টাঙ্গাইলের কালিহাতীর রাজাবাড়ীতে ময়মনসিংহ রেলক্রসিং এলাকায় মালবাহি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী এমজি বিসি ব্লক নামে মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘারিন্দা স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোহেল খান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী এমজি বিসি ব্লক নামে মালবাহী টেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোলে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেন এলে উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’
ময়মনসিংহ সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকদের ছুরিকাঘাতে বাবা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সাভার থানাধীন বাইপাইল ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন টিএন্ডটি মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ৫২ বছর বয়সী ছেলে কামাল হোসেন, তার ৪০ বছর বয়সী স্ত্রী জাহানারা, তাদের ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে এবং নবী হোসেনের ১৯ বছর বয়সী ছেলে মো. নাঈম।
নিহতরা হলেন একই এলাকার ৬০ বছর বয়সী আবুল খায়ের ও তার ২০ বছর বয়সী ছেলে ফরহাদ হোসেন।
র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিজ জমিতে আবুল খায়ের হাল চাষ করছিল। এ সময় কামাল হোসেনের সঙ্গে জমির মাপযোপ করা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কামাল হোসেন তার স্ত্রী, ছেলেসহ কয়েকজনকে ডেকে আনে।
পরে তারা ধারালো দা, চাকু, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসে আবুল খায়েরকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ অবস্থায় তার ডাক-চিৎকারে ছোট ছেলে ফরহাদসহ অন্যান্য ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলে বাঁচাতে আসলে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সবাইকেই এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবুল খায়ের ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত আবুল খায়েরের ছেলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই হত্যায় জাড়িতরা পলাতক ছিলেন। ঘটনাটি র্যাব জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।’
অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে উড্ডয়ন সময়ের বিকট শব্দে বিমানের একটি বোয়িং উড়োজাহাজের চাকা পাংচার হয়ে গেছে। এ সময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ওসমানী বিমানবন্দরেরর রানওয়েতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওসমানীতে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রীদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। উড়োজাহাটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। এ সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, ‘হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই ভয় পেয়ে যান। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।’
তিনি আরও বলেন, ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা কমান। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন আবার ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।’
চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে জানিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘ওই উড়োজাহাজের চাকা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। মেরামতের পর এটি রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সচল করা হবে।’
বিকেলের দিকে বিমানবন্দেরর কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, ‘আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার চেঙ্গারকান্দি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩২ বছর বয়সী আঁখি বেগম পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন তার স্বামী সাঈদুল ইসলাম। তিনি ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরির্দশক আহসান হাবিব নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
স্থানীয় ও ওই গৃহবধূর শিশু সন্তানদের বরাতে তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সাঈদুলের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো আঁখি বেগমের। বৃহস্পতিবার রাতেও তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়।
পরে আঁখিকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাইদুল। পরে ঘর থেকে তার দুই সন্তানের চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার রক্তাক্ত মুখ থেতলানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে সাইদুলের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আখিঁর। তাদের দুই ছেলে ও চার মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সাঈদুল তাকে নানা অজুহাতে মারধর করত। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন শালিসও করেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তার পলাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যামামলা হবে।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি হওয়া প্রায় অর্ধকোটি টাকার কয়লা গ্রেডিং মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ওই চারজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন রামপালের বর্ণী গ্রামের বাদশা শেখ, পিরোজপুরের নরখালি গ্রামের রাব্বি ইসলাম, ফকিরহাটের চিত্রা গ্রামের কার্তিক শীল ও খাজুরা গ্রামের আবুল কারিম।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাধে শ্যাম সরকার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে চারজনকে আটক করা হয়। পরে আটকদের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে চুরি হওয়া মেশিনটি উদ্ধার করে। গত ১৬ জানুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মেশিনটি চুরি হয়।’
খুলনার ডুমুরিয়ায় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ওই ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল কয়েকজন কিশোর, তা দিতে না পারায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্র নিরব মন্ডল ওই এলাকার শেখর মন্ডলের ছেলে এবং একই বিদ্যালয়ের ছাত্র।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
পরিবারের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিরব বাড়ি থেকে গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে যায়। পরে বিকেল ৪টার দিকে তার বাবার কাছে দুটি নাম্বর দিয়ে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানান ও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে ওই নম্বর দুটিতে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত শ্রেণীকক্ষে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, ‘ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।’
আরও পড়ুন:দেশের কোথাও বই পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চাঁদপুর সার্কিট হাউসে শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই না পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যে সকল শিক্ষার্থীর বই দেয়া বাকি ছিল, তাদের ২৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত বই দিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কাজেই কোথাও যদি বই পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে, অবশ্যই আমি তা দেখব।’
দীপু মনি বলেন, ‘ওয়েবসাইটে প্রতিটি বই দেয়া আছে। এরপরও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকে, তাহলে শিক্ষকরা সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন। শুধু জ্ঞানভিত্তিক নয়; দক্ষতাভিত্তিক, সফট স্কিল ও মূল্যবোধ শেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী, সুখী বাংলাদেশ হব। আর সেটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের সমস্ত সেবা, সমস্ত কাজ এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি যা কিছু আছে, সকল প্রযুক্তি নিয়ে মানুষ দক্ষ হয়ে উঠবে।
‘যত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে, যত সেবার মান আছে, তা নিশ্চিত হবে। কাজেই স্মার্ট বাংলাদেশ মানে সেই বাংলাদেশ, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকই স্মার্ট নাগরিক হবেন।’
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজিত রায় চৌধুরী।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীসহ ৮ জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ওই এলাকার সোহরাব সরদার, তার ছেলে আকাশ সরদার, একই এলাকার মাসুদ সরদার, খালেক সরদারের স্ত্রী জুলেখা বেগম, বাদশা সরদারের স্ত্রী মালা বেগম, হালান সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদার, আসাদ সরদার ও তার স্ত্রী সোরেফা বেগম।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, মিয়ারচর এলাকার আসাদ সরদারের সঙ্গে প্রতিবেশি জালাল সরদারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মীমাংসার জন্য এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশী-বৈঠক করে স্থানীয় মাতবররা। এতে সমাধান না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদ ও তার পরিবারের ওপর দুপুরে অতর্কিত হামলা চালায় জালাল ও তার লোকজন।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় নারীসহ ৮ জনকে। পরে আহত অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। এদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় চিকিৎসক। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ওসি মনোয়ার জানান, হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য