× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP is optimistic about December 10 despite nationwide protests
google_news print-icon

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

দেশব্যাপী-বিক্ষোভ-পণ্ডেও-১০-ডিসেম্বর-নিয়ে-আশাবাদী-বিএনপি
সমাবেশস্থল নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ তারিখের আগে আমাদের নানা স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সিচুয়েশন অনুযায়ী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সবকিছু ঊর্ধ্বে রেখেই ১০ ডিসেম্বরকে ফোকাস করছি।’

সারা দেশে বৃহস্পতিবার ডাকা বিক্ষোভে সফল না হলেও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ নিয়ে আশাবাদী বিএনপি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের দিন রাত আটটায় জরুরি ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল মিটিং করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখানে এ বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত হয়, যা রাতেই মহাসচিব সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের অহেতুক, অযাচিত ও কাপুরুষোচিত গুলিবর্ষণ, হামলা এবং পুলিশের গুলিতে পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মকবুল হোসেনের মৃত্যু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং আহত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।’

যদিও বৃহস্পতিবার সারা দিনের চিত্র বলছে, এ বিক্ষোভ সমাবেশ কার্যত পণ্ড হয়েছে। এমন বাস্তবতায় নেতারা বলছেন, এখন মূল নজর ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ। এরই মধ্যে অনেকে ঢাকায় চলে আসায় জেলাভিত্তিক সমাবেশ হয়নি।

গতকাল ঢাকা মহানগরেও কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ তারিখের আগে আমাদের নানা স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সিচুয়েশন অনুযায়ী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সবকিছু ঊর্ধ্বে রেখেই ১০ ডিসেম্বরকে ফোকাস করছি।’

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা তো দুই মাস আগেও বলেছেন, বিএনপি কিচ্ছু করতে পারবে না। গত দুই মাসে বাকি বিভাগীয় সমাবেশ তো দেখেছেন বিএনপি কী করতে পারে। ঢাকার সমাবেশে কী হবে, তা আপনারা স্বচক্ষেই দেখবেন।’

বিষয়টি খোলাসা করে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জমির উদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের মূল উদ্দেশ্যই এটা, আমাদের ১০ তারিখের জনসমাবেশ পণ্ড। তারা বিএনপি নেতাদের সামনে পেলেই ধরে ভ্যানে তুলছে।

‘বড় কিছু পাওয়ার জন্য ছোট ছোট কম্প্রোমাইজ অ্যালাও বলে আমি মনে করি।’

বিক্ষোভ সফল না হওয়াতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আর আমরা এটাকে নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ দেখছি না। আমরা প্রাণপণে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে বৃহস্পতিবার বিএনপির বিক্ষোভ পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

ঢাকা

রাজধানীতে কোথাও বিক্ষোভ সমাবেশ করেনি বিএনপি। নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর থেকে দুই দিন ধরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তারা। কার্যালয় ঘিরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য।

পুলিশ নয়াপল্টন কার্যালয়কে ক্রাইম সিন ঘোষণা করায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেখানে প্রবেশের সুযোগ পাননি।

দুপুরের দিকে ঝটিকা মিছিল নিয়ে একাধিকবার কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন, তবে পুলিশ প্রতিবারই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। যদিও সেই মিছিলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন, তারা নিজেদের ঢাকার বাইরে থেকে আসা কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

দুপুর থেকে এমন মিছিল নিয়ে আসা একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা।

হাতিয়া থেকে আসা হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৩০০ কর্মী এসেছি। এখানে এসে দেখি ঢুকতে দিচ্ছে না। আমরা এখন কোথায় যাব?

‘নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশ পুরো এলাকা বন্ধ করে রেখেছে। আবার সাংবাদিকদের সামনে থেকেই আমাদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।’

দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও কেউ কিছু বলেনি। আমরা এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।’

গাইবান্ধা থেকে আসা এক কর্মী জানান, তারা প্রায় ৩০০ কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন।

অন্যদিকে সমাবেশ না করতে পারলেও মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ নেতা-কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিজয়নগর হয়ে ফের নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। যদিও কোথাও অবস্থানের সুযোগ পাননি নেতা-কর্মীরা।

ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।

ছাত্রদল সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ও নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ, সোহেল রানা, ইব্রাহিম খলিল, নাহিদুজ্জামান শিপন, মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শশী।

কুমিল্লা

বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

এ বিষয়ে নজরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নগরীর বাদড়তলাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই আমাদের দুই নেতাকে পুলিশ আটক করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’

সাভার-ধামরাই

ঢাকা-১৯ (সাভার) ও ঢাকা-২০ (ধামরাই) সংসদীয় এলাকার অধীন সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোনো মিছিল বা প্রতিবাদ হয়নি। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও কর্মসূচি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা-২০ আসনভুক্ত ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

অপরদিকে ঢাকা-১৯ আসনের অধীন সাভার উপজেলায় গতকাল কোনো বিক্ষোভ বা কর্মসূচি না হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার সাবেক ও থানা কমিটির বর্তমান এক নেতা।

আশুলিয়া থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা বিএনপির সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, সাভার-আশুলিয়ায় কোনো বিক্ষোভ হয় নাই। থানায়-জেলায় বিক্ষোভ করার কথা ছিল। মেইনলি আমাদের নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই এলাকাছাড়া। কারণ স্পটে দাঁড়ানোর মতো তাদের কোনো সুযোগই নাই। সমাবেশকে সফল করার জন্য যারা সিনিয়র নেতা আছেন, তারা ঢাকাগামী হয়ে গেছেন। যেমন: আমি নিজেও ঢাকায় অবস্থান করছি। প্রায় ২-১ হাজার লোক এলাকা ছাইড়া ঢাকায় অবস্থান নিছে ১০ তারিখের সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য।

‘কাজেই বিক্ষোভ মিছিল করার মতো পরিবেশ সাভার-আশুলিয়ার মাটিতে নাই। কারণ অনেকগুলো মামলা হইছে। তিন শর ওপরে মামলার আসামি। বিক্ষোভ মিছিল কীভাবে হবে?’

ঢাকা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব খান বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো কর্মসূচি পালন করিনি, তবে কেরানীগঞ্জে প্রতিবাদ হয়েছে। আমরা আপাতত ১০ তারিখের কর্মসূচির দিকে নজর রাখছি। সে জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।’

চট্টগ্রাম

মহানগরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা যায়। ওই সময় কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের অবস্থান দেখা গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় বিক্ষোভ।

অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি। বিএনপির মিছিলে যোগ দিতে আসা যুবদলের মিছিলে দুটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

বিএনপি জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষীপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে বাধাহীন বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নোয়াখালীতে পুলিশ আসার খবরে পাঁচ মিনিটে কর্মসূচি শেষ করে দেন বিএনপি নেতারা।

এদিকে কক্সবাজারে কোনো কর্মসূচিই পালন করেননি নেতারা।

খুলনা

খুলনা বিভাগের কোনো জেলাতে কেন্দ্রের ডাকা কর্মসূচি পালন করার খবর পাওয়া যায়নি।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মনা বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে আমাদের একটি বড় অংশের নেতা-কর্মী ঢাকাতে এসেছে। খুলনাতে যারা আছে, তাদের বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে বলা হয়েছিল, তবে তারা করেছে কি না তা জানি না।’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফার রহমান আলম, মাগুরা জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহেদ হাসান টগর ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনও মোজাফফর আলমের সুরে কথা বলেন। বিক্ষোভ না করার কারণ হিসেবে ঢাকায় সমাবেশের কথা উল্লেখ করেন তারা।

মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায় বিএনপি কার্যালয় বৃহস্পতিবার সারা দিন বন্ধ দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায় বিকেল পর্যন্ত।

অন্যদিকে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নেতারা ঢাকায় থাকায় তারা নেতৃত্বের অভাবে মাঠে নামতে সাহস পাননি। এ ছাড়া পুলিশে চলমান বিশেষ অভিযানের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অধিকাংশ কর্মীরা।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কেউ বিশৃঙ্খলা না করায় শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে।

এদিকে ছোট আকারে ঝটিকা মিছিল হয়েছে নেত্রকোনা ও জামালপুরে।

শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশিরভাগ নেতা-কর্মী ঢাকায়। ফলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও বড় পরিসরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি, তবে ছোট আকারে কিছু কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ করে কেন্দ্রে ছবি পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট

কেন্দ্রের ডাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিলেট মহানগর বিএনপি, তবে এতে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

সভায় নেতা-কর্মীদের কম উপস্থিতি প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, ‘তাৎক্ষণিক কর্মসূচি হওয়ায় অনেকে আসতে পারেননি। তা ছাড়া নেতাদের অনেকে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় চলে গেছেন।’

এদিকে হবিগঞ্জে কোনো কর্মসূচী পালন না করা প্রসঙ্গে বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ। গণপরিবহণ বন্ধ করে দিতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই জেলায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি।’

তবে ব্যতিক্রমও আছে। বাধা ছাড়াই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মৌলভীবাজার বিএনপি।

অন্যদিকে সকালে গুটিকয়েক নেতা-কর্মী নিয়ে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে সুনামগঞ্জ বিএনপি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ কারণে সংক্ষিপ্ত আকারে কর্মসূচি শেষ করি।’

রংপুর

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানেই সমাবেশ করেন তারা।

কুড়িগ্রামে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিএনপি নেতারা।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

বিএনপি মহাসচিবের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল বাধার মুখে পড়লেও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।

গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারীতে বাধাহীন বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের খবর পাওয়া যায়।

বরিশাল

জেলা ও মহানগর বিএন‌পির বি‌ক্ষোভ ছাড়া বিভাগের কো‌নো জেলায় বৃহস্প‌তিবার এক‌টি মি‌ছিলও হয়‌নি। বিএন‌পি নেতা‌দের দাবি, নেতাদের প্রায় সবাই ঢাকা থাকায় বি‌ক্ষোভ হয়‌নি জেলায়।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা জেলা থেকে দুই দিন আগেই রওনা হয়েছি। আর বাকি যারা আসতে পারেনি, তারাও যত কষ্টই হোক, চলে আসবে ঢাকায়। আমরা কেউ এলাকায় নেই। এই কার‌ণে বি‌ক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমা‌বেশ হয়‌নি।’

এদিকে ভোলা, বরগুনা, ঝালকা‌ঠি ও পটুয়াখালীর বিএন‌পি নেতারাও একই কারণে বি‌ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমা‌বেশ হয়নি বলে জানিয়েছেন।

চূড়ান্ত হয়নি সমাবেশস্থল

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় পুলিশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে দলটির বৈঠকে বিকল্প স্থান হিসেবে আলোচনায় আসে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুরের বাঙলা কলেজ মাঠ, তবে রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় আরেক বৈঠক শেষে মির্জা আব্বাস জানান, সমাবেশস্থল নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি বিএনপি।

ওই বৈঠকের পর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করে তাদের পরিবার ও দলের মিডিয়া সেল।

প্রতিবেদনটিতে তৈরিতে সহায়তা করেছেন কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, সাভার প্রতিনিধি ইমতিয়াজ উল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আরাফাত বিন হাসান, খুলনা প্রতিনিধি আওয়াল শেখ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান মিন্টু, সিলেট ব্যুরোপ্রধান দেবাশীষ দেবু, রংপুর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও বরিশাল প্রতিনিধি তন্ময় তপু।

আরও পড়ুন:
ঢাকামুখী যাত্রী কমেছে, পথে হয়রানির অভিযোগ
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ‘আতঙ্কে’ বরগুনা থেকে লঞ্চ-বাস বন্ধ
পুলিশের বাধায় মিছিল করতে পারেনি বিএনপি
কমলাপুর অথবা বাংলা কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশ
এপিডিইউ ভাইস চেয়ারম্যান হলেন ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Renewable fuel will play a role in the formation of a fair city DNCC Administrator

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নয়, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে ন্যায্য নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আজ সোমবার গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর যৌথ আয়োজনে ‘ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক।

স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী এর সভাপতিত্বে পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা শহরের বেশ কিছু পরিকল্পিত এলাকা আছে যেখানে বিল্ডিংগুলোর উচ্চতা কাছাকাছি, ফলে সেই বিল্ডিংগুলোর সোলার ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। সেই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের উদ্ধারকৃত নদীর পাড়কে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব। তিনি জানান, রুফটপ সোলার প্যানেল ব্যবহারকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স এর ওপর ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়ার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন।

পলিসি ডায়ালগের মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, জীবনের মান সূচকে ঢাকা শহর শেষ দিক থেকে ৪র্থ, বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির শহর, বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে, দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকার ১ম সারিতে, বিশ্বে যানজটের সূচকে ৫ নম্বরে, পৃথিবীর ৪র্থ ঘনবসতিপূর্ণ শহর, শব্দ দূষণেও শীর্ষে ঢাকা এবং স্বাস্থ্যসেবার সূচকে শেষের দিকে। আর এই দূষণগুলো থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

ডায়ালগে আরও অংশ নেন ডিএনসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. এম. শহীদুল ইসলাম, (বিআইপি) এর উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন ড. ইজাজ হোসে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (সিথ্রিইআর) সমন্বয়ক (অপারেশনস) মিসেস রৌফা খানম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, (ডব্লিউবিবিটি) এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর রিসার্চ লিড ইঞ্জি. মারজিয়াত রহমান, ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমি, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ মৃধা, ন্যাকমের পরিচালক রাশিদুজ্জামান আহমেদ, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আহমেদ শামীম আল রাজি, সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের (এসআরসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জুবায়ের, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, ও. ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামরুজ্জামান সাগর, ইকিউএমএস কনসাল্টিংয়ের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (টেস্টিং) আহমেদ জুবায়ের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার হামিদুল ইসলাম এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নয়, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে ন্যায্য নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আজ সোমবার গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর যৌথ আয়োজনে ‘ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক।

স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী এর সভাপতিত্বে পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা শহরের বেশ কিছু পরিকল্পিত এলাকা আছে যেখানে বিল্ডিংগুলোর উচ্চতা কাছাকাছি, ফলে সেই বিল্ডিংগুলোর সোলার ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। সেই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের উদ্ধারকৃত নদীর পাড়কে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব। তিনি জানান, রুফটপ সোলার প্যানেল ব্যবহারকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স এর ওপর ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়ার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন।

পলিসি ডায়ালগের মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, জীবনের মান সূচকে ঢাকা শহর শেষ দিক থেকে ৪র্থ, বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির শহর, বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে, দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকার ১ম সারিতে, বিশ্বে যানজটের সূচকে ৫ নম্বরে, পৃথিবীর ৪র্থ ঘনবসতিপূর্ণ শহর, শব্দ দূষণেও শীর্ষে ঢাকা এবং স্বাস্থ্যসেবার সূচকে শেষের দিকে। আর এই দূষণগুলো থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

ডায়ালগে আরও অংশ নেন ডিএনসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. এম. শহীদুল ইসলাম, (বিআইপি) এর উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন ড. ইজাজ হোসে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (সিথ্রিইআর) সমন্বয়ক (অপারেশনস) মিসেস রৌফা খানম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, (ডব্লিউবিবিটি) এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর রিসার্চ লিড ইঞ্জি. মারজিয়াত রহমান, ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমি, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ মৃধা, ন্যাকমের পরিচালক রাশিদুজ্জামান আহমেদ, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আহমেদ শামীম আল রাজি, সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের (এসআরসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জুবায়ের, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, ও. ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামরুজ্জামান সাগর, ইকিউএমএস কনসাল্টিংয়ের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (টেস্টিং) আহমেদ জুবায়ের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার হামিদুল ইসলাম এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Autorickshaw workshop charging station
ডিএনসিসি প্রশাসক

অটোরিকশার ওয়ার্কশপ-চার্জিং স্টেশনে শিগগিরই অভিযান

অটোরিকশার ওয়ার্কশপ-চার্জিং স্টেশনে শিগগিরই অভিযান শনিবার রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে ডিএনসিসি ও ডিএমপি যৌথভাবে কাজ করছে। ঢাকা শহরের ভিতরে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

তিনি জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা করেছে। শিগগিরই রাতে অভিযান করে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসির ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মোট ২০ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৪ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৫ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার বাড়ির মালিক সমিতিকে অনুরোধ করব আপনারা আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা ঢুকতে দেবেন না। আপনাদের আবাসিক এলাকাগুলো যে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার বাহিরে কিছু করতে দেবেন না। আবাসিক এলাকায় কোনো বাণিজ্যিক কাজ করতে দেবেন না। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আপনারা স্থানীয় কমিউনিটি সোচ্চার হলে অবৈধ অটোরিকশা, অবৈধ হকার বন্ধ করা সহজ হবে।’

নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কেনার আগে মৌজা ম্যাপ চেক করে দেখবেন জলাধার কিনা। জলাধার হলে দয়া করে সেই প্লট কিনবেন না। জলাধার হলে পরবর্তী সময় সেই প্লট পেতে ঝামেলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই একসময় ভাবতেন পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় কোনোদিন পাকা রাস্তা হবে না। এই এলাকায় শুধু গোডাউন ভাড়া দেওয়া হতো একসময়। পরিকল্পিতভাবে মাঠের জায়গা রাখা হয়নি, কোনো গাছ লাগানো হয়নি। ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভিতর দিয়ে খাল ছিল। আমরা নাগরিক সমাজ আন্দোলন করেছি সেই খাল উদ্ধারের জন্য, মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিল। ৭টি প্যাকেজের নির্মাণকাজ শেষ হলে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং জলাবদ্ধতাও দূর হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Workers road blockade in Tejgaon on charges of the Prophet peace be upon him

মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে তেজগাঁওয়ে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে তেজগাঁওয়ে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখে প্রতিবাদ করছেন কোহিনুর ক্যামিকেল কোম্পানির কারখানার শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে সড়কটি বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে এসেছেন। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।

কারখানার কসমেটিকস বিভাগের বাবু নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেন।পরে তারা প্রধান সড়কে নেমে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত মানুষ। মহাখালী থেকে আসা যাওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে।

শ্রমিকদের দাবি হচ্ছে, সেই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে এসেছেন। তাদের মধ্য থেকে একজন তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছেন। বারবার তাদের আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।

তারা আরও বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ঠিক বিপরীত পাশে সড়কে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির অবস্থান। সেই কারখানাটির গেটের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার এসে তাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, কারখানাটির কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। সেই ব্যক্তিকে চাকরি থেকে অপসারণের পাশাপাশি আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

এমন বিষয় জানানোর পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানাটির সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন ভাঙচুর বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মহাখালী জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (ট্রাফিক) দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা ব্লকের কারণে তেজগাঁও সাত রাস্তাসহ আশেপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Environment adviser

ঢাবিকে শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

ঢাবিকে শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

সাধারণ মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করারও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা হবে।’

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় সংক্রান্ত সেমিনার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে। পাটের ব্যাগ তৈরির সঙ্গে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। টেকসই ব্যবস্থার জন্য জেডিপিসি, এসএমইএফ, জয়িতা ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

‘প্লাস্টিকের বিকল্প নেই—এই ধারণা ঠিক নয়। সরকারের সব উদ্যোগ রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে,’ বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। অ

নুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি; ঢাকা নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মারিয়ান রাবে ক্নাভেলসরুদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ; ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকি উজ জামান; ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. আফিয়া শাহনাজ; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।

সময় পরিবেশ উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMPs message arrested on Chhatra League procession

ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা, গ্রেপ্তার ৬

ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা, গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীতে পরিচালিত পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এসব সংগঠনের সাম্প্রতিক ঝটিকা মিছিল নিয়ে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে ডিএমপি। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ ও তাদের সমভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন ঝটিকা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দুয়েক মিনিট মিছিল করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এসব মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।

তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি। পৃথক অভিযানে রাজধানীতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ছয় সদস্য হলেন- পল্লবী থানা ছাত্রলীগের ৫ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নাইম, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন হোসেন ফাহিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. সোহেল, বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল রানা, বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়ামিন ও বাড্ডা ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার খান।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পল্লবী থানার বাউনিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম নাইমকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ।

অন্যদিকে, মহানগর গোয়েন্দা সাইবার বিভাগের বিভাগের একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. রিপন হোসেন ফাহিমকে গ্রেফতার করে। ডিবি-ওয়ারী বিভাগ কদমতলী থানাধীন মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে শেখ মো. সোহেলকে গ্রেফতার করে।

এরপর শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ডিবি সাইবারের একটি টিম রাজধানীর বাড্ডা থানার মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে মো. সোহেল রানা ও মোহাম্মদ ইয়ামিনকে এবং শাহ আলি এলাকা হতে অপর একটি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে।

ডিএমপি জানায়, এসব সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় সাধারণ জনগণকে এসব সংগঠনের বিচ্ছিন্ন অপতৎপরতা সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে মহানগর পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DSCC Special Cleaning Expedition on the highway from Jatrabari to signboard

যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে ডিএসসিসি’র বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে ডিএসসিসি’র বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান নগর ভবন। ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আজ যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছয়শত পরিচ্ছন্ন কর্মী এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ৬ টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত মহাসড়কে ও আইল্যান্ডে জমে থাকা দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, মহাসড়কে ও মহাসড়কের আইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ময়লা জমে থাকায় বায়ুদূষণসহ পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছিল। মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন হওয়ায় এখানে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের সুযোগ নেই।

পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় আজকের এই বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের ময়লা পরিষ্কারের ফলে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা যেমন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন, ঠিক তেমনি পরিবেশ দূষণ রোধ সম্ভব হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি এখন থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে খাল পুনরুদ্ধার ও ড্রেন পরিষ্কাার চলমান রয়েছে।

এছাড়া, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাল-ড্রেন উদ্ধার ও পরিষ্কারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ডেঙ্গু মৌসুম মোকাবিলার জন্য মশক কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ভাবে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসক নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Seven women wardrobe injured in the bus accident in Banani

বনানীতে বাস দুর্ঘটনায় সাত নারী পোশাকশ্রমিক আহত

বনানীতে বাস দুর্ঘটনায় সাত নারী পোশাকশ্রমিক আহত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট। ছবি: নিউজবাংলা
ঢামেক পুলিশ ক‍্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক জানান, বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বাস দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের কারও মাথায়, কারও শরীরে এবং পায়ে হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলমান।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

রাজধানীর বনানীতে নৌবাহিনী সদরদপ্তর ও আর্মি স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি স্থানে শুক্রবার পোশাকশ্রমিক বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাত নারী আহত হয়েছেন।

তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সাত শ্রমিক হলেন রাশেদা (২৮), লাকি আক্তার (৩৫), পারভিন বেগম (৩৪), নিলুফা আক্তার (৩০), হোসনেয়ারা (৩৫), রাশেদা আক্তার (৩১)।

আহত নারী শ্রমিকদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘নারী শ্রমিকরা গাজীপুরের কালীগঞ্জের পূর্বাচল অ্যাপারেল লিমিটেডের পোশাকশ্রমিক। আজ ভোরে ডিউটি শেষ করে সকালে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আর্মি স্টেডিয়াম ও নৌ বাহিনী সদরদপ্তরের মাঝামাঝি স্থানে বাসটি উল্টে যায়। এতে আহত হয় অনেকে। পরে আমরা খবর পেয়ে আহতদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই।

‘এদের মধ্যে গুরুতর আহত সাতজন শ্রমিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন।’

ঢামেক পুলিশ ক‍্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক জানান, বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বাস দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের কারও মাথায়, কারও শরীরে এবং পায়ে হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলমান।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় বাবা-মেয়ে নিহত, আহত মা
রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
বাসসের এমডিসহ তিনজনের নামে যুগান্তর সম্পাদকের মামলা
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় দুজন নিহত, আহত ২১
মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা

মন্তব্য

p
উপরে