নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মশালার আয়োজন করে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার রাঙামাটি জেলায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (আরপিটিআই) মিলনায়তনে ‘অ্যাডভান্সিং ইয়ুথ এক্টিভিজম টু অ্যাড্রেস জেন্ডার-বেইসড ভায়োলেন্স’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ‘উইমেন সেইফটি ইন পাবলিক প্লেস’ ক্যাম্পেইনের ভূমিকা তুলে ধরে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) বলেন, ‘নারীর নিরাপদ অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে এতে অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে নিজ নিজ জায়গা থেকে সমাধান ও প্রস্তাবনা পেশ করেন।’
তিনি জানান, কর্মশালাটির মূল লক্ষ্য নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বিশেষভাবে নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।
কর্মশালায় অংশ নেয়া সদস্যরা বলেন, জনসমাগম ও চলার পথকে নারীদের জন্য নিরাপদ করতে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি রোধে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইউএনডিপি এর মানবাধিকার প্রকল্পের কমিউনিকেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি এক্সপার্ট অলি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী এই কর্মশালার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও জনস্থানে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজের পাশাপাশি অংশীদারদের জোড়ালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম বলেন, ‘জনস্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা অতি জরুরি।’
রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রাঙামাটি পৌর এলাকাকে নারীর জন্য শতভাগ নিরাপদ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ইউএনডিপি, সিআরআই এবং ইয়ং বাংলা এ কর্মশালায় সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে বর্ণবৈষম্য নিষিদ্ধ করেছে সিয়াটল।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সিটি কাউন্সিল এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শহরের বৈষম্যবিরোধী নীতিতে বর্ণবৈষম্যকে রাখার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান রাজনীতিক ও অর্থনীতিক কেশামা সাওয়ান্ত। উচ্চ বর্ণের এ হিন্দু রাজনীতিকের প্রস্তাবটি ৬-১ ভোটে পাস করে সিয়াটল সিটি কাউন্সিল।
এ ভোটের ফল যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্য ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সিটি কাউন্সিল সদস্য কেশামা সাওয়ান্ত জানান, তাদের আন্দোলনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো বর্ণবৈষম্যবিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে।
এ আন্দোলনের বিজয়কে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে দিতে নতুন আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার বলে মত দেন তিনি।
প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভারতীয় আমেরিকান আইনপ্রণেতা প্রমিলা জয়পাল বর্ণবৈষম্যের বিপক্ষে তার অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কোনো সমাজে বর্ণবৈষম্যের স্থান নেই। এ কারণে কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় একে নিষিদ্ধ করেছে।’
সিয়াটলের কাউন্সিলে প্রস্তাবটি উত্থাপনে মুখ্য ভূমিকা রাখে বর্ণবৈষম্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইকুয়ালিটি ল্যাবস।
প্রস্তাব পক্ষে যাওয়ার পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সিয়াটলে দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) প্রথমবারের মতো বর্ণবৈষম্য নিষিদ্ধ হওয়ায় ঘৃণার বিপরীতে ভালোবাসার জয় হয়েছে।’
আরও পড়ুন:নারীর ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা তালেবানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখমাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খামা প্রেসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআইর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ শনিবার একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসলামিক আইনের ওপরে নির্ভর করেই ইসলামিক শাসন জারি থাকবে। নারীদের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করাটা কখনোই সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পাবে না।’
গত ২০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে তালেবান। এরপর দেশটিতে এনজিওতে নারীদের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিয়ে দেশটিতে বিক্ষোভও করেন নারীরা।
নারীদের ওপর এসব বিধিনিষেধ আরোপ করায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ। গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষার সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে ১২ মাসে দেশটির আনুমানিক ৫০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) অবিলম্বে আফগানিস্তানে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
লিঙ্গ সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে শহরের নাম বদলানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের পঁতা শহরের মেয়র বার্ট্রান্ড কার্ন। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া টুইটে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফরাসিতে ‘পঁতা’ শব্দটি পুরুষবাচক, এটি পরিবর্তন করে এক বছরের জন্য নারীবাচক ‘পঁতে’ রাখা হয়েছে। চলতি বছর জুড়ে নতুন এই নামে চলবে শহরটির কার্যক্রম।
পঁতা শহরের মেয়র বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিঙ্গ সমতার উন্নতি হলেও বিষয়টি এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। এখনও নারীরা পুরুষের চেয়ে কম মজুরি পান।’
পঁতে (সাবেক পঁতা) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের নাম পরিবর্তন হলেও রাস্তাঘাটের নামে হেরফের আসছে না।
শহরের নাম পরিবর্তনের ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে একে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে বিদ্রুপও করেছেন অনেকে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ সূচকে ২০২২ সালে ফ্রান্সের অবস্থান ছিল ১৫তম।
গত বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ৬১ বছর বয়সী এলিজাবেথ বোর্ন। তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
স্ত্রীকে চড় মারার অভিযোগে ফ্রান্সের কট্টর বামপন্থি দলের তরুণ নেতা অ্যাড্রিয়েন কোয়াটেনেনসকে ডিসেম্বরে চার মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ঘটনার জেরে যৌন হয়রানি ও নারীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন ইস্যুতে উত্তাল ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গন।
এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন:পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলা আন্দোলনে সমর্থন দেয়ায় ইরানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে অস্কার পাওয়া চলচ্চিত্র দ্য সেলসম্যানে অভিনয় করেছিলেন তারানেহ। বিক্ষোভ নিয়ে মিথ্যা ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
বিক্ষোভসংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেয়ার ঘটনায় গত সপ্তাহে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিন্দা জানান তারানেহ। এ ঘটনায় চুপ থাকায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকেও একহাত নেন ৩৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে এক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে ছুরি মেরে জখম করার অভিযোগে মোহসেন শেকারি নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এ নিয়ে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তারানেহ বলেন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা এই রক্তপাত দেখেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, মানবতার জন্য এটি কলঙ্কের।
ইরানের বার্তা সংস্থা আইআরএনএর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, দাবির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তারানেহকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
ইরানের বিচার বিভাগ মঙ্গলবার জানায়, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, এদের মধ্যে ৪০০ জনকে ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে ইরান সরকার দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখায় দেশটিকে জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় বুধবার ভোটাভুটির পর দেশটিকে ওই সংস্থা থেকে সরিয়ে দেয় জাতিসংঘ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী অধিকারের কাঠামোগত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন থেকে ইরানকে বহিষ্কারে জাতিসংঘের ৫৪ সদস্যের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে বুধবার খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়।
২৯-৮ ভোটে ইরানকে বহিষ্কারের প্রস্তাবটি পাস হয়, তবে ১৬ সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
ভোটাভুটির মাধ্যমে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ভোটের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড টুইটে বলেন, ‘জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবেমাত্র নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত কমিশন থেকে ইরানকে অপসারণে ভোট দিয়েছে। ইরানি নারী ও কর্মীরা আমাদের এমনটি করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ আমরা এটি সম্পন্ন করেছি।’
ইরান জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে। এর আগে দেশটি বলেছিল, এ ধরনের পদক্ষেপ একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত নজির’ তৈরি করবে।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। চলমান বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরান সরকার এরই মধ্যে প্রকাশ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইরানে চলা বিক্ষোভে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন।
জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে প্রতি বছরের মার্চে সংস্থাটির সদস্যরা বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন:কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক গ্র্যান্ট ওয়ালের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন ইউএস সকারের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোথায়, কীভাবে ওয়ালের মৃত্যু হয়েছে, তা জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।
এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির সমর্থনে রেইনবো টি-শার্ট পরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওয়েলসের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ কাভার করতে গিয়ে বিতর্কে পড়েছিলেন গ্র্যান্ট ওয়াল। সে সময় কিছুক্ষণের জন্য তাকে আটক রেখেছিল সমকামিতা অবৈধ ঘোষণা করা কাতার সরকার।
ইউএস সকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গ্র্যান্ট ওয়ালকে হারানোর খবরে জেনে পুরো ইউএস সকার পরিবার ভেঙে পড়েছে। এটি ভেবে আমাদের খুব খারাপ লাগছে যে, তার দুর্দান্ত লেখা আর পড়া যাবে না।’
ওয়ালের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছে ইউএস সকার।
এক টুইটবার্তায় ওয়ালের স্ত্রী সেলিন গাউন্ডার বলেন, ‘গ্র্যান্ট ওয়ালের মৃত্যুতে যারা সমবেদনা জানিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
একসঙ্গে যমজ বোনকে বিয়ে করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক যুবক।
সম্প্রতি ঘটা এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার মালশিরাস তহসিলে শুক্রবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই তিনজন। পাত্রী দুই বোন একই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি কর্মী। ৩৬ বছর বয়সী পাত্রের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আকলুজ থানার পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী থাকার পরও আরেকটি বিয়ে অর্থাৎ ভারতীয় পেনাল কোডের ৪৯৪ ধারায় অভিযোগ এসেছে পাত্রের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, কয়েক দিন আগেই ওই দুই বোনের বাবা মারা যান। মায়ের সঙ্গেই থাকছেন তারা। বিয়ে হয়েছে দুই পরিবারের সম্মতিতে।
ভারতে অবশ্য এ ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছরের মে মাসে উভয় পরিবারের সম্মতি এবং উপস্থিতিতে এক দিনে এক বিয়ের মঞ্চেই দুই বোনকে বিয়ে করার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল কর্নাটক রাজ্যের কোলার জেলার পুলিশ।
হিন্দু বিবাহ আইনের বরাত দিয়ে তখন পুলিশ জানায়, আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ের আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ বাধ্যতামূলক। তাই নিয়ম ভাঙার অপরাধে দুই বোনের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য