× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Third bail application on behalf of Fakhrul Abbas
google_news print-icon

ফখরুল-আব্বাসের পক্ষে জামিনের তৃতীয় আবেদন

ফখরুল-আব্বাসের-পক্ষে-জামিনের-তৃতীয়-আবেদন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বাঁয়ে) ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
৯ ডিসেম্বর দুই নেতাকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। বিএনপির সমাবেশের দুই দিন পর সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিনের আদালতে আবার জামিন আবেদন করা হয়। বিএনপির এই দুই নেতার পাশাপাশি আরও ২২২ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।

রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে আবার জামিন আবেদন করা হয়েছে।

দুই দফা জামিন আবেদন নাকচের পর বুধবার তৃতীয় এই আবেদনটি করা হয় ঢাকা মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে। এরপর বৃহস্পতিবার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়।

পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার পরও গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভাগীয় সমাবেশটি নয়াপল্টনেই করার ঘোষণা আসে। ৭ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলনটি করার পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

এতে একজন নিহত ছাড়াও আহত হন বেশ কয়েকজন। এক পর্যায়ে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ১৫টি ককটেল উদ্ধারের কথাও জানানো হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায়, মতিঝিল এবং শাহজাহানপুর থানায় আলাদা মামলা হয়।

সেই সংঘর্ষের পরদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার সংবাদ সম্মেলনে এসে জানান, তারা নয়াপল্টনেই সমাবেশটি করবেন, বাধা দিলে ব্যবস্থা নেবে জনগণ। সেই রাতেই তাকে এবং আব্বাসকে আটক করে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

৯ ডিসেম্বর দুই নেতাকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।
বিএনপির সমাবেশের দুই দিন পর সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিনের আদালতে আবার জামিন আবেদন করা হয়। বিএনপির এই দুই নেতার পাশাপাশি আরও ২২২ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।

তারও পরদিন রাজধানীতে নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করে বিএনপি।

আরও পড়ুন:
গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের মৃত্যু
১৬ ডিসেম্বর নয়াপল্টন থেকে বিএনপির বিজয় মিছিল
‘নির্যাতনকারীর’ তালিকা হচ্ছে, পুলিশকে বিএনপির সতর্কতা
‘বিএনপি অফিসে পুলিশি তাণ্ডব ফ্যাসিবাদের নমুনা’
তল্লাশিতে ভাঙচুর স্বাভাবিক: বিএনপি কার্যালয় নিয়ে তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Arrest of accused under arrest warrant in 21 cases

২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার মনির ডাকাত ২১ মামলার আসামি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে। শুক্রবার ডাকাত মনিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

কুমিল্লা বরুড়া উপজেলায় ২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে বন্দুক ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের ভঙ্গুয়া ব্রিজের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৩৮ বছর বয়সী গ্রেপ্তার মো: মনির হোসেন ওরফে মনির ডাকাত উপজেলার ঝলম মোল্লাবাড়ীর বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের সময় মনিরের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান ও ২টি গুলি জব্দ করা হয়।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন শুক্রবার সকালে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার মনির ডাকাত ২১ মামলার আসামি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে। শুক্রবার ডাকাত মনিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

ডাকাত মনিরকে গ্রেপ্তারের পর পুরো বরুড়া উপজেলায় স্বস্তি নেমে আসে।

ঝলম এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, ‘এমন কোনো অপরাধ নেই যা মনির করতো না। সকালে ডাকাত মনির গ্রেপ্তারের পর এলাকার মানুষ যেন ঈদের আগে ঈদের আনন্দ পেয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সাবেক সেনা সদস্যকে হত্যায় আরেক সাবেক সেনা সদস্য গ্রেপ্তার
অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শ্যালকসহ ভুয়া আইনজীবী গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
ইউটিউব থেকে শিখে মোটরসাইকেল চুরির পেশায় ঢাবি শিক্ষার্থী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Journalist Shamsuzzaman was taken from Keraniganj to Kashimpur

কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে নেয়া হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে

কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে নেয়া হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আদালতে সাংবাদিক শামসুজ্জামান। ফাইল ছবি
রমনা থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর এক দিন পর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুরে নেয়া হয়।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বন্দি প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে।

রমনা থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর এক দিন পর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুরে নেয়া হলো।

মামলায় বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।

আবেদনে বলা হয়, ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

রমনা থানায় মামলা

স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের নামে বুধবার মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের এক আইনজীবী।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বাইরে সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

তেজগাঁও থানায় মামলা

সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে শামসের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে (শামসুজ্জামান) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।’

মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হইছে, এই সংবাদপত্রটা মিথ্যা এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা মামলাটা করছি, আর কিছু না।’

যুবলীগের এ নেতা বলেন, ‘মামলা করার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা করছি। আমি দলীয় পরিচয় বা হাইলাইট হওয়ার জন্য এটা করি নাই।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hawkers complain of extortion against Jobi Chhatra League

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন বলেছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকার হকারদের কাছ থেকে চার মাস ধরে প্রতিদিন দু’বার করে চাঁদা আদায় করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। চাঁদা না দিলে মারধরের শিকার হতে হয় হকারদের।

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাদেরকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমনটা উল্লেখ করে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হকার্স ইউনিয়নের নেতারা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে কিংবা খালি জায়গায় হকারি করে শতাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ পরিচয়ে পর্যায়ক্রমে দু’বার দল বেঁধে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়েছে, কোনো হকার দাবিকৃত অংকের টাকা দিতে অপারগ হলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। চার মাস ধরে চলে আসা এই চাঁদাবাজি ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি বহু জায়গায় জানানোর পরও প্রতিকার মেলেনি।

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে সদরঘাট এলাকায় আমরা একটি প্রোগ্রাম করতে যাই। সেখানে ওই এলাকার ভুক্তভোগী হকাররা আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে জানিয়েছি।’

হকার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ বলেন, ‘আমরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে আমরা ডিএমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠাব। এরপর তিন চারদিন অপেক্ষা করে দেখবো কী পদক্ষেপ নেয়া হয়। সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘কেউ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুললে তার দায়ভার তো আমরা নেব না। ক্যাম্পাসের আশপাশে আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করে না। আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজের কোনো জায়গা নেই।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘একটা অভিযোগ দিয়ে চিঠি দিয়ে দিলেই তো কোনো কিছু প্রমাণ হয়ে যায় না। চাঁদাবাজির কোনো ভিডিও, রেকর্ডিং তো নেই। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছে। আর তারা আমাদের কারও চাঁদাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Deaths in Custody 11 RAB members interrogated in operation

হেফাজতে মৃত্যু: অভিযানে থাকা ১১ র‌্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ

হেফাজতে মৃত্যু: অভিযানে থাকা ১১ র‌্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ নওগাঁ সদরের চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিন। ফাইল ছবি
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। তারা সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে থাকা র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তদন্ত শেষ হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওগাঁয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে আটক হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাবের ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জেসমিন মৃত্যুর ঘটনায় র‍্যাব সদর দপ্তরের ইনকোয়ারি টিম রাজশাহীতে রয়েছে। জেসমিনকে আটকের অভিযানে সংশ্লিষ্ট ১১ সদস্যকে র‍্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে জেসমিনকে আটক ও পরবর্তীতে মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তারা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, ওই ঘটনা তদন্তে কাজ করছে র‌্যাব সদর দপ্তরের ইন্টারনাল ইন্টারোগেশন টিম। তারা এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। জেসমিনকে আটকে অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের যে দলটি সেই দলের প্রত্যেককেই জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে র‌্যাবের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতেই অবস্থান করছে। মূলত তদন্ত কমিটি এই সদস্যদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানছেন। তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই তাদের রাজশাহীতে আনা হয়েছে। এটি ‘প্রত্যাহার’ কিংবা ‘ক্লোজড’ পর্যায়ের বিষয় নয়।

জেসমিনের হার্টের নমুনা ল্যাবে

এদিকে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে করা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেতে আরও খানিকটা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। এজন্য জেসমিনের হার্টের পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে প্যাথলজি বিভাগে।

পুলিশ বলছে, সুলতানা জেসমিন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অবস্থায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হকের করা মামলাটি তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।

সুলতানা জেসমিন র‌্যাবের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যখন রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক। পরদিন মারা যান জেসমিন।

এই মামলায় এনামুল হক দুজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামি করেন। এক নম্বর আসামি আল আমিন। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায়। ২ নম্বর আসামী মোছা. সুলতানা জেসমিন।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এনামুল হকের মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনাটির সবকিছুই জানার চেষ্টা করবে। ওই নারীর আগের কোনো মামলার রেকর্ড এখন পর্যন্ত নেই। তার অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। সে সঙ্গে আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন আছে কিনা এসবও তদন্ত করা হবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনার মূল তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য যতগুলো দিক অনুসন্ধান করা দরকার পুলিশ সেটা করছে।’

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন জানান, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ দেয়া যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে খুব একটা দেরি হবে না বলে আভাস দেন তিনি।

ডা. কফিল বলেন, ‘হার্টের একটি পরীক্ষার জন্য প্যাথলজি বিভাগে নমুনা পাঠানো হয়েছে। এই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরই ফরেনসিক বিভাগ কাজ করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবেন। প্যাথলজি বিভাগের রিপোর্ট পেতে সাধারণত সপ্তাহখানেকের বেশি সময় লাগে না। আর এই রিপোর্ট না পেলে টু দ্য পয়েন্টে কিছু বলা যাবে না।’

রামেক-এর প্যাথলজি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই তারা রিপোর্ট দিতে পারেন। আর তা হলে এই সপ্তাহেই ময়না তদন্ত প্রতিবেদনও পাওয়া যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, নওগাঁয় ওই নারীকে আটক করেছিলেন র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। র‌্যাবে এই পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই অভিযানের বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডারসহ অভিযানে থাকা গাড়িচালক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে স্থানীয় ভূমি অফিসে কর্মরত সুলতানা জেসমিনকে আটক করেন র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
জেসমিনের মাথায় আঘাতের তথ্য নেই, মৃত্যুতে কারও দায় থাকলে ব্যবস্থা: র‌্যাব
জেসমিনের মৃত্যু রক্তক্ষরণে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাইকোর্টে
বাড়ি ফিরেছেন সৈকত
র‌্যাব হেফাজতে মায়ের মৃত্যুর পর এবার ছেলে নিখোঁজ
র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চায় হাইকোর্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Announcement of fresh elections to remove the stigma of the Supreme Court Bar

বারের কলঙ্ক মুছতে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা

বারের কলঙ্ক মুছতে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
তলবি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে অ্যাডহক কমিটি।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কলঙ্কজনক উল্লেখ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবি সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমিতির সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে এ তলবি সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বলা হয়, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী অফশন ফরম বিতরণ করে ১৫ মে’র মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি বারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের এ অবস্থাটা কী করে হল। অতএব, সেজন্য সুপ্রিমকোর্ট বারের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে যারা কলঙ্ক লেপন করেছেন, তাদের সম্পর্কে নোটিশ দেয়া দরকার। আর এই কলঙ্ক মোছার কাজটা অতি সত্বর করা প্রয়োজন বলে কি আপনারা সবাই মনে করেন না?

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমাদের ডিগনিটি অফ দ্য ল’ইয়ার (আইনজীবীদের মর্যাদা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিগনিটি সমিতির সবার জন্যই আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে আগামী নির্বাচনে আশা করি সেই সঙ্কট অতিক্রম করে আমরা একটি স্বাধীন বার অ্যাসোসিয়েশন করতে পারব।’

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর হলরুমে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী সদস্যদের তলবি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবীসহ বহু আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য দেন তলবী সভা আহ্বানকারী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ।

সভায় সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকশ’ আইনজীবী অংশ নেন।

সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে বারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বারের রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা বারের অফিস অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো. নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো. সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

এছাড়া কমিটির উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে- সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগরকে।

সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।

রেজুলেশনে বলা হয়েছে- তলবি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। অ্যাডহক কমিটি শুধু সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে।

প্রসঙ্গ, ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রথম দিনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন।

এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। যদিও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দাবি, তারা এই ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন। দুই দিনব্যাপি ভোট গ্রহণ শেষে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা জয়ী হন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীসহ সারাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমলোচনার ঝড় ওঠে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন করে তলবি সভা করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।

আরও পড়ুন:
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট
সমিতির নির্বাচনেও পুলিশের ব্যবহার লজ্জার: বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
নতুন কমিটি দিয়ে পুনরায় ভোট দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট শুরু বুধবার
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভোট বর্জন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bail denied journalist Shamsuzzaman in jail

জামিন নাকচ, সাংবাদিক শামসুজ্জামান কারাগারে

জামিন নাকচ, সাংবাদিক শামসুজ্জামান কারাগারে পুলিশি প্রহরায় বৃহস্পতিবার ঢাকার বিচারিক আদালতে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
মামলায় শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। অন্যদিকে শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার। আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

আগের দিন করা মামলায় শামসুজ্জামানকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

এ মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেনি পুলিশ।

মামলায় শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।

আবেদনে বলা হয়, ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

রমনা থানায় মামলা

সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের নামে বুধবার মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের এক আইনজীবী।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বাইরে সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

তেজগাঁও থানায় মামলা

স্বাধীনতা দিবসে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে শামসের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে (শামসুজ্জামান) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।’

মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হইছে, এই সংবাদপত্রটা মিথ্যা এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা মামলাটা করছি, আর কিছু না।’

যুবলীগের এ নেতা বলেন, ‘মামলা করার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা করছি। আমি দলীয় পরিচয় বা হাইলাইট হওয়ার জন্য এটা করি নাই।’

এ মামলায় বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানের বিষয়ে আদালতে কোনো আবেদন করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused in the case of Jasmins detention has been arrested

জেসমিনকে আটকের সেই মামলার প্রধান আসমি গ্রেপ্তার

জেসমিনকে আটকের সেই মামলার প্রধান আসমি গ্রেপ্তার আল-আমিন। ছবি: সংগৃহীত
গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র‌্যাবের হাতে আটক হন জেসমিন। ২৪ মার্চ সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনকে যে অভিযোগের মামলায় আটক করা হয়েছিল, ওই মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। চক্রটি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের নাম পরিচয় ও ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবকদের কাছ থেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেই কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পারলে ২৩ মার্চ আল-আমিন ও তার সহযোগী সুলতানা জেসমিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

র‌্যাব জানায়, আল-আমিন বিকাশ, নগদ ও মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার এই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসার সুযোগ নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ব্যবহার করে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।

৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি।

গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র‌্যাবের হাতে আটক হন জেসমিন। ২৪ মার্চ সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

জেসমিনের মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে র‌্যাব আটকের পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকি। পরে জানতে পারি যে, সে নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখি র‌্যাবের লোকজন তার চারপাশে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে রাজশাহী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সে মারা যায়।’

জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠলে হাইকোর্ট তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনসহ যাবতীয় তথ্য তলব করে। একই সঙ্গে র‌্যাবের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চায় হাইকোর্ট

মন্তব্য

p
উপরে