বছরে চার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব দিয়েও বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকিপল্লির প্রায় ২৫ হাজার জেলে।
বন বিভাগের আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে বছরের পর বছর কেটে গেলেও এখনও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সেবা।
এমন অবস্থায় শুঁটকিপল্লির জেলেদের বাধ্য হয়ে খেতে হয় কুয়ার পানি আর অসুস্থতায় তাদের ভরসা ফার্মেসির চিকিৎসা।
দুবলার চরের শুঁটকিপল্লির পক্ষে বন বিভাগকে চার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব দেয়া হলেও সরকারের কোনো উদ্যোগ না নেয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ী নেতাদের। তবে সুপেয় পানি, চিকিৎসা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট পূর্ব বন বিভাগের কর্মকর্তা। আর জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ক্যাম্প স্থাপনের কথা জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
বাগেরহাট পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চর, আলোর কোল, শ্যালার চর, নারকেল বাড়িয়া, মাঝের কেল্লা, অফিসকেল্লাসহ কয়েকটি চরে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস চলে শুঁটকি আহরণ মৌসুম।
দেশের শুঁটকির মোট চাহিদার ৮০ ভাগ আসে দুবলার চর থেকে। লইট্টা, ছুরি, চিংড়ি, রূপচাঁদা, খলিশা, ইছা, ভেদা, পোঁয়াসহ শতাধিক প্রজাতির শুঁটকি তৈরি করা হয় এ পল্লিতে। শুঁটকি মৌসুম ঘিরে এখানে প্রায় ২৫ হাজার জেলে অবস্থান করেন।
বন বিভাগের তথ্য মতে, সুন্দরবনে শুঁটকি আহরণ মৌসুমে এসব চরে বাঁশ, কাঠ, ছন ও পলিথিন দিয়ে ছাপরা ঘর তৈরি করে বসবাস করে ১০ হাজার ছেলে। তবে জেলেদের দাবি প্রতি বছর শুঁটকি মৌসুমে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার জেলে অবস্থান করে সুন্দরবনের এসব চরে।
বন বিভাগের তথ্য মতে, গত অর্থবছরে জেলে ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ বছর সাড়ে ৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ।
জেলেদের অভিযোগ, বছরের এই পাঁচ মাস জীবিকার তাগিদে মৎস্য আহরণ কাজে নিয়োজিত জেলেদের খাবার পানির অভাব, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়ত।
খাবার পানির অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হলেও মেলেনা চিকিৎসাসেবা। এ ছাড়া ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। শুঁটকি ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর, তবুও মিলছে না সুপেয় পানি, আশ্রয়কেন্দ্র ও চিকিৎসাসেবা।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা শুঁটকি ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে আমি ৪৭ বছর ধরে সুন্দরবনের এই শুঁটকিপল্লিতে মাছ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত আছি। বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ এই ৫ মাস শুঁটকি মৌসুম। বন বিভাগকে রাজস্ব দিয়ে আমাদের এখানে আসতে হয়। শুধু শুঁটকি মৌসুমে বন বিভাগ জেলে বহরদারদের কাছ থেকে আদায় করে কোটি টাকার রাজস্ব। তবুও এখানকার জেলে ও ব্যবসায়ীদের খাবার পানি, চিকিৎসাসেবাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
‘দুর্গম হওয়ায় এখানে কোনো জেলে বা ব্যবসায়ী রোগাক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পান না। শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় অনেক সময় পৌঁছাতে পৌঁছাতে মারা যান অনেকে। এই তো কিছুদিন আগে সাপের কামড়ে চোখের সামনে এক জেলে মারা গেছে। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারিনি।’
একই উপজেলার জেলে তপন দাস বলেন, ‘খাবার পানি বলতে আমাদের এখানে দুটি পুকুর ও ১৩টি পানির কুয়া রয়েছে। এই কুয়াগুলোর মধ্যে ১০টি কুয়ার পানি ব্যবহারের অনুপযোগী। তিনটি কুয়া থেকে আমরা পানি সংগ্রহ করি। সেগুলোতে অধিকাংশ সময় বিভিন্ন পোকা-মাকড় ও ময়লা-আবর্জনা পড়ে পানি নষ্ট হয়। আমরা পানি সংগ্রহ করে ছেঁকে ও ফিটকারি দিয়ে খেয়ে থাকি।
খাবার পানি বলতে দুবলার চরে দুটি পুকুর ও ১৩টি পানির কুয়া রয়েছে। এই কুয়াগুলোর মধ্যে ১০টি কুয়ার পানি ব্যবহারের অনুপযোগী। তিনটি কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন স্থানীয় জেলেরা। ছবি: নিউজবাংলা
‘এ ছাড়া যে পুকুর দুটি রয়েছে তার পাড় ভেঙে সাগরের লোনা পানি ঢুকে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে এখানে নেই কোনো আশ্রয়কেন্দ্র। যে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার আছে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। এরপর নতুন কোনো সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ হয়নি এখানে। সব মিলিয়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে জেলেদের আশ্রয় নিতে হয় জঙ্গলের ভেতর।’
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাসিন্দা জেলে জামাল মোল্লা বলেন, ‘সুন্দরবনের এই চরগুলোতে চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বাগেরহাট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জেলেরা আসেন। সরকারও এখান থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। কিন্তু সেই তুলনায় আমরা তেমন কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইনি। বছরের পর বছর ধরে আমরা শুধু আশ্বাস পাই, কিন্তু কাজের কাজ কোনো কিছুই হয় না।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের শুঁটকির মোট চাহিদার ৮০ ভাগ আসে দুবলার চর থেকে। লইট্টা, ছুরি, চিংড়ি, রূপচাঁদা, খলিশা, ইছা, ভেদা, পোঁয়াসহ শতাধিক প্রজাতির শুঁটকি তৈরি করা হয় এই পল্লিতে। শুঁটকি মৌসুম ঘিরে এখানে প্রায় ২৫ হাজার জেলে অবস্থান করেন। এখান থেকেই বন বিভাগ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোটি টাকা রাজস্ব দিলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান না জেলেরা। এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় এ বছর বন বিভাগ রাজস্ব নির্ধারণ দ্বিগুণ করেছে। যেটি জেলে ও ব্যবসায়ীদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে পর্যাপ্ত খাবার পানির অভাব রয়েছে, যা আছে তাও ছেঁকে ও বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে খেতে হয়। এই পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয় জেলেরা। তখন আবার কোনো সুচিকিৎসা পায় না তারা। এখানে কিছু অস্থায়ী ওষুধের দোকান আছে, চিকিৎসার জন্য ওটাই শেষ ভরসা। এ ছাড়া ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে নেই কোনো আশ্রয়কেন্দ্র। যে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে, সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। ঝড়ের সময় বাধ্য হয়ে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয় অনেকে জঙ্গলে।
‘এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভারতীয় জেলেদের আক্রমণের শিকার হয় আমাদের জেলেরা। আমাদের জেলেদের জাল ও মাছ লুটে নেয় তারা। এদের ঠেকানের জন্যও নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ। আমি জেলে ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এখানে খাবার পানির ব্যবস্থা, ভাসমান হাসপাতাল, সাইক্লোন শেল্টার ও জেলেদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।’
অতিরিক্ত আইজি ও নৌ পুলিশ প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে পরিবার-পরিজন ছেড়ে জেলেরা সুন্দরবনে আসেন। এই পাঁচ মাস দুবলার চর থেকে বিপুল পরিমাণ শুঁটকি আহরণ করা হয়। যা দেশ-বিদেশে বিক্রি হয়। জেলেদের এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুন্দরবন ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুবলার চরের আলোরকোলে একটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করতে জেলে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। আশা করছি দ্রুত জায়গা নির্ধারণ শেষে আমরা কাজ শুরু করতে পারব। এই ফাঁড়ি স্থাপন করা হলে এখানকার জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে ১৫টি বহরদারের আওতায় ১০ হাজার জেলে সুন্দরবনের বিভিন্ন চরে শুঁটকি আহরণের জন্য অবস্থান করছেন। যেহেতু জেলেরা আমাদের রাজস্ব দিয়ে, পাঁচ মাস সেখানে অবস্থান করছেন, সেখানে তাদের সুপেয় পানি, চিকিৎসাসেবা ও আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজন আছে। আমাদের একটি ইকোট্যুরিজম প্রকল্প আছে, ওই প্রকল্পের আওতায় দুবলার জেলেদের পানির চাহিদা মেটানোর জন্য একটি নতুন পুকুর খনন করে দিয়েছি।
‘এ ছাড়া একটি পুরাতন পুকুর ছিল, সেটা সংস্কার করে দেয়া হয়েছে। এতে যদি জেলেদের পানির চাহিদা পূরণ না হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের সুরক্ষা প্রকল্প নামের আরও একটি প্রকল্প আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় সেখানে আরও একটি পুকুর খনন করে দেয়া হবে। এ ছাড়া সেখানে কিছু কুয়া তৈরি করে দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকেও জেলেরা পানি সংগ্রহ করে তাদের চাহিদা মেটাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে জেলেদের চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন আছে, কারণ দুর্গম এলাকা হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা নিতে জেলেদের শহরে আসতে অনেক সময় লাগে। এ অবস্থায় আমরা সেখানে একটি ভাসমান হাসপাতাল তৈরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পাশাপাশি সেখানে চিকিৎসক রাখার ব্যবস্থা করার জন্য বাগেরহাট সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।
‘এ ছাড়া ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে সেখানে যে পাঁচটি সাইক্লোন শেল্টার আছে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা ওই ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ভেঙে ওই স্থানেই নতুন করে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করছি, এই কাজগুলো সম্পন্ন হলে জেলে ও ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’
সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের মূল গভীরে প্রোথিত।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষের জীবন কতটা বদলে গেছে তারই এক ব্যতিক্রমী ও বিচিত্র ঘটনার দেখা মিলল রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে ।
নিত্যপণ্যের দোকানের খরচ মেটানো, কোথাও অর্থ পাঠানো বা এমন আরও অনেক কাজে মোবাইল ব্যংকিংয়ের লেনদেন খুবই প্রচলিত। এবার ঘটল এক অন্যরকম ঘটনা।
ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘বিকাশ’-এর মাধ্যমে ‘ভিক্ষা’ দেয়ার এক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর গুলশান-২ এ বৃহস্পতিবার দুপুরে।
এক বয়স্ক নারীকে বিকাশে ভিক্ষা দিয়ে ঘটনাটি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে ছবিসহ পোস্ট করেন ব্যবয়াসী তুষার মালিক। পোস্ট শেয়ার করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই ঘটনাটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে তুষার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে কাজ শেষে ব্যক্তিগত গাড়িতে অফিসে ফিরছিলাম। এসময় গুলশান-২-এ একটি তোয়ালে কিনে ২০০ টাকা বিকাশে সেন্ড মানি করি। এসময় একজন বৃদ্ধ নারী আমার কাছে এসে ভিক্ষা চান। আমি তাকে বলি- নগদ টাকা নেই। তিনি আমাকে অবাক করে বলেন, তার কাছে বিকাশ আছে।’
তুষার বলেন, ‘এরপর ওই মহিলা আমাকে তার বিকাশ নম্বরটি বললে আমি তাকে কিছু টাকা (টাকার অঙ্ক প্রকাশ করেননি) সেন্ড মানি করি। তিনি তখন তার ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়ে হাসি দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে বেশ অবাক করেছে। তবে আমি খুশি এই ভেবে যে, এখন একেবারে ছিন্নমূল মানুষও মোবাইল ব্যবহারের পাশাপাশি আর্থিক সেবাগুলো ব্যবহার করছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে বিকাশে ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরে কল করে তাৎক্ষণিক কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিকাশের মূল প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে কর্মরত প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী ইমরুল কায়েস শুভ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, ভাল লেগেছে।
‘আমরা বিকাশের মাধ্যমে দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে আর্থিক সেবা সহজতর করতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা এ সেবা দেশে ও প্রবাসে থাকা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’
ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শিশু জুনায়েদ মোল্লার। তার সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা।
প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে শিশু জুনায়েদ মোল্লার। ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।
বিমানে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছানোর আনন্দে উচ্ছ্বসিত শিশু জুনায়েদ বলেন, ‘সেদিন নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “ওয়ালটন প্লাজা ব্যবসার পাশাপাশি সর্বদা বিভিন্ন সামাজিক ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দেশব্যাপী আলোচিত জুনায়েদের পরিবারও এসব সুবিধার বাইরে নয়।
“আমরা যখনই শুনেছি কৃষক ইমরান মোল্লার ছেলে বিমানে চড়ার শখ থেকে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা তার শখ পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এই ছোট্ট ছেলেটির বড় স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দিতে চাইনি। ওর এই বড় স্বপ্ন দেখতে পারার সক্ষমতা চলমান থাকুক। স্বপ্ন পূরণে ওর সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্বিত।”
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা বলেন, ‘ছেলে আকাশে কোনো বিমান উড়ে যাচ্ছে দেখলে আনমনা হয়ে যেত। কী ভাবত সে-ই জানে। ছেলের বিমানে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করায় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
জুনায়েদের স্বপ্ন এখন পাইলট হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই উঠে পড়েছিল জুনায়েদ নামের ওই শিশুটি। পরে জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে জুনায়েদ। এরপর থেকেই আলোচনায় রয়েছে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের এই শিশুটি।
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় জুনায়েদ এবং সেই শখ থেকে বিমানে চড়ার ইচ্ছা তার- এমনটি নিজেই গণমাধ্যমকে জানায় সে।
ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি রাইস কুকার কেনেন জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা। এরই ধারাবাহিকতায় কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষারনীতির আওতায় কৃষক বাবার শখ পূরণ করতে এগিয়ে আসে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৩ সালের ‘বেস্ট অন টাইম পারফরমেন্স এয়ারলাইন’ ক্যাটাগরিতে গোল্ড পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন, মোস্ট কাস্টমার ফ্রেন্ডলি এয়ালাইন (ডমেস্টিক), বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস (ডমেস্টিক)- এই তিন ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে সিলভার পুরস্কার লাভ করেছে নভোএয়ার।
বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অফ দি ইয়ার-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর হাত থেকে পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেন নভোএয়ারের হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাউল ইসলাম।
ভ্রমণ ও পর্যটন-বিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর পরিচালিত আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের অনলাইনে মতামত জরিপের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার গ্রহণের পর মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আগামীর পথচলায় আমাদের উৎসাহ জোগাবে। নভোএয়ার শুরু থেকেই সম্মানিত যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় ও নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। পূর্ণ যাত্রী সন্তুষ্টি এবং উন্নততর সেবার প্রতিশ্রুতি আমাদের পরিচালনার সকল স্তরে অব্যাহত থাকবে।’
বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর, সিলেট, রাজশাহী ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে নভোএয়ার।
দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য ভিসা এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এমএফএস নগদ। ভিসার সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড নগদ-এর পাশাপাশি দেশের মূলধারার কয়েকটি ব্যাংকও অর্জন করেছে।
সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘টুওয়ার্ডস আ ক্যাশলেস, স্মার্ট বাংলাদেশ’শিরোনামে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভিসা বাংলাদেশ।
এবারের ‘ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ-২০২৩-’এ ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট এবং ডেবিট কার্ডে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ‘এক্সিলেন্স ইন সাইবারসোর্স-পে আউট,’ ক্যাটাগরিতে নগদ পুরস্কার অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. শরাফাত উল্লাহ খান।
এ ছাড়া ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু ও ভিসার অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নগদ-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী ও হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট গোলাম জামিল আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কার-প্রাপ্তির বিষয়ে নগদ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের পার্টনার ভিসার কাছ থেকে পাওয়া এমন স্বীকৃতি আমাদের জন্য সম্মানের। দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন করতে এবং গ্রাহকের সুবিধামতো সেবা দেয়ার জন্য আরও প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে এই স্বীকৃতি আমাদের সাহায্য করবে।’
বাৎসরিক এই কনক্লেভে ভিসা তাদের পার্টনার ব্যাংক, ফিনটেক কোম্পানি, মার্চেন্ট এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মাননা জানায়। ক্রস বর্ডার পেমেন্ট, প্রোডাক্ট ইনোভেশন, ফিনটেক পার্টনারশিপ, সাইবার সোর্স, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তারা এসব পুরস্কার দিয়ে থাকে।
এবারের আয়োজনে ফিনটেকের পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:বুধবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন করে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (প্রত্যেককে এক কোটি) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-চিস গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন ও মেসার্স জুনুর ট্রেডার্স।
গত সোমবার চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায় ৪ কোটি ডিম আমদানির পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরও আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে।
ডিম আমদানিতে কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়। সেগুলো হলো-
১. এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে।
২. আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
৩. নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না।
৪. সরকারের অন্যান্য বিধি–বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ হচ্ছে। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে খুচরা পর্যায়ে এই দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি প্রদান করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যতক্ষণ খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকায় নিশ্চিত করা না যাচ্ছে, সে পর্যন্ত ডিম আমদানির অনুমতির এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তিনি বলেন, আরও ডিম আমদানি হতে পারে এমন আশ্বাসের কারণে অনেক আমদানিকারক ডিম আমদানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা ৪ কোটি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য