× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Women are coming back to the position of deputy leader of Parliament Prime Minister
google_news print-icon

সংসদ উপনেতার পদে ফের আসছেন নারী: প্রধানমন্ত্রী

সংসদ-উপনেতার-পদে-ফের-আসছেন-নারী-প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবাই যোগ্য। আমি কাউকে অযোগ্য বলছি না। কিন্তু আমাদের এই সমাজটাকে তো উৎসাহিত করতে হবে, তুলে ধরতে হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য, সেটাই করে যাচ্ছি।’

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের উপনেতার পদে আবারও একজন নারীকেই নির্বাচিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে সৃষ্ট বিশ্ব মন্দা মোকাবিলায় সবাইকে সাশ্রয়ী, মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। বলেছেন, অনেক উন্নত দেশ নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার দেশ ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ দেয়নি। দেয়া লাগবে বলেও তিনি মনে করেন না।

ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার সকালে বেগম রোকেয়া দিবস-২০২২ উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বেগম রোকেয়ার দেখা স্বপ্ন অনেকাংশেই বাংলাদেশে পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টে স্পিকার, লিডার অফ দ্য হাউস, লিডার অফ দ্য অপজিশন, ডেপুটি লিডার- চারজনই মহিলা ছিলাম। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আপনারা জানেন যে আমাদের ডেপুটি লিডার সাজেদা চৌধুরী কিছুদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে এই শূন্যস্থানটা পূরণ আবার একজন নারীকে দিয়েই করব।’

এ কথা বলেই হেসে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘না, আমাদের সবাই যোগ্য। আমি কাউকে অযোগ্য বলছি না। কিন্তু আমাদের এই সমাজটাকে তো উৎসাহিত করতে হবে, তুলে ধরতে হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য, সেটাই করে যাচ্ছি।’

মন্দা আক্রান্ত হবে না বাংলাদেশ
করোনা মহামারি অভিঘাতের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুদ্ধের জের ধরে আমেরিকা-ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের দেশে না। উন্নত দেশগুলো আরও খারাপ অবস্থায় আছে। সে জন্য আমি সবাইকে আহ্বান করেছি, যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, যে যা পারেন উৎপাদন করুন। সাশ্রয় করেন, বিদ্যুৎ, পানি, তেল ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হোন। সবাই সঞ্চয়ী হোন, যেন আন্তর্জাতিক বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার যে ধাক্কাটা এসেছে, সেই ধাক্কাটা যেন আমাদের দেশে না আসতে পারে। আমাদের নিজেদেরই সেই ব্যবস্থাটা নিতে হবে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা তো আন্তর্জাতিক একটা অবস্থার কারণে। আমরা যদি আমাদের উৎপাদন ঠিক রাখি, নিজেদেরটা নিজেরা করব, কারও কাছে হাত পেতে চলব না, ভিক্ষা করে চলব না। জাতির পিতা বলেছেন, মাটি আর মানুষ আছে। এই মাটি-মানুষ দিয়েই আমরা দেশ গড়ব।

‘এই চিন্তা থেকে যদি আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, সবাই যদি একটু মিতব্যয়ী হই, সাশ্রয়ী হই, ইনশাআল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক উন্নত দেশ এখন নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার দেশ ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশ আল্লাহর রহমতে এখনও দেয়নি, দেয়া লাগবে বলে আমি মনেও করি না। কারণ আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে চলব, এগিয়ে যাব।’

সংসারের কাজকেও সম্মান দিতে হবে
সংসারের কাজকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নারী যখন সংসারে কাজ করে, সেই কাজটাও কিন্তু কম নয়। এটাও কিন্তু তার একটা কর্মক্ষেত্র। সেখানে এটা হয়তো তার নিজের সংসার। সেখান থেকে সে হয়তো বেতনটা নিচ্ছে না, কিন্তু শ্রমটা দিচ্ছে। সংসার পরিচালনা করছে। সংসারের খুঁটিনাটি অনেক কাজ, যে কাজে তাকে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়।’

সাংসারিক কাজকে শ্রম হিসেবে বিবেচনা করতে হবে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমাদের নারীরা যারা বাইরে কাজ না করে সংসারে কাজ করে, একটা সংসার গুছিয়ে সুন্দরভাবে করা এটাও কিন্তু অনেক কাজ। এটাও তাদের কর্মক্ষেত্রে হিসেবে এবং এটা তাদের একটা শ্রম হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অনেকে গবেষণা করেন, মেয়েরা কোথায় কোথায় কাজ করছে। এই জায়গাটা কিন্তু যেখানে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় সে জায়গটাকে কর্মক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয় না। আমার মনে হয় এটা ঠিক না। এটা গণ্য করা উচিত।’

কর্মজীবী নারীদের অফিস সামাল দিয়ে বাসায় ফিরেও সব কাজ করতে হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হয়তো দেখা গেল স্বামী-স্ত্রী একইসঙ্গে অফিস থেকে ফিরল। স্বামী টায়ার্ড চেয়ারে বসে গেছে। আর নারী ছুটল পাকের ঘরে, হয়তো চা বানাতে, রান্না করতে, বাচ্চাদের খাওয়াতে, বাচ্চাদের গোসল করাতে, বাচ্চাদের খবর নিতে। সেখানে আমি সব সময় বলব, এখানে যদি সবাই মিলে কাজটা ভাগ করে নেন তাহলে কিন্তু… এতে লজ্জারও কিছু নেই, কোনো কিছু না…।’

নিজ পরিবারের উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারণ আমি আমার পরিবারে দেখি, আমার ছেলেকে দেখেছি। আমার ছেলে, ছেলের বউ কাজ থেকে আসলেই আমার বউমা রান্না করে, আমার ছেলে ঘর পরিষ্কার করে। রান্নার পর চুলা পরিষ্কার করা, টেবিল পরিষ্কার করা, থালা-বাসন ধোয়ার কাজ আমার ছেলে নিজ হাতে করে। তারা কিন্তু ভাগ করে নেয়। বলে যে তাড়াতাড়ি করে ফেলে একসঙ্গে বসে তখন তারা টেলিভিশন দেখে। সমানভাবে কাজ করলে পরে এতে কোনো ক্ষতি নেই তো। বরং আরও একটু সময় পাওয়া যায়, পরিবারকে সময় দেয়া যায়। নিজের কাজটা নিজের সবারই করা উচিত বলে আমি মনে করি।’

নারীর অগ্রযাত্রায় সরকারের পদক্ষেপ
বেগম রোকেয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যদি সেই অচলায়তন ভেঙে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা না করতেন তাহলে আজ আমরা যে যেখানে আছি কোথাও থাকতে পারতাম না। সেই যুগটা ছিল অত্যন্ত কঠিন একটা পর্দার যুগ।’

বিচার বিভাগসহ সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী এবং বর্ডার গার্ডেও নারীদের অন্তর্ভুক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো মনে হয় যেন ছেলেদের থেকেও আমাদের মেয়েরা বেশি স্মার্ট। না, ছেলেরা তো আমাদের অনেক স্মার্ট। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই (হাসতে হাসতে)।’

সংসদ উপনেতার পদে ফের আসছেন নারী: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিআইডি

প্রতিকূলতা ঠেলে প্রথম নারী সচিব এবং প্রথম নারী পুলিশ সুপারেরও নিয়োগ নিজ হাতে দিয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য হলো, রৌশন আরা, যাকে আমি প্রথম এসপি করেছিলাম, প্রথম মুন্সিগঞ্জে দিলাম। মুন্সীগঞ্জে প্রথম ডিউটিতে যেয়েই সে ডাকাত ধরে ফেলল। সেই ডাকাত ধরার ছবি, একেবারে এক হাতে রিভলবার, আরেক হাতে ডাকাতকে ধরে রাখছে, নৌকার ওপর দাঁড়িয়ে। আমার তো গর্বে বুকটা ভরে গেল। দেখলেন তো আমাদের মেয়েরা কী পারে! এই ডাকাতকে আজ পর্যন্ত…কই এত পুরুষ…(হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী) আমার ভোট যাচ্ছে…’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কথাটা হচ্ছে সুযোগ সৃষ্টি করে না দিলে আসলে দায়িত্ব না দিলে দায়িত্ব পালন করে তার দক্ষতা দেখাবে কী করে? আর এটাও তো ঠিক, এটাও মনে রাখতে হবে, একটা সমাজের অর্ধেকই হচ্ছে নারী। কাজেই সেখানে নারী-পুরুষ যদি একইসঙ্গে সমানতালে একটা দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে না যায় সেই দেশ তো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তাহলে তো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হয়।’

পর্বতারোহণ, ফুটবল, ক্রিকেটসহ ক্রীড়া খাতের নানা শাখায় নারীদের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করবে তাদের একেবারে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেয়া হবে। অ্যাসিড নিক্ষেপসহ এ দুটোর জন্য আমরা আইন করেছি। যদিও এই আইন আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে আপত্তি করে। কিন্তু মেয়েদের সুরক্ষার জন্য এটা একান্তভাবে প্রয়োজন বলেই আমরা সেই আইন করে দিয়েছি।’

ডে-কেয়ার স্থাপন বাধ্যতামূলক
মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ছয় মাস করে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে যত প্রতিষ্ঠানই হোক সেখানে ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা, এমনকি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে বড় বড় হোটেল, শপিং মল, সিনেমা হল-সব জায়গায় ডে-কেয়ার সেন্টার করাটা বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি।’

তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গ-তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। এরা তো বাবা-মায়েরই সন্তান। বাবা-মাকে ফেলে দিয়ে তাদের রাস্তায় চলে যেতে হবে কেন? তাদের জীবন-জীবিকার কিছু থাকবে না, এটা তো হতে পারে না। সেজন্য নারী অধিকার বলে অনেকেই আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু কখনও এই শ্রেণিটির কথা কেউ ভাবেননি, চিন্তা করেননি। কিন্তু আমরা সংবিধানেই তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি।

‘সেই সঙ্গে তারা তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকবে, তারা লেখাপড়া শিখবে, তারা চাকরি পাবে, তারা কাজ পাবে, তারা ট্রেনিং পাবে, তাদের একটা সুস্থ জীবন তারা পাবে। এমনকি প্রতিটি ফর্মে শুধু নারী-পুরুষ না, নারী-পুরুষ সেই সঙ্গে থার্ড জেন্ডার-সেটাও আমরা লাগিয়ে দিয়েছি।’

সম্পত্তিতেও তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে মেয়েদের সম্পদের অধিকার, মেয়েরা কিন্তু বাবার বাড়ির সম্পত্তির অধিকারও পায়, স্বামীর বাড়ির সম্পত্তির অধিকারও পায়। আবার সেই সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গ যারা, তারা যদি নিজেদের মেয়ে মনে করে থাকে মেয়ে যত অংশ পাবে তাই পাবে। যদি তারা ছেলে বা পুরুষালি, ছেলের যে অংশ পায়, তাই পাবে। সেটাও কিন্তু নির্দিষ্ট করা আছে, অন্তত আমাদের ইসলাম ধর্মে সেটা আছে, এইটুকু অন্তত আমি বলতে পারি। কাজেই সেভাবে আমরা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি।’

৫ নারী পেলেন রোকেয়া পদক
নারীর অগ্রযাত্রায় অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ নারীকে দেয়া হয়েছে বেগম রোকেয়া পদক।

এ বছর নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রামের প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সাতক্ষীরার ফরিদা ইয়াসমিন (জন্মস্থান খুলনা), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় নড়াইলের ড. আফরোজা পারভীন, পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ঝিনাইদহের নাছিমা বেগম এবং নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় ফরিদপুরের রহিমা খাতুন পদক পেয়েছেন।

পদক জয়ীদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

সবার হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
২০২৪-এর প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন, ভোট চাইলেন শেখ হাসিনা
আ.লীগকে দেয়া জনগণের ভোট বৃথা যায়নি: প্রধানমন্ত্রী
১০ ডিসেম্বরের আগেই সন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা: মিছিলে সরব নারীরা
যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Labor leader threatened to kill a journalist of the Daily Bangla

দৈনিক বাংলার সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা

দৈনিক বাংলার সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা অভিযুক্ত পৌর শ্রমিকলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সবুজ

দৈনিক বাংলার চরফ্যাশন প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলামকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন চরফ্যাশন পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সবুজ। এঘটনায় সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এর বসতবাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক চরফ্যাশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'শ্রমিকলীগ নেতা সবুজের স্ত্রী একটি সরকারী প্রাইমারী স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। ২০২৫ সনের ২০ জানুয়ারী তার স্ত্রী শ্রেণী কক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাসে তার শিশু কন্যাকে টেবিলে বসিয়ে বাকবাকুম পায়রা কবিতা পাড়িয়ে ভিডিও চিত্র ধারন করেন। ওই ভিডিও তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোষ্ট করে ক্যাপশন লিখেন “ম্যাডাম যখন দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাসে বাকবাকুম পায়রা কবিতা শেখায়” এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এঘটনা নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। আমি তার প্রতিবেশী হওয়ায় তার স্ত্রীকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে আমার ইন্দন রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সে আমার সাথে বিরোধ শুরু করেন। এনিয়ে শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হন। আমাকে একাধিকবার মামলায় হয়রানীর হুমকি দেন। ফের মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকলীগ নেতা আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে মসজিদের সমানে দেখা হয়। তার স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে তর্ক হয়। ওই তর্কের জেরে এলাকার মানুষের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপে মুখে তিনি ওই স্থান থেকে পালিয়ে যান।'

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ওই শ্রমিকলীগ নেতা আমাকে ইতিপূর্বেও একধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু ফের আমাকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এঘটনায় আমি আইনি সহায়তা চেয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।

অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ হুমকির বিষয় অস্বীকার করে জানান, তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। তাকে হুমকি কেন দিবো।

চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, হুমকির ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Best Thana Barayagram of Natore district is the best SI Rakibul Islam

নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়াইগ্রাম, শ্রেষ্ঠ এসআই রাকিবুল ইসলাম

নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়াইগ্রাম, শ্রেষ্ঠ এসআই রাকিবুল ইসলাম

নাটোর জেলার সেপ্টেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বড়াইগ্রাম থানা। একই সঙ্গে জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রাকিবুল ইসলাম। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতারে বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন।

বড়াইগ্রাম থানার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ থানার পুরস্কার গ্রহণ করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম সারোয়ার। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) নাটোর জেলা পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ তারিকুল ইসলাম পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মামলার নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক মামলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, নাটোর জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। তিনি চাঁদাবাজি রোধ, রাত্রিকালীন টহল জোরদার এবং চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশনা দেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইফতে খায়ের আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন চন্দ্র হোড়, জেলার সব থানার অফিসার ইনচার্জ, সিআইডি প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়াইগ্রাম এবং শ্রেষ্ঠ এসআই রাকিবুল ইসলামের সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম সারোয়ার বলেন, এই অর্জন বড়াইগ্রাম থানার পুরো টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। মাদক নির্মূল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো সাফল্য সম্ভব নয়, তাই জনসাধারণের সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats human chain in Sherpur demanding five points including election in PR system 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রথম গেইটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাও: হাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল, সাবেক নায়েবে আমির মাও: আব্দুল বাতেনসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তারা জামায়াত ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
University student killed in a truck in Meherpur

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায়  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায়  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে অমি খাতুন (২২) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার সময় সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অমি খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার রামদাসপুর ভিটিরমাঠ গ্রামের স্কুল শিক্ষক রাহিনুলের স্ত্রী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দীন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অমি খাতুন ও তার স্বামী রাহিনুল ইসলাম মেহেরপুর শশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে রামদাসপুর গ্রামে ফিরছিলেন। তারা ফতেপুর নামক স্থানে পৌছালে দ্রত গতির একটি ট্রাক পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমি খাতুনের।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দীন জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্ডর করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Report of 5 people including Salman Anisul January 5

সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারি জমার নির্দেশ

সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারি জমার নির্দেশ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার পর এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এদিন সকালে কেরাণীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদের এজলাসে তোলা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন– সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক এমপি শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

এর আগে গত ২০ জুলাই এ মামলায় তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় আবেদন করেন তিনি। পরে আবেদন মঞ্জুর করে আজকের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় সময় চাইলে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন চেম্বার আদালত।

এদিকে, আজ সকাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক অবস্থায় ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ১৯ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ওইদিন এ ঘটনা তদন্তে আরও তিন মাস সময় চান প্রসিকিউশন। পরে ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিও ১২ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৯ আসামিকে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chaksu Election The student will complain ink to delete

চাকসু নির্বাচন : মুছে যাচ্ছে কালি, অভিযোগ দেবে ছাত্রদল

চাকসু নির্বাচন : মুছে যাচ্ছে কালি, অভিযোগ দেবে ছাত্রদল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ঢাকা পোস্টকে এ মন্তব্য করেন। এ ইস্যুতে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কথা ছিল শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া কালি মুছবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কালি মুছে যাচ্ছে। এই ইস্যুতে আমরা একটু পর অভিযোগ দিচ্ছি।

ইমরান রায়হান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কেউ ঘুণাক্ষরেও বলতে পারবেন আমি ভোট দিয়েছি? অথচ আমি মাত্রই ভোট দিয়ে এলাম। একটু ঘষা দিয়েই কালি তুলে ফেলা যাচ্ছে।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ এবং চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kulaura is the closing of World Childrens Day

কুলাউড়ায় বিশ্ব শিশু দিবসের সমাপনী

কুলাউড়ায় বিশ্ব শিশু দিবসের সমাপনী

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও কুলাউড়া শিশু একাডেমির আয়োজনে পরিষদ হল রুমে সমাপনী দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাসার এর সভাপতিত্বে এবং ইসরাত জাহান নওরিনের উপস্থাপনায় দিবসের সমাপনীতে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ গঠনের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদেরকে সু- শিক্ষা ও সু-নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব।

বিশেষ অতিথি ছিলেন রুদ্রবীণা সংগীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ রজত কান্তি ভট্টাচার্য , প্রভাষক সুরজিৎ কুমার । আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল দেবনাথ, সংগীত প্রশিক্ষক সুমিত্রা ভট্টাচার্য, নৃত্য প্রশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুর্জয়, প্রাক প্রাথমিক প্রশিক্ষক সেবিন আক্তার, সংগীত শিল্পী নান্টু দাস ও হোসনে আরা বেগম। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ২৬ জনকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৫০ জন শিশু ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে