× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The Prime Ministers order is not being followed in using block bricks
google_news print-icon

ব্লক ইট ব্যবহারে মানা হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

ব্লক-ইট-ব্যবহারে-মানা-হচ্ছে-না-প্রধানমন্ত্রীর-নির্দেশ-
সরকারি উন্নয়ন কাজে মাটি পোড়ানো ইটের পরিবর্তে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার (বাঁয়ে) বাধ্যতামূলক করা হলেও এমন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্লক ইট ব্যবহারে সবাই যাতে উৎসাহিত হয়, সে জন্য চেষ্টা চলছে। কেউ আইন মানতে চায় না। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে এ বিধান বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

সরকারি উন্নয়নকাজে মাটি পোড়ানো ইটের পরিবর্তে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও দৃশ্যত এর কোনো অগ্রগতি নেই। পরিবেশের সুরক্ষায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এ-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকরেও উদ্যোগ নেই।

সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ‘ভালো উদ্যোগ বাস্তবায়নে নানা বাধা আছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যেভাবে ধাক্কা দেয়া প্রয়োজন ছিল, সেভাবে দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। অভাব আছে সচেতনতারও। তবে বিলম্ব হলেও কার্যকর না করে উপায় নেই।’

বালি, সিমেন্ট, নুড়ি পাথর মিলে নির্দিষ্ট মাত্রায় কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করে উচ্চ চাপে ব্লক ইট বানানো হয়। বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের ব্লক ইট তৈরি হচ্ছে- সলিড ও হলোটাইপ। হলো ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করলে ইটের তুলনায় ভবনের ওজন কম হয়। প্রকল্পের খরচও কমে আসে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্লক ইট ব্যবহারে সবাই যাতে উৎসাহিত হয়, সে জন্য চেষ্টা চলছে। কেউ আইন মানতে চায় না। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে এ বিধান বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

বাংলাদেশে সব ধরনের বাড়ি-ঘর নির্মাণে পোড়া মাটির ইট ব্যবহার করা হয়। এই ইট বানাতে যে মাটি ব্যবহার হয় তা সংগ্রহ করা হয় কৃষিজমির উপরিভাগ থেকে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হয়, যা খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। পাশাপাশি ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ একর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে, যা মোট চাষযোগ্য জমির ১ শতাংশের বেশি। এই ৭০০ একর জমির ২০ শতাংশ নষ্ট হয় ইটভাটার কারণে।

এমন বাস্তবতায় মাটি পোড়ানো ইটভাটাকে নিরুৎসাহিত করে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লক ইট ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিয়ে আইন করে সরকার। পাশাপাশি আইনটি বাস্তবায়নে পরিকল্পনা নেয়া হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রচলিত ইটের ব্যবহার থেকে সরে এসে ধাপে ধাপে ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি সব উন্নয়নকাজে ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ পরিকল্পনা নেয়া হয় ২০১৯ সালে। ওই বছরই ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন করা হয়।

জানা যায়, সংশোধিত আইনে সরকারি সব নির্মাণ, মেরামত ও সম্প্রসারণ কাজে পোড়া মাটির তৈরি ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয় এবং ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে কার্যকরের কথা উল্লেখ করা হয়।

সরকারের এ পরিকল্পনা কার্যকর করতে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জানা গেছে, পরিবেশ দূষণ রোধে মাটি পোড়ানো ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের ব্লক ইট ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

পরে এক তথ্যবিবরণীর মাধ্যমে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘গৃহনির্মাণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এইচবিআরআই উদ্ভাবিত বিকল্প ইট পরিবেশবান্ধব ও অর্থ সাশ্রয়ী বিধায় প্রধানমন্ত্রী এই ব্লক ইট সরকারি সব উন্নয়নকাজে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ে ব্লক ইট ব্যবহারে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করা হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো ওই নির্দেশনা কাগজেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। বাস্তবে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি নেই।

বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ১০ হাজার ইটভাটায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ইট উৎপাদিত হয়। কিন্তু সরকারি খাতে কত অংশ ব্লক ইট ব্যবহার হচ্ছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে বেশি নির্মাণ কাজ চলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য- এই চারটি প্রকৌশল অধিদপ্তরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি উন্নয়নকাজের ৬০ শতাংশই হয় এই চারটি সংস্থায়।

এদিকে সরকারপ্রধানের উল্লিখিত নির্দেশনা প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো যে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যোগাযোগ করা হলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্লক ইট ব্যবহারে পিডব্লিউডি যেভাবে কাজ শুরু করেছিল পরবর্তী সময়ে সেভাবে এগোয়নি। আমি মন্ত্রণালয়ে নতুন এসেছি। যোগদান করার পর বারবার প্রশ্ন করেছি কেন কাজটি করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের বলেছি, যেভাবে নির্দেশ দেয়া আছে, সে অনুযায়ী কার্যাদেশ দিতে। এখন কাজ শুরু হয়েছে। বিলম্ব হলেও এটি বাস্তবায়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে যেসব উন্নয়নকাজ হবে, তাতে ব্লক ইট ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ অবশ্যই পালন করতে হবে।’

তিনি মনে করেন, সরকারি কাজে ব্লক ইট ব্যবহার শুরু হলে বেসরকারি খাতও উৎসাহিত হবে। তবে এটা ঠিক, এর জন্য যেভাবে ধাক্কা দেয়া প্রয়োজন ছিল সেভাবে দেয়া হয়নি।

পরিকল্পনা ও বাস্তবতা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৯-২০ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণকাজের ১০ শতাংশ, ২০২০-২১ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ, ২০২১-২২ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ, ২০২৩-২৪ মধ্যে ৮০ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ সালে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার করতে হবে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এখন সব সরকারি নির্মাণকাজে অন্তত ৩০ শতাংশ ব্লক ইট ব্যবহার করার কথা। কিন্তু বাস্তবে যা হচ্ছে তা উল্লেখ করার মতো নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার বারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বড় প্রকল্পে ব্লক ইট ব্যবহারের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্দেশটি পালন করতে বলা হয়েছে।

‘করোনা মহামারির কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। এখন থেকে কাজ শুরু হয়ে গেছে। সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব বলে আশা করি।’

সমস্যা কোথায়?

পরিবেশবান্ধব নির্মাণ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে মীর কংক্রিট কোম্পানি লিমিটেড। এই কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাজার তৈরি না হওয়ার বিষয়টি ব্লক ইটের জন্য এখনও বড় বাধা। দেশে প্রায় ১০ হাজার ইটভাটা রয়েছে এবং বছরে ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকার বাজার আছে পোড়া মাটির ইটের।

‘অন্যদিকে ব্লক তৈরি করছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি নয়। পুরো মার্কেট তো ইটভাটার মালিকদের দখলে। ফলে ব্লক ইটের মার্কেটিং কম হচ্ছে।’

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ব্লক ইট কারখানা বর্তমানে ১৩৫টি। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৩টি ও চট্টগ্রামে ২৬টি কারখানা রয়েছে। বাকিগুলো অন্যান্য শহরে।

সাধারণ মানুষ ব্লক ইট সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানে না। এটাকে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন আবাসন শিল্প মালিকদের সংগঠন রিহ্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘সচেতনতার অভাবই বড় সমস্যা। একটি কংক্রিট ব্লক পাঁচটি ইটের সমান। এই ইট ব্যবহার করলে নির্মাণ ব্যয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সাশ্রয় হবে। ভবনের ভেতরে ব্যবহারযোগ্য জায়গাও বাড়বে।’

ব্লক ইট নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে প্রচার বাড়ানোর কথা বলেন আবাসন খাতের অভিজ্ঞ এই ব্যবসায়ী।

খসড়া রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে খসড়া রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে। এতে ব্লক ইট উৎপাদন উৎসাহিত করতে প্রকল্প অনুমোদনের সময় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বাধ্যতামূলক ব্যবহার, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, কর ছাড়, সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপের উল্লেখ থাকছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে রোডম্যাপ চূড়ান্ত হবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাটি পোড়ানো ইটের ব্যবহার কমাতে হলে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটের বিকল্প নেই। প্রজ্ঞাপনের শর্ত বাস্তবায়নের জন্যই রোডম্যাপ করা হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত হলে ব্লক ইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক বাধা দূর হবে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চাই ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়ুক। সে জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মাদারীপুরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, তবুও চলছে ইটের ভাটা
ভাটার শ্রমিকরা জিম্মি সর্দারের কাছে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Level playing field to be ensured in elections Home Advisor

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ছবি: বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হলে নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সহজ হবে । আর নির্বাচনের সময় সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে ।

তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, এখনও আছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের পরিস্থিতি ও সার্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া অনেক ঘটনা সত্য নয়, তবে গণমাধ্যমের তথ্য সঠিক থাকে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনেক অপরাধে সিমকার্ড ব্যবহার হয় অন্যের নামে। নির্বাচনের আগেই সিমকার্ডের সংখ্যা কমানো হবে। এক ব্যক্তির নামে ১০টা থেকে ৫টা/৭টা, পরে ২টায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এছাড়া বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও নির্দেশনা দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দল কিছু সমস্যার সমাধান করলে এবং জনগণ সচেতন থাকলে নির্বাচন সুন্দর হবে। রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান এলাকায় গণ্ডগোল বা অপরাধ প্রবণতা আগের চেয়ে কমেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। নিয়োগের ক্ষেত্রেও সমস্যা নেই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Institutional reforms are needed to prevent disappearances Asif Nazrul

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।

গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ: জোরপূর্বক গুম মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালাটি গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

বিচারকদের উদ্দেশে আসিফ নজরুল বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিচার লিখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাদের শিল্পকর্মই তাদের বিচার। তাদের এই প্রস্তাবটি মনে রাখা উচিত।

তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।

কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির জনসংযোগ কর্মকর্তা কে এম খালিদ বিন জামান জানান, কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রেখেছেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান। ওয়ার্কিং সেশন পরিচালনা করেন কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস। এই পর্বে গুম-সংক্রান্ত মামলায় প্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষ্যগ্রহণ, মানবাধিকার মানদণ্ডের প্রয়োগ ও বিচার প্রক্রিয়ার জবাবদিহি নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনায় গুম প্রতিরোধে একটি স্থায়ী গুম প্রতিরোধ কমিশন গঠন, গুম প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের আওতায় স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা, গুম সংক্রান্ত মামলার জটিলতা নিরসনে মনিটরিং সেল গঠন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিচারকদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আয়োজন, ভিক্টিমদের সাইকোলজিক্যাল ও লিগ্যাল সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ, ভিকটিমদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, অনলাইন জিডি সহজীকরণ, চিহ্নিত মামলাগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পন্ন করা, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে ভিক্টিমদের সহজে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ম্যাজিস্ট্রেটদের মিথ্যা মামলা নিরসন সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদান এবং বিচার বিভাগ ও কমিশনের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের কাঠামো উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে আসে।

দেশের বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিচারকসহ প্রায় ৯০ জন প্রশিক্ষণার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC will not yield to any pressure CEC

ইসি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

ইসি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত (টিওটি) প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)-এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সিইসি এ কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উদ্দেশে করে বলেন, ‘এই ম্যাসেজটা আপনাদের দিতে চাই যে, আপনারা কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে আইন অনুযায়ী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। তা ছাড়া আমরাও আপনাদের অন্যায় কোনো আদেশ দেব বা হুকুম দেব না। আপনারা ধরে রাখতে পারেন, রিলেভেন্ট টু ইলেকশন (নির্বাচন সম্পর্কিত) যে আইন প্রচলিত আছে সেই আইন অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা যাবে বা আপনারা সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। একটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারার চেষ্টা করবেন।’
সিইসি বলেন, আমরা কামনা করি, আপনারা আইনসম্মতভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে (প্রফেশনালি) কাজ করবেন। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এই দেশের এই দুরবস্থার মূল কারণ হলো, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকা। যে জাতি আইনের প্রতি যতটা শ্রদ্ধাশীল, সেই জাতি তত সভ্য। সভ্য দুনিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। আমাদের এই কালচারটা কাল্টিভেট করতে হবে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সর্বস্তরের মানুষ আইন মেনে চলবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করবে। যে গন্ডির মধ্যে আমার কাজ থাকবে সেখানেই আমি আইনকে বাস্তবায়ন করব। আমরা চাইব আপনারা আইনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয়টা একটা বড় জিনিস। আপনারা যেহেতু উপজেলা পর্যায়ে নিয়োজিত আছেন। সমন্বয়ের দায়িত্বটা মূলত আপনাদের উপরে নির্ভর করে। সুতরাং নির্বাচনের সময়ও এই সমন্বয়টা খুবই জরুরি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের সাথে সমন্বয় করতে হবে। জেলার যে ইলেকশন মনিটরিং সেল থাকবে ওটার সাথে সমন্বয়। এই সার্বিক সমন্বয়টা আপনাদের খুব সিরিয়াসলি করতে হবে। এই দায়িত্বটা আপনাদের কাঁধে নিতে হবে। যেকোনো ক্রাইসিস হলে আপনারা চেষ্টা করবেন শুরুতেই যাতে এটার সমাধান করা যায়।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ, নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, আমরা সাহসী হব, তবে অতি সাহসী না। অতীতে অতি উৎসাহী হয়ে অনেকে অনেক কিছু করেছেন। এবার এসব করা যাবে না।

তিনি বলেন, আগের প্রশিক্ষণ ভুলে গিয়ে এখন যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেটি নিতে হবে। আগের নির্বাচন আমরা সবাই মিলে নষ্ট করেছি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আপনাদের প্রতি ম্যাসেজ হচ্ছে সামনের নির্বাচন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। সঠিক কাজ করবেন, ইসি আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক কোনো কাজ করলে সাংঘাতিক পেরেশানিতে পড়বেন। আর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য যা যা সহায়তা লাগে তা আমরা দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। চাকরির মান-মর্যাদা রক্ষার জন্য এবং অস্তিত্বের প্রশ্নে আমাদের না করার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের একটা আবহ সৃষ্টি করতে হবে।’

মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ভালো নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। মোবাইল কোর্ট আয়নার মতো স্বচ্ছ হতে হবে। পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। এখন থেকে মোবাইল কোর্ট রেগুলার করতে হবে। এই নির্বাচনে যারা ভালো দায়িত্ব পালন করবে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন মাঠে যারা আছেন তারা যেন তাদের আচরণবিধি মেনে চলেন। প্রশাসন কঠোরভাবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাবে। এবারের নির্বাচনে সমন্বিতভাবে মাঠ প্রশাসন যে, একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারি তা আমরা দেখিয়ে দেব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Public opinion must be developed to create a tobacco free society primary and mass education advisor

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা, ‘তরুণ চিকিৎসকদের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, একজন ধূমপায়ী চিকিৎসক রোগীকে ধূমপানে বাঁধা দিলে তিনি গ্রহণ করবেন না। তাই চিকিৎসকদেরকে ধূমপান পরিহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্মসূচি পরিচালক শেখ মোমেনা মনি, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, সিটিএফকে, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
12000 crore loss in Cargo Village fire EAB

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্ট যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে কেবল ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদাম ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা ও মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি বলেছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি ও অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইএবি সভাপতি বলেন, আগুনের ঘটনাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে।
এ সময় কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে