ফরিদপুর জেলার গ্রাম-গঞ্জে এক সময় রাস্তার দুই ধারে, নদ-নদীর পাড়ে ও বসতবাড়ির আঙিনায় সারি সারি খেজুর গাছের দেখা মিলত। শীতের আগমনের আগে হেমন্তের মাঝামাঝিতেই এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য গাছ কাটতে কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠতেন গাছিরা। পিঠে বাঁশের চটা দিয়ে বানানো খোল, তার মধ্যে গাছ কাটার ধারালো হাসুয়া, তালের খোলা আর পোড়া বালি। কোমরে দড়ির গোছা। কাঁধে বাঁশের মোটা চটার দুই ধারে থাকত রসে ভরা হাড়ি।
শীত এলে ফরিদপুরের গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছিল এ এক চিরচেনা দৃশ্য। তবে এই দৃশ্য এখন আগের মত দেখা যায় না। জেলায় আগের চেয়ে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, এই পেশায় গাছিদের আগ্রহ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে গুড়ের। আর এই সুযোগে হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে ভেজাল গুড়ে। খাঁটি গুড়ের প্রায় অর্ধেক দামে মিলছে চিনি ও রং মিশ্রিত এসব ভেজাল গুড়।
ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দী এলাকার কৃষি ইনস্টিটিউট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। রস চুলায় দিয়ে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করতে প্রায় দেড় ধেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে।
রস জ্বালিয়ে তৈরি করা গুড়ের চাহিদা অনেক। এ সময় চার থেকে পাঁচ জন ক্রেতাকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
খেজুরের গুড় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন কৃষি কলেজ এলাকার বাসিন্দা এনামুল হাসান গিয়াস। তিনি বলেন, আগের চেয়ে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেছে। তাছাড়া গাছ কেটে রস বের করার জন্য গাছিও পাওয়া যায় না। রাজশাহী, যশোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গাছিদের আনতে হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ফরিদপুরে প্রায় ২শ হেক্টর জমির উপর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে প্রায় ১৫শ ৫০ টন রস হয়। যা থেকে পাওয়া যায় প্রায় আড়াইশ টন গুড়। জেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুর গাছ রয়েছে বোয়ালমারী ও নগরকান্দা উপজেলায়, প্রায় ৩০ হাজারের মতো। এরপরে রয়েছে ভাঙ্গায় প্রায় ১৪ হাজারের মতো।
এনামুল জানান, তিনি প্রতি কেজি খেজুর খাঁটি গুড় সর্বনিম্ন দর চারশ টাকায় বিক্রি করছেন এবছর। অবশ্য বিভিন্ন স্থানে গুড় ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে বিক্রি হয় বলেও জানা গেছে। আর চিনি ও রং মিশ্রিত ভেজাল গুড় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে তিনশ টাকা করে।
তিনি আরও জানান, গুড় ছাড়াও খেজুর গাছের পাতা মাদুর ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে যে হারে খেজুর গাছ কাটা পড়ছে সে অনুপাতে লাগানো হচ্ছে না। ফলে সম্প্রতি খেজুর গাছের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে।
রঘুয়ারকান্দী গ্রামের গাছি তৈয়ব মিয়া জানান, গ্রামে খেজুর গাছ নেই বলে এখন আর রসের জন্য গাছ কাটেন না। আগে তিনি একাই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি গাছ কাটতেন। তখন বাজারে গুড়ের দামও ছিল কম। এখন গরিব মানুষের পক্ষে খেজুরের গুড় কিনে খাওয়া সম্ভব না।
তবে বিপরীতমুখী বক্তব্য যদুনন্দী গ্রামের গাছি জয়নাল শেখের। তিনি জানান, তিনি এখনও প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০টি খেজুর গাছ ঝুড়েন এবং এই রস জ্বালিয়ে ৩০ কেজির মতো গুড় হয়।
তিনি বলেন, তবে কিছু লোক আমাদের থেকে গুড় কিনে নিয়ে তাতে চিনি ও রং মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করে বলে শুনেছি।
রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের বাসিন্দা গাছি মো. লালন আলী প্রামাণিক নভেম্বর মাসের শুরুতে এসেছেন ফরিদপুরে। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন আরও তিন সহযোগীকে। লালন প্রামাণিক বলেন, কৃষি কলেজ ও আশপাশের ১৫০টি খেজুর গাছ আমরা তিনজন দেখভাল করছি। নভেম্বর মাসের শুরুতে এসেছি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বাড়িতে যাব।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছ আমরা ৩শ টাকা করে এ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। গাছ কাটার প্রথম এক মাস রস বের হয় না। পরের দুই মাস রস পাওয়া যায়। এখন মোটামুটি রস পাচ্ছি আমরা। রস বিক্রি করছি ৪০ টাকা লিটার। এছাড়া এক হাড়ি (৮ লিটার) নিচ্ছি ৩৫০টাকা। আর ঝোলা গুড় বিক্রি করছি ৩শ টাকা, শক্ত পাটালি বিক্রি করছি ৪শ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।
রাজশাহী থেকে আসা গাছি সেলিম মণ্ডল বলেন, বাদুর যাতে রসের হাড়ির উপর বসতে বা মুখ দিতে না পারে সেজন্য নীল কাপড় দিয়ে হাড়ির মুখ বেঁধে দেয়া হয়। নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন ১৫০টি গাছের মধ্যে ৮০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। তাতে প্রতিদিন ২৫০ লিটার রস সংগ্রহ করতে পারি। এই রসে প্রতিদিন ১৫ কেজি গুড় তৈরি হয়। তবে যে গুড় তৈরি হয়, তাতে চাহিদা পূরণ হয় না। অনেককেই গুড় দিতে পারি না।
ক্ষুদ্র গুড় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভেজাল গুড় তৈরির জন্য এক শ্রেণির বড় মহল গড়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে খেজুরের ঝোলা গুড় কিনে এনে তার সঙ্গে রং, আটা ও চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করে। চিনির দাম কম হওয়ায় তারা এ সুযোগ নিচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে এসব গুড় কিনে এনে সরবরাহ করছে।
তারা জানান, আসল গুড়ের অর্ধেক দামে ভেজাল গুড় বিক্রি হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, এ ব্যাপারে তাদের নজরদারি রয়েছে। তবে বাজারে যারা গুড় বিক্রি করে তারা স্বীকার করে যে চিনি দিয়েই তারা গুড় বানান। ভেজাল গুড় তৈরির উৎসের কোনো সন্ধান থাকলে তিনি তথ্য দিয়ে সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বিলুপ্তির হাত থেকে খেজুর গাছ রক্ষা করতে গ্রামের রাস্তার দুই পাশে ও অব্যবহৃত পতিত জমিতে খেজুর গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে গাছিদের জীবনমান উন্নত করতে পারলে এ পেশার প্রতি তাদের আগ্রহ ধরে রাখা সম্ভব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জিয়াউল হক বলেন, ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ থাকায় সম্প্রতি খেজুর গাছ কাটা কমেছে। তাই এবার জেলায় আগের বারের চেয়ে বেশি রস ও গুড় পাওয়া যাবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গাছিরা যাতে খেজুর গাছ কেটে রসের সদ্ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এতে ফরিদপুরের খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য আবারও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী।
আরও পড়ুন:পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর খুচরা বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে।
রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর বাজার, ধুপখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় বৃহস্পতিবার এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, হাড়ছাড়া ১ হাজার টাকা কেজি, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি, বকরি ১ হাজার টাকা কেজি।
এছাড়া বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লেবু প্রকারভেদে ৪০-৬০-৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের রাতুল এন্টারপ্রাইজের শফিকুল মোড়ল বলেন, ‘এখন এমন সময় আইছে যে রমজানেও মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। অথচ রমজান মাস আইলে মানুষের ভীড় লাইগ্যা থাকত। আর এখন হাতেগোনা মানুষ বাজারে আসতাছে। যেই হারে দাম বাড়ছে, মানুষও কী কইরা কিনবো? দাম কমলেই ভালা, আমরার বেচে বিক্রি বেশি হয়।’
মাছের দর কমেছে কিছুটা
রুই মাছ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। বাজারে প্রকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ ২৫০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কমে ২০০ টাকায়, ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা বেড়েছে তরমুজ বেলের
ইফতারিতে শরবত বানাতে তরমুজ ও বেলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বাজারে ৪০ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা হালি বেল বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজ কিনতে আসা রিফাত হাসান বলেন, ‘তরমুজ কেজি ও পিস উভয় ভাবেই কিনতে পারছি। কেজি হিসেবে কিনলে ৪০ টাকা আর পিস হিসেবে কিনলে দেখা যাচ্ছে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।
শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।’
ব্রয়লারের দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন:‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনটি ২৩ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে, যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্সসহ আকর্ষণীয় অফার। এ ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।
ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ক্যাম্পেইনে বাটা, হ্যায়ার, ইনফিনিক্স, লোটো, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, ডেটল এবং লাইফবয়ের মতো ব্র্যান্ড পার্টনারদের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে গোল্ড স্পন্সর ফ্যাব্রিলাইফ, ফার্নিকোম, গোদরেজ, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, মটোরোলা, নেসক্যাফে, সিঙ্গার, ডাভ এবং সিলভার স্পন্সর বাজাজ ইলেকট্রিকালস, লগিটেক, লুই উইল, বিয়ার্ডো, স্কিন পিওর, ভিট, রিবানা, স্কেমেই, স্টোন রোজ, স্বপন্স ওয়ার্ল্ড, টিপি-লিংক, রিন এবং অরাইমোর মতো ব্র্যান্ড পার্টনাররা।
এ ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। নন-কমার্শিয়াল পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া’স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, ল্যাভিশ বুটিক এবং পালস হেলথ কেয়ার।
ঈদ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের মাসজুড়ে সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের সেরা ডিল ও অফার দেওয়ার বিষয়টি দারাজ বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে।
‘আমাদের ঈদ ফেস্টিভ্যালও তারই অংশ। আমরা আমাদের স্পন্সর ও পার্টনারদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাদের কারণেই এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।
জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।
প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।
সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।
এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।
ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন:‘রমজান মাস সামনে রেখে বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এর ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই। এ বিষয়ে ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বুধবার এসব কথা বলেছেন। এর আগে রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অধিদপ্তরের একটি দল।
অধিদপ্তরের পরিদর্শন দলটি সকাল ১১টায় নিউমার্কেট বনলতা কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য বিক্রয়কারী ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে। মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ( প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা জানান, তদারকিকালে মাছ, মুরগি, চাল ও মুদি দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায় ছোলা ও মসুর ডালের দাম নিম্নমুখী এবং অন্যান্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দামের ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা তা যাচাইয়ে মুরগি কেনার ভাউচার দেখে যে দোকান থেকে কেনা করা হয়েছে সে দোকানে তাৎক্ষণিক তদারকির জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অপর একটি টিমকে নির্দেশনা দেন। রমজানে কোনোভাবেই যেন ব্রয়লার মুরগির দাম না বাড়ে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
তদারকিকালে ‘পণ্য কিনি প্রয়োজনে, মূল্য রাখি নিয়ন্ত্রণে’ এমন জনসচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে ব্যবসায়ীদেরম মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাজার তদারকি কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ সব বাজার কমিটি যৌথভাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন:একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমেছে। আগের দিন মঙ্গলবার এক দফা কমানো হয় স্বর্ণের দাম।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস নির্ধারিত এই দাম কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে।
২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ (১১.৪৪৬ গ্রাম) বিক্রি হবে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকায়। বুধবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের ভরি ছিল ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। সে হিসাবে ভরি প্রতি কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা।
নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।
বুধবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম ছিল ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা ভরিতে।
চার দিন আগে ১৮ মার্চ এই মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭০০ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। তখন দাম ছুঁয়েছিল প্রায় লাখ টাকা।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয় রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন:দুই দিন আগে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭০০ টাকা বাড়িয়েছিল দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস; ছুঁয়েছিল প্রায় লাখ টাকা। মঙ্গলবার তা থেকে মাত্র ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।
বুধবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ (১১.৪৪৬ গ্রাম) ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দুই দিন আগে গত শনিবার এই সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাজুস। যা রোববার থেকে কার্যকর হয়। তার আগে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা ভরিতে বিক্রি হয়েছিল এই মানের স্বর্ণ।
অন্যান্য মানের সোনার দরও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, বুধবার থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকায় বিক্রি হবে।
এর আগে গত শনিবার ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ দামে সোনা কেনাবেচা হয়েছে। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৭ হাজার ৩০১ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অবশ্য ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায় নামিয়ে এনেছিল বাজুস।
শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামও ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫২ ডলার ১৮ সেন্ট। ১৮ মার্চ রাতে যখন দেশে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়, তখন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৯২ ডলার।
এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।
মন্তব্য