রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ১৭ বছর বয়সী সুমাইয়া হাওলাদার মৃধাবাড়ির কাজিরগাঁওয়ের একটি টিনশেড ঘরে থাকতেন। সেখান থেকেই মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন আলী জানান, মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তার স্বামী পলাতক।
তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এদিকে নিহত সুমাইয়ার মা আফরোজা বেগম তার মেয়ের জামাই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম ছিল হুমায়ুনের। তারপর চার মাস আগে আমার মেয়েকে নিয়ে সে পালিয়ে বিয়ে করে। তার পরও আমি বিষয়টা মেনে নিয়েছি।
‘এরপর বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিত সে। আমার মেয়কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। ওকে মারধর করার পর অসুস্থ হলে তার স্বামী তাকে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।’
তিনি জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার জোড়া খালি গ্রামে। সুমাইয়ার বাবার নাম নুর ইসলাম।
দেশের অন্যতম পানির উৎস যমুনা নদীর প্রশস্ততাকে ছোট করতে প্রণয়ন করা প্রজেক্ট ফাইল তলব করেছে হাইকোর্ট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত সব নথি আদালতে জমা দিতে আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
যমনু নদী ছোট করার চিন্তা শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতি বছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।
আরও পড়ুন:ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিতের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে রোববার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ মে এক আদেশে আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর ওপর এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে এখন আরও দুই মাস করা হলো।
ফলে এই ঈদে আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর সুযোগ কম বলে জানান রিটকারি আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
তিনি জানান, যেহেতু হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে তারা এখনও আপিল করে নাই। আর আপিল করলেও আপিল বিভাগ যদি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে তাহলে আফতাবনগরে এ বছর আর হাট বসানোর সুযোগ থাকবে না।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাবেন কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ বলেন, ‘আপিলের সিদ্ধান্ত নেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আফতাবনগরে হাট না বসানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণের দাবিতে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান ভূমি অফিসার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন হাউজিং ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।
গত ২ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগ) পক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সইয়ে সম্পত্তি বিভাগ ইজারা দিতে দরপত্র ঘোষণা করে।
দরপত্রে ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাটের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের আফতাব নগরের বি থেকে এইচ ব্লক পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের সাত স্থানে হাট বসাতে ইজারা আহ্বান করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর আদাবরের একটি বহুতল ভবনের বেজমেন্টে ধরা আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলেছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীটি রোববার দুপুর ১২টার দিকে আগুন ধরার খবর পায়। ১টা ৩৩ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, বাহিনীর প্রথম ইউনিট আদাবরের ১০ নম্বর রোডের ৭১২/১৭ নম্বর বাসায় যায় ১২টা ১৮ মিনিটে। পরে আরও চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
তিনি আরও জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে দুই নারী ও এক পুরুষকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে।
রাজধানীর আদাবরের একটি বহুতল ভবনের বেজমেন্টে আগুন ধরেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীটি রোববার দুপুর ১২টার দিকে আগুন ধরার খবর পায়।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, বাহিনীর প্রথম ইউনিট আদাবরের ১০ নম্বর রোডের ৭১২/১৭ নম্বর বাসায় যায় ১২টা ১৮ মিনিটে। পরে আরও চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
আগুনে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানায়নি ফায়ার সার্ভিস।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ মো. আতিকুর রহমান নামের এক হাজতিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
রোববার ভোরে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে আনেন।
হাজতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘৪২ বছর বয়সী আতিকুর রহমান কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি ছিলেন। তার বাবার নাম সামাদ মোল্লা। এর বাইরে আমারা কিছু বলতে পারব না। কারাগার থেকে তার কাগজপত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পৌঁছে যাবে।’
বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা ফের শীর্ষস্থান দখল করেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
একই সময়ে বায়ুর নিম্ন মানের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি ও কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৫ গুণ বেশি। একই সময়ে দিল্লির বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।
একই সময়ে দিল্লির বাতাসের স্কোর ছিল ১৬২। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দিল্লিবাসীকেও।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু ‘অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা’ বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তবে পরিবার বলছে, তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই ও ছায়া তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধারণা থেকে কথাগুলো বলছে। পুলিশের এই ধারণা ঘিরে অসংখ্য প্রশ্ন সামনে এসেছে, যেগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। এটি হত্যাকাণ্ড।
মামলার তদন্তে অসঙ্গতি ও অমীমাংসিত প্রশ্নের উল্লেখ করে সেগুলো সামনে রেখে একটি বই সংকলন করেছেন দুরন্ত বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব। শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ নামে সংকলনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুরন্ত বিপ্লবের মা রোকেয়া আক্তার খাতুন। তিনি বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই, ছোট ভাই সবাই দুরন্তকে চেনেন। আমি মা হিসেবে তাকে যতটা চিনেছি তা বর্ণনাতীত। এটা সত্য, সে পানিতে ডুবে মরে নাই। দুরন্তর সার্কেলের লোকজন, যাদের সঙ্গে সে চলাফেরা করতো, তাদের মধ্যেই কারও স্বার্থে আঘাত লাগায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লব গত বছরের ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন। ওইদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর ৫ দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পায় পুলিশ। ওইদিন রাতে মরদেহটি বিপ্লবের বলে নিশ্চিত করেন তার স্বজনরা। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর হত্যা মামলা করা হয়।
মামলাটির তদন্ত শুরু করে ঢাকা জেলা পুলিশ। পরবর্তীতে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে থানা থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা জেলার পিবিআই-এর পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।
দুই সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়নি। তিনি অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শিকার। ৭ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা পার হওয়ার সময় মর্নিংসান-৫ নামে একটি লঞ্চের ধাক্কায় দুরন্ত বিপ্লবকে বহনকারী নৌকাটি উল্টে যায়। সাঁতারে দক্ষ না হওয়ায় বা সাঁতার না জানায় দুরন্ত বিপ্লব পানিতে তলিয়ে যান।
তবে তদন্তকারীদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ দুরন্ত বিপ্লবের বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। বোন শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘পিবিআই ও ডিবি পুলিশ কথাগুলো বলছে ধারণা থেকে। বলছে- হতে পারে, হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে তো অকাট্যভাবে প্রমাণ হয় না যে দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
‘পুলিশের তদন্ত ও বক্তব্য নিয়ে আমাদের মনে অসংখ্য প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো বলছে, দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনা নয়, হত্যার শিকার হয়েছেন। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আবেদন করে মামলাটি পিবিআইকে দেয়ার জন্য আদালতে অনুরোধ করেছিলাম। পিবিআইয়ের তদন্তে আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যেগুলো তাদের তদন্তের সঙ্গে মিলছে না। আমরা এসব প্রশ্নের জবাব চাই।’
‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ বইটির সম্পাদক শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘বইটিতে দুরন্ত বিপ্লব নিখোঁজ হওয়ার দিন গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬২ দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সংকলনটি আমাদের দিক থেকে একটি প্রপোজিশন বা প্রস্তাবনা। যেটা এই মামলার তদন্তে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই প্রশ্নগুলো ধরে তদন্ত এগিয়ে নিলে মৃত্যু রহস্যের সুরাহা করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বইয়ে য তথ্য-উপাত্ত আছে, তার বাইরে আরও কিছু তথ্য-উপাত্ত ও সূত্র আমরা পিবিআইকে দিয়েছি। সংগত কারণেই আমরা এই বিষয়গুলো এই বইয়ে আনতে পারিনি। মামলাটি তদন্তানাধীন। সে কারণে সব কিছু প্রকাশ করা যায় না।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার উপ-পরিদর্শক সালেহ ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তদন্তে যা পেয়েছি সেগুলো দুরন্ত বিপ্লবের পরিবারকে জানানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত এখনও চলছে। যদি নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই যাচাই-বাচাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য