বিএনপির আটটি বিভাগীয় সমাবেশে যত মানুষ উপস্থিত হয়েছে, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশেই তত মানুষ এসেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশকে মহাসমুদ্র বলেও উল্লেখ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
রোববার চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ৮ অক্টোবর এই ময়দানে জমায়েত দিয়েই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের শুরু। এরপর আরও আটটি সমাবেশ শেষ করে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে জমায়েতের ডাক দেয়া হয়েছে।
বিএনপির প্রতিটি সমাবেশেই নেতা-কর্মীদের বিপুল উপস্থিতি দলটিকে উজ্জীবিত করছে। নেতারা বলছেন, জনগণ যে তাদের পক্ষে, সেটি জনসভায় উপস্থিতি দেখেই প্রমাণ মিলছে। এর জবাবে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজেরাও বড় বড় সমাবেশ করতে থাকে। ২৪ নভেম্বর যশোরের পর চট্টগ্রামের এই সমাবেশেও ব্যাপক উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ দেয়।
সেই চ্যালেঞ্জে দৃশ্যত তারা সফল। বিশাল ময়দান ছাড়িয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় ছড়ায় আশপাশের এলাকায়।
বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা গায়ে নানা রঙের রঙিন জামা, মাথায় ক্যাপ পরে জনসভায় যোগ দিতে আসেন। বিভিন্ন ইউনিটের রঙিন পোশাকের বর্ণিল রঙে সাজে পুরো মাঠ ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখে যান ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব, এখানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলেছিলেন। আটটা সমাবেশের (বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ) সমান সমান লোক হয়েছে। আজকে পলোগ্রাউন্ডে শেখ হাসিনার জনসভায় এখানে যা লোক, তার ৮ গুণ বেশি লোক বাইরে। গোটা চট্টগ্রাম আজকে মিছিলের নগরী। মহাসমাবেশ নয়, মহাসমুদ্র।’
তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলীর সব ঢেউ আজ পলোগ্রাউন্ডে। বঙ্গোপসাগরের সব ঢেউ আজ চট্টগ্রাম শহরে। দেখে যান জনপ্রিয়তা কাকে বলে। ফখরুলকে বলছি কান পেতে শুনুন মহাসাগরের গর্জন। শুনতে পাচ্ছেন? আপনি না শুনতে পেলে আমীর খসরু, নোমান সাহেব, মীর নাছির সাহেব, আপনারা একটু দেখেন চট্টগ্রাম শহরের আজ কী অবস্থা।’
বিএনপির সমাবেশে যত লোক হয়, দলটি তার কয়েক গুণ দাবি করে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, ‘রাজশাহীতে গেছে, কত লোক হয়েছে? তরঙ্গ না ঢেউ? যা লোক হয়, ১০ হাজার হলেও কয় লাখ লাখ। এই হলো বিএনপি।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনাই সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বলেও দাবি করেন কাদের। বলেন, ‘বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত ৪৭ বছরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর সবচেয়ে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা। সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।
‘মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গেয়ে যাচ্ছেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে যিনি সৃষ্টির পতাকা ওড়ান, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।’
উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে, অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা।
প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ ও ‘ট্রাবলশুটার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আমরা কিছুটা বিপদে আছি। এই বিপদ থেকে শেখ হাসিনাই উদ্ধার করবেন। তিনি সারা রাত ঘুমান না, জেগে থাকেন।
‘ফখরুল বলেন, সরকারের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারের ঘুম নষ্ট হয়নি, ঘুম নষ্ট শেখ হাসিনার। দেশের মানুষের জন্য, দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য। গরিব ও দুখি মানুষকে বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনাকে রাত জাগতে হয়।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে কাদের বলেন, ‘খেলা হবে, হবে খেলা! বীর চট্টলা তৈরি। খেলা হবে।’
বিএনপিকে সংবিধান সংশোধনের স্বপ্ন ভুলে যাওয়া ও তত্ত্বাবধায়কের ‘ভূত’ মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার পরামর্শও দেন কাদের। জানান, অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা। সভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
অতিথিদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মহানগরে বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যরাও জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রমজানে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ না করে পার্টি করে নিজেরাই খাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা রমজানে ইফতার পার্টি বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আজকে আমরা যেমন ইফতার পার্টি বন্ধ করেছি, না ইফতার পার্টি করব না, আমরা এই খাবার সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলাব। আজকে অনেক জায়গায় বিলাচ্ছেন সবাই।
‘সারা বাংলাদেশের যে চিত্র, অনেক জায়গায় আমি দেখতে পাচ্ছি যে, একমাত্র আওয়ামী লীগ অথবা আমাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবাই এবং আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আজকে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছেন।’
ওই সময় বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আর আমরা যখন ইফতার বিলি করি, তখন দেখি কী? আওয়ামী লীগ দেয়; দিতে জানে। আর সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আর যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না, মানুষ খুন করবে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে, গাড়িতে, রেলে আগুন দেয়; মানুষকে পুড়িয়ে মারে। সেই মা, সন্তানসহ পুড়িয়ে মারে।
‘আর এখন আবার কী দেখবেন? তারা কিন্তু কোনো মানুষকে ইফতার দেয় না। নিজেরা ইফতার পার্টি খায়। তারা ইফতার পার্টি খায় আর ওই ইফতার পার্টিতে যেয়েও আল্লাহ-রসুলের নাম নেয়, আওয়ামী লীগের গিবত গায়।’
মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের অপরাধ কি না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা খেয়েদেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎপাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ?
‘আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে, সেটাই কী অপরাধ? তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “একসময় দেশের মানুষ ‘ভাতের ভ্যান’ ভাতের মাড় খেত। লবণ দিয়ে ভাতের মাড় খেতেও মানুষকে হিমশিম খেতে হতো, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে ভাতের কষ্ট মানুষের নাই।”
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর ও যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দীন কামরানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে রোববার চকরিয়ায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মডেল প্রাইমারি স্কুল মাঠে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সোসাইটি বায়তুল মাওয়া শাহী জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোছাইন ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোছাইন।
সংবাদ সম্মেলনে হাছানগীরের বড় ভাই আলমগীর হোছাইন বলেন, ‘আমার ভাই তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী সালাম দিয়ে পথরোধ করে আচমকা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাবেক এমপি জাফর আলমের লালিত সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চকরিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি হাছানগীর হোছাইনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের কর্মীরা। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে চকরিয়া থানায়।
এ ঘটনায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘চকরিয়া পৌর যুবলীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জুম অ্যাপের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ডিপ ফেক প্রযুক্তি দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে। একইভাবে দলের অন্য নেতাদেরও ডিপ ফেক ভিডিও বানানো হচ্ছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডিপ ফেক ভিডিওটি সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশ-বিদেশে বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নযন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্য সদস্যদেরও ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির আইটি বিভাগের তদন্তে দেখা গেছে, বিরোধী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে নাহিদ রেইন নামে এক প্রতারক। বিএনপি নেতাদের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে অবিলম্বে নাহিদ রেইনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
‘আর এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে প্রধান অপরাধীকে অনলাইন ও অফলাইনে সহায়তা করছে প্রভাবশালী এক বিদেশি।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অ্যাঙ্কর ও লোগো ব্যবহার করে তাদের মিথ্যা উন্নয়নের অসংখ্য ডিপ ফেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
এছাড়া তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস সম্পর্কেও ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিপ ফেক ভিডিওটির গুরুত্ব অনুধাবন করে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সংবাদদাতা বেঞ্জামিন পার্কিন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের একটি দুর্বৃত্ত চক্র ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে এই আবেদন করেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন:দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই নির্বাচন নিয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) দেয়া রিপোর্টে কিছু যায় আসে না।
রোববার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এনডিআই ও আইআরআই যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে অন্যান্য সময়ে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসবের তুলনায় এবার কম সহিংসতা হয়েছে।
‘আর নির্বাচনের মানের বিষয়ে তারা বলছে, বাংলাদেশে যেসব নির্বাচন ইতোপূর্বে হয়েছে বা আমাদের উপমহাদেশে যে নির্বাচন হয় সে তুলনায় এ নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। একটি সুন্দর ও ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এনডিআই ও আইআরআই কী বলল না বলল এতে কিছু আসে যায় না। তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। আমরা সেটা দেখছি। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা শুধু নির্বাচন বর্জন নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং তাদের রিপোর্টে এসব বিষয় বা যারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে বক্তব্য দেন তাদের এ বিষয়টাও অ্যাড্রেস করতে হবে।’
সরকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ করার বিষয় নয়। তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা প্রতিবেদনটা দেখছি। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা অন্য কেউ যেসব পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন সব মিলিয়ে গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে মত ব্যক্ত করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম)।
যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা দুটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, ভোট চলাকালীন ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এনডিআই ও আইআরআই টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রায় আড়াই মাস পর রোববার ১৭ মার্চ সংস্থা দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনি সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইআরআই ও এনডিআইয়ের তুলনামূলক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারের নির্বাহী ও আইন বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনের সুপারিশ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রচার ও নির্বাচনের দিনসহ অন্য সময়ে শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে।
এক্ষেত্রে সংস্থা দুটি আগের নির্বাচনগুলোর পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছে। সহিংসতা কম হওয়ার কারণ হিসেবে তারা নির্বাচনি প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরকে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনি সহিংসতা মূলত দুটি প্রাথমিক রূপে দেখা দেয়। প্রথমটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বিরোধী দলের বয়কট প্রচেষ্টার মাধ্যমে।
প্রান্তিক গোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী এবং হিন্দুরাও নির্বাচনি সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
মিশনটি প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বাংলাদেশের আইনি কাঠামো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
‘নারী প্রার্থীরা মিশনকে জানিয়েছে, জনসমাগমে ও অনলাইনে তাদের অপমান ও হুমকির শিকার হতে হয়েছে। বিশেষ করে পুরুষ প্রতিপক্ষ ও তাদের সমর্থকদের কাছ থেকে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা তাদের অভিযোগের ব্যাপারে কোনও সাড়া দেননি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর কারণ হিসেবে শাসক দল ও বিরোধীদের সহিংসতা, প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন এবং বাক-স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনি সহিংসতা মোকাবেলায় সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে ২৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য আচরণবিধি প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনি সহিংসতা সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত ও স্বাধীন বিচার এবং পর্যালোচনার জন্য আইনি কাঠামো, রাজনৈতিক নেতাদের দলে অহিংসতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, সংখ্যালঘু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
নির্বাচনের সময় সোশাল মিডিয়ার ঘটনাবলীও পর্যবেক্ষণ করেছেন মিশনের সদস্যরা।
তাদের মতে, নির্বাচনের সময় সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বক্তব্য অব্যাহত ছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, উভয় দলের দিক থেকেই সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বক্তব্য দেয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বেশি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।
নির্বাচনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে অংশীজনরা মিশনকে জানিয়েছেন, সরকারের প্রতিশোধের ভয়ে সংবাদমাধ্যম সেল্ফ সেন্সরশিপে ছিল। সাংবাদিকরা নির্বাচনি প্রচার ও বিক্ষোভের সময় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় দলের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
নির্বাচনি নিরাপত্তার জন্য বাজেট বাড়ানোসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে সরকারের সমন্বিত ইউনিট গঠনের বিষয়ও প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে।
একইসঙ্গে সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অসমভাবে নির্বাচনি বিধি প্রয়োগ করেছে।
আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ন্যায়সঙ্গত ছিল না।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে মিশনের সদস্যরা বিশ্লেষক, সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ যুবক, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন চলাকালীন ও আগে-পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন বেসরকারি সংস্থা আইআরআই ও এনডিআইর প্রতিনিধিরা। তারা সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে দুই শতাধিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন:দেশে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের পাশে ভারত থাকায় বড় অন্য রাষ্ট্রগুলো হস্তক্ষেপ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শনিবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিগত নির্বাচনে ভারতের অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলো অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল, তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই ৬৮ বছরের সমস্যা ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে।
কাদের বলেন, ধৈর্যধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?
‘যারা নির্বাচনে আসেনি, এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন ভারতবিরোধিতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনও তারা সেটি করছে।’
বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক, এর সূত্র খুঁজতে হবে।
‘প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল। ভেঙ্গে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে? কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সকল ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাকিলা করতে হবে।
এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন সংখ্যালঘুদের পাশে থাকবে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও সনাতন ধর্মের নেতারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য