বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সব সদস্যের যেকোনো ধরনের লেনদেন সেবা চার্জ ফ্রি করার ঘোষণা দিয়েছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস-‘নগদ’। যত দ্রুত সম্ভব সকল পুলিশ সদস্যের জন্য এ সেবা চালু করতে চায় ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটরটি।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে সম্প্রতি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংষ্কৃতিক সন্ধ্যায় পুলিশের জনসেবার প্রতি কৃতজ্ঞতার অংশ হিসেবে চার্জ ফ্রি লেনদেন চালুর ঘোষণা দেন নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের জন্য এমন পদ্ধতি চালু করে যেতে চাই, যেন ভবিষ্যতে আমি নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক না থাকলেও সকল পুলিশ সদস্য আজীবনের জন্য নগদ-এর সকল সেবা ফ্রি-তে উপভোগ করতে পারেন। এ কাজে আমরা দ্রুতই পুলিশ সদস্যদের ডাটাবেইজ তৈরির কাজ শুরু করতে চাই।’
তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা সব সময় আমাদের নিরাপত্তা দেয়াসহ নানা ধরনের সেবা দেয়। বিনিময়ে আমরা কখনো ধন্যবাদ পর্যন্ত বলি না। তাদের ধন্যবাদ জানানো এবং কৃতজ্ঞতার অংশ হিসেবে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যের জন্য নগদ-এর পক্ষ থেকে সামান্য এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে।’
চার্জ ফ্রি লেনদেন চালু হলে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসখাতে এটি হবে বিশেষায়িত কোনো বাহিনীর জন্য প্রথম এ ধরনের কোনো উদ্যোগ।
এ সময় পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত আছেন বা ছিলেন এমন মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে সংকলিত বই প্রকাশের ঘোষণা দেন নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বসূচক অবদানের মাধ্যমে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পুলিশবাহিনীই প্রথম রাজারবাগ থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সুতরাং ইতিহাসে পুলিশ বাহিনীর সঠিক জায়গা নিশ্চিত করতেই নগদ এমন উদ্যোগ নেবে।’
এর আগে সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে নগদ ‘বীরের মুখে বীরত্বগাথা’ নামে বই প্রকাশ করে। বইটি বাজারে বিশেষ আলোচনার জন্ম দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর জন্য নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চার্জ ফ্রি লেনদেন চালুর যে ঘোষণা দিলেন সেটিকে দারুণ এক সুযোগ বলে মনে করি। দেশের প্রতি তার (তানভীর এ মিশুক) যে ভালোবাসা, মুক্তিদ্ধের প্রতি তার যে মমতা, পুলিশ বাহিনীর প্রতি তার যে মমত্ববোধ সেটা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ঢাকা মেট্ট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এ ছাড়া নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিটসহ পুলিশের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা ও সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে নগর বাউল জেমস, দেশ বরেণ্যে লোকসংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম ও ব্যান্ডদল তীরন্দাজ গান পরিবেশন করেন।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদী থেকে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৫৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। পরে স্থানীয় বাজারে মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বাবলু হালদার।
শনিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে বাগাড় মাছটি বিক্রির জন্য আনেন বাবলু হালদার। এদিন সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি এলাকায় যমুনা নদী থেকে এক জেলের কাছ থেকে মাছটি কেনেন তিনি।
গোবিন্দাসী মাছ বাজার সমিতির সভাপতি বাবলু হালদার পরে গোবিন্দাসী বাজারে বাগাড় মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি কিনে নেন মধুপুর উপজেলার গারোবাজারের সুজন নামে এক ব্যক্তি।
ক্রেতা সুজন জানান, বিশাল আকৃতির বাগাড় মাছটি কিনে তারা কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিয়েছেন।
বাবলু হালদার বলেন, ‘বেলকুচির যমুনা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি। বিক্রির উদ্দেশ্যেই সেখান থেকে মাছটি কিনে আনি আমি। পরে মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে সরকারি সাক্ষীদের যাতায়াত ভাড়াসহ প্রয়োজনীয় খরচ দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
নির্দেশনায় আদালতকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে- ফৌজদারি মামলায় সরকারি সাক্ষীদের সাক্ষ্য ভাতা প্রদানে নতুন অর্থনৈতিক কোড/খাত সৃজন এবং এই খাতে অর্থ বরাদ্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। ৩১ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি শনিবার গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘জনগনের পেটে লাথি মেরে সরকার উন্নয়নের গান গাইছে। উন্নয়ন মানে হলো জনগণের উন্নয়ন। কিন্তু এই সরকার জনগনের কোন উন্নয়ন করেনি। আজ দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা। বিদ্যুতসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই জনগণ আর এই সরকারকে চায় না।’
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। তাদের কেবল আছে দখল আর লুটপাট। এসব করে তারা আবার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।’
সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের ওপর চেপে বসেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করেছে। তাদের দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে জনগণ।
‘না খেয়ে মরার চেয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে মরা অনেক সম্মানের। তাই জনগণকে এই সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারকে বিদায় করতে না পারলে রাষ্ট্র মেরামত করা যাবে না। এজন্য বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে হায়েনাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। সরকার যদি গণতন্ত্রের ভাষা না বোঝে তাহলে দেশে শ্রীলংকার অবস্থা হবে।’
যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা যখন এখানে সমাবেশ করছি তখন সিলেটে আরেকটি সমাবেশ হচ্ছে। পিস্তল, রাইফেল, বন্দুক নিয়ে শান্তি সমাবেশ করা হচ্ছে। আমাদের চুলকানি দেয়ার জন্যই একই দিনে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান, শাম্মী আখতার প্রমুখ।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘সরকারকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তবে কোনো রক্তচক্ষু দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে দমানো যাবে না।’
শনিবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ বিকেল ৪টায় শুরু হলেও তার অনেক আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা সমাবেশস্থল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন।
সমাবেশে নানক বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি। এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। দেশে গণতন্ত্র আছে। কিন্তু বিএনপির জনসমর্থন নেই। জনগণের সমর্থন হারিয়ে দলটির নেতারা এখন আবোলতাবোল বলছেন।’
বিএনপিকে নেতাবিহীন দল উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তারেক রহমানের লন্ডনে রাজকীয় জীবনের টাকা কোথা থেকে আসে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, আব্দুল খালিক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনোরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:সরকার টাকা ছাপিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে কেন্দ্রঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আজ দুবেলা খেতে পারছে না। অথচ আওয়ামী লীগ শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এখন টাকা ছাপিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে। গত দুই মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে। এটা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ হলেই আওয়ামী লীগও রাস্তায় নেমে বলে জনগণের সম্পদ পাহাড়া দেয়। তারা জনগণের সম্পদ পাহাড়া দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজটা কোথায়?’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে অবৈধভাবে সরকার টিকে থাকতে চেষ্টা করছে। ভোট চুরি করতে সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করছে, পুকুর চুরি করছে, ব্যাংক চুরি করছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের মামলা, হামলা ও হত্যা করেও কেউ থামাতে পারে নাই, পারবে না। আমরা রক্ত দিতে শিখেছি। বাংলাদেশ যাবে কোনপথে, ফয়সাল হবে রাজপথে।’
সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখে।
বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সংসদকে ছোট করার জন্য বিএনপি হিরো আলমকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায় রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এতো দরদ উথলে উঠলো তার। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।’
বিএনপির চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পথ হারিয়ে বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হয়েছে। তাদের মিছিলের প্রস্থ বড়, দৈর্ঘ্য কমে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়েছে।’
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তান আমল তো ভালো ছিল, এখন পাকিস্তানের কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাস আমদানির রিজার্ভ আছে। পাকিস্তানে ৩ সপ্তাহের রিজার্ভও নেই।
‘ক্ষুধায় পুরো পাকিস্তান আজ কাঁপছে। সেই পাকিস্তান আপনার ভালো লাগে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপনারা যদি ক্ষমতায় যান বাংলাদেশ আজকের পাকিস্তান হবে।’ ফখরুল সাহেবরা বাংলাদেশকে পেয়ারের পাকিস্তান বানাতে চাইলেও আওয়ামী লীগ তা হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম শিপুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের কলোনী বাজার থেকে শনিবার দুপুর সোয়া ২ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিপলু বগুড়া জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি।
হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন-বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ ও দৈনিক বগুড়ার পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম।
পুলিশের ভাষ্য, বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সংবাদ করায় ওই দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শনিবার মামলা করা হয়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হামলার সময় সাংবাদিককর হিরো আলমের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার সংবাদ লিখছিলেন।
মন্তব্য