× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
In response to BNPs call what is Japas love for?
google_news print-icon

বিএনপির আহ্বানের জবাবে জাপা, এত প্রেম কিসের?

বিএনপির-আহ্বানের-জবাবে-জাপা-এত-প্রেম-কিসের?
শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সংসদ থেকে পদত্যাগে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দেবেন কি না, জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত প্রেম কিসের যে তারা পদত্যাগ করলেই আমরা করব? আমরা তো একসঙ্গে আন্দোলন করি না। কিংবা তাদের সঙ্গে তো আমাদের কোনো বোঝাপড়াও নেই। দলে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা চিন্তাভাবনা নেই।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি আর সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে দলটির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

একই সমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টিকেও সংসদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এর জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এত প্রেম কিসের?’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বলছেন, বিএনপির এমন আহ্বানের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সংসদ থেকে তাদের পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

বিএনপি জানিয়েছে, শনিবার সংসদ থেকে পদত্যাগকারী বিএনপির সংসদ সদস্যরা বেলা ১১টায় স্পিকারের কাছে তার কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র প্রদান করবেন। গোলাপবাগের দলীয় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে এমন ঘোষণা দলের সংসদ সদস্যারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে এই পথে যাচ্ছেন বলে সমাবেশে জানান দলটির সংসদ সদস্যরা।

বিএনপির আহ্বানের জবাবে জাপা, এত প্রেম কিসের?
বিএনপির ৭ এমপি (ওপরে বাঁ থেকে)- মো. হারুনুর রশীদ, জি এম সিরাজ, মো. মোশারফ হোসেন; (নিচে বাঁ থেকে) মো. আমিনুল ইসলাম, মো. জাহিদুর রহমান, আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া ও রুমিন ফারহানা। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) সিরাজ দলের পক্ষ থেকে শনিবারের সমাবেশে সংসদ থেকে দলীয় সদস্যদের একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘এই সংসদে থাকা-না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের পদত্যাগপত্র ই-মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজকে শনিবার ছুটির দিন। আগামীকাল সংসদ সদস্যরা স্পিকারের কাছে এই পদত্যাগপত্র পৌঁছে দেবেন।’

বিএনপির ওই সমাবেশ থেকে জানানো হয়, দলটির সাতজন সংসদ সদস্যের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ হারুনুর রশীদ দেশের বাইরে আছেন। তবে তিনিও পদত্যাগপত্রে সই করে গেছেন।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, ‘আমাদের সাতজন সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করছেন। জাতীয় পার্টিকে বলব, আপনারাও পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন।’

বিএনপির এমন আহ্বানে সাড়া দেবেন কি না, জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত প্রেম কিসের যে তারা পদত্যাগ করলেই আমরা করব? আমরা তো একসঙ্গে আন্দোলন করি না। কিংবা তাদের সঙ্গে তো আমাদের কোনো বোঝাপড়াও নেই।

‘বিএনপির রাজনীতি তাদের বিষয়। আমরা নিজস্ব রাজনীতি করি। দলে এমন কোনো সিদ্ধান্ত, চিন্তা আমাদের নেই। তাদের এ আহ্বানের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য ও দলের কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির এমন আহ্বানে সাড়া দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

‘এটা তো বিএনপির নিজস্ব ব্যাপার। জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। আমরা সত্যিকার অর্থে সাংবিধানিকভাবেই আগামীতে নির্বাচন করব এবং সে হিসেবেই প্রস্তুত হব।’

জাতীয় পার্টি বর্তমানে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল। দলটির মোট ২৬ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। আর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, এমনকি আগের দিন ভোট হয়ে গেছে- এমন অভিযোগ তোলার পরও সংসদে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য শপথ নেন। যারা গোলাপবাগে দলের বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।

বিএনপির ওই সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার আগে বিএনপি সংসদে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে বগুড়ার গাবতলী থেকে নির্বাচিত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নিলেও শপথ নেয়ার সময়সীমার শেষ দিন ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল শপথ নেন চার সংসদ সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুল সাত্তার ভুঁইয়া।

ওই নির্বাচনে বিএনপি জয় পায় কেবল ছয়টি আসনে। এর মধ্যে বগুড়া-৬ আসন থেকে জয় পাওয়া মির্জা ফখরুল শপথ নেবেন না জানিয়ে দিলেও ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান সবার আগেই শপথ নেন। এরপর জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে আনুপাতিক হারে বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায়। দলটি মনোনয়ন দেয় রুমিন ফারহানাকে।

আরও পড়ুন:
বিএনপির এমপি হারুনের পদত্যাগ এখনই নয়
আগে জানতাম ভোট চোর, এখন দেখি খিচুড়ি চোর: গয়েশ্বর
১৩ ও ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপির মিছিল
চমক ছাড়াই বিএনপির ১০ দফা
কমলাপুরে ২ মোটরসাইকেলে আগুন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dhaka Bangkok will work together on the Rohingya issue

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রী মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। ছবি: বাসস
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।

থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।

দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।

এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
We must work for the development of the country and people Prime Minister

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফাইল ছবি
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।

থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।

গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP expelled 73 leaders who went to the polls
উপজেলা নির্বাচন

ভোটে যাওয়া ৭৩ নেতাকে দলছাড়া করল বিএনপি

ভোটে যাওয়া ৭৩ নেতাকে দলছাড়া করল বিএনপি
চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ অংশ নিচ্ছেন, এমন ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সমস্ত নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। এর আগে-পরে সব নির্বাচনই বয়কট করে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে দলটি।


বহিষ্কার হলেন যারা

চট্টগ্রাম বিভাগ

মোসা. শিরীন আক্তার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বান্দরবান জেলা মহিলা দল বান্দরবান জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মো. রিটন মো. রিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, আলীকদম উপজেলা বিএনপি বান্দরবান জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

মোসা. জাহানারা জাহাঙ্গীর সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দল। জেলা কক্সবাজার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

জাহাদুল হুদা সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা যুবদল। জেলা কক্সবাজার। ভাইস চেয়ারম্যান রাজশাহী বিভাগ

কায়সার আহমেদ সাবেক সহ—সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

মো. কামাল উদ্দীন সদস্য, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

মোসা. রেশমাতুল আরস রেখা মহিলাদল নেত্রী, ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

বাবর আলী বিশ্বাস সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

আতাউর রহমান খসরু আহ্বায়ক, মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি কালাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান ১১. শামীমা আক্তার (বেদেনা) সদস্য, জয়পুরহাট জেলা মহিলাদল ও সহ-সভাপতি, ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলাদল।
জয়পুরহাট জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা সাবেক ভিপি, নাটোর সদর উপজেলা। নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

আফজাল হোসেন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

মোসা. মহুয়া পারভিন সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা মহিলাদল নাটোর জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

ময়মনসিংহ বিভাগ

এ বি এম কাজল সরকার সাবেক ছাত্রনেতা হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

মোসা. সুমি বেগম সহ-কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মোসা. মনোয়ারা বেগম সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

হাসনাত তারেক সদস্য, আইনজীবী ফোরাম হালুয়াঘাট উপজেলা ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

জাহাঙ্গীর আলম খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

শামসুর রশিদ মজনু সাবেক সহ-সভাপতি ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

ইমরান হাসান পল্লব সাবেক সাধারণ সম্পাদকফুলপুর পৌর বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

কামাল উদ্দীন যুগ্ম আহ্বায়ক পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
(প্রত্যাহার করেছেন)

নাজমুল আলম সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

নাজমুল আলম সদস্য, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

ফরিদ আল-রাজি সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদল। কুমিল্লা বিভাগ

সাজ্জাদ মোর্শেদ সহ—প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, নাসিরনগর উপজেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

ওমরাহ খান সাবেক সহ-সভাপতি নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

শামীম ইস্কান্দার সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

হানিফ আহমেদ সবুজ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল উপজেলা যুবদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
রৌমারী উপজেলা মহিলাদল, কুড়িগ্রাম জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু যুগ্ম আহ্বায়ক, পীরগাছা উপজেলা বিএনপি, রংপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফরিদপুর বিভাগ

জানে আলম সদস্য সচিব, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষকদল, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

ফারুক মৃধা প্রাথমিক সদস্য, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

শাহিদ আল-ফারুক যুগ্ম আহ্বায়ক, ফরিদপুর জেলা কৃষকদল, সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

এ কে এম নাজমুল হাসান সাবেক সদস্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

রউফ উন-নবী সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

শারমিন আক্তার টুকটুকি সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দল, সদর, রাজবাড়ী জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pakistan also appreciates development of Bangladesh BNP does not Kader

পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে, বিএনপি করে না: কাদের

পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে, বিএনপি করে না: কাদের ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, অথচ বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। খবর বাসসের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপি নেতাদের প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

বৃহস্পতিবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়। সে সময় ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সব প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 BNP leaders in jail in Moulvibazar

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।

মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।

মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leaders have become disinterested Kader

বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন: কাদের

বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন: কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এমনকি জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।’

ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এমনকি জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।’

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হয় না যে আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে, জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। তাই জনগণকে হাতিয়ার করে নয়, জনকল্যাণের রাজনীতি করে জনগণের মন জয় করেই তাদেরকে ক্ষমতায় যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে তারা শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তারা সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ। দলটি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধ্যগ্রন্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

‘সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ নিলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালান।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

‘সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের
নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের
বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের
উপজেলা নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন সম্মেলন বন্ধ: কাদের
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC orders more vigilance in polling in hilly upazilas

পার্বত্য উপজেলাগুলোতে ভোটে অধিক সতর্কতার নির্দেশ ইসির

পার্বত্য উপজেলাগুলোতে ভোটে অধিক সতর্কতার নির্দেশ ইসির
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘জেলায় জেলায় কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেয়া হবে। নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা যেন অব্যাহত থাকে।’

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন ভবনে মাঠ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, ‘প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে তা বলেছেন। পার্বত্য জেলাগুলোতে যেখানে হেলিকপ্টার সাপোর্ট দেয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচদিনের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য তারা বলেছেন। কমিশন তাতে সম্মত হয়েছে।

‘পার্বত্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা বলেছেন যে ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে। কমিশন সেটা বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। মূলত মাঠ প্রশাসনে যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

ইউপি চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন বিষয়টি নিয়ে আপিল করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আদেশের কপি এখনও আমরা পাইনি। পেলে আপিল করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলায় জেলায় কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেয়া হবে। নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।’

জাহাংগীর আলম বলেন, ‘কর্মকর্তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি। তারা বলেছেন- স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে তাই সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে। এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বলেছেন। সহিংসতার আশঙ্কা করেননি। এ বিষয়টা গোয়েন্দা রিপোর্টে থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পার্বত্য জেলার উপজেলাগুলোতে নির্বাচনে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’

নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব খাটানো নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘আচরণবিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছেন। কমিশনও আশ্বস্ত করেছে যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে দেশের পৌনে পাঁচ শ’ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি
থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত
মুন্সীগঞ্জ সদরে ৩ ও সাঘাটায় ১ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

মন্তব্য

p
উপরে