১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী সব দল মিলে কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন তথ্য জানান।
২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
ফখরুল বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সম্পর্কে পরিষ্কার করে নিই। এটা কিন্তু আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের শেষ সমাবেশ। এখানে আমরা ভবিষ্যতে সব দল মিলে যেই কর্মসূচি, সেই কর্মসূচি নিয়ে সামনে আসব৷
‘আমরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ন্যূনতম বিষয়ে একমত হয়েছি। আশা করি এই বিষয়গুলোকে আমরা সামনে নিয়ে আসব। আমাদের পুরো দাবিদাওবা, রূপরেখা জনগণের সামনে নিয়ে আসব।’
গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রতি শনিবার বিএনপি দেশের বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশ করে আসছে। এর অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জমায়েতের ডাক দেয়া হয়েছে। এই সমাবেশের স্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিএনপি সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনে। তবে সরকার অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যেখানে সমাবেশে রাজি নয় বিএনপি। ফখরুল সোহরাওয়ারাদী ও তুরাগ তীর ছাড়া অন্য কোথাও সমাবেশ করার প্রস্তাব চেয়েছেন।
চলমান আন্দোলন নিয়ে নিজে আশাবাদী বলেও জানান বিএনপি নেতা। বলেন, ‘মানুষ যেভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে কথা বলছে, রাস্তায় নেমে আসছে, তাতে করে আশাবাদী হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পড়ন্ত জীবনে, জীবনসায়াহ্নে বলা যেতে পারে, আমরা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।’
সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের এই আন্দোলন সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া। আর কোনো বিকল্প পথ নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না।
‘আরেকটি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির মুক্তি সম্ভব হবে।’
আন্দোলনে জনগণ সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘মানুষের মুখের ভাষা, তাদের আগ্রহ, নিষ্ঠা এগুলো দেখলেই বোঝা যায় মানুষ এখন পরিবর্তন চায়৷ সেই পরিবর্তন হচ্ছে সত্যিকার অর্থে একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র মানুষ দেখতে চায়। আমরা মানুষের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করে সত্যিকারের একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই।’
ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পুরোপুরি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা এখন আমলা আর গোয়েন্দার ওপর নির্ভরশীল। বিরোধী দলের আন্দোলন শুরু হলেই আওয়ামী লীগ মনে করে দুটি ধুয়া তুলতে হবে। একটি অগ্নি সন্ত্রাস আরেকটি জঙ্গি। দুটোই কিন্তু এখন মাটি হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন:অমর একুশে বই মেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেয়ার বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান। তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশনীটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ‘শুধু একটি বইয়ের জন্য মেলায় পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ সে বইটি ব্যান্ড লিস্টেড বা কালো তালিকাভুক্ত নয়। বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ অনুযায়ী তাদের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো বৈধতা নেই।
‘একইসঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাক-স্বাধীনতার বিরোধী।’
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জে গরু চুরির সময় গৃহবধূকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় চালকসহ চোর চক্রের সদস্যদের খুঁজছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চ সারটিয়াচর গ্রামে গত সোমবার রাতে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সিরাজগঞ্জ পুলিশকে সহায়তা করছে ডিএমপির ডিবি।
ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের জুরিসডিকশনের বাইরে হলেও সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জ পুলিশকে আমরা সহায়তা করছি।’
গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন নিহতের স্বামী আমির চাঁন। সে মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই রিপন সরকার বলেন, ‘রাতে কে বা কারা একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে আমির চাঁনের গরুর খামারে গরু চুরি করতে আসে। আমার ভাগ্নে জুবায়ের বুঝতে পেরে খামারে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করে চোরেরা।
‘এদিকে আমার বোন সেলিনা বেগম রাস্তায় পিকআপ ভ্যানে দুটি গরু নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পিকআপ ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এ সময় ভাগ্নে ও দুলাভাইয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে চোররা পিকআপ ভ্যানটি রেখে পালিয়ে যায়।’
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। আমাদের পাশাপাশি অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও কাজ করছে।’
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সারা ইসলামের পর মরণোত্তর দেহ দান করেছেন ৬৯ বছর বয়সী নন্দিতা বড়ুয়া, যার কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন দুজন।
তারা হলেন পিরোজপুরের কাউখালী কলেজের ব্যবস্থাপনার বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ২৩ বছর বয়সী ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও পটুয়াখালীর ৫০ বছর বয়সী দলিল লেখক আবদুল আজিজ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বড়ুয়ার দেহ গ্রহণের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন, অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লায়লা আনজুমান বানু, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ আলম, হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার (টিটো), কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শীষ রহমান, কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক রাজশ্রী দাস, অ্যানাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন আক্তার সুমি, নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া ও সেঁজুতি বড়ুয়া. নন্দিতা বড়ুয়ার কর্নিয়াগ্রহীতা জান্নাতুল ফেরদৌস ও আবদুল আজিজসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া ও সেঁজুতি বড়ুয়াও মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নন্দিতা বড়ুয়ার মৃত্যু হয় ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনিজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। কিডনি রোগের পাশাপাশি এসএলই ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। মরণোত্তর দেহদানের বিষয়ে সন্তানদের বলে গিয়েছিলেন তিনি।
গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শীষ রহমান আবদুল আজিজের চোখে ও অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজশ্রী দাস জান্নাতুল ফেরদৌসির চোখে নন্দিতা বড়ুয়ার একটি করে কর্নিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মরণোত্তর অঙ্গদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সারা ইসলাম।
তার দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুই নারীর শরীরে। আর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় আরও দুজনের চোখে।
আরও পড়ুন:সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও আমাদের সময় পত্রিকার প্রকাশক সৈয়দ মোহাইমেন বকস কল্লোল মারা গেছেন।
বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
এই আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, মোহাইমেন বকস কল্লোল হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। তার মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি যশোরে।
মোহাইমেন বকস কল্লোল আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য লাভ করেন ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
আমাদের সময় পত্রিকা অফিস ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন:যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম আতাউল্লাহর আদালতে বৃহস্পতিবার এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
বিচারক অভিযোগপত্র দেখেছেন মর্মে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তী বিচারেরর জন্য মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ বদলির আদেশ দেন বিচারক।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় আল আমিনের নামে স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
ইশরাত জাহানের অভিযোগ, তাকে অত্যাচার করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন আল আমিন। দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর এমন অত্যাচার চালাচ্ছেন তিনি।
রাজধানীর মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে দুর্ঘটনায় আহত হন ওই যুবক, উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সাড়ে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন শেরপুর জেলা সদরের পাঁজরডাঙ্গা গ্রামের চানমিয়ার ছেলে। মহাখালী-বনানী কড়াইল বস্তিতে থাকতেন তিনি।
মোক্তারকে হাসপাতালে আনা তার বন্ধু মো. শিমুল বলেন, মোক্তার আমার সঙ্গে মহাখালী ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকো কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। রাতে কাজ শেষে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলাম।
তিনি বলেন, পথে মহাখালী রেলগেট অতিক্রম করার সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেন মোক্তারকে ধাক্কা দিলে সে রেল লাইনের পাশ থেকে ২০০ গজ দূরে ছিটকে পড়ে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় আহত এক যুবককে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাতাসের মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা শীর্ষ ১০ থেকে বের হলেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরি থেকে মুক্ত হতে পারেনি শহরের বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাতাসের মানে ১০০টি শহরের মধ্যে ১১তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
র্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে ওই সময়ে শীর্ষে ছিল পাকিস্তানের করাচি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও কুয়েতের কুয়েত সিটি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকালের নির্দিষ্ট ওই সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৩। এর মানে হলো ওই সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
র্যাঙ্কিংয়ে বুধবার সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে দূষিত বাতাসে ১০০টি শহরের মধ্যে দশম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। স্কোর ছিল ১৬৮।
আইকিউএয়ার জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৬ গুণ বেশি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য