× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP should never come to power Sheikh Hasina
google_news print-icon

বিএনপি যেন কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে: শেখ হাসিনা

বিএনপি-যেন-কখনও-ক্ষমতায়-আসতে-না-পারে-শেখ-হাসিনা
সোহরওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা
‘আওয়ামী লীগ জনগণে বিশ্বাস করে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আগামীতেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় যেন আর কখনও বিএনপি-জামায়াত আসতে না পারে, সে জন্য জনমত গড়ে তুলতে হবে।’

গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগেরই হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত জোট যেন কখনও আর ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সে জন্য জনমত গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, তার সরকার দ্রুত দেশের উন্নয়ন করেছে। যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা এটি মেনে নিতে পারছে না। এ কারণে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চলছে। এর জবাব দিতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগই একমাত্র দল হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল, এই বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি জনগণের অধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেছিল বলেও মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করে মঙ্গলবার এ কথা বলেন ছাত্রসংগঠনটির অভিভাবক।

নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হচ্ছে এই সম্মেলন। সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। বেলুন ও পায়রাও ওড়ান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বিএনপি যেন কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে: শেখ হাসিনা
সম্মেলন উদ্বোধন করে বেলুন উড়াচ্ছেন শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগপ্রধান তার দীর্ঘ বক্তব্যে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গত এক যুগে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা অর্জন ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় এসে বিএনপির ভূমিকা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণে বিশ্বাস করে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আগামীতেও জনগণের ভোটের নির্বাচিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায় যেন আর কখনও বিএনপি-জামায়াত আসতে না পারে, সে জন্য জনমত গড়ে তুলতে হবে।’

গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলে একমাত্র দল হিসেবে আওয়ামী লীগই এদেশে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল উল্লেখ করে সরকারি দলের নেতা বলেন, ‘বিপরীতে একটি পক্ষ পিতাকে হত্যা করে দাবি করেছিল তারা গণতন্ত্র এনেছে। জনগণের অধিকার হরণ করে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখা কী ধরনের গণতন্ত্র?

‘আমাদের অনেক জ্ঞানী গুণী একই সুরে কথা বলেছেন। তারা বুদ্ধিজীবী নন, আসলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী।’

গুজব রুখতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ

শেখ হাসিনা তার শাসনামলে দেশের বদলে যাওয়ার বর্ণনা দেন। যারা উন্নয়ন অস্বীকার করেন, সমালোচনা করেন তাদের। সামাজিক মাধ্যম সরকারবিরোধী অপপ্রচারে ছেয়ে গেছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগকে সেগুলোর জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘যারা এদেশে স্বাধীনতার চায়নি, তাড়াতাড়ি দেশের উন্নয়ন কখনো মেনে নেবে না। …সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভরে গেছে। আমি ছাত্রলীগকে বলব, এর বিরুদ্ধে তোমরা বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন যে কাজ করেছে সেগুলো তুলে ধরবে।

‘কিছু গুজব হচ্ছে কি, ব্যাংকে টাকা নেই। আমি একটা কথা স্পষ্ট জানতে চাই, আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সঙ্গে কথা বলেছি, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের কোন ব্যাংকে টাকার কোনো ঘাটতি নেই। গুজবে কেউ কান দেবেন না।

‘মানুষকে ভাঁওতাবাজি দিয়ে গুজব ছড়াতে চায়। সে দিকে সকলের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

বিএনপি যেন কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে: শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করছেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের খাবারের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচুর পরিমাণে খাবার আছে। প্রচুর আমন হয়েছে।’

তারপরেও উৎপাদনে মনযোগ দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘যেখানে যাদের জমি আছে, ফসল উৎপাদন করতে হবে। নিজে নিজেরা উৎপাদন করবেন যাতে খাদ্যে কোনো ঘাটতি না হয়।

‘বিদ্যুৎ, পানি গ্যাস ব্যবহারের প্রত্যেককে সাশ্রয়ী হতে হবে। ছাত্ররা হোস্টেলে থাকলেও প্রয়োজনের বাইরে বিদ্যুৎটা বন্ধ করতে হবে। বিশ্ব মন্দা যেন আমাদেরকে আঘাত করতে না পারে। সে জন্য সবাইকে দৃষ্টিতে হবে।’

উন্নয়নের বর্ণনা

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নাকি কিছুই হয়নি। বাংলাদেশ নাকি শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ৬৬ ভাগ সাক্ষরতার উন্নতি করেছিলাম ৯৬ সালে ক্ষমতা আসার পরে। আজকে সাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নত করতে পেরেছি। দুই কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি।

‘দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ ছিল। সেখানে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। করোনার সময় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। করোনা টেস্টে টাকা নেইনি। প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে টাকা পাঠিয়ে। অনলাইনে নগদ টাকা পাঠিয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। গার্মেন্টসে ঠিকমতো চলে তার জন্য প্রণোদনা দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই একমাত্র টানেল করেছে। এখন মেট্রো রেল হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসার করেছি, যাতে দক্ষ জনবল গড়ে ওঠে। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষা ছাড়া কোন দেশ কখনো উন্নতি করতে পারে না। আমি ছাত্রদের বলব, যে যাই করুক না কেন লেখাপড়া শিখতে হবে। লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে হবে।

‘আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। শুধু পড়াশোনা করে চাকরি পেছনে না ছুটে যাতে নিজে কিছু করতে পারে সে ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি যাতে সকলের কিছু কাজ করতে পারে। কারিগরি শিক্ষা ৯৭.২ ভাগে উত্তীর্ণ করেছি। আমাদের যুব সমাজ আমাদের ভবিষ্যৎ। ৪১ এর সৈনিক হবে আজকের যুব সমাজ। ১০০ টা অর্থনৈতিক অঞ্চল আমরা করে দিয়েছি।’

বিএনপি যেন কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে: শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের সম্মেলনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা

ইতিমধ্যে ৩৫ লাখ মানুষকে বিনা পয়সায় ঘর দেখা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি কেউ ভূমিহীন থাকে, আমাকে নাম ঠিকানা দিলে ব্যবস্থা করে দেব।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বন্দি হওয়ার সময়ই দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে বন্দি করল। সংসদ ভবনের একটি ভবনে সেখানে রাখা হলো। আমি সেখানে বসেই রূপকল্প একুশ প্রণয়ন করি।

‘বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের পরিণত করব, আমি সেটা করতে পেরেছি। উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পাব, সেই পরিকল্পনা করে রেখেছি আমরা। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।’

জিয়া-খালেদার কঠোর সমালোচনা

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। ইতিহাস বিকৃতি, জাতির পিতার ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলার স্লোগান নিষিদ্ধ জিয়াউর রহমান করেছেন।

১৯৯৪ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি উক্তির কথাও স্মরণ করেন তিনি।

সে সময় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা আওয়ামী লীগকে দমনে ছাত্রদলই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি নেত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া হুমকি দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে ছাত্রদলই যথেষ্ট। তারা ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমি বই, খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম।’

খালেদার পক্ষে যারা বলে, তারা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী

যারা খালেদা জিয়ার পক্ষে বলেন, তাদেরকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘যারা ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) এনেছিল, ফখরুদ্দীন, ইয়াজউদ্দিন, সবাইকে বিএনপি এনেছিল। তারা কিন্তু প্রথম আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল, খালেদা জিয়াকে নয়। পরে খালেদাকে গ্রেপ্তার করেছে।

‘এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে। এই কারণেই খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যারা তার পক্ষে কথা বলে, তারা আসলে বুদ্ধিজীবী নয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী।

‘খালেদা জিয়াকে আমরা উৎখাত করেছি। এরশাদকে উৎখাত করেছি। জিয়াকে উৎখাত করতে পারতাম। কিন্তু তার আগেই সে মারা গেল।’

ছাত্রলীগের ভূয়সী প্রশংসা

শেখ হাসিনা তার ভাষণে ছাত্রলীগের ব্যাপক প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের সময় একমাত্র ছাত্রলীগ রাজনৈতিক সংঘ হিসেবে কাজ করেছে। তাই ছাত্রলীগকে আমি ধন্যবাদ জানাই অভিনন্দন জানাই দুঃসময়ে কাজ করার জন্য।

‘সিলেটে বন্যা হলো, মানুষ কিছু করতে পারে না। আমি সেখানে বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, পুলিশ-প্রশাসন সবাইকে কাজে লাগিয়েছি। সেখানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সবাইকে কাজে লাগিয়েছি।

‘ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগ সবসময় অগণের ভূমিকা পালন করেছে। এদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ছাত্রলীগের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের প্রতিটি সংগ্রাম ও অর্জনে এর ভুমিকা আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা করার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। আমি আশা করি সেই সোনার মানুষ ছাত্রলীগ।’

বয়স ৭৩ হয়ে গেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো সময় আমি অক্কা পেতে পারি। কিন্তু আমাদের বাকি প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। সেভাবে গড়ে উঠতে হবে যেন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ যেন মুছে ফেলতে না পারে, সেজন্য চেষ্টা করবে।

সম্মেলন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা

এর আগে সকাল এগারোটা বিশ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলনস্থলে এসে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উত্তোলন করেন দলীয় পতাকা। আর জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ নিজ জেলার পতাকা উত্তোলন করেন।

বিএনপি যেন কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারে: শেখ হাসিনা
সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হলে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অসীম কুমার বৈদ্য এবং সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার রেজাউল করিম সুমন।

পরে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলন স্মারক উপহার দেন।

এরপর সম্মেলন অভ্যর্থনা উপ কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনের ব্যাজ পরিয়ে দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন সম্মেলন প্রস্তত কমিটির সদস্যরা।

এরপর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফ বাবুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক উপ কমিটির সদস্যরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

বিএসএল কমিউনিটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা টিম প্রধানমন্ত্রীর হাতে জয় বাংলা ম্যাগাজিনের সম্মেলন স্মরণিকা তুলে দেন।

এরপর ছাত্রলীগ সভাপতি জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে আসছেন কারা
ছাত্রলীগের সম্মেলন আজ, বয়স নিয়ে চিন্তায় পদপ্রত্যাশীরা
ছাত্রলীগের সম্মেলন: এড়িয়ে চলবেন যেসব সড়ক
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীদের অবরোধ প্রত্যাহার
জয়কে আটকে কমিটি দাবি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Proportional vote will push the country to more dictatorship Rizvi

আনুপাতিক ভোট দেশকে আরও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী

আনুপাতিক ভোট দেশকে আরও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী

আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি দেশকে আবার স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসে, সে জন্য গণতান্ত্রিক ঐক্য দরকার।

এ সময়ে আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনুপাতিক ভোট পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজন কী? এই ব্যবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নেতা তৈরি হবে না, নেতৃত্বের বিকাশও হবে না। আমরা চিরায়ত গণতন্ত্রের পক্ষে, যেখানে বৈধ ভোটাররা ভোট দিয়ে নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’

‘একজন মানুষ দীর্ঘদিন মানুষের পাশে থেকে নেতা হয়েছেন, অথচ আনুপাতিক ভোটে তাকে নয়; দলকে ভোট দিতে হবে। এরপর দল থেকে বাছাই করে এমপি ঘোষণা করা হবে—এটি আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রায় ১২ কোটি ভোটার রয়েছে, সেই ১৮ কোটি মানুষের দেশে কেন এমন ভোট পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে? যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, বছরের পর বছর কারাবরণ করেছে, সেই গণতন্ত্র আজ প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের কোনো তরুণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। কখন কাকে ধরে নিয়ে যাবে, আর কার রক্তাক্ত লাশ তিস্তা, গঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে পাওয়া যাবে—এটাই ছিল নিত্যদিনের চিত্র। এই ভয়াবহ সময় পার করতে হয়েছে আমাদের। শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসতে পারে, তার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়ানো চলবে না। বিএনপির নেতাকর্মীদের আচরণে যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন বিএনপির কাছ থেকে ন্যায়বিচার পায়, সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি এসব অপকর্মে জড়িত থাকে, দল সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে—এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ‘বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির আয়োজন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন রংপুর (ড্যাব)।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The central leaders of the NCP visited the grave of Shaheed Abu Saeed

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দেশ গঠনে জুলাই পদযাত্রার কার্যক্রম শুরু করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র নেতারা।

মোনাজাত শেষে আবু সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

আজ (১ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতারা আবু সাঈদের বাড়িতে যান।

পরে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শুধু স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না, নতুন বন্দোবস্তের জন্য ছাত্র আন্দোলন ছিল। এই আন্দোলনে যারা সংহতি প্রকাশ করেছেন, তাদের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিচার ব্যবস্থা, নতুন সংবিধান, জুলাই সনদসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এনসিপি মাঠে থাকবে।

যৌক্তিক সংস্কারে প্রয়োজনে আবারো সংগঠিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নাহিদ ইসলাম। এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। দরকার হলে আবারো রাজপথে নামবো। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরেই নির্বাচন দিতে হবে, অন্যথায় সেই নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না।

দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ন্যায়সঙ্গগত সংস্কার ও মানুষের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এক পা পিছিয়ে আসবে না এনসিপি।

নেতারা জানান, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। তারা বলেন, জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যেতে চায় এনসিপি, কারণ গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন এখনো অপূর্ণ। এই পদযাত্রার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মতামত ও প্রত্যাশা সরাসরি জানার সুযোগ তৈরি করতে চায়।

বিকালে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থলসহ রংপুর নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করবেন তারা।

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা ও পদযাত্রার সূচনা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতারা। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচি চলবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।

কবর জিয়ারতে অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু হবে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর শহীদ মিনার থেকে। পরে রংপুরে পার্কের মোড় থেকে বিকেল ৩টায় পদযাত্রা শুরু হয়ে লালবাগ-শাপলা-জাহাজ কোম্পানির মোড় হয়ে টাউন হল মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ডিসির মোড় হয়ে ধাপ হয়ে মেডিকেল মোড় হয়ে চেকপোস্টে সমাপনী হবে।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদের সবাই সরে গেলেও আবু সাঈদ হাতে একটি লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান।

এই অবস্থায় পুলিশ আনুমানিক ৫০-৬০ ফুট দূর থেকে তার ওপর ছররা গুলি ছোড়ে। পুলিশের অবস্থানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে। তারপরও অবস্থান থেকে একচুল সরেননি আবু সাঈদ, সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Patuakhali District BNP Conference on July 2 after 20 years

২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী ব্যায়ামাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পটুয়াখালী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলন সফল করতে জোরে সোরে চলছে সকল ধরনের প্রচার- প্রচারণা ও প্রস্তুতি।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সহ- প্রচার সম্পাদক মোঃ আসাদুল কবির শাহীন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, সদস্য ইঞ্জিঃ একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার, সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।

এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ তৃণমূল বিএনপির নেতা- কর্মীদের মাঝে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৩০ জনসহ ৮টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার প্রায় ১৪০০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন (কমিটি নির্বাচন) বিকেলে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ তিনটি শীর্ষ পদে এক ডজন প্রার্থীর নাম নেতা-কর্মীদের মুখে চাউর হচ্ছে। এ তিনটি পদের মধ্যে সভাপতি পদে যাদের নাম উঠেছে, তারা হলেন বর্তমান জেলা বিএনপি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও অন্যতম সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়জীদ পান্না মিয়া।

সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পিপি এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন, সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডঃ মোহসীন উদ্দীন, জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তৌফিক আলী খান কবির।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, সাবেক জিএস আলমগীর হোসেন বাচ্চু, জেলা মৎস্য দলের সভাপতি ভিপি শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ সম্মেলনে এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে মেয়াদউত্তীর্ন হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants the election schedule after the chief adviser CEC meeting

প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’

শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রিজভী।

প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি কি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই তা আশা করি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি— নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে— যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে, ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mob Justice is not justified Rizvi

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।

তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
CPC invites Tareq Rahman to visit China

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।

সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।

এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC does not support Huda Ganpituni BNP Salahuddin

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মন্তব্য

p
উপরে