× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
10 points of BNP without surprise
google_news print-icon

চমক ছাড়াই বিএনপির ১০ দফা

চমক-ছাড়াই-বিএনপির-১০-দফা
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে জনসভামঞ্চ। ছবি: নিউজবাংলা
দীর্ঘ বক্তৃতাপর্বের মাঝামাঝি সময়ে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুহিম ফারহানা জানান, তাদের দলের সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করবেন। রোববারই জমা পড়বে তাদের পদত্যাগপত্র। এটিই মূলত গোলাপবাগ সমাবেশের সবচেয়ে বড় ঘোষণা।

১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে যে ১০ দফা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে কোনো চমক বা নতুনত্ব নেই। গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হচ্ছিল, তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোই। এমনকি যুগপৎ আন্দোলনের যে রূপরেখা ঘোষণার কথা নেতারা জানিয়ে আসছিলেন, সেটিও হয়নি।

জনসভাস্থল নিয়ে নানা নাটকীয়তা শেষে শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে এই সমাবেশ হয়। এতে জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সাতজন সদস্যের পদত্যাগ ছাড়া বাকি বক্তব্য আগের ৯টি বিভাগীয় সমাবেশের মতোই এসেছে।

এই কর্মসূচি থেকে বড় কোনো কর্মসূচি আসার বিষয়ে যে আলোচনা ছিল, সেটিও হয়নি। এক নেতার বক্তব্য উঠে এসেছে, গোলাপবাগের কর্মসূচি গা গরমের মতো, ‘আসল যুদ্ধ’ আসছে পরে।

সমাবেশ শেষে ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিলের ডাক দেয়া হয়েছে। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর বিএনপি আরও একটি মিছিল করবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে।

এমনকি যুগপৎ আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়ে যেসব দলের সঙ্গে আলোচনা করছিল, তারাও এই সমাবেশে যোগ দেয়নি, যদিও আগের বিকেলে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের গোলাপবাগে অংশ নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছিল।

বিএনপির এই সমাবেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে, যদিও নেতা-কর্মীরা আগের দিন বিকাল ৪টার পর থেকেই ময়দানে যেতে থাকেন।

দীর্ঘ বক্তৃতাপর্বের মাঝামাঝি সময়ে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুহিম ফারহানা জানান, তাদের দলের সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করবেন। রোববারই জমা পড়বে তাদের পদত্যাগপত্র।

পরে সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঘোষণা করেন তাদের ১০ দফা দাবি।

চমক ছাড়াই বিএনপির ১০ দফা
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের একাংশ

কী আছে ১০ দফায়

# বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

# ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

# নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসেবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।

# খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করা।

# ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা।

# বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

চমক ছাড়াই বিএনপির ১০ দফা
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তই গোলাপবাগ সমাবেশ থেকে আসা সবচেয়ে বড় ঘোষণা। এই ঘোষণা দেন বগুড়া-৬ আসনের জি এম সিরাজ এবং সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানা

# নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করা।

# বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

# গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা।

এবং

# আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া।

‘গোলাপবাগ ওয়ার্মআপ, শেষ যুদ্ধ আসছে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ঢাকায় তারা যে সমাবেশটি করেছেন, সেটি গা গরমের। সামনে ‘শেষ যুদ্ধ’ হতে চলেছে, আর সেই যুদ্ধে বিএনপি জয়লাভ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১০ টা মিটিং করেছি। আজকে শেষ মিটিং। এই মিটিংকে আমরা বলব, আমরা ওয়ার্ম ওয়া্র্ক করেছি। আজকের সমাবেশ থেকে আমাদের প্রধান অতিথি সরকার পতনের ১০ দফা ঘোষণা করবেন। পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা ঘোষণা হবে। তারপর থেকে শুরু হবে রাজপথের সংগ্রাম। এর পরে হবে আমাদের শেষ যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করব।’

তিনি বলেন, ‘গত ৭ তারিখে আমাদের ওপর সরকারের কর্মচারীরা যে হামলা করেছে, তা ১৯৭১ সালেব ২৫ মার্চের হানাদার বাহিনীর হামলার থেকে কম কিছু না। আমরা বলতে চাই, ক্ষমতা বেশিদিন থাকবে। ইতিহাস পড়েন। শিক্ষা নেন।

'মানুষ ক্ষেপে গেছে, যত বাধায় দেন, যত গুলিই করেন, মানুষের কাছে সেটা কিছুই না। যার কারণে কাল অনুমতি পাওয়ার পরপর এই মাঠ কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল।'

চমক ছাড়াই বিএনপির ১০ দফা
ঢাকা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেন

১০ দফার ঘোষণার পর বিএনপি আর পিছু হটবে না জানিয়ে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে, আহত করে, নিহত করে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। আমাদের কেউ ভয় পায়নি।

'চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল। এই মাদল কে বাজাচ্ছে? এই মাদল বাজাচ্ছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই মাদল বাজাচ্ছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আপনারা সেই ছন্দে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আপনারা উজ্জীবিত হয়েছেন। এটি ধরে রাখুন। সামনে কাজে লাগব।

‘তারা আমাদের যতই খেলে দেয়ার চেষ্টা করুক। এবার কেউ পিছু হটবে না। আজকের ঘোষণার পর এক দফা আন্দোলনে যাব। জনগণকে নিয়ে সরকার পতনের লড়াই করে যাব।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে ঢাকায় হরতাল পালন হচ্ছে। এই হরতাল ডেকেছে সরকার। বাস নাই গাড়ি নাই। থমথমে। কী বুঝলেন?

'এই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হাতে মাল নিয়ে পিকেটিং করছে। এই মাল মানে বোঝেন? এই মাল হলো অস্ত্র। তারা ঢাকার এন্ট্রি গেটে পিকেটিং করছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পিকেটিং মানুষ কখন করে? হরতাল কখন করে? সরকার কী আছে? সরকার নেই। বাংলাদেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না।’

১০ দফা ঘোষণা এলে বুকের রক্ত দিয়ে হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা করতে বাধ্য করার কথাও বলেন তিনি।

বিএনপি এই সমাবেশটি করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে না গিয়ে অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ার পর বুধবার পুলিশের সঙ্গে বাঁধে সংঘর্ষ।

এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযানে যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় পাঁচ শ নেতা-কর্মীকে, যাদের মধ্যে আছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সেদিনের সেই ঘটনার পর সমাবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করেই কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ আসে আলোচনায়। তবে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গভীর রাতে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার পর বুধবারের সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সমাবেশের আগের দিন বেলা তিনটার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের আলোচনায় ঠিক হয় গোলাপবাগে হবে বিএনপির সেই জনসভা।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিকভাবে যে সমাবেশ করে আসছে, তার শেষ কর্মসূচি হিসেবে হলো এই জমায়েত।

প্রথমে চট্টগ্রাম, এরপর ময়মনসিংহ, তারপর খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং রাজশাহীতে হয় এই সমাবেশ।

আরও পড়ুন:
নয়াপল্টনে নাশকতার শঙ্কায় বন্ধ রাস্তা: ডিএমপি
ঢাবিতে ৯ জনকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ, ছাত্রলীগের অস্বীকার
দূরপাল্লার বাস সংকট
ক্ষমতাসীনদের দখলে পুরান ঢাকা, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ
মানিকগঞ্জে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
VAT exemption on ship recycling yard machinery

শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি

শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি চট্টগ্রামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সরকার বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশগতভাবে টেকসই অনুশীলনের উন্নয়নে শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করসহ ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

আদেশে বলা হয়, ‘সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর। এই রূপান্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে বাংলাদেশে রিসাইক্লিং করার জন্য জাহাজ আমদানি নিষিদ্ধ হবে।

‘ফলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নম্বর আইন) এর ১২৬ ধারার উপধারা (৩) অনুযায়ী মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

অব্যাহতির শর্তগুলো

আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি কেবল জাহাজ ভাঙা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইয়ার্ডগুলোর বিকাশের জন্য ব্যবহার করতে হবে।

কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় আমদানিকারকদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তার কাছে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, যন্ত্রপাতিটি কেবল এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।

এনবিআর সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, রেয়াতি মূল্যে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি আমদানির পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ সময়ের আগে কোনো যন্ত্রপাতি বিক্রি বা স্থানান্তর করা হলে ভ্যাট ছাড় প্রত্যাহার করা হবে এবং অগ্রিম করসহ প্রযোজ্য সব কর পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা উভয়ই জাহাজ ভাঙা ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে এককভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্ধারিত পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়নি- তা নিশ্চিত করতে কমপ্লায়েন্স তদারকি করবেন।

এ ছাড়া আমদানিকারকদের ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। ছাড়পত্রের সময় এ অঙ্গীকারনামা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
বাঁকখালীতে ভাসল ‘কল্প জাহাজ’
কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে 
কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজে আগুন, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার
জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি
পতেঙ্গায় অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, দুজনের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ekushey medalist singer Papia Sarwar passed away

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। ছবি: ইউএনবি
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এ শিল্পী, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম।

তিনি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শিল্পীর দাফন সম্পন্ন হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া। গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এ শিল্পী, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

পাপিয়া সারোয়ার ১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রসংগীত অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন।

বেতার ও টিভিতে ১৯৬৭ সাল থেকে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন পাপিয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ও গায়কীর প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে।

আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।

সংগীতবোদ্ধাদের মতে, আধুনিক গান বাছাইয়ে বেশ সচেতন ছিলেন বলে তার অ্যালবামের সংখ্যা কম। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে।

পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পান একুশে পদক।

আরও পড়ুন:
শিল্পী বেবী নাজনীন দেশে ফিরছেন রোববার
জামিনে কারামুক্ত হলেন পাপিয়া
‘সরলতার প্রতিমা’র গায়ক খালিদ মারা গেছেন
সরকারের স্বীকৃতি চান দারুশিল্পী নরেশ
পাপিয়ার জামিন স্থগিতই থাকছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Important part of Dhaka Chittagong highway is in bad condition

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বেহাল

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বেহাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি অংশ। ছবি: ইউএনবি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটারের রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নোয়াপাড়াসহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশেরও একই হাল।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এ অবস্থা সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটারের রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নোয়াপাড়াসহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশেরও একই হাল।

এ ছাড়া আদর্শ সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর থেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পর্যন্ত দুই লেনের সড়কের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সড়কের এই দুরাবস্থায় বিশেষ করে পণ্যবোঝাই বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে যানবাহনের গতি কমেছে এবং ঘন ঘন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, যানজটের ভোগান্তি এবং ধুলাদূষণ যাত্রীদের জন্য প্রতিদিনের অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।

চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার একটি বড় অংশ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

মহাসড়কের বাইরে কুমিল্লার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়কও বেহাল।

৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক খানাখন্দে পূর্ণ ও সরু হওয়ায় চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্য ভ্রমণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে।

যাত্রী ও চালকদের ওপর প্রভাব

কুমিল্লা বাসমালিক সমিতির সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ‘কুমিল্লায় মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চালক-যাত্রী উভয়কেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিনিবাস চালক আবুল হোসেন প্রতিদিনের ভোগান্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সরু রাস্তা, ভারী যানবাহন এবং গর্ত সব মিলিয়ে চালকদের জন্য একটি নিয়মিত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মুজাফফরগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশটি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চাঁদপুর অংশে যাতায়াত অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

সাম্প্রতিক বন্যা ও ভারি বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেন কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা।

তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা ১৫ দিনের মধ্যে মেরামতের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছি।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের বৃহত্তম বন্দর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার সংযোগকারী প্রধান সড়ক হিসেবে কাজ করে।

মহাসড়কটি গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষির মতো শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনকে সহজতর করে, যা আমদানি-রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এ রুট দিয়ে পরিচালিত হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য এর গুরুত্ব তুলে ধরে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে শুধু সড়ক নিরাপত্তাই বিঘ্নিত হবে না, দেশের অর্থনৈতিক গতিও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন:
ঢাকার বায়ুমান ঝুঁকিপূর্ণ, মাস্ক পরার পরামর্শ
ঢাকা-আগরতলা লং মার্চ করবে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা 
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reports of attack on ISKCON in Indian media are fake CA Press Wing

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ভুয়া বলে জানিয়েছে সিএ প্রেস ‍উইং। ছবি: বাসস
সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার বলেছে, মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা এলাকায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি ভুয়া।

১০ ডিসেম্বর এবিপি আনন্দ এবং সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ঢাকার উত্তরায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে।

সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

ঢাকার পুলিশও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় মিডিয়া ‘ভুক্তভোগীর’ কোনো বক্তব্য বা পরিচয় প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ পুলিশ অথবা কোনো ইসকন নেতারও বক্তব্য নেই এসব প্রতিবেদনে, যা সার্বিক বিবেচনায় খবরগুলোকে অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত করে।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ ইসকনের কেন্দ্রীয় নেতা হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, উত্তরায় সাম্প্রতিক একটি পারিবারিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিষয়ে জড়িত যুবকরা ইসকনের সদস্য নন।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া নয়াদিল্লির দ্বিতীয় চিন্তা নেই
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will buy essential commodities including edible oil LNG fertilizer

ভোজ্যতেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনবে সরকার

ভোজ্যতেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনবে সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো ও চারটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ছবি: ইউএনবি
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন, সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।’

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মসুর ডাল, খোলা সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, এলএনজি, সার এবং ক্রুড ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল কিনবে সরকার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বুধবার দুপুরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপার অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন, সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাঠ্যবই আমরা শিগগিরই চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, খোলাবাজারে বিক্রয় কর্মসূচির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ও ১ লাখ ১০ হাজার লিটার পাম অয়েল কিনবে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)।

রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

টিসিবির জন্য পাম অয়েলও কেনা হবে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকেই। ১ কোটি ১০ লাখ লিটার খোলা পাম অয়েলের প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ অয়েল গ্যাস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।

৭০৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি এমএমবিটিইউ ১৫.০২ ডলারে এলএনজি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড।

এ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ৩৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ লাখ টন মুরবান ক্রুড পেট্রোলিয়াম (এএলসি) আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।

ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড কোং ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০ কোটি ১৬৪ লাখ টাকা।

প্রস্তাবে পেট্রোলিয়ামের পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় জেএসসি ফরিন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রোডিন্টর্গ’ থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার, মরক্কোর ওসিপি থেকে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং মরক্কো থেকে ২৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি করবে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারীকে চুক্তি প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আরও পড়ুন:
অসহযোগিতা করলে বাদ দিয়ে প্রশাসনে নতুন নিয়োগ: উপদেষ্টা আসিফ
সুনামগঞ্জ এসএ পরিবহনে কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য
বাজারের ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের অর্ধেকই নকল ও অনুমোদনহীন
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
প্রথমবারের মতো ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে নারী ট্রাকচালক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Presidents invitation to Khaleda Zia at the Victory Day function

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্রটি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্র গ্রহণ করেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

জানতে চাইলে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার রাতে বার্তা সংস্থা বাসস-কে বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ রাত ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এই আমন্ত্রণপত্র আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Japan has promised to continue supporting Bangladesh

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক- এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক- এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর দৃঢ় সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’

সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোনো কোম্পানি চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’

নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার আগে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সংস্কার প্রক্রিয়ায় ইইউ’র পূর্ণ সমর্থন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার ঐক্যের ডাকে ধর্মীয় নেতাদের একাত্মতা
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবার: প্রধান উপদেষ্টা
নতুন এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে