মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে ১৮০০ কেজির বেশি সামুদ্রিক বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে শুক্রবার এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন সাড়ে ৪ শ’র বেশি মানুষ।
এই সামুদ্রিক বর্জ্যের বেশিরভাগই ছিল খাদ্যের প্ল্যাস্টিক মোড়ক, প্ল্যাস্টিক বোতল, বোতলের প্ল্যাস্টিক ঢাকনা, প্ল্যাস্টিক ব্যাগ ইত্যাদি ।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন সেন্ট মার্টিনের স্থানীয়সহ সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২০১১ সাল থেকে কোকা-কোলা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ উদ্যোগে সহায়তা করে আসছে। গত ১২ বছরে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সংখ্যক মানুষ একত্রে ১২ হাজার ৪৫০ কিলোগ্রামের বেশি সামুদ্রিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন।
ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ ও কোকা-কোলার ২০৩০ সালের মধ্যে ‘বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী’ অর্জনের লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিষ্কার করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি গত ১২ বছর ধরে মিলিতভাবে বার্ষিক আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপের আয়োজন করে আসছে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং আমরাই এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক দূষণের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের নানা ধরনের উদ্যোগ আছে, তার মধ্যে এই কোস্টাল ক্লিনআপ অন্যতম।
তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসা প্রত্যেকেরই এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষ আরও সচেতন হয়ে উঠবে এবং আমরা একটি বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী অর্জন করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মো. মজিবর রাহমান বলেন, আমরা জানি, সেন্ট মার্টিন দেশের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। এর কারণে দ্বীপে প্রচুর বর্জ্য জমা হয়। এই সমস্যা হ্রাসের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন, কিন্তু এর পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) এ. কে. এম. আফতাব হোসেন প্রামাণিককে পদোন্নতি দিয়ে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি বা সংগঠন এই ওয়েবসাইটে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাব দিতে পারবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ওয়েবসাইটটি আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চালু হয়েছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা- crc.legislativediv.gov.bd
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়েবসাইটে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি বা সংগঠন পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাব জানাতে পারবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেকেও মতামত দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমিশন পরিচিতি, নোটিশ বোর্ডে এই কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্য, অংশীজনের প্রস্তাব, কমিশনের প্রতিবেদন, যোগাযোগের ঠিকানা ও গুরুত্বপূর্ণ লিংক পাওয়া যাবে।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে নয়টি নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে কিছু অফিসের কর্মকাণ্ডের সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা অনভিপ্রেত।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন সংযুক্ত দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর জন্য দেয়া নয়টি বা আরও কিছু বিষয় সংযোজিত করে সচিবদের একটি নির্দেশনা জারির জন্য বলা হয়েছে চিঠিতে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১। নিজ অধিক্ষেত্রের যে কোনো অনুষ্ঠানে যোগদানের চূড়ান্ত আমন্ত্রণ গ্রহণের আগে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে নিবিড়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে আমন্ত্রণ চূড়ান্ত করা।
২। বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্য অতিথিদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে সে অনুষ্ঠান পরিহার করা।
৩। আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/লিফলেট/পতাকা/অন্য যে কোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে কোনো আপত্তিকর/বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা।
৪। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা গ্রহণ।
৫। নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/চিঠি/পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন/সাজ-সজ্জা/ক্রেস্ট/সার্টিফিকেট/ট্রফি/মেডেল/স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা। এসব ডকুমেন্ট বা স্মারকে যেন কোনো প্রকার আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান বা বক্তব্য না থাকে তা নিশ্চিত করা।
৬। সরকার থেকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যেসব দিবস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব দিবস যেন পালিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
৭। সরকার থেকে বাতিল ঘোষিত দিবসগুলোর পূর্ববর্তী বছরগুলোর সব স্মারক/ক্রেস্ট/ছবি/স্যুভেনির ইত্যাদি সব অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮। আনুষ্ঠানিক (ফর্মাল) প্রতিটি সভা/অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করে পাঠ করা। লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা/স্লোগান/জয়ধ্বনি/বাক্য বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা।
৯। যে কোনো প্রকারের গুজব থেকে নিজে ও নিজ অধিক্ষেত্রের সব সহকর্মীকে দূরে রাখা।
সরকারের এসব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সচিব তার আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা বা অফিসের সবাইকে অবহিত করতে উপানুষ্ঠানিক চিঠি দেবেন, যেন সব পর্যায়ের সরকারি কর্মচারী বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
আরও পড়ুন:জনপ্রশাসন সংস্কারে করণীয় নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের মতামত জানতে চেয়েছে কমিশন। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইন মাধ্যম এবং সরাসরি নাগরিকরা তাদের মতামত জানানো বা পরামর্শ দিতে পারবেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে নাগরিকদের মতামত সংগ্রহের জন্য মঙ্গলবার প্রশ্নমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopa.gov.bd) প্রকাশ করা হয়।
বলা হয়েছে, জনমুখী, দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুপারিশ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গত ১ অক্টোবর আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কমিশন ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, এই উদ্দেশ্যে কমিশন কতগুলো অগ্রাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের অভিপ্রায় ও অভিমত জানার জন্য প্রশ্নমালার ওপর জনমত সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা সহজ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালার ওপর শুধুমাত্র টিকচিহ্ন দিয়ে মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
নাগরিকরা অনলাইন বা অফলাইনে সুচিন্তিত মতামত আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে পারেন। এই মতামত অধিকতর কার্যকর জনপ্রশাসন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রশ্নমালার মধ্যে ১৩টি প্রশ্ন এবং আলাদা করে সর্বোচ্চ তিনটি পরামর্শ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে তিনটি উত্তর রয়েছে। মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে যে কোনো একটি উত্তর বেছে নেয়া যাবে।
জনমত সংগ্রহের জন্য প্রশ্নমালার মধ্যে রয়েছে-
১। বাংলাদেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থাকে সাধারণভাবে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
২। নিরপেক্ষতার বিচারে বিগত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনের যে বৈশিষ্ট্য ছিল তাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
৩। আপনি কি মনে করেন যে, দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থা সংস্কার করা প্রয়োজন?
৪। আপনার মতে জনপ্রশাসন ব্যবস্থা সংস্কারে কোন বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ?
৫। জনপ্রশাসন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা কী বলে আপনি মনে করেন?
৬। জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কেমন?
৭। সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আচরণ সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
৮। সরকারি দপ্তরগুলোতে বিভিন্ন সেবা পেতে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
৯। বিদ্যমান উপজেলা পদ্ধতি থেকে জনগণ কীভাবে অধিকতর উপকৃত হতে পারে?
১০। আপনি কি মনে করেন যে স্থানীয় সরকার হিসেবে বিদ্যমান জেলা পরিষদ একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান?
১১। আপনি কি মনে করেন যে দেশে একাধিক প্রদেশ গঠন করা হলে রাজধানী ঢাকার ওপর চাপ কমতে পারে?
১২। আপনার মতে জনপ্রশাসনে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য কী করা উচিত?
১৩। জনপ্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার জন্য কী কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
আরও পড়ুন:তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার পতনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলীগ জামাতের এক পক্ষের নেতারা। একইসঙ্গে তারা দেশে কওমি মাদরাসা, তাবলিগ জামাত ও ইসলামকে রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে তারা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রাজধানীর শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আলেমদের বিরুদ্ধে সব ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নয় দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শেষ হয়েছে।
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে এই সম্মেলন থেকে আলেমরা সরকারের কাছে নয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্বঘোষিত আমির সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সেটি হতে দেবো না। তাদের সব ষড়যন্ত্র যে কোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেবো।’
মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর মধুপুর) বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। আমি বলবো কিসের পরামর্শ, এই সম্মেলন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সরকারকে এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। ভিন্ন কোনো চিন্তা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো। সরকারকেও আলেমদের সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো পূর্ববর্তী সরকারের মতোই তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে।’
সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত চলে। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আলেমসহ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি ঘটে।
সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শত শত আলেমও সম্মেলনে যোগ দিলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, যা সকাল থেকে শুরু হয়।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হাটহাজারীর খলিল আহমদ কাসেমী, মধুপুরের আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শেখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করিম ও মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একজন সংগীতশিল্পীকে (৫০) অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান সোমবার তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
রাজধানীর শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ও এসআই আবুল কালাম মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে মোল্লা জালালকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে সোমবার দুপুরে মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:৩০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় হরিপুরের সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ৭ নম্বর গ্যাসকূপ। তারপর চলতি বছর এ কূপে পুনর্খনন করে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর এবার জাতীয় গ্রিড লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালন শুরু হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সোমবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয় এ কূপের গ্যাস। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এবার আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়ল।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮৬ সালে এই কূপ খনন করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে ২ হাজার মিটার গভীরে তেল পাওয়া যায়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উৎপন্ন করা হয়। এরপর ২০০৪ সালে ওয়ার্ক ওভার করে ১৯০০ মিটার গভীরে গ্যাস মেলে। গত জুন মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
‘জুলাইয়ে ফের ওয়ার্ক ওভারে গেলে ১২০০ মিটার গভীরে ৯০ থেকে ৯৫ বিলিয়ন কিউসেক ঘনফুট গ্যাসের মজুত পাওয়া যায়। এ গ্যাস আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে।’
মন্তব্য