গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে যা হয়েছে, তাতে ‘কোয়ার্টার ফাইনালের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, জিতেছেন তারা, সেমিফাইনাল হবে সামনে। আর ফাইনাল হবে নির্বাচনে। তাতেও আসবে জয়।
সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্বকাপ ফুটবলের মওসুমে ওবায়দুল কাদেরের প্রায় প্রতিটি বক্তব্যেই বিএনপির সঙ্গে ‘খেলার’ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই বক্তব্যেও উঠে এসেছে সেটি।
গত ১০ ডিসেম্বর অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও পরে সেখান থেকে কিলোমিটার পাঁচেক দূরে ঢাকার এক প্রান্ত গোলাপবাগে সমাবেশ করার বিষয়টি নিয়ে তিনি আবার সেই খেলার প্রসঙ্গ তোলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমিফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।’
তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর চলে গেল। কত কত কথা। বিআরটিসি বাস পোড়ালো, কত যে হাক ডাক। আতঙ্ক ছড়ানো হলো। সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন। কিন্তু তাদের এ রঙিন খোয়াব শেষ হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হয়ে। এখন সেমিফাইনাল হয়ে ফাইনালেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।’
গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে বিএনপি যে দাবির তালিকা তুলে ধরেছে, তাতে নতুন কিছু পাননি কাদের। বলেন, ‘এরপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে মেনে নেয়ার মতো কোন দাবি আছে কি না।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি ছক একেছিল ১০ ডিসেম্বর দেশ অচল করে দেবে। কিন্তু নিজেরাই অচল হয়ে গেছে।’
বিএনপির সংসদদের পদত্যাগ কত বড় ভুল, সেটি তারা অচিরেই বুঝতে পারবেন বলেও মনে করেন কাদের।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। অথচ তিনি রাজনীতি করবেন না মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন। তারেক কবে ফিরবেন? দেখতে দেখতে ১৫ বছর, তারেক আসবে কোন বছর, আদৌ কি আসবে, মানুষ বাঁচে কয় বছর?’
তিন বছর পর হওয়ার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের এই জেলা শাখার সম্মেলনটি হচ্ছে সাত বছর পর। শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এ আয়োজনকে ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন স্থল রূপ নিয়েছে জনসভায়।
বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়ে পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ অন্য নেতারাও এতে বক্তৃতা রাখেন।
সম্মেলনকে ঘিরে শহর ছেয়ে গেছে পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করার আহ্বান জানাচ্ছেন দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
এই আয়োজনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ বিরোধে জড়ায়। দুইপক্ষের মধ্যে মারামারিতে ৬ জন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। তবে পরে অন্য নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ছোট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।’
২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল।
আরও পড়ুন:সোয়া তিন ঘণ্টা পর সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা চালু হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সোয়া একটার দিকে এই বন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটের চাকা ফেটে রানওয়ে অচল হয়ে পড়ে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাকা মেরামতের পর এটি রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সচল করা হয়।
নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। এটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, ‘হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই ভয় পেয়ে যান। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা কমান। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন আবার ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।’
চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল বলে জানান বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
হাফিজ আহমদ বলেন, ‘আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:‘রাতে শুনতে প্যানু যে হাঁর ছ্যালাকে পিটিয়া ম্যারা ফ্যালাছে। হ্যামার ছ্যালা দোষী লয়, হামি হাঁর ছ্যালাকে মারার বিচার চায়।’
আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন রাকিবুল ইসলামের (রাকিব) মা। রাজশাহীতে পিটিয়ে মেরে ফেলা দুই শ্রমিকের একজন এই রাকিব।
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা বেদনা বেগমের কান্না আর থামছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীতে এই ঘটনা ঘটলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মায়ের কাছে এই খবর পৌঁছে রাত ১২টায়।
রাজশাহীতে খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাসায় দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কারখানা মালিকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মহানগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিবের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের মানুষ রাকিবের এমন করুণ মৃত্যুর খবরে হতবাক। তারা বলছেন, রাকিবকে তারা ভালো ছেলে হিসেবেই চেনেন, জানেন।
চৈতন্যপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রাকিবুল ইসলাম ছিলেন সবার বড়। গত ৮ বছর ধরে তিনি রাজশাহীতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী শ্যামলী খাতুন এবং দুই মেয়ে রাবিয়া বাসরী ও রাইসা খাতুনকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
স্বজনরা জানান, রাকিব নির্মাণ শ্রমিকদের সর্দার বা ঠিকাদার ছিলেন। বিভিন্ন নির্মাণ কাছে তিনি গ্রাম থেকে শ্রমিকদের নিয়ে যেতেন।
প্রতিবেশী শাহানারা বেগম বলেন, ‘বিনা অপরাধে একটা নির্দোষ ছেলেকে ওরা মিটিয়ে ম্যারা ফেলল; এটার সত্য বিচার চাই। দেশে আইন আদালত আছে, থানা-পুলিশ আছে। কোনো কিছু না কর্যার পরও কোনো মানুষ এভাবে মারা ফেল্যা দিতে পারে? এখন ওই যে দুটো ছোট ছোট মেয়ে আছে, স্ত্রীটা আছে, এদের কী হবে? এখন পরিবারটার কী হবে?’
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহ সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকদের ছুরিকাঘাতে বাবা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সাভার থানাধীন বাইপাইল ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন টিএন্ডটি মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ৫২ বছর বয়সী ছেলে কামাল হোসেন, তার ৪০ বছর বয়সী স্ত্রী জাহানারা, তাদের ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে এবং নবী হোসেনের ১৯ বছর বয়সী ছেলে মো. নাঈম।
নিহতরা হলেন একই এলাকার ৬০ বছর বয়সী আবুল খায়ের ও তার ২০ বছর বয়সী ছেলে ফরহাদ হোসেন।
র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিজ জমিতে আবুল খায়ের হাল চাষ করছিল। এ সময় কামাল হোসেনের সঙ্গে জমির মাপযোপ করা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কামাল হোসেন তার স্ত্রী, ছেলেসহ কয়েকজনকে ডেকে আনে।
পরে তারা ধারালো দা, চাকু, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসে আবুল খায়েরকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ অবস্থায় তার ডাক-চিৎকারে ছোট ছেলে ফরহাদসহ অন্যান্য ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলে বাঁচাতে আসলে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সবাইকেই এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবুল খায়ের ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত আবুল খায়েরের ছেলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই হত্যায় জাড়িতরা পলাতক ছিলেন। ঘটনাটি র্যাব জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।’
অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়ন সময়ের বিকট শব্দে একটি বোয়িং উড়োজাহাজের চাকা পাংচার হয়ে গেছে।
ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়, যাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ১৪৮ যাত্রী, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়েতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
সে সময় থেকে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রীদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। এটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, ‘হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই ভয় পেয়ে যান। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা কমান। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন আবার ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।’
চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে জানিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘ওই উড়োজাহাজের চাকা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। মেরামতের পর এটি রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সচল করা হবে।’
বিকেলের দিকে বিমানবন্দেরর কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, ‘আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার চেঙ্গারকান্দি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩২ বছর বয়সী আঁখি বেগম পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন তার স্বামী সাঈদুল ইসলাম। তিনি ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরির্দশক আহসান হাবিব নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
স্থানীয় ও ওই গৃহবধূর শিশু সন্তানদের বরাতে তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সাঈদুলের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো আঁখি বেগমের। বৃহস্পতিবার রাতেও তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়।
পরে আঁখিকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাইদুল। পরে ঘর থেকে তার দুই সন্তানের চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার রক্তাক্ত মুখ থেতলানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে সাইদুলের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আখিঁর। তাদের দুই ছেলে ও চার মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সাঈদুল তাকে নানা অজুহাতে মারধর করত। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন শালিসও করেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তার পলাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যামামলা হবে।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি হওয়া প্রায় অর্ধকোটি টাকার কয়লা গ্রেডিং মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ওই চারজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন রামপালের বর্ণী গ্রামের বাদশা শেখ, পিরোজপুরের নরখালি গ্রামের রাব্বি ইসলাম, ফকিরহাটের চিত্রা গ্রামের কার্তিক শীল ও খাজুরা গ্রামের আবুল কারিম।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাধে শ্যাম সরকার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে চারজনকে আটক করা হয়। পরে আটকদের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে চুরি হওয়া মেশিনটি উদ্ধার করে। গত ১৬ জানুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মেশিনটি চুরি হয়।’
খুলনার ডুমুরিয়ায় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ওই ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল কয়েকজন কিশোর, তা দিতে না পারায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্র নিরব মন্ডল ওই এলাকার শেখর মন্ডলের ছেলে এবং একই বিদ্যালয়ের ছাত্র।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
পরিবারের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিরব বাড়ি থেকে গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে যায়। পরে বিকেল ৪টার দিকে তার বাবার কাছে দুটি নাম্বর দিয়ে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানান ও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে ওই নম্বর দুটিতে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত শ্রেণীকক্ষে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, ‘ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য