অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার পর পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শেষে ঢাকার পুলিশ কমিশনার দলটিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আইন অমান্য করার চেষ্টা করা হলে তারা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবেন। সেই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেলে দলটিকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
তিনি এও বলেছেন, জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকে সামাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।
আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার বিএনপি ঘোষিত এই সমাবেশের স্থল নিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আসেন ঢাকার পুলিশ প্রধান।
তিনি বলেন, ‘পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক পল্টনে দাঁড়াতে পারবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। যার উপর বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এতে জনদূর্ভোগ ও জননিরাপত্তা জন্য তাদের পল্টনে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।’
‘একই সঙ্গে এই ১০ লাখ লোক ঢাকার সমস্ত রাস্তা দখল করলে ঢাকাবাসীর জন্য একটা চরম দুর্ভোগের বিষয় হবে’-বলেন তিনি।
‘আইন অমান্য করলে বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’- দলটির প্রতি সতর্কবার্তাও দিয়ে রাখেন রাজধানীর পুলিশ প্রধান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিএনপি ঢাকা শহরে ১০ লাখ লোক জামাতের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাজেই পার্টি অফিসের সামনে জনদুর্ভোগ করে এবং ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে তাদেরকে সেখানে অনুমতি দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যে কোনো খোলা মাঠে যেতে পারেন বা অন্য কোনো প্রস্তাব দিতে পারেন। অন্য প্রস্তাব হিসেবে তাদেরকে বলা হয় ইজতেমা মাঠ আছে, সেখানে আপনারা ১০ লাখ লোক জমায়াত করতে পারবেন। পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ আছে, সেখানে যেতে পারেন।’
ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেয়া হয়। পরে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আগ্রহী না। তারা পল্টন বা তার আশেপাশে কোন রাস্তায় করতে আগ্রহী।
‘এ প্রসঙ্গে আমাদের ডিএমপির সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা এর মতো কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করতে হবে। আমরা জনদুর্ভোগ এবং জননিরাপত্তা বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘সোহরাওয়ার্দী আসুন, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার
বিএনপি সোহরাওয়ারাদীতে সমাবেশ করলে সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাসও দেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘উনারা এর আগেও সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করেছেন। উনারা সোহরাওয়ার্দীতে মিটিং করলে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। আমি নিরাপত্তা দেবো। উনাদের নিরাপত্তার সামান্যতম কোনো ঘাটতি হবে না। কোনো প্রকার বাধা দেয়া হবে না।’
বুধবার সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজকে অফিশিয়াল ডে, তারা নয়াপল্টনে রাস্তা দখল করে সমাবেশ করছে। গাড়ি চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে... কোনো সমাবেশ নাই, এটা তো আইনানুগ কাজ উনারা করেন নাই।’
ঢাকার প্রবেশমুখে চৌকি বসিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে মোবাইল ফোনে বিএনপির কোনো ছবি বা নেতাদের নম্বর পেলে তাকে আটক করার বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ এসেছে, সেটিরও জবাব দেন ডিএমপি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। আমাদের নিয়মিত চেকপোস্ট চলছে। কারণ হলো, সামনে ১ থেকে ১৫ তারিখ একটা বিশেষ অভিযান ঘোষণা করেছি। এই মাসে ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর আছে, বড় বড় ৫ টা প্রোগ্রাম আছে। কোনো নাশকতা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা ঢাকার অভিমুখে চেকপোস্ট বসিয়েছি। কোনো যাত্রীর ঢাকা আসা আমরা বন্ধ করি নাই।’
অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ১২ অক্টোবর থেকে বিএনপি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে আসার পর আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীতে জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে এই সমাবেশের স্থল নিয়ে তৈরি হয়েছে বিরোধ। বিএনপি সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু তারা সেখানে যাবে না।
পুলিশ জানিয়েছে, সড়কে সমাবেশ করা যাবে না। এরপর বিএনপি আরামবাগে সমাবেশ করার কথা জানায় মৌখিকভাবে। তবে সে আবেদন মৌখিকভাবেই নাকচ করা হয়।
সমাবেশ স্থলের কথা না জানিয়েই বিএনপি জনসভায় অংশ নেয়ার প্রচার চালাচ্ছিল। এর মধ্যে নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থানও নিতে থাকে।
বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দুপুরের আগে বলেন, তারা যেখানে অনুমতি চেয়েছেন, সমাবেশ সেখানেই হবে। নয়াপল্টনের বিকল্প কোনো প্রস্তাব থাকলে সেটি দিতে হবে পুলিশ বা সরকারকেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি গ্রহণযোগ্য পছন্দনীয় জায়গা বের না করে তাহলে পল্টনই আমাদের পছন্দের জায়গা। পল্টনেই হবে সমাবেশ।’
পুলিশ বাধা দিলে কী হবে, জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, আমাদের কাজ আমরা করব।
আব্বাসের ঘোষণার পরপরই সংঘর্ষ
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদের নেতার পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ।
নেতা-কর্মীরাও নয়াপল্টন ঘিরে জমায়েত হচ্ছিল আগের রাত থেকেই। সেখানে দুটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ করে সকাল থেকে চলছিল বক্তৃতা। জনসাধারণকে শনিবারের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বানের পাশাপাশি বিতরণ করা হচ্ছিল লিফলেট। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের চাপে নয়াপল্টনের সামনের সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
সকাল থেকে কার্যালয় ঘিরে ছিল শ খানেক পুলিশ। জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের চাপে সামনের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে দুপুরের দিকে তারা এসে হস্তক্ষেপ করে। তখন শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুড়তে থাকে ইটপাটকেল। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়ে দেয় জবাব।
মিনিট দশেক এই সংঘর্ষ চলে। বেলা আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের শ দুয়ের রিজার্ভ ফোর্স। আসে দুটি সাঁজোয়া গাড়িও। কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি ভ্যানও আসে সেখানে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করতে থাকলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। শুরু হয় সংঘর্ষ।
বাড়তি পুলিশ আসার পর বাহিনীটির সদস্যরা ব্যাপক আকারে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। কেউ কেউ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। সেখানেও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।
সেখানে আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি কার্যালয় থেকে বের হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে যেতে চান। পুলিশই তাকে সঙ্গে নিয়ে যায় সেখান থেকে।
বেলা ৩টার দিকে আসেন সোয়াট সদস্যরা। এরপর শুরু হয় তাদের টহল। ততক্ষণে নেতা-কর্মীরা আর সড়কে ছিলেন না।
বিকেল চারটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যান নয়াপল্টনে। তিনি পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে বসে যান। সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ইউনুস।
বেলা পাঁচটার দিকে পুলিশ সদস্যরা বিএনপি কার্যালয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে অবস্থানকারী দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল গ্রেপ্তার পরোয়ানা।
রিজভী ছাড়াও আরও কয়েকজন নেতাকে আটকের কথা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন:‘আওয়ামী লীগ পালায় না’- রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক এগারোতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা পালিয়েছিল তা সবাই জানে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পদযাত্রা শুরু আগে দেয়া বক্তব্যে সোমবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে এ পদযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘১/১১ সরকারের সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা-কারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তা সবাই জানে। তখন দেশে ছিলেন একজন, তিনি হলেন খালেদা জিয়া।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দিকে পালাবার পথ নেই। কোন দিকে পালাবেন ? তাই এখনও বলছি, সময় আছে আমাদের দাবি ১০ দফা এই দাবি মানে মানে মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। সংসদ বাতিল করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আসুন। নতুন কমিশন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিন।’
পদযাত্রা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের পদযাত্রা, গণতন্ত্রের জয়যাত্রা। আমাদের এই পদযাত্রা মানুষের অধিকার আদায়ের পদযাত্রা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা।’
সরকার জনগণের পকেটের টাকা কেড়ে নিচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এই পুরান ঢাকায় গ্যাস নেই। শুধু পুরান ঢাকা নয়, গোটা বাংলাদেশে এখন গ্যাস নেই। ওরা গ্যাসও খেয়ে ফেলেছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে নিয়েছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। আর সেই টাকা তারা বিদেশে পাচার করছে।’
বক্তব্য শেষে যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন রেলগেটের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পদযাত্রায় অংশ নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরতক উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রকিফুল আলম মঞ্জু প্রমুখ।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে বোতলজাত ‘জমজমের পানি’ সাময়িকভাবে বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এই পানি বিক্রির কোনো বৈধতা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ‘পবিত্র জমজম কূপের পানি খোলা বাজারে বিক্রয়’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ পানি বিক্রির আইনগত ও নৈতিক বৈধতা নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটে বোতলজাত করে জমজমের পানি বিক্রি হচ্ছে, এমন সংবাদে ভোক্তা অধিদপ্তর রোববার অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ৫ লিটার ও ২৫০ মিলিলিটারের বোতলে পানি বিক্রির প্রমাণ পাওয়ার পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সংস্থাটি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা এই পানি হাজি কিংবা হজ পরিচালনাকারী বিভিন্ন এজেন্সি থেকে পেয়ে থাকেন।
সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সংবেদনশীল। এটা আমাদের সামনে আসার পরে আমরা দ্রুত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে যেটুকু আলোচনা হয়েছে, তার ভিত্তিতে সাময়িকভাবে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে পবিত্র জমজমের পানি বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। কারণ, এমনকি সৌদি আরবেও এই পানি বিক্রি হয় এমন কোন তথ্য আমাদের জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘যতটুকু জানা গেছে, জমজমের পানি বিক্রির আইনি কোনো বৈধতা নেই। এরপরেও আমরা যাচাই-বাছাই করতে চাই। এ জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমার এটাও মনে হয় না, কোনো হাজি সৌদি থেকে জমজমের পানি নিয়ে আসবেন বায়তুল মোকাররমের এই মার্কেটে বিক্রি করার জন্য। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সৌদি সরকার যদি এটা জানে, তাহলে আমাদের দেশের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। তা ছাড়া এমনও হতে পারে যে বাংলাদেশিদের জন্য জমজমের পানি নিয়ে আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
সোমবার আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইইইবি এই দাবি জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার বিকেলে নগরের টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয় ভবনের চারতলায় প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানী সরকারি কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় তার কক্ষে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ঠিকাদার ঢুকে পড়েন। কথা বলার একপর্যায়ে তার ওপর হামলা করেন ঠিকাদারেরা।
আইইবি মনে করে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। একজন সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনায় সারা দেশের প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইইবি এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের চেয়ে আওয়ামী লীগের জনসভা ১৪ গুণ বড় বলে দাবি করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন তিনি।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে রোববার জনসভা করে আওয়ামী লীগ, যাতে অংশ নেন দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল একটা অসাধারণ সভা হয়েছে। পুরো রাজশাহী শহরই জনসভাস্থলে পরিণত হয়েছিল। মাদ্রাসা মাঠের বাইরে কমপক্ষে আরও ১০ থেকে ১২ গুণ মানুষ ছিল।’
বিএনপিও রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের চেয়ে কত গুণ বড় সমাবেশ হয়েছে, সেটা অনুমান করা কঠিন, তবে বিএনপির সমাবেশের চেয়ে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ গুণ বড় তো বটেই।
‘আকাশ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সমাবেশটি দেখেছেন। এটি অভাবনীয়। আমাদের ধারণার বাইরে সমাবেশটি হয়েছে। পুরো শহরজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা, সমাবেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহ আমি দেখেছি শুরু থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, তার দলের প্রতি জনগণের যে সমর্থন রয়েছে, গতকালের জনসভা সেটিই প্রমাণ করে।’
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মানুষকে ভোট ও ভাতের অধিকার, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে আমি সবিনয়ে অনুরোধ জানাব আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখানোর জন্য; নিজের দলের চেহারাটাও দেখার জন্য।
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে কারা বন্ধ করেছিল? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেখানে ন্যায়বিচার নয়, বিচারটাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।’
মন্ত্রী বলেন, “কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। সেই বিচারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আর ভোটের অধিকার? জিয়াউর রহমানের সময় সাত্তার সাহেবের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, এরশাদ সাহেবের সময় স্লোগান ছিল ‘১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা।’ এখন মানুষ সেই স্লোগান দেয় না। সেই সংস্কৃতি তারাই চালু করেছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা এক মাসের বেশি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
‘আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখলেই উনি উত্তরটা পেয়ে যাবেন। এ দেশে মানবাধিকারের লঙ্ঘন শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান।’
আরও পড়ুন:ঢাকার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বাহরাইনের জাতীয় বিমান সংস্থা গালফ এয়ারের এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই পাইলটের বোন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা এলহেন্ডি জোসেফিনো।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাইলট ইউসুফ হাসান আল হিন্দি। ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালকে দায়ী করে হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিল ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তালা।
সংবাদ সম্মেলনে তালা জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে তার ভাই ঢাকার মেরিডিয়ান হোটেলে ছিলেন। রাত পৌনে তিনটার দিকে উঠে তিনি ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হন। ভোর ৪টার দিকে তিনি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়ার মাঝে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাকে সাড়ে ৫টার মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নেয়া হয়। এরপর তিনি পর পর চার বার কার্ডিনাল অ্যারেস্টের শিকান হন। মৃতুবরণ করেন দুপুর ১২টার দিকে। এই সময়ের মধ্যে কোনো কার্ডিওলজিস্ট তার ভাইকে চিকিৎসা দেননি। কার্ডিওলজিস্ট ছাড়া পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া শেষ করে চিকিৎসার অবহেলা করা হয়েছে।
যু্ক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিক অভিযোগ করেছেন, পুরো ৮ ঘন্টা হাসপাতালে থাকলে তার ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি যে চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন তার নামও ব্যবস্থাপত্রে নেই।
ভাই-বোন দুজনই যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের দ্বৈত নাগরিক। ভাই ইউসুফ আল হিন্দি গলফ এয়ারের পাইলট ছিলেন আর বোন তালা ব্রিটিশ সরকারের হয়ে কাজ করেন।
ভাইয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর পর তিনি বাংলাদেশে ছুটে এসে খোঁজ-খবর নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল ও গালফ এয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পান বলে জানান সাংবাদিকদের।
আরও পড়ুন:খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ফেসবুকে আপলোড করা দুটি ভিডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দেয়।
আদালতে রিটকারী সুমনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। আবদুস সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, সাঈদ আহমেদ রাজা ও সালাম মুর্শেদীর মেয়ে সেরিনা সালাম ঐশী।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সেরিনা সালাম ঐশী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৩ ও ২৫ জানুয়ারি (ব্যারিস্টার সুমন) আমাদের বাড়ি নিয়ে লাইভ করেছেন। আদালত শুনানি নিয়ে সেই লাইভের ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন কোনো বিষয় নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত লাইভ বা ভিডিও প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন আদালত।’
আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে দুদক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আবদুস সালাম মোর্শেদীর বাড়ি-১০, গুলশান-২, ঢাকা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রাজউকের চেয়ারম্যানের সহায়তায় পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের প্রাপ্ত অভিযোগটি ২ সদস্যবিশিষ্ট টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মহাপরিচালক (তদন্ত-১) বরাবর পত্র প্রেরণের জন্য কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানান, অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেটি অনুসন্ধান শুরু করেছে।
দুদক ছাড়াও রাজউকের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়, আবদুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই।
গত ১৬ জানুয়ারি আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি ও প্রতিবেদন অ্যাফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে জমার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ছিল। এ দিন সম্রাট আদালতে হাজিরা দেয়ার পর তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ দেন। স্থায়ী জামিনের আবেদন ও পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় নেয়ার আবেদন করেন সম্রাটের আইনজীবী। আগামী ১ মার্চ এসব বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মন্তব্য