সারা দেশে বৃহস্পতিবার ডাকা বিক্ষোভে সফল না হলেও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ নিয়ে আশাবাদী বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের দিন রাত আটটায় জরুরি ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল মিটিং করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখানে এ বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত হয়, যা রাতেই মহাসচিব সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের অহেতুক, অযাচিত ও কাপুরুষোচিত গুলিবর্ষণ, হামলা এবং পুলিশের গুলিতে পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মকবুল হোসেনের মৃত্যু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং আহত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।’
যদিও বৃহস্পতিবার সারা দিনের চিত্র বলছে, এ বিক্ষোভ সমাবেশ কার্যত পণ্ড হয়েছে। এমন বাস্তবতায় নেতারা বলছেন, এখন মূল নজর ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ। এরই মধ্যে অনেকে ঢাকায় চলে আসায় জেলাভিত্তিক সমাবেশ হয়নি।
গতকাল ঢাকা মহানগরেও কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ তারিখের আগে আমাদের নানা স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সিচুয়েশন অনুযায়ী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সবকিছু ঊর্ধ্বে রেখেই ১০ ডিসেম্বরকে ফোকাস করছি।’
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা তো দুই মাস আগেও বলেছেন, বিএনপি কিচ্ছু করতে পারবে না। গত দুই মাসে বাকি বিভাগীয় সমাবেশ তো দেখেছেন বিএনপি কী করতে পারে। ঢাকার সমাবেশে কী হবে, তা আপনারা স্বচক্ষেই দেখবেন।’
বিষয়টি খোলাসা করে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জমির উদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের মূল উদ্দেশ্যই এটা, আমাদের ১০ তারিখের জনসমাবেশ পণ্ড। তারা বিএনপি নেতাদের সামনে পেলেই ধরে ভ্যানে তুলছে।
‘বড় কিছু পাওয়ার জন্য ছোট ছোট কম্প্রোমাইজ অ্যালাও বলে আমি মনে করি।’
বিক্ষোভ সফল না হওয়াতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আর আমরা এটাকে নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ দেখছি না। আমরা প্রাণপণে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে বৃহস্পতিবার বিএনপির বিক্ষোভ পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।
ঢাকা
রাজধানীতে কোথাও বিক্ষোভ সমাবেশ করেনি বিএনপি। নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর থেকে দুই দিন ধরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তারা। কার্যালয় ঘিরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য।
পুলিশ নয়াপল্টন কার্যালয়কে ক্রাইম সিন ঘোষণা করায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেখানে প্রবেশের সুযোগ পাননি।
দুপুরের দিকে ঝটিকা মিছিল নিয়ে একাধিকবার কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন, তবে পুলিশ প্রতিবারই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। যদিও সেই মিছিলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন, তারা নিজেদের ঢাকার বাইরে থেকে আসা কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন।
দুপুর থেকে এমন মিছিল নিয়ে আসা একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা।
হাতিয়া থেকে আসা হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৩০০ কর্মী এসেছি। এখানে এসে দেখি ঢুকতে দিচ্ছে না। আমরা এখন কোথায় যাব?
‘নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশ পুরো এলাকা বন্ধ করে রেখেছে। আবার সাংবাদিকদের সামনে থেকেই আমাদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।’
দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও কেউ কিছু বলেনি। আমরা এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।’
গাইবান্ধা থেকে আসা এক কর্মী জানান, তারা প্রায় ৩০০ কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন।
অন্যদিকে সমাবেশ না করতে পারলেও মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ নেতা-কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিজয়নগর হয়ে ফের নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। যদিও কোথাও অবস্থানের সুযোগ পাননি নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।
ছাত্রদল সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ও নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ, সোহেল রানা, ইব্রাহিম খলিল, নাহিদুজ্জামান শিপন, মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শশী।
কুমিল্লা
বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে নজরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নগরীর বাদড়তলাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই আমাদের দুই নেতাকে পুলিশ আটক করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
সাভার-ধামরাই
ঢাকা-১৯ (সাভার) ও ঢাকা-২০ (ধামরাই) সংসদীয় এলাকার অধীন সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোনো মিছিল বা প্রতিবাদ হয়নি। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও কর্মসূচি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা-২০ আসনভুক্ত ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
অপরদিকে ঢাকা-১৯ আসনের অধীন সাভার উপজেলায় গতকাল কোনো বিক্ষোভ বা কর্মসূচি না হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার সাবেক ও থানা কমিটির বর্তমান এক নেতা।
আশুলিয়া থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা বিএনপির সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, সাভার-আশুলিয়ায় কোনো বিক্ষোভ হয় নাই। থানায়-জেলায় বিক্ষোভ করার কথা ছিল। মেইনলি আমাদের নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই এলাকাছাড়া। কারণ স্পটে দাঁড়ানোর মতো তাদের কোনো সুযোগই নাই। সমাবেশকে সফল করার জন্য যারা সিনিয়র নেতা আছেন, তারা ঢাকাগামী হয়ে গেছেন। যেমন: আমি নিজেও ঢাকায় অবস্থান করছি। প্রায় ২-১ হাজার লোক এলাকা ছাইড়া ঢাকায় অবস্থান নিছে ১০ তারিখের সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য।
‘কাজেই বিক্ষোভ মিছিল করার মতো পরিবেশ সাভার-আশুলিয়ার মাটিতে নাই। কারণ অনেকগুলো মামলা হইছে। তিন শর ওপরে মামলার আসামি। বিক্ষোভ মিছিল কীভাবে হবে?’
ঢাকা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব খান বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো কর্মসূচি পালন করিনি, তবে কেরানীগঞ্জে প্রতিবাদ হয়েছে। আমরা আপাতত ১০ তারিখের কর্মসূচির দিকে নজর রাখছি। সে জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।’
চট্টগ্রাম
মহানগরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা যায়। ওই সময় কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের অবস্থান দেখা গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় বিক্ষোভ।
অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি। বিএনপির মিছিলে যোগ দিতে আসা যুবদলের মিছিলে দুটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
বিএনপি জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষীপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে বাধাহীন বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নোয়াখালীতে পুলিশ আসার খবরে পাঁচ মিনিটে কর্মসূচি শেষ করে দেন বিএনপি নেতারা।
এদিকে কক্সবাজারে কোনো কর্মসূচিই পালন করেননি নেতারা।
খুলনা
খুলনা বিভাগের কোনো জেলাতে কেন্দ্রের ডাকা কর্মসূচি পালন করার খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মনা বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে আমাদের একটি বড় অংশের নেতা-কর্মী ঢাকাতে এসেছে। খুলনাতে যারা আছে, তাদের বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে বলা হয়েছিল, তবে তারা করেছে কি না তা জানি না।’
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফার রহমান আলম, মাগুরা জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহেদ হাসান টগর ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনও মোজাফফর আলমের সুরে কথা বলেন। বিক্ষোভ না করার কারণ হিসেবে ঢাকায় সমাবেশের কথা উল্লেখ করেন তারা।
মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায় বিএনপি কার্যালয় বৃহস্পতিবার সারা দিন বন্ধ দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায় বিকেল পর্যন্ত।
অন্যদিকে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নেতারা ঢাকায় থাকায় তারা নেতৃত্বের অভাবে মাঠে নামতে সাহস পাননি। এ ছাড়া পুলিশে চলমান বিশেষ অভিযানের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অধিকাংশ কর্মীরা।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কেউ বিশৃঙ্খলা না করায় শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে।
এদিকে ছোট আকারে ঝটিকা মিছিল হয়েছে নেত্রকোনা ও জামালপুরে।
শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশিরভাগ নেতা-কর্মী ঢাকায়। ফলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও বড় পরিসরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি, তবে ছোট আকারে কিছু কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ করে কেন্দ্রে ছবি পাঠানো হয়েছে।’
সিলেট
কেন্দ্রের ডাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিলেট মহানগর বিএনপি, তবে এতে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা।
সভায় নেতা-কর্মীদের কম উপস্থিতি প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, ‘তাৎক্ষণিক কর্মসূচি হওয়ায় অনেকে আসতে পারেননি। তা ছাড়া নেতাদের অনেকে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় চলে গেছেন।’
এদিকে হবিগঞ্জে কোনো কর্মসূচী পালন না করা প্রসঙ্গে বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ। গণপরিবহণ বন্ধ করে দিতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই জেলায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি।’
তবে ব্যতিক্রমও আছে। বাধা ছাড়াই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মৌলভীবাজার বিএনপি।
অন্যদিকে সকালে গুটিকয়েক নেতা-কর্মী নিয়ে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে সুনামগঞ্জ বিএনপি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ কারণে সংক্ষিপ্ত আকারে কর্মসূচি শেষ করি।’
রংপুর
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানেই সমাবেশ করেন তারা।
কুড়িগ্রামে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপি মহাসচিবের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল বাধার মুখে পড়লেও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।
গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারীতে বাধাহীন বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের খবর পাওয়া যায়।
বরিশাল
জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ ছাড়া বিভাগের কোনো জেলায় বৃহস্পতিবার একটি মিছিলও হয়নি। বিএনপি নেতাদের দাবি, নেতাদের প্রায় সবাই ঢাকা থাকায় বিক্ষোভ হয়নি জেলায়।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা জেলা থেকে দুই দিন আগেই রওনা হয়েছি। আর বাকি যারা আসতে পারেনি, তারাও যত কষ্টই হোক, চলে আসবে ঢাকায়। আমরা কেউ এলাকায় নেই। এই কারণে বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশ হয়নি।’
এদিকে ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীর বিএনপি নেতারাও একই কারণে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়নি বলে জানিয়েছেন।
চূড়ান্ত হয়নি সমাবেশস্থল
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় পুলিশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে দলটির বৈঠকে বিকল্প স্থান হিসেবে আলোচনায় আসে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুরের বাঙলা কলেজ মাঠ, তবে রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় আরেক বৈঠক শেষে মির্জা আব্বাস জানান, সমাবেশস্থল নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি বিএনপি।
ওই বৈঠকের পর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করে তাদের পরিবার ও দলের মিডিয়া সেল।
প্রতিবেদনটিতে তৈরিতে সহায়তা করেছেন কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, সাভার প্রতিনিধি ইমতিয়াজ উল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আরাফাত বিন হাসান, খুলনা প্রতিনিধি আওয়াল শেখ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান মিন্টু, সিলেট ব্যুরোপ্রধান দেবাশীষ দেবু, রংপুর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও বরিশাল প্রতিনিধি তন্ময় তপু।
আরও পড়ুন:খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে বুধবার তারুণ্যের উৎসবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। আগে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো দলকে নির্মূল করা উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে সোমবার রাতে চাপাতি দিয়ে দম্পতির ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফুটপাতের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনায় জড়িত মোবারক (২৪) ও রবিকে (২১) গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
ওসি জানান, অভিযুক্তদের বহনকারী মোটরসাইকেল একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই দম্পতির সঙ্গে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে চালক অজ্ঞাত এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে চাপাতি বের করে ওই দম্পতির ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ধরে ফেলে এবং মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চাপাতি হাতে হামলাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ তাকে একটি চক্রের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে।
আহত দুজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে এমন দাবি করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। আরও ভালো করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। যতদিন ডেভিলরা থাকবে, ততদিন অপারেশন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। সব লেভেলে যেন দুর্নীতি কমে, সে জন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’
ওই সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গাজীপুর জিএমপি, শিল্প পুলিশে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবও সংশ্লিষ্ট ডিসি দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন।
‘নৌ পুলিশ বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন। গাজীপুরে জনবল বৃদ্ধির কথা বলেছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের জনবল বৃদ্ধির জন্য বলেছেন।’
পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না দেওয়া এবং এসপি ও ওসিদের এসিআর লেখার প্রস্তাব করেছিলেন ডিসিরা। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ আলোচনার সময় ছিল খুব কম।’
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে হাইকোর্ট ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এ কারণে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের প্রতি তাদের সহানুভূতি রয়েছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আদালত থেকে একটি রায় হয়েছে, যেটিতে তারা ক্ষুব্ধ। আমরা আপিল করেছি।
‘যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।’
বিধান রঞ্জন রায় জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই তারা ফল ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি আমরা আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি।
‘সে হিসাবে তারা (আন্দোলনরতরা) যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।
রাজধানীর মাতুয়াইলে সোমবার সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আবদুল জব্বার (৫২) ও রুমা খানম (৪০) নামের দুজন নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় তাদের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে জুঁই আক্তার আহত হয়েছে, যাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আবদুল জাব্বার ও রুমা খানম। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে।
আহত জুঁই যাত্রাবাড়ীর ইকরা হাই স্কুলের ছাত্রী।
মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেটের বিপরীত পাশে সকাল সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুমার। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী আবদুল জব্বারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ইরফান জানান, সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একটি পিকআপ ভ্যান তিনজনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুমা আক্তার। পরে স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান আবদুল জব্বার।
তিনি বলেন, ‘মরদেহ দুটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে রবিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসিদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কবে হবে, সেটি জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির সামনে শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে। কারণ এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। আর পরে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তারা বাস্তবায়ন করবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।’
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘আর যেসব ক্ষেত্রে প্রধান ঐকমত্য প্রয়োজন, সেটার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং এরপরে আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি, কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে, তার জন্য আজকে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য