মানবতার কথা বলে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশকে ধ্বংস করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আজকে আবারও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মানবতার কথা বলে তারা দেশকে ধ্বংস করতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন-সন্ত্রাসী করলে তাদেরকে কোনক্রমেই ছাড় দেয়া হবে না।
‘বিএনপি স্বাভাবিক রাজনীতি করলে এতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। আর তারা যদি আগুন-সন্ত্রাসী করে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
মহান মুক্তিযোদ্ধের কথা উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশকে মুক্ত ও স্বাধীন করার লক্ষ্যে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সমগ্র বাঙালি জাতি। ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা।
‘যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে, দেশকে ভালোবাসার মাধ্যমে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। বক্তব্য দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মজুমদার গোপাল প্রমুখ।
এতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে একটি বিজয় র্যালি বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত মানবতাবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এটি পূর্বপরিকল্পিত এবং একটি গভীর মাষ্টারপ্ল্যানেরই অংশ।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আজ দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত আসলে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রে দেয়া বক্তব্যেরই বাস্তবায়ন। ফ্যাসিবাদী শাসনে আইনমন্ত্রী যে শেখ হাসিনার বিশ্ব দোসর হবেন এটাই স্বাভাবিক।’
রিজভী বলেন, ‘দেশে এখন চলছে জয়বাংলার আইন। এই আইনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। অপপ্রচার চালানোর পরেও খালেদা জিয়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং তাঁর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদায় চিড় ধরাতে না পেরে শেখ হাসিনা আক্রোশের নানামুখী প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। আর এজন্য তিনি খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রেখেছেন এবং এখন তাঁর উন্নত চিকিৎসায় বাধা দিয়ে দুনিয়া থেকে সরানোর নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন।’
বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মামলা দেয়া হচ্ছে উল্লেখে করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ৩৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ হাজার ১০০ জন, মোট আসামি ১৩ হাজার ৩৬০ জন। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত হন ১ হাজার ৬৫০ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের যৌথসভা শেষে রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
ভয়েস অফ আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার বিষয়ে প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশ মেনে তাকে চিকিৎসা করাতে হবে।’
এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চলতি অক্টোবর মাসে রাজধানী ঢাকায় তিনটি এবং ঢাকার বাইরে দুটিসহ মোট পাঁচটি সমাবেশ করবে বলে জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের জানান, পাঁচটির মধ্যে একটি জনসমাবেশ এবং বাকি চারটি হবে সুধী সমাবেশ। ৩ অক্টোবর সাভারের আমিনবাজারের মহাসমাবেশটি হবে এ মাসের একমাত্র জনসমাবেশ ।
আর বাকি ৪টি সুধী সমাবেশ হবে- ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মাসেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন, মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবৈধ দল হলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথার সীমারেখা মানা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতিতে কঠিন এক চ্যালেঞ্জে আছি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই যৌথ সভার আয়োজন। বিএনপিকে প্রতিপক্ষ নয়, শত্রুপক্ষ মনে করতে হবে।’
রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আলটিমেটামেও বিএনপি ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপি বিভিন্ন সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপির অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।’
রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত বলেও পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এক এগারোর মতো অস্বাভাবিক সরকার তৈরি করার সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি, তাদের একমাত্র টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটানো।
আগামী ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের জন্য অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা নিয়ে এসেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগের দেয়া সংবর্ধনার প্রস্তাব এ সময় তিনি ফিরিয়ে দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে, যাতে নির্বাচনে এর ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে এখন অনেক অপপ্রচার হয়, যেটাকে মিসইনফরমেশন বা ডিজইনফরমেশন বলে। অনেক কিছু বানিয়েও প্রচার করা হতে পারে। সেগুলো আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবো, যাতে নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বলে উল্লেখ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য তখনই হবে, যদি দায়িত্ব পালন করে মানুষকে দেখানো যায়। বাজারে পারসেপশন আছে- আমাদের ওপর আস্থা নেই, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না।
‘আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই, আমাদের অধীন যে নির্বাচন হবে সেটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে দেখাতে চাই।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক ও সমালোচনা হতে পারে। অতীতেও হয়েছে। ৫০, ৬০, ৭০ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলেও বিতর্ক পাওয়া যাবে। এমনকি ব্রিটিশ আমলের নির্বাচন নিয়েও কিছু কিছু বিতর্ক হয়েছে। তখন হয়তো মাত্রাটা কম ছিল।’
ইউএনওদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হবে, সেটি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করব। জানার চেষ্টা করব আপনারা কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা তথ্য নেব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালনা হবে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ হতে হবে।
‘আরেকটি বিষয়, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে। তা না হলে সেই দায় আপনাদের ওপর বর্তাবে। পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নেবেন এবং জনগণকেও উদ্বুদ্ধ করবেন, তারা যেন কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ আছে। অনেকে আবার এজেন্ট না দিয়েও অভিযোগ করেন। কাজেই প্রতিটি দল থেকে এজেন্ট দিয়েছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্ট শক্তিশালী হলে কারচুপির আশঙ্কা অনেক কমে যাবে।’
দু’দিনের আবাসিক এই কর্মশালায় ৫০ জন ইউএনও এবং ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মশালায় ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর, ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন সেখানে কোনো পেশি শক্তি টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার বিকেলে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় উপজেলার শহীদ মিনার চত্ত্বরে আয়োজিত ১৪ দলের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তি কত রকমের সবক দিচ্ছে, নিজেদের দেশে কী করছেন তার খবর নেই। আমাদের সবক দিয়ে লাভ নেই। যেখানে শেখ হাসিনা আছেন সেখানে কোনো পেশি শক্তি টিকবে না।’
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা এই বাংলার অপরাজেয় শক্তি। তাকে কোনো অপশক্তি দমাতে পারবে না। ১৪ দলের সকলে মিলে দেশবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করবে।’
জনসভায় অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপিফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাসদ সভাপতি রেজাউর রশীদ, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাইয়ের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সাড়া না দেয়াকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন বেগম জিয়ার এ আইনজীবী।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আজকের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্ঠভাবে বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’
এর আগে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী জানান, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না।
এ বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। কিন্তু আমরা দেখলাম, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ সিদ্ধান্তকে ‘জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন, যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, সেটা সুবিবেচনা করা হবে। তার এই পাবলিক স্টেটমেন্টের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনটি আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সচিবালয়ের রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে চাইলে তার কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশটি তুলে নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে আইনি মতামতের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার ভাইয়ের যে শেষ দরখাস্তটা, সেটা হচ্ছে যে, তাকে পারমানেন্টলি মুক্তি দেয়ার জন্য এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য অনুমতি দেয়া। সেটা আইনি মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা আইনি মতামত দিয়ে সেটা কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনাদের প্রশ্ন আমরা কী আইনি মতামত দিয়েছি।
‘প্রথম কথা হচ্ছে যে, প্রথম যে দরখাস্তটা ছিল, যেটা ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিষ্পত্তি হয়, সেই দরখাস্তে ছিল যে, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা যেন হয়, সেটার ব্যবস্থা করা এবং তখন সেই দরখাস্তের ওপর আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সেই দরখাস্তের ওপর যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তটা হচ্ছে যে দুটো শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। এটা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর উপধারা ১-এর ক্ষমতাবলে এবং সেখানে দুটো শর্ত দেয়া হয়েছিল। সেই দুটো শর্ত হচ্ছে যে, প্রথম তিনি বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন। দ্বিতীয়, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না এবং সেই শর্তগুলো মেনে কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় ফিরে যান এবং এইভাবেই আপনার সেই দরখাস্তটা নিষ্পত্তি করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘নিষ্পত্তি করার পরে শুধু দরখাস্ততে এইটুকু জিনিস উন্মুক্ত ছিল। সেটা হচ্ছে তাকে দেয়া হয়েছিল ছয় মাসের জন্য এবং প্রত্যেক ছয় মাসে বৃদ্ধি করা যাবে কি না, সেই ব্যাপারে ছিল এবং প্রত্যেক ছয় মাসে বৃদ্ধি করে সেটা আটবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আইনে থাকে না।
‘আমরা ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১, উপধারা ২, উপধারা ৩, উপধারা ৪, উপধারা ৫ এবং সর্বশেষ উপধারা ৬ আমরা ব্যাখ্যা করে আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং সেই মতামত হচ্ছে যে, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটা একটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রান্সজেকশন। এটা আর খোলার কোনো উপায় নাই। ধন্যবাদ।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যেটা আমি আগেও বলেছি, বারবারই বলছি, সেটা হচ্ছে যে, তাকে এখন যেই আদেশবলে তার যে ৪০১ ধারায় যে ছয় মাস দুটি শর্তযুক্তভাবে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং সাজা স্থগিত রেখে সেটা বাতিল করে তারপরে আবার পুনরায় বিবেচনা করার স্কোপ থাকলে সেটা করা হবে।’
শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। পরে মতামত দেয়ার জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলে প্রশাসনিক আদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যে আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছে, সেখানে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়া আছে। তার একটি শর্ত হলো বিদেশে যাওয়া যাবে না। এই শর্তটি তুলে দিলেই খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে আবার দেশে আসতে পারবেন।’
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের বিষয়ে রোববারই আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রোববার কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসার পরে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কাছে ফাইলটা আছে। আমি অফিসে গিয়ে ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দিয়ে শেষ করব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। এই ক্ষেত্রে ভিন্নমত দেয়ার সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা আইনের অবস্থান। আমি মনে করি সেটাই সঠিক।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত করেছেন, তাকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা ওপেন করার কোনো উপায় নাই আইনগতভাবে। সেটা তিনি পরিষ্কারই বলেছেন।’
প্রয়োজনের তাগিদে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে করলে সেটা একটা খারাপ নজির হিসেবে সৃষ্টি হয়। বিদেশে গেলেও আইনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সেই নির্বাহী আদেশ হতে হবে।’
শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। পরে মতামত দেয়ার জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলে প্রশাসনিক আদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যে আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছে, সেখানে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়া আছে। তার একটি শর্ত হলো বিদেশে যাওয়া যাবে না। এই শর্তটি তুলে দিলেই খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে আবার দেশে আসতে পারবেন।’
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য