি
রমজান মাসে হাইড্রেটেড থাকার একটি সতেজ এবং প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে ডাবের পানি। এটি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটস, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা আপনাকে আপনার শরীরের তরলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
রুহ আফজা শরবত
রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় রুহ আফজা শরবত। এটি একটি রিফ্রেশিং এবং সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ খাবার এবং পানি ছাড়াই তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করবে। এটি পানি বা দুধের সঙ্গে মিশ্রিত করতে পারেন। এ ছাড়া আরও নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক করতে তরমুজের ছোট টুকরা এবং তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন রুহ আফজার শরবত।
ভেষজ উপাদানের পানীয়
পানিতে একটি সাধারণ টুইস্ট দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সুস্বাদু করে তুলতে স্পিয়ারমিন্ট, পেপারমিন্ট এবং লেমনগ্রাসের মতো ভেষজগুলির তুলনা হয়না। এতে রয়েছে শীতল উপাদান যা পানিতে মিশ্রিত করলে স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি হবে।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি পাত্রে পানি নিয়ে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস যোগ করা। এর সঙ্গে আপনার পছন্দের ফলের টুকরাও যোগ করতে পারেন। ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ, হালকা লবণ ও বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন। ইফতারে এটি দিবে দারুণ সতেজতা।
দুধ ও খেজুরের স্মুদি
দুধ এবং খেজুর স্মুদি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। খেজুর চটজলদি এবং সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙেন। ঘরে বসেই খেজুর থেকে পুষ্টিকর পানীয় তৈরি করতে পারেন।
শুধু খেজুর গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। খেজুর দুধের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে গেলেই আপনার শক্তি বৃদ্ধিকারী পানীয় প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ফলের জুস
এ রমজানে ফলের রস তৃষ্ণা নিবারণের জন্য একটি অসাধারণ পানীয় হতে পারে। তাজা ফলের রস প্রাকৃতিক উপাদানের পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলো সুস্বাদু এবং প্রস্তুত করা সহজ।
আপনার পছন্দমতো যেকোনো ফলের জুস তৈরি করতে পারেন। তরমুজ, কমলা, পেঁপে, আঙ্গুর, লেবু, আনারসের মতো পানিযুক্ত উপাদানের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সুস্বাদু মিশ্র ফলের জুসও তৈরি করতে পারেন একসঙ্গে।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন ওট মিল্কের মজাদার স্মুদি। শেফ কুনাল মুথারের ওট মিল্ক স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১ গ্লাস চিনি ছাড়া ওট মিল্ক
২. ১ টেবিল চামচ চিনাবাদামের মাখন
৩. ১টি কলা
৪. সামান্য বরফ
প্রস্তুত প্রণালি
ওট মিল্ক, কলা, চিনাবাদামের মাখন এবং বরফ একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন আপেল চিয়া সিডের মজাদার স্মুদি। শেফ বৈশালী লুথরা জলির আপেল চিয়া সিডের মজাদার স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১টি আপেল
২. ১ কাপ দই
৩. ১ চা চামচ পিনাট বাটার (অপশনাল)
৪. ১ চা চামচ চিয়া সিড
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা আপেলের টুকরা, দই, পিনাট বাটার ও চিয়া সিড একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে খিচুড়ি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কমই আছেন। তবে রোজায় এ খিচুড়ি হতে পারে খানিকটা ভিন্ন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হতে পারে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি।
কীভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে বৃষ্টির এ মৌসুমে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি উপভোগ করবেন তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
পোলাও চালের সঙ্গে দুই কাপ মুগ ডাল, এক কাপ আলু কিউব, হাফ কাপ গাজর কিউব, হাফ কাপ ফুলকপি কিউব, হাফ কাপ হলুদ গুড়া, এক চা চামচ লবণ। এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ আস্ত জিরা, এক চা চামচ দারচিনি, দুটি এলাচ, ৪টি লবঙ্গ, ৩/৪টা গোটা শুকনো মরিচ, ৩টি তেজপাতা, তেল পরিমাণ মতো, হাফ কাপ ঘি, ৩ টেবিল চামচ ভাজা জিরা গুড়া, এক চা চামচ কাঁচা মরিচ, সামান্য চিনি, গরম পানি।
প্রস্তুত প্রণালি
হাঁড়িতে তেল ও দুই টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে গোটা গরম মসলা, গোটা জিরে, শুকনো মরিচ, তেজপাতা ফোরন দিয়ে কেটে রাখা সবজি দিয়ে নেড়ে আদা বাটা, হলুদ গুড়া, লবণ, সামান্য চিনি দিয়ে নেড়ে একটু ভেজে আগে থেকে ধুয়ে রাখা পানি ঝড়ানো চাল-ডাল দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে হালকা পানি থাকতে বাকি ঘি ছড়িয়ে তারপর ভাজা জিরা গুড়া, আস্ত কাঁচা মরিচ কয়েকটা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে দারুণ মজার নিরামিষ সবজি খিচুড়ি। কেউ চাইলে মটরশুঁটি দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য