রাজধানীর গোলাপবাগে গণসমাবেশে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন এমন ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এই সাতজনের একজন না হলেও গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন পেয়েই এমপি হয়েছিলেন রেজাউল করিম বাবলু ওরফে গোলবাগী।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘জিয়া পরিবারের আসন’ বলে খ্যাত বগুড়া-৭ আসনে (শাজাহানপুর-গাবতলী) ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন রেজাউল।
ওই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব জাতীয় নির্বাচনেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। পরে বিএনপির মনোনয়ন পান দলের গাবতলী উপজেলা শাখার মোরশেদ মিলটন।
কিন্তু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এখানে আওয়ামী লীগেরও কোনো প্রার্থী ছিল না। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস আরা খানের পক্ষে কাজ করে। তিনি তৎকালীন গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম খানের স্ত্রী এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খানের শাশুড়ি।
এ অবস্থায় ভোটের এক দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমকে সমর্থন দেয় স্থানীয় বিএনপি। ট্রাক প্রতীক নিয়ে তিনি ১ লাখ ৯০ হাজার ২৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। কিন্তু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিএনপির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেননি রেজাউল করিম বাবলু।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খায়রুল বাশার বলেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী রেজাউল করিম বাবলুকে আমরা শুধু মাঠপর্যায়ে সমর্থন দিয়েছিলাম। তার ভোট করেছিলাম। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। আমরাও তার কাছে যাইনি।’
পদত্যাগের কথা জানতে চাইলে এমপি রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘আমি কেন পদত্যাগ করব? আমি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। আমার পদত্যাগের কোনো কারণ নেই। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছে। এমন কথা শুনতে পাচ্ছি।’
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় আসেন রেজাউল করিম বাবলু। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপন করারও অভিযোগ আছে।
এমনকি সংসদ সদস্য হওয়ার দুই মাসের মধ্যে বদলে যায় তার আর্থিক অবস্থাও।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বরে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দিকে পিস্তল তাক করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন রেজাউল করিম। ওই দিন প্রকল্পের জন্য দেয়া টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে তার সঙ্গে উপজেলা যুবলীগ নেতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্ব থামাতে গেলে পাল্টা উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নুর দিকে নিজের পিস্তল তাক করেন এমপি। পরে তিনি আত্মরক্ষার জন্য পিস্তল বের করেছিলেন বলে দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনের হলফনামার ৩ এর ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, অতীতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কি না, থাকলে তার ফলাফল উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ করতে হবে যে আইন ও ধারায় মামলা হয়েছে। কোন থানায় মামলা হয়েছিল। মামলার নম্বর এবং মামলার ফলাফল।
রেজাউল হলফনামায় দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা ছিল না। কিন্তু পরে তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে মামলা করেছিলেন আবু হায়াত নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলার গোয়ালগাছা গ্রামে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সালে শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় চাকরি দেয়ার নাম করে আবু হায়াতের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন গোলবাগী। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে আবু হায়াতকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তিনি টাকাও ফেরত পাননি।
মামলার বিষয়ে আবু হায়াত বলেছিলেন, ‘এই বাবলু চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছেন।’
হলফনামায় মামলার তথ্য গোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘হলফনামায় আমি তথ্য দিয়েছি কি না, এ বিষয়ে আমার এখন কিছু মনে নেই। কাগজপত্র দেখে বলতে পারব।’
এদিকে, সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মাসিক আয় ৪১৭ টাকা দেখান রেজাউল করিম বাবলু। আয়ের উৎস বলা হয়েছে কৃষি ও ব্যবসা। এর মধ্যে কৃষি থেকে বছরে আসে ৩ হাজার টাকা। আর ব্যবসা থেকে বছরে আয় ২ হাজার টাকা। নির্বাচনের আগে তার কাছে নগদ টাকা ছিল ৩০ হাজার। ব্যাংকে জমার পরিমাণও ৩০ হাজার টাকা। তার মোটরসাইকেলের মূল্য ৫০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য হওয়ার আগে রেজাউল করিম বাবলুর দৃশ্যত কোনো ব্যবসা ছিল না। তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা বুলেটিন নামে একটি পত্রিকার শাজাহানপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে গাড়ি (নোয়াহ হাইব্রিড) কিনে আলোচনায় আসেন তিনি।
এ বিষয়টি আমলে নিয়ে গত মার্চ মাসের শুরুতে তার সম্পদের প্রাথমিক তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদকের বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়। চিঠিতে ২০২১ সালের ১৪ মার্চের মধ্যে হাজির হয়ে সম্পদের প্রাথমিক হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
নোটিশের পরে ১৪ মার্চ তিনি বগুড়ার দুদক কার্যালয়ে যান। তবে সেদিন কোনো তথ্য জমা দেননি। রেকর্ডপত্র গোছানো না থাকার অজুহাত দেখিয়ে সম্পদের হিসাব জমা দিতে দুদকের কাছে সময় চান তিনি।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কাগজপত্র প্রমাণসহ আগামী তারিখে লিখিত জবাব দাখিল করব। দুদক কর্মকর্তারা আপাতত মৌখিকভাবে সময় দিয়েছেন।’
পরে দুদক তাকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয় সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেয়ার জন্য। এরপর তিনি তার সম্পদের প্রাথমিক নথি দুদকে জমা দেন।
এ বিষয়ে রেজাউল করিম বাবলু বলেছিলেন, ‘সর্বশেষ আমি যে সাত দিনের সময় নিয়েছিলাম তখনই সম্পদের হিসাব দিয়েছি।’
এরপর থেকে তার সম্পদের হিসাব যাচাইবাছাইয়ের কাজ ঝুলে আছে।
জানতে চাইলে জেলা দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কিছু সম্পদের বিবরণী পাওয়া গেছে। সেগুলোর যাচাইবাছাই করছি আমরা। খুব শিগগির এটার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
আরও পড়ুন:নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে নারীসহ দুই ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম (৩২)। তারা উভয়ই রুবেল গ্রুপের সদস্য।
আহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন আমির হোসেন (২১) ও রাব্বি মিয়া (২৪)।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সংঘর্ষে রুবেলের চাচা মানিক মিয়া পার্শ্ববর্তী চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
‘এ সময় হারুন অর রশিদের সমর্থকরা তাকে বশির উদ্দিনের উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়।’
নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। কল্পনা বেগম একই ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য।
ওসি জব্বার বলেন, ‘দুই গ্রুপের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে ভোর থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধের মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।
এ শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত পাওয়া যায়।
এমন বাস্তবতায় নতুন করে অনুপ্রবেশের শঙ্কার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাংয়ের পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নেয়। এসব জায়গা পুনরুদ্ধারে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। এ কারণে সে দেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁপে উঠছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতভর মিয়ানমারের গোলার কারণে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে।
‘তাই আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।'
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারে এখনও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে। সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গার বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।
সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুর্শেদ।
এদিকে খারাংখালী, টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।
সীমান্তের বাসিন্দা গফুর আলম বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারিনি। একটু পরপর গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে এপারে, যার কারনে ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি।
‘রাতের মতো এমন গুলির শব্দ আগে কখনও শুনিনি। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে সীমান্তে আবারও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’
ক্যাম্পে বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘রাখাইনে কয়েক দিন ধরে ফের যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে, যার কারনে সে দেশে থাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য, কিন্তু তাদের এ দেশে না আসতে নিরুৎসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণে ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
অন্যদিকে মিয়ানমারের মংডু শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
এমন বাস্তবতায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা দিন-রাত টহল বৃদ্ধি করেছেন।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও গোলার বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
‘আমরা সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের খোঁজখবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়া উত্তরের জেলা নওগাঁয় শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এটি চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো জেলার তাপমাত্রা আট দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নওগাঁয় সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ।
রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল হলেই কেটে যাচ্ছে শীত।
দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের। তাই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতাও কমে যাচ্ছে।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সদর উপজেলার সামনে শনিবার সকালে কথা হয় রিকশাচালক কুরবান আলীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘সারা দিন যখন গরম থাকে, তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়, কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না।
‘শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
‘সেই হিসাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীত আগামীতে বৃদ্ধি পেতে পারে।’
আরও পড়ুন:বন্য খেজুর থেকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান মজুমদার ও তার গবেষক দল।
বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার তৈরি বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এ অধ্যাপক।
গবেষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাজন প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় কৃষিসম্পদ কাজে লাগিয়ে এবং অপচয় কমিয়ে এ পদ্ধতি খাদ্য উৎপাদনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতেও সহায়ক হতে পারে। গবেষণাটি বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
উৎপাদিত ভিনেগারটির দেশের বাজারে প্রভাব সম্পর্কে অধ্যাপক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই গবেষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভিনেগার উৎপাদন কেবল খাদ্য ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্যাকেজিং, কসমেটিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও ব্যবহৃত হতে পারে।
‘বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর ভিনেগারের চাহিদা বাড়ছে, যা বাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।’
বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য স্থানীয় কৃষি সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্য খেজুর ইদানীং ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি বেশ সস্তা ও স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য।
‘এই খেজুর গাছ সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় এবং রাস্তার পাশের জমিতে পাওয়া যায়, তবে নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরও এই বন্য খেজুর দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই অব্যবহৃত একটি সম্পদ।’
গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বন্য খেজুরের রস ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া মাধ্যমে ভিনেগারে পরিণত করা হয়েছে। এ গবেষণায় এক ধরনের ইস্ট ব্যবহার করে ওই রসে অ্যালকোহল তৈরি করা হয় এবং পরে অ্যাসিটোব্যাক্টর প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দিয়ে অ্যালকোহলকে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করা হয়।’
গবেষক আরও বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসের ঘনত্ব যত বেশি হয়, তত বেশি অ্যালকোহল ও অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘনত্বের রসটি সবচেয়ে ভালো পুষ্টিগুণ, অ্যাসিডিটি ও ম্যাক্রো মিনারেলস (পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম) সমৃদ্ধ হয়। তাই এটি স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পণ্যও বটে।’
গবেষণাটি বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা এলসভিয়ারের নামী সাময়িকী অ্যাপ্লায়েড ফুড রিসার্চে সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে।
ভিনেগার তৈরির এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও মাঠ পর্যায়ে সফলতা সম্পর্কে এ অধ্যাপক বলেন, ‘এই গবেষণা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন আয় সৃষ্টির পথ খুলতে পারে। একদিকে খেজুর থেকে তৈরি ভিনেগারের উচ্চমান এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
অধ্যাপক আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে বাকৃবি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আরও ছয় জন গবেষক এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। বাকৃবি থেকে গবেষক দলে রয়েছেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. পলি কর্মকার এবং ওই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ও আ ন ম ইফতেখার আলম।
এ ছাড়া সিকৃবির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফাহাদ জুবায়ের এবং ডুয়েটের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লোপা আনসারী গবেষক দলে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠির নলছিটিতে শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন।
বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের ষাইটপাকিয়া এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দুজন হলেন আল আমিন সিরাজ (৪৫) ও মফিজুর রহমান (৮৫)।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, রাতে আল আমিন সিরাজ মোটরসাইকেল চালিয়ে বরিশাল থেকে ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ষাইটপাকিয়া এলাকায় সড়কের পাশে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন মফিজুর রহমান নামের বৃদ্ধ।
সিরাজ তার মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী মফিজুর রহমানকে চাপা দেন। এতে দুজনেরই অবস্থা গুরুতর হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন দুজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত বলে জানান।
নিহত পথচারী মফিজুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বাড়ইয়ারা গ্রামে। তিনি তার জামাতার চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জামাতাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য।
বাইকচালক আল আমিন সিরাজের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার শ্বশুরবাড়ি ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায়। তিনি বাইক চালিয়ে শশুর বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী নলছিটি থানা এলাকায় ঘটলেও মরদেহ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আমরা নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি।
‘তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে প্রাথমিক সুরতহাল করে পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।'
আরও পড়ুন:কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রবেশে বাধা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ।
এসপি শুক্রবার রাত আটটার দিকে প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তাকে বাধা দেয়া হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পক্ষ চলমান ‘ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী সংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজ’-এর বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই কুমিল্লার এসপি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনকে নিয়ে একটি গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে। গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ তার প্রবেশে বাধা দেয়।
পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন এসে এসপিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করাতে চান। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। দুই পক্ষের হট্টগোলে পুলিশ সুপার কিছুক্ষণ ফটকে অপেক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে ফিরে যান।
জানতে চাইলে এসপি নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আসা হয়নি। তাই আজকে এক জায়গা থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
সমন্বয়ক ও কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আমরা উনাকে ইনভাইট করেছিলাম, কিন্তু উনি যে আসবে বিষয়টি বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত ছিলাম না।
‘স্যারের ব্যস্ততার কারণে উনি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে একটু আলোচনা করতে এসেছিলেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. হান্নান রহিম খিচুড়ি ভোজ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘যেখানে আন্দোলনে আহতরা এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে, দাউদকান্দিতে আজকেও একজন মারা গিয়েছে, সেখানে খিচুড়ি ভোজ, নাচ-গান এসব তো এক প্রকার তাদের প্রতি মশকরা করার মতো।
‘আহত অনেকেই চাচ্ছে তাদের যেন যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থাটা অন্তত করে দেয়া হয়। এমন একটা সিচুয়েশনে এ রকম একটা আয়োজনের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। আর সেই আয়োজনে এসেছেন পুলিশ সুপার। তাই আমরা ঢুকতে দিইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি টাকার যে জোগান, সেটা একজন সাবেক কাউন্সিলর থেকে আসছে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করার জন্য আন্দোলনের এই পর্যায়ে এমন একটি আয়োজনের অর্থায়ন করেছেন। তাই তাকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘পুলিশ সুপার যে আসবেন, আমরা জানি না। আমাদের কাউকে জানানোও হয়নি।
‘তাকে যে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি।’
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই নারী। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫১৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭০ জন।
মন্তব্য