রাজধানীর চকবাজারের ইমামগঞ্জ এলাকায় একটি হার্ডওয়্যার মার্কেটে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন শনিবার মধ্যরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটের চেষ্টায় শনিবার রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকবাজারের ইমামগঞ্জ এলাকায় একটি হার্ডওয়্যার মার্কেটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে লালবাগ, পলাশী ও সদরঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ১০টা ৪৪ মিনিটে আগুনের খবর পাই। এর ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আমাদের ১০টি ইউনিট ভবনটির চারপাশ থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এটি হার্ডওয়্যার সামগ্রীর একটি মার্কেট, তাই আগুন নেভাতে সময় লাগে।’
বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকার বায়ুর মানের আরও অবনতি হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে শনিবার সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে বাতাসের মানে ১০০টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
ওই র্যাঙ্কিংয়ে শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাতাসের মানে শহরগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাতাসের মানে শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১১তম।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি। গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে সেটি ছিল ২১ দশমিক ২ গুণ বেশি।
র্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শীর্ষে ছিল আফগানিস্তানের কাবুল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের মুম্বাই ও পাকিস্তানের করাচি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯২। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
আগের দুই দিন কাছাকাছি সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৭৬ ও ১৬৩।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দু দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম শুক্রবার রাজধানীতে এনবিআর সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বলে বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের রাজস্ব ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়নে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এই সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তিনি একই দিনে এনবিআর নতুন ভবনও উদ্বোধন করবেন।
মুনীম বলেন, সম্মেলনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), কাস্টমস ও আয় করের ওপর মোট তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকালে এ সব বিষয়ে পৃথক তথ্য কেন্দ্র থাকবে। জনগণ এসব কেন্দ্র থেকে ভ্যাট, কাস্টমস ও আয় কর সম্পর্কে আরও বেশি কিছু জানতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, পযার্য়ক্রমে কর রেয়াত হ্রাস পেলে জিডিপিতে করের হার বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, কর রেয়াত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করেছে। গত দুই দশকে এই সুবিধা থেকে আমরা সুফল পেয়েছি।
তিনি জানান, আমাদের জিডিপি এখন ৪৭০ বিলিয়ন ডলার। সরকার কৃষি, বাণিজ্য এবং আরও অন্যান্য খাতসহ বিভিন্ন খাতে কর রেয়াত দিয়েছে। সরকার যে সকল সেক্টরে প্রয়োজন, সেগুলোতে কর রেয়াত দিবে।
এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) আরোপিত শর্ত অনুযায়ি রাজস্ব বৃদ্ধিতে এনবিআর সঠিক পথেই রয়েছে। তিনি বলেন, কর পুন:নির্ধারন একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাজেট প্রণয়নকালে এটি প্রতি বছর করা হয়।
আরও পড়ুন:উদ্বোধনের পর প্রথম ছুটির দিনেই জমে উঠেছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা।
উদ্বোধনের তৃতীয় দিনেই এত মানুষের উপস্থিতিকে অবিশ্বাস্য বলছেন অনেকেই। বিকেলে লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় ঢুকতে দেখা যায় বইপ্রেমীদের। সব স্টলেই ছিল বেশ ভিড়।
এবারের মেলায় প্রথম শিশু প্রহর শুরু হয়েছে এদিন সকাল ১১টায়। পরে নির্ধারিত সময়ে প্রবেশ করতে থাকেন বড়রা।
অন্বেষা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাদাত হোসাইন বলেন, প্রথম ছুটির দিনে এত মানুষ আর কখনই হয়নি। অনেক মানুষ এসেছেন, বই দেখছেন, ক্যাটালগ কালেক্ট করছেন, বইও কিনছেন। তবে পাঠকের চেয়ে দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি।
মেলা ঘুরে দেখা যায় জনস্রোত। দেশের নানাপ্রান্থ থেকে পাঠকরা আসতে শুরু করেছেন প্রাণের মেলায়। স্টলগুলোও পুরোদমে শুরু করেছে বই বিক্রি কার্যক্রম।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রন্থ উন্মোচন অংশের সামনে অবস্থিত লিটলম্যাগেও অনেকগুলো স্টলে বই বিক্রির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। যদিও প্রতিবছরই এখানে অনেকটাই দেরিতে বই বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়।
অনিন্দ্য প্রকাশের প্রকাশক মো. আফজাল হোসাইন বলেন, মেলা উদ্বোধনের পর আজ প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন। অনেক অনেক পাঠক আসছেন এবং বই কিনছেন। পরবর্তী দিনগুলোতেও আরো ভালো বই বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তবে আজ মেলার তৃতীয় দিনেও প্রস্তুতির অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। মেলা প্রাঙ্গণে কোনো পানি ছেটানো হয়নি। এখনো স্টলগুলোর মাঝখানে হাঁটার জায়গায় ইট বসানো হয়নি। আর তা বসানো হবেও না বোধহয়।
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এর বিক্রয়কর্মী কিবরিয়া বলেন, উদ্বোধনের মাত্র তৃতীয় দিন আজ। কিন্তু মেলায় প্রচুর মানুষজন আসছেন। অনেকেই বই কিনছেন। তবে পাঠকদের চেয়েও দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা এভাবে পুরো মাস জুড়ে বই বিক্রিতে ব্যস্ত থাকবো বলে প্রত্যাশা করছি।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ চোখ পড়লো অন্যধারা প্রকাশনীর দিকে। সামনে গিয়ে দেখা যায় জনস্রোত। বোঝাই যাচ্ছিল হয়তো কোনো জনপ্রিয় লেখককে ঘিরে এই ভিড়।
স্টলের উপরিভাগের একটি বড় ব্যানারে চোখ পড়তেই দেখা যায়, সাদাত হোসাইনের একটি বিখ্যাত উক্তি ‘’আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর’। স্টলের চারপাশে জনপ্রিয় এই তরুণ লেখককে ঘিরে রেখেছেন প্রায় অর্ধশত পাঠক-দর্শনার্থী।
লেখকের ছদ্মবেশ বইটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মামুনুর রহমান। সাদাত হোসাইনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার বইগুলো অনেক মর্মস্পর্শী। তার বইগুলোর লিখা অনেক গভীর অর্থবোধক। ওনার এমন কোনো বই নেই যা আমি পড়িনি। ওনার লিখায় আমি ডুবে যাই।’
বাংলা একাডেমির জানিয়েছ, বইমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শক, ক্রেতা ও পাঠকেরা রাত সাড়ে আটটার পর মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবেন না। সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন:করোনাকালে বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে এখনও বিদেশে টেবিলে টেবিলে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে এখনও বিদেশে টেবিলে টেবিলে আলোচনা হয়। আমি যেখানেই যাই সেখানেই এই আলোচনা শুনি। তারা আমার কাছে জানতে চায়, বাংলাদেশ কিভাবে এতো সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে এগিয়ে গেল।’
তিনি বলেন, ‘করোনা পৃথিবীর সব দেশেই আসলো। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মহান চিন্তা, সিদ্ধান্ত, পাশে থাকা সব মিলিয়েই আমরা এই অঞ্চলে করোনা মোকাবিলায় সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। সারা পৃথিবীর হিসাব যদি করা হয়, তাহলে আমরা পাঁচ নম্বরে৷
‘আগের চারটি দেশের কোনোটিরই দেশের জনসংখ্যা এক কোটির বেশি হবে না। আমরা খুবই সাফল্যের সঙ্গে এটা করতে পেরেছি। এখন বিদেশিরা এটা নিয়ে আমাদের খুব বাহবা দিচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আমি সবখানেই এসব শুনি।’
টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন, যাতে দেশের মানুষ একটু ভালো থাকে। কথা অনেক বলা যাবে, সমালোচনা করলে অনেক করা যাবে। কিন্তু দৃশ্যমান যে সাফল্য সেটাকে স্বীকার করতে হবে।
‘দৃশ্যমান হলো বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। যদি এটা নাই হতো তাহলে ২০২৬ সালে যে আমাদের গ্র্যাজুয়েশন হবে, আমাদের উন্নয়ন হবে, আমরা একটা অবস্থান থেকে উত্তরণে যাবো, সেটা তো আর এমনি এমনিই জাতিসংঘ করছে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে পড়াশোনা করে অনেক ছাত্রই বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। আপনাদের কাছে একটি কথা, আমাদের মধ্যে দ্বিমত থাকতে পারে, বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু দেশটা তো আমাদের সবার। দেশের উন্নয়নে, ভালোর জন্য সবাইকেই এক সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
‘আমাদের সময় এখন শেষ, আর বেশিদিন টিকবো বলে মনে হয় না। এখন এই দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে। দেশটাকের আরও এগিয়ে নিতে আপনাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাসিদুল ইসলাম পল্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এ সময় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকসহ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নদীপথে প্রতি মাসেই হেরোইন আনা হয় জানিয়ে র্যাব বলেছে, চক্রের নারী সদস্যদের মাধ্যমে সেসব মাদক পৌঁছানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও নওগাঁয় বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানায় বাহিনীটি।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শাকিবুর রহমান, তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও শাকিবের সহযোগী রাজিয়া খাতুন।
র্যাব জানায়, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে প্রতিনিয়ত ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম করে মাদক সরবরাহ করত চক্রটি। প্রতিটি চালান পরিবহনের জন্য বহনকারীকে দেয়া হতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। মাদকের চালান বেশি থাকলে শাকিব নিজেই মোটরসাইকেলে তা পৌঁছে দিতেন। সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হেরোইন বিক্রির টাকা লেনদেন করা হতো।
সংবাদ সম্মেলনে কী জানানো হলো
তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব, যাতে বক্তব্য দেন বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১২-এর অভিযানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে প্রায় তিন কেজি হেরোইনসহ শাকিবুর ও রাজিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁয় শাকিবের বাসা থেকে ২ কেজির বেশি হেরোইনসহ তার স্ত্রী সেলিনাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, শাকিব এই চক্রের অন্যতম হোতা। ইতোপূর্বে তিনি চুরিতে জড়িত থাকলেও প্রায় ২ বছর ধরে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন।
তিনি জানান, শাকিব সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের বাড়িতে সংরক্ষণ করতেন। পরবর্তী সময়ে মাদকদ্রব্যটি চাহিদা অনুযায়ী বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, শাকিবের স্ত্রী সেলিনা স্বামীর মাদক কারবারের সহযোগী। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আনা হেরোইনের চালান প্রথমে শাকিব নিজ বাড়িতে তার স্ত্রীর কাছে রাখতেন। বিভিন্ন সময় আস্থাভাজন মাদক কারবারিরা বাড়িতে গেলে সেলিনা তাদের হেরোইন সরবরাহ করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শাকিবের মাদক চক্রের অন্যতম সহযোগী হিসেবে প্রায় ১ বছর ধরে কাজ করে আসছেন গ্রেপ্তার রাজিয়া, যিনি রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন সরবরাহ করতেন। এ ছাড়া কয়েকবার শাকিবের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন স্থানে হেরোইন সরবরাহও করেছেন তিনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গাজীপুর ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে হেরোইন সরবরাহের জন্য নওগাঁ থেকে শাকিবের সঙ্গে রওনা হন রাজিয়া। পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় তাদের আটক করে র্যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের কমান্ডার বলেন, এর আগে শাকিবের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরির অভিযোগ থাকলেও এবারই প্রথম তিনি মাদকসহ আটক হয়েছেন। তিনিসহ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে দেশের বাইরে মাদক পাঠানোর তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত শাকিবের চক্রে ১০ থেকে ১২ জন জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের অধিকাংশই নারী।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে সারাহ ইসলাম ও নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহদান নিয়ে আলোচনার মধ্যে জামাল উদ্দিন নামের আরেকজনের অঙ্গদানের খবর পাওয়া গেল, যিনি থাকতেন মিরপুরে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ৬২ বছর বয়সে প্রাণ হারানো জামালের দুটি কর্নিয়া সংগ্রহ করে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহিন জামাল বলেন, তার বাবা রোটারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। ডায়াবেটিসজনিত নানা জটিল রোগে ভুগে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জাহিন আরও জানান, এক মাস আগে অসুস্থ অবস্থায় পরিবারকে মরণোত্তর দেহদানের কথা জানিয়েছিলেন তার বাবা। তার দুটি কর্নিয়া কারা পাবেন, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জামালের কর্নিয়া সংগ্রহের আগের দিন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন।
বিএসএমএমইউর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নন্দিতা বড়ুয়ার মৃত্যু হয় ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনিজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। কিডনি রোগের পাশাপাশি এসএলই ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। মরণোত্তর দেহদানের বিষয়ে সন্তানদের বলে গিয়েছিলেন তিনি।
গত ৩১ জানুয়ারি আবদুল আজিজের চোখে বিএসএমএমইউর চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শীষ রহমান নন্দিতার একটি কর্নিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। একই দিনে প্রতিষ্ঠানের অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজশ্রী দাস আরেকটি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেন জান্নাতুল ফেরদৌসির চোখে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মরণোত্তর অঙ্গদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সারাহ ইসলাম।
তার দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুই নারীর শরীরে। আর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় আরও দুজনের চোখে।
আরও পড়ুন:বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা এক দিন পর ফের শীর্ষ দশে ঢুকেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাতাসের মানে ১০০টি শহরের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ২ গুণ বেশি।
আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাতাসের মানে শহরগুলোর মধ্যে ১১তম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
র্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে শীর্ষে ছিল পাকিস্তানের করাচি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের মুম্বাই।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকালের নির্দিষ্ট ওই সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৭৬, আগের দিন যেটা ছিল ১৬৩। এর মানে হলো ওই সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
র্যাঙ্কিংয়ে বুধবার সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে দূষিত বাতাসে ১০০টি শহরের মধ্যে দশম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। স্কোর ছিল ১৬৮।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য