× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP is optimistic about December 10 despite nationwide protests
google_news print-icon

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

দেশব্যাপী-বিক্ষোভ-পণ্ডেও-১০-ডিসেম্বর-নিয়ে-আশাবাদী-বিএনপি
সমাবেশস্থল নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ তারিখের আগে আমাদের নানা স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সিচুয়েশন অনুযায়ী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সবকিছু ঊর্ধ্বে রেখেই ১০ ডিসেম্বরকে ফোকাস করছি।’

সারা দেশে বৃহস্পতিবার ডাকা বিক্ষোভে সফল না হলেও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ নিয়ে আশাবাদী বিএনপি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের দিন রাত আটটায় জরুরি ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল মিটিং করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখানে এ বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত হয়, যা রাতেই মহাসচিব সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের অহেতুক, অযাচিত ও কাপুরুষোচিত গুলিবর্ষণ, হামলা এবং পুলিশের গুলিতে পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মকবুল হোসেনের মৃত্যু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং আহত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।’

যদিও বৃহস্পতিবার সারা দিনের চিত্র বলছে, এ বিক্ষোভ সমাবেশ কার্যত পণ্ড হয়েছে। এমন বাস্তবতায় নেতারা বলছেন, এখন মূল নজর ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ। এরই মধ্যে অনেকে ঢাকায় চলে আসায় জেলাভিত্তিক সমাবেশ হয়নি।

গতকাল ঢাকা মহানগরেও কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ তারিখের আগে আমাদের নানা স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সিচুয়েশন অনুযায়ী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সবকিছু ঊর্ধ্বে রেখেই ১০ ডিসেম্বরকে ফোকাস করছি।’

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা তো দুই মাস আগেও বলেছেন, বিএনপি কিচ্ছু করতে পারবে না। গত দুই মাসে বাকি বিভাগীয় সমাবেশ তো দেখেছেন বিএনপি কী করতে পারে। ঢাকার সমাবেশে কী হবে, তা আপনারা স্বচক্ষেই দেখবেন।’

বিষয়টি খোলাসা করে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জমির উদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের মূল উদ্দেশ্যই এটা, আমাদের ১০ তারিখের জনসমাবেশ পণ্ড। তারা বিএনপি নেতাদের সামনে পেলেই ধরে ভ্যানে তুলছে।

‘বড় কিছু পাওয়ার জন্য ছোট ছোট কম্প্রোমাইজ অ্যালাও বলে আমি মনে করি।’

বিক্ষোভ সফল না হওয়াতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আর আমরা এটাকে নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ দেখছি না। আমরা প্রাণপণে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে বৃহস্পতিবার বিএনপির বিক্ষোভ পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

ঢাকা

রাজধানীতে কোথাও বিক্ষোভ সমাবেশ করেনি বিএনপি। নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর থেকে দুই দিন ধরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তারা। কার্যালয় ঘিরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য।

পুলিশ নয়াপল্টন কার্যালয়কে ক্রাইম সিন ঘোষণা করায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেখানে প্রবেশের সুযোগ পাননি।

দুপুরের দিকে ঝটিকা মিছিল নিয়ে একাধিকবার কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন, তবে পুলিশ প্রতিবারই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। যদিও সেই মিছিলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন, তারা নিজেদের ঢাকার বাইরে থেকে আসা কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

দুপুর থেকে এমন মিছিল নিয়ে আসা একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা।

হাতিয়া থেকে আসা হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৩০০ কর্মী এসেছি। এখানে এসে দেখি ঢুকতে দিচ্ছে না। আমরা এখন কোথায় যাব?

‘নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশ পুরো এলাকা বন্ধ করে রেখেছে। আবার সাংবাদিকদের সামনে থেকেই আমাদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।’

দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও কেউ কিছু বলেনি। আমরা এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।’

গাইবান্ধা থেকে আসা এক কর্মী জানান, তারা প্রায় ৩০০ কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন।

অন্যদিকে সমাবেশ না করতে পারলেও মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ নেতা-কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিজয়নগর হয়ে ফের নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। যদিও কোথাও অবস্থানের সুযোগ পাননি নেতা-কর্মীরা।

ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।

ছাত্রদল সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ও নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ, সোহেল রানা, ইব্রাহিম খলিল, নাহিদুজ্জামান শিপন, মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শশী।

কুমিল্লা

বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

এ বিষয়ে নজরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নগরীর বাদড়তলাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই আমাদের দুই নেতাকে পুলিশ আটক করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’

সাভার-ধামরাই

ঢাকা-১৯ (সাভার) ও ঢাকা-২০ (ধামরাই) সংসদীয় এলাকার অধীন সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোনো মিছিল বা প্রতিবাদ হয়নি। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও কর্মসূচি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা-২০ আসনভুক্ত ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

অপরদিকে ঢাকা-১৯ আসনের অধীন সাভার উপজেলায় গতকাল কোনো বিক্ষোভ বা কর্মসূচি না হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার সাবেক ও থানা কমিটির বর্তমান এক নেতা।

আশুলিয়া থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা বিএনপির সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, সাভার-আশুলিয়ায় কোনো বিক্ষোভ হয় নাই। থানায়-জেলায় বিক্ষোভ করার কথা ছিল। মেইনলি আমাদের নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই এলাকাছাড়া। কারণ স্পটে দাঁড়ানোর মতো তাদের কোনো সুযোগই নাই। সমাবেশকে সফল করার জন্য যারা সিনিয়র নেতা আছেন, তারা ঢাকাগামী হয়ে গেছেন। যেমন: আমি নিজেও ঢাকায় অবস্থান করছি। প্রায় ২-১ হাজার লোক এলাকা ছাইড়া ঢাকায় অবস্থান নিছে ১০ তারিখের সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য।

‘কাজেই বিক্ষোভ মিছিল করার মতো পরিবেশ সাভার-আশুলিয়ার মাটিতে নাই। কারণ অনেকগুলো মামলা হইছে। তিন শর ওপরে মামলার আসামি। বিক্ষোভ মিছিল কীভাবে হবে?’

ঢাকা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব খান বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো কর্মসূচি পালন করিনি, তবে কেরানীগঞ্জে প্রতিবাদ হয়েছে। আমরা আপাতত ১০ তারিখের কর্মসূচির দিকে নজর রাখছি। সে জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।’

চট্টগ্রাম

মহানগরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা যায়। ওই সময় কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের অবস্থান দেখা গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় বিক্ষোভ।

অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি। বিএনপির মিছিলে যোগ দিতে আসা যুবদলের মিছিলে দুটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

বিএনপি জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষীপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে বাধাহীন বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নোয়াখালীতে পুলিশ আসার খবরে পাঁচ মিনিটে কর্মসূচি শেষ করে দেন বিএনপি নেতারা।

এদিকে কক্সবাজারে কোনো কর্মসূচিই পালন করেননি নেতারা।

খুলনা

খুলনা বিভাগের কোনো জেলাতে কেন্দ্রের ডাকা কর্মসূচি পালন করার খবর পাওয়া যায়নি।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মনা বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে আমাদের একটি বড় অংশের নেতা-কর্মী ঢাকাতে এসেছে। খুলনাতে যারা আছে, তাদের বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে বলা হয়েছিল, তবে তারা করেছে কি না তা জানি না।’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফার রহমান আলম, মাগুরা জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহেদ হাসান টগর ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনও মোজাফফর আলমের সুরে কথা বলেন। বিক্ষোভ না করার কারণ হিসেবে ঢাকায় সমাবেশের কথা উল্লেখ করেন তারা।

মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায় বিএনপি কার্যালয় বৃহস্পতিবার সারা দিন বন্ধ দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায় বিকেল পর্যন্ত।

অন্যদিকে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নেতারা ঢাকায় থাকায় তারা নেতৃত্বের অভাবে মাঠে নামতে সাহস পাননি। এ ছাড়া পুলিশে চলমান বিশেষ অভিযানের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অধিকাংশ কর্মীরা।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কেউ বিশৃঙ্খলা না করায় শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে।

এদিকে ছোট আকারে ঝটিকা মিছিল হয়েছে নেত্রকোনা ও জামালপুরে।

শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশিরভাগ নেতা-কর্মী ঢাকায়। ফলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও বড় পরিসরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি, তবে ছোট আকারে কিছু কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ করে কেন্দ্রে ছবি পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট

কেন্দ্রের ডাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিলেট মহানগর বিএনপি, তবে এতে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

সভায় নেতা-কর্মীদের কম উপস্থিতি প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, ‘তাৎক্ষণিক কর্মসূচি হওয়ায় অনেকে আসতে পারেননি। তা ছাড়া নেতাদের অনেকে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় চলে গেছেন।’

এদিকে হবিগঞ্জে কোনো কর্মসূচী পালন না করা প্রসঙ্গে বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ। গণপরিবহণ বন্ধ করে দিতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই জেলায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি।’

তবে ব্যতিক্রমও আছে। বাধা ছাড়াই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মৌলভীবাজার বিএনপি।

অন্যদিকে সকালে গুটিকয়েক নেতা-কর্মী নিয়ে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে সুনামগঞ্জ বিএনপি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ কারণে সংক্ষিপ্ত আকারে কর্মসূচি শেষ করি।’

রংপুর

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানেই সমাবেশ করেন তারা।

কুড়িগ্রামে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিএনপি নেতারা।

দেশব্যাপী বিক্ষোভ পণ্ডেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আশাবাদী বিএনপি

বিএনপি মহাসচিবের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল বাধার মুখে পড়লেও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।

গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারীতে বাধাহীন বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের খবর পাওয়া যায়।

বরিশাল

জেলা ও মহানগর বিএন‌পির বি‌ক্ষোভ ছাড়া বিভাগের কো‌নো জেলায় বৃহস্প‌তিবার এক‌টি মি‌ছিলও হয়‌নি। বিএন‌পি নেতা‌দের দাবি, নেতাদের প্রায় সবাই ঢাকা থাকায় বি‌ক্ষোভ হয়‌নি জেলায়।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা জেলা থেকে দুই দিন আগেই রওনা হয়েছি। আর বাকি যারা আসতে পারেনি, তারাও যত কষ্টই হোক, চলে আসবে ঢাকায়। আমরা কেউ এলাকায় নেই। এই কার‌ণে বি‌ক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমা‌বেশ হয়‌নি।’

এদিকে ভোলা, বরগুনা, ঝালকা‌ঠি ও পটুয়াখালীর বিএন‌পি নেতারাও একই কারণে বি‌ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমা‌বেশ হয়নি বলে জানিয়েছেন।

চূড়ান্ত হয়নি সমাবেশস্থল

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় পুলিশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে দলটির বৈঠকে বিকল্প স্থান হিসেবে আলোচনায় আসে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুরের বাঙলা কলেজ মাঠ, তবে রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় আরেক বৈঠক শেষে মির্জা আব্বাস জানান, সমাবেশস্থল নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি বিএনপি।

ওই বৈঠকের পর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করে তাদের পরিবার ও দলের মিডিয়া সেল।

প্রতিবেদনটিতে তৈরিতে সহায়তা করেছেন কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, সাভার প্রতিনিধি ইমতিয়াজ উল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আরাফাত বিন হাসান, খুলনা প্রতিনিধি আওয়াল শেখ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান মিন্টু, সিলেট ব্যুরোপ্রধান দেবাশীষ দেবু, রংপুর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও বরিশাল প্রতিনিধি তন্ময় তপু।

আরও পড়ুন:
ঢাকামুখী যাত্রী কমেছে, পথে হয়রানির অভিযোগ
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ‘আতঙ্কে’ বরগুনা থেকে লঞ্চ-বাস বন্ধ
পুলিশের বাধায় মিছিল করতে পারেনি বিএনপি
কমলাপুর অথবা বাংলা কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশ
এপিডিইউ ভাইস চেয়ারম্যান হলেন ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Teachers at Shaheed Minar withdraws from Press Club on Sound Grenade

সাউন্ড গ্রেনেডে উত্তেজনা, প্রেস ক্লাব থেকে সরে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

সাউন্ড গ্রেনেডে উত্তেজনা, প্রেস ক্লাব থেকে সরে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।

অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sarah Cook recycled the UK support for a fair election in Bangladesh

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক

বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’

মন্তব্য

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।

নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka South City Corporation is working to reduce temporary waterlogging caused by thunderstorms with thunderstorms

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rains from night

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।

এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।

এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Grand Opening of Tripology began in Dhaka

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।

উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”

ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।

ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে