রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের আর বাকি দুই দিন। সময় যত ঘনিয়ে আসছে তত বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। এর মধ্যে বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর আরও কঠোর হয়েছে বাহিনী। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ রেখে তল্লাশি চলেছে বৃহস্পতিবার দিনভর। পাশাপাশি ঢাকায় প্রবেশের সব পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
১৫ দিনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আখ্যা দিয়ে পুলিশ চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে রাজধানীজুড়ে অভিযান চালিয়ে আসছে। বাসাবাড়ি, হোটেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে প্রতিদিনই। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ধল্লা শহীদ রফিক সেতু এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশের পাশাপাশি চেকপোস্টে বৈঠা হাতে টহল দিতে দেখা গেছে কয়েকজনকে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বরে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নাশকতা এড়াতে তল্লাশি চলছে। লোকজনকে সতর্ক করতে আওয়ামী লীগের লোকজন বৈঠা হাতে চেকপোস্টে অবস্থান নিয়েছেন।
তবে পুলিশ এসব কথা নাকচ করে জানিয়েছে, জঙ্গি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই চেকপোস্ট।
সকাল থেকে চেকপোস্টে ঢাকামুখী গাড়িগুলো থামিয়ে চালক-যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে কোনো নিরাপত্তার জোরদার করা হয়নি। পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
‘মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ধল্লা সেতু জেলার প্রবেশপথ হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা বেশি জোরদার করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে তল্লাশির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
ধল্লা ইউপির চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সারা দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। তাদের সেই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সে কারণে পুলিশের পাশাপাশি দলীয় লোকজনও মাঠে আছে এবং থাকবে।’
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ বলেন, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে আছে। মানুষকে সতর্ক করতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে ভয়ভীতি না পায় সে জন্য বৃহস্পতিবার সকালে সিংগাইরসহ বিভিন্ন এলাকায় লগি-বৈঠা নিয়ে রাস্তায় মিছিল করেছে।’
সাভারের আমিনবাজার ও মিরপুর-বেড়িবাঁধ সড়কের ধউর ব্রিজ এলাকায় বুধবার দুপুরের পর থেকেই বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন উর রশিদ বলেন, ‘নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজারে পুলিশ চেকপোস্টে নজরদারি করা হচ্ছে। দূরপাল্লার যানবাহন, বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে কোনো যাত্রীকে হয়রানি করা হচ্ছে না।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ হিল কাফি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সাভারের আমিনবাজার ও ধউর এলাকায় দুটি চেকপোস্টে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। রাজধানীর বাবুবাজার ও পোস্তগলা এলাকাতেও এই কার্যক্রম চলছে। তবে এখনও কেউ আটক হয়নি।’
চেকপোস্ট বসেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, মৌচাক এলাকায় এবং সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের দুটি চেকপোস্টে যানবাহন থামানো হয়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। রূপগঞ্জের কাঞ্চন সড়কেও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকায় প্রবেশমুখী মহাসড়কের পাশে পাঁচটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আরও কয়েকটি বসানোর চেষ্টা চলছে বিভিন্ন থানা এলাকায়। এসব চেকপোস্টে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের খোঁজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে তল্লাশি করা হচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকার ঢাকামুখী লেনে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আরেকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ভুলতায়।
‘কোনো যানবাহনে অবৈধ মালামাল থাকতে পারে কিংবা অস্ত্র থাকতে পারে, তাই সকাল থেকে আমাদের তল্লাশি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা কিছু পাইনি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘চেকপোস্ট বসানো তো নতুন না, আমরা মাঝেমধ্যেই মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি। সম্প্রতি ঢাকা আদালত চত্বর থেকে কিছু জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এই মাসে বিজয় দিবস, থার্টিফার্স্ট নাইটসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। সাধারণত যেকোনো ইভেন্ট থাকলেই আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি।’
সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়ার জন্য এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির কোনো প্রোগ্রামে বাধা দিইনি। কেউ যদি নাশকতা করার পরিকল্পনা করে তাহলে তো সে পুলিশের তল্লাশি ভয় পাবেই। আমরা তো নির্দিষ্ট করে কোনো গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছি কিংবা গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি এমন তো না। এটা আমাদের রুটিনওয়ার্ক।’
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের সেতু পেরিয়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশের পথ এটি। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি ছেড়েছেন।
টঙ্গী সেতুর উত্তর অংশে টঙ্গী বাজার এলাকায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে বসানো হয় তল্লাশি চৌকি। গাজীপুরের কালীগঞ্জের উলুখোলা থেকে আব্দুল্লাহপুর সড়কে দুইটি, আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকা-আশুলিয়া সড়কের কামাড়পাড়া, বেরিবাঁধ এলাকায় বেশ কয়েকটি তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
সকাল থেকেই এ পথে ঢাকামুখী সড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে দূরপাল্লাসহ গণপরিবহন অনেকটাই কম ছিল। তল্লাশি চৌকিগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। পথচারীদের কাছেও পরিচয়পত্র চাইতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের।
ওষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘টঙ্গী থেকে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার নিয়ে ঢাকায় যেতে টঙ্গী বাজার এলাকায় পৌঁছালেই পুলিশ তল্লাশি করে। মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ ও কললিস্টও ঘেঁটে দেখে।
‘এটা হয়রানি। আমি পরিচয় দেয়ার পরও তল্লাশি করেছে। মোবাইল নিয়ে মেসেজ দেখেছে।’
নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা শাহজালাল পরিবহনের একটি বাস আব্দুল্লাহপুর পৌঁছালে তাতে তল্লাশি করে পুলিশ। প্রায় ১০ মিনিট তল্লাশি শেষে হাইড্রলিক হর্ন (উচ্চ মাত্রার হর্ণ) থাকায় মামলা দেয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তরা বিভাগ) বদরুল হাসান বলেন, ‘জনসাধারণের নিরাপত্তায় আমরা এখানে তল্লাশি করছি। কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই। জনগণকে নিরাপত্তায় দেয়ার জন্য আমাদের এ সতর্কতা।
‘ধৈর্য্য ধরে এ সড়ক চলাচলকারী যাত্রীদের উচিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করা।’
চেকপোস্ট বসেছে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-দোহার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এসব সড়ক দিয়ে গণপরিবহন চলাচল দিনশেষে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের জেলার লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু টোলপ্লাজার সামনে, শিমুলিয়া ও মাওয়া চৌরাস্তায় দিনভর বাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। একসঙ্গে ৪-৫ জন দেখলেই পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর টোল সামনে যাত্রী আরমান মিয়া বলেন, ‘বাস চলাচল কম থাকায় হেঁটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। আমার মতো অনেক যাত্রীর কপালে বাস জোটেনি।’
গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রী আবু জাফর বলেন, ‘গণপরিবহনের সংকটের কারণ ঘণ্টা ধরে বসে আছি। বাসের দেখা নেই। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম আত্মীয়ের বাসায়। এখন মনে হচ্ছে বাড়িতেই ফিরে যেতে হবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ৩০ টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর ৯০০ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। তবে চেকপোস্টগুলোতে কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন:আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”
আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।
প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।
তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।
অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস
গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।
বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।
এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।
১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।
‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস
মন্তব্য