× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
11 Jamaat women arrested from secret meeting
google_news print-icon

জামায়াতের ১১ নারী আটক

জামায়াতের-১১-নারী-আটক
আটক নারীদের বয়স ৪০ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে। ছবি: নিউজবাংলা
হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. সফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নাশকতার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন নারীরা।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গোপনে বৈঠক করার সময় জামায়াতের ১১ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে কাতার-কানাডা টাওয়ারের ১১ তলায় অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সালামের বাসা থেকে ওই নারীদের আটক করা হয়।

তারা হলেন নাছরিন খানম, আঞ্জুমানারা লাকি, শাহানারা বেগম, ফাতেমা, হাছিনা, সালমা আহম্মদ, জেসমিন আক্তার, নেহারা বেগম, শিরিনা বেগম, মাসুদা বেগম, সেলিনা আক্তার। তাদের বয়স ৪০ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে।

আটক নারীদের সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের আদালতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি জোবায়ের সৈয়দ।

হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম দাবি করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. সফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নাশকতার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন নারীরা। তাদের আটকের সময় জামায়াতের মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ বই, দাওয়াত কার্ডসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় থানার এসআই মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১৫ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। তারা সবাই চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান
জামায়াত-শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা
ছেলেকে জঙ্গি মদত: ৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াত আমির
জামায়াত আমির শফিকুর আটক
‘আমার স্বামীর কী অপরাধ ছিল?’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Pangas swarm in the hilsa fishing nets

ইলিশ ধরার জালে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস

ইলিশ ধরার জালে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস মুন্সীগঞ্জে মৎস্য আড়তে পদ্ম নদীতে ধরা পড়া পাংগাস মাছ বিকিকিনি। ছবি: নিউজবাংলা
জেলে হাসান ছৈয়াল বলেন, ‘ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর বহু আশা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাই। কিন্তু জালে তেমন একটা ইলিশ আসছে না। তার পরিবর্তে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাস। আড়তগুলোতে পাঙ্গাসের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’

নিষেধাজ্ঞা শেষে মুন্সীগঞ্জ-শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে জাল ফেলেও আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না। তার পরিবর্তে জেলের জালে উঠে আসছে পাঙ্গাস। দাম ভালো পাওয়ায় ইলিশ না পাওয়ার আক্ষেপ কমছে। খুশি জেলেরা।

গত শুক্র ও শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, হাসাইল ও দিঘিরপাড় মৎস্য আড়তে চার কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাস বিক্রি করেছেন জেলেরা। আটশ’ থেকে এক হাজার দরে পাইকারদের কাছে পাঙ্গাস বিক্রি করছেন আড়তদাররা।

হাসাইল এলাকার জেলে হাসান ছৈয়াল বলেন, ‘ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর বহু আশা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাই। কিন্তু জালে তেমন একটা ইলিশ আসছে না। তার পরিবর্তে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাস। আড়তগুলোতে পাঙ্গাসের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’

হাসাইল মৎস্য আড়তের আড়তদার বাবু হাওলাদার বলেন, ‘প্রতি বছরের এই সময়ে নদীতে জেলেরা বড় বড় পাঙ্গাস পেয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছর হাসাইল আড়তের এক জেলে এক খ্যাপে সর্বোচ্চ ৮০ পিস পাঙ্গাস পেয়েছিলো। তবে চলতি মৌসুমে পদ্মায় পাংগাস মাছ বেশি হারে ধরা পড়ছে। এ পর্যন্ত এক খ্যাপে ২৫০ পিস পাঙ্গাস পাওয়ার কথা শুনেছি।’

টঙ্গীবাড়ী থেকে পাঙ্গাস কিনতে আসা গনেশ নামের এক ব্যক্তি বললেন, ৯৫০ টাকা দরে ১১ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস কিনলাম। নদীর পাঙ্গাসের স্বাদই আলাদা। তাই ভোরে আড়তে এসেছি পাঙ্গাস কিনতে। পছন্দমতো কিনে নিলাম।’

আরও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা শেষে জালে ইলিশ মিলছে না অথচ বাজার সয়লাব
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠল
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু, নদীতে চলছে অভিযান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation of misappropriation of allocated money Kishoreganj agriculture officer transferred 

বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: কিশোরগঞ্জের সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি 

বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: কিশোরগঞ্জের সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি  বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিশোরগঞ্জে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো: ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।

প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার বাস্তবায়ন না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম ফাহিমা আক্তার, যিনি ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে সদর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।

এর আগে একই উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পদে ছিলেন তিনি।

এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ‘কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। তাকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় বেশির ভাগ প্রদর্শনীতে মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশও কৃষক পাননি।

ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগ, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ছয়টি প্রকল্প থেকে (ফ্রিপ প্রকল্প, ময়মনসিংহ প্রকল্প, পার্টনার, অনাবাদি, রাজস্ব প্রকল্প ও মাশরুম উৎপাদন প্রদর্শনী) কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন ফাহিমা।

আরও পড়ুন:
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান জামায়াতের মতিউর
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 
নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিমের বাড়িতে যাচ্ছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা
ইটনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Muntahars body was recovered a week after she went missing Three people including the house tutor were arrested

শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, হাউস টিউটরসহ তিনজন আটক

শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, হাউস টিউটরসহ তিনজন আটক শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন। ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম থেকে
গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। এসে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায় সে, কিন্তু বিকেল হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর রোববার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভোররাত চারটার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।

এর আগে গত ৩ নভম্বের দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এ শিশু। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

এ ঘটনায় মুনতাহার হাউস টিউটর ও টিউটরের মা ও মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

আটককৃতরা মুনতাহাদের পশের বাসার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আওয়াল বলেন, ‘গত (শনিবার) রাতেই সন্দেহবশত আমরা মুনতাহার হাউস টিউটরকে ধরে নিয়ে আসি। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল।

‘তখন হাউস টিউটরের বাড়ির দিকে নজর রাখার জন্য রাতেই আমরা মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের বলি।’

তিনি বলেন, ‘ভোরের দিকে মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে মুনতাহার মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেন ওই হাউস টিউটরের মা। সাথে সাথে আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং হাউস টিউটরের মা ও তার নাতনিকে ধরে নিয়ে আসি।’

ওসি বলেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাউস টিউটর ও তার মা মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন, তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’

মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, ‘মরদেহ এখন ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।’

এর আগে মুনতাহার পরিবার দাবি করে, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।

‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। এসে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায় সে, কিন্তু বিকেল হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলে পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ, পকেটে চিরকুট
পাহাড়ে কাঠ কাটতে গিয়ে মিলল নারীর খণ্ডিত দেহ
বড়শি দিয়ে উদ্ধারে মিলল বাবা-মেয়ের মরদেহ
সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটককে উদ্ধার
সমুদ্র উপকূলে ভেসে এলো আরও এক মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police search at the entrance of the capital

রাজধানীর প্রবেশমুখে পুলিশি তল্লাশি

রাজধানীর প্রবেশমুখে পুলিশি তল্লাশি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের আমিনবাজারে মফিদ-ই-আম স্কুলের সামনে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। কোলাজ: নিউজবাংলা
সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে  সাভারের আমিনবাজারে মফিদ-ই-আম স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক পুলিশ সদস্য পয়েন্টটিতে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও চেকপোস্ট এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

রাজধানীর প্রবেশমুখে সাভারে রোববার চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের কার্যক্রম চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কোনো রাজনৈতিক দলের বিশেষ কোনো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে এবং নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের এই কার্যক্রম চলছে।

সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের আমিনবাজারে মফিদ-ই-আম স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক পুলিশ সদস্য পয়েন্টটিতে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও চেকপোস্ট এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

ওই সময় চেকপোস্টে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে সন্দেহজনক মনে হলে প্রাইভেট কার এবং সাদা মাইক্রোবাসগুলোকে থামিয়ে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের গন্তব্য ও পরিচয় জানতে চান পুলিশ সদস্যরা। যদিও চেকপোস্ট থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর অন্যান্য প্রবেশমুখ সাভারের বিরুলিয়া ও আশুলিয়ার বাইপাইল ও নবীনগর এলাকায় চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছিল।

আমিনবাজার চেকপোস্টে উপস্থিত সাভার মডেল থানার পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এই চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মূলত মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ আমাদের এই কার্যক্রম।’

আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে সামনে রেখে এই চেকপোস্ট বা তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না।

‘মূলত গতকাল (শনিবার) রাত থেকেই ঢাকার এই প্রবেশপথটিতে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা আজও চলমান।’

আরও পড়ুন:
সরকার পতনের রাতে নিখোঁজ ছেলেকে পেল পরিবার
সাভারে কক্ষে আটকে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তরুণীকে ডেকে নিয়ে হত্যা, কথিত প্রেমিক আটক 
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের, ভোগান্তি চরমে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue claimed another 8 lives in one day in hospital 1134

ডেঙ্গু এক দিনে কেড়ে নিল আরও ৮ প্রাণ, হাসপাতালে ১১৩৪

ডেঙ্গু এক দিনে কেড়ে নিল আরও ৮ প্রাণ, হাসপাতালে ১১৩৪ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা। প্রতীকী ছবি
শনিবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৫০।

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশে মোট ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩১, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৪৩ ও দক্ষিণ সিটিতে ১৪৫, খুলনা বিভাগে ১১০, রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১, সিলেট বিভাগে ২ এবং রংপুর বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৯৮০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৬ হাজার ২৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭১ হাজার ৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই রোগে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৫০ জনের।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে চলতি বছরের দশ মাসে ৩০০ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও সাত মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৩
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩১২
দেশে ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭
আরও ছয়জনসহ ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৭

মন্তব্য

বাংলাদেশ
This coup was not just for elections Sargis in Sylhet

শুধু নির্বাচনের জন্য এই অভ্যুত্থান হয়নি: সিলেটে সারজিস

শুধু নির্বাচনের জন্য এই অভ্যুত্থান হয়নি: সিলেটে সারজিস আন্দোলনে সিলেট বিভাগে শহিদ ১৮ জনের পরিবারকে শনিবার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি: নিউজবাংলা
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া হবে এমনটি নয়। আবার আগামী ৫-৬ বছর লাগবে সংস্কার করতে- বিষয়টি এমনও নয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।’

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেননি, এই অভ্যুত্থানও হয়নি। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য বিগত ১৬ বছর ধরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল মানুষের।’

শনিবার দুপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিলেট বিভাগে শহিদ ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন নাড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলেই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া হবে এমনটি নয়। আবার আগামী ৫-৬ বছর লাগবে সংস্কার করতে- বিষয়টি এমনও নয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।

‘১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। সর্বোপরি বিগত ১৬ বছরসহ দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্যও দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’ উপহার দিতে পারেনি। তাই সংবিধানেরও সংস্কার প্রয়োজন।’

এই অন্যতম সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না।

‘আর শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। এর সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরও সংস্কার করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন।

‘হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর বসে আছে। তারা যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যারা যোগ্য তাদেরকে এসব জায়গার বসাতে হবে।’

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই এসব শহিদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াই। শহিদদের পরিবার এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে আমরা সবাই সহযোগিতা করি। আর জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সবসময় তাদের পাশে আছে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এসব পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এসময় সংগঠনটির আরও আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১৮টি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়।

ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ জানান, সারা দেশের এক হাজার ছয় শ’ জনের বেশি শহিদ পরিবারের তালিকা তাদের কাছে এসেছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে।

ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দল প্রতি বিভাগে গিয়ে শহিদদের পরিবারের কাছে চেক প্রদান করছে। তালিকায় আরও যেসব শহিদ রয়েছেন তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলোও যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে সেসব পরিবারকেও অনুদান দেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের পদধারী হলেই গণ হারে গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়: সারজিস
অপরাধের জন্য শুধু বদলিই পুলিশের শাস্তি হতে পারে না: সারজিস
সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বহিষ্কার: সারজিস
শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে হবে: সারজিস
এক ফ্যাসিস্টকে দেশছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দিতে নয়: সারজিস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Spokesperson Humayun Kabir said irregularities were detected while integrating one crore handwritten cards of TCB with NID It has been seen that he took the card once in Dhaka with the same NID and may have done another card at home in his village In this situation while verifying with NID 43 lakh cards were left out

অনিয়মের দায়ে টিসিবি’র ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল

অনিয়মের দায়ে টিসিবি’র ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল ফাইল ছবি।
মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘টিসিবির এক কোটি হাতে লেখা কার্ড এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করতে গিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটি কার্ড করেছে। এ অবস্থায় এনআইডি দিয়ে যাচাই করতে গিয়ে ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।’

অনিয়মের কারণে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-(টিসিবি) এর ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। হাতে লেখা কার্ডগুলোকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে রূপান্তর করতে গিয়ে এনআইডি যাচাইকালে এসব কার্ড বাদ পড়ে যায়।

তবে নানা জটিলতায় টিসিবির সব কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তাই এখনও আগের হাতের লেখা কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে হচ্ছে।

রাজধানীর তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।

মুখপাত্র বলেন, ‘টিসিবির এক কোটি হাতে লেখা কার্ড এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করতে গিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটি কার্ড করেছে। ফলে যখন আমরা এনআইডি দিয়ে যাচাই করতে গেলাম তখন ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।’

তিনি জানান, ‘এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রনিধিরা না থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে কি না তা-ও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।

হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সেজন্য আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে।

‘বাকি কার্ডগুলো করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চার দফা চিঠি দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো না পাওয়ার কারণে বাকি কার্ডগুলো আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।’

তিনি জানান, রমজানে টিসিবির পাঁচটি পণ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল বিক্রি করা হবে। আর সিটি করপোরেশনের বাইরে খেজুর বাদে চারটি পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। প্রতি ট্রাকে ৩৫০ জনের উপযোগী পণ্য দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য: জানুয়ারির বিক্রি শুরু
রাজধানীতে সবার জন্য খোলা ট্রাকে আলু-পেঁয়াজ মঙ্গলবার থেকে
কুড়িগ্রামে টিসিবির কার্ড নবায়নের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ
টিসিবির চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ
কোটি পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার

মন্তব্য

p
উপরে