১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হিসেবে অন্য জায়গা চেয়েছে বিএনপি। তবে সেটি টঙ্গীর তুরাগ তীর হলে হবে না, সেটিও জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার অভিযোগ, সরকার এই সমাবেশ বানচাল করতে চায়। সে জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। এমনকি ঢাকার আদালতপাড়া থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিকেও নাটক আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি নেতা। বলেন, পলাতক দুইজনকে গ্রেপ্তারের নামে গত কয়েকদিনে বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে হঠাৎ করে ডাকা ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। দীর্ঘ লিখিত বক্তব্যের পর এক প্রশ্নের জবাবে জনসভার বিকল্প স্থান নিয়ে কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রতি শনিবার বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে আসা বিএনপি ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকায় জমায়েত করতে চায়। সেদিন দলটি জড়ো হতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনও করেছে তারা।
তবে সরকার বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেখানে যেতে চায় না নানা শঙ্কায়। যদিও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এর আগে পূর্বাচলে সমাবেশ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ফখরুল বলেন, ‘সরকার ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের স্থানের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করছে। তারা যেসব স্থানের কথা প্রস্তাব করেছে সেসব স্থানে আমরা কমফোর্ট ফিল করছি না। তাই ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ নদীর তীর ছাড়া বিএনপির গণসমাবেশের জন্য পুলিশ বিকল্প প্রস্তাব দিলে আমরা বিবেচনা করব।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে উঠে যাওয়ার সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন ছুড়ে দেন, যদি নয়াপল্টনে অনুমতি না পান, তাহলেও সেখানেই বিএনপি সমাবেশ করবে কি না। জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এটা আপনারা জানতে পারবেন কখন কী ঘোষণা আসে।’
বিকল্প প্রস্তাব দিলে তাহলে আপনারা গ্রহণ করবেন- এমন প্রশ্নে ফখরুল কথা বলার মধ্যে পাশে দাঁড়ানো স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আলোচনা যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তবে অবশ্যই সোহরাওয়ার্দী ও তুরাগ নদী ছাড়া।‘
‘নয়াপল্টনে নাশকতার ছক’
নয়াপল্টনে যেন বিএনপি সমাবেশ করতে না পারে, সে জন্য এই এলাকায় সরকারি এজেন্সিগুলো নাশকতার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টন এলাকাকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারের এজেন্সিগুলো নানা ধরনের নাশকতা ঘটাতে অবতীর্ণ হয়েছে। গতকাল এই কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এই বিস্ফোরণের পর পুলিশ আকস্মিকভাবে নেতা-কর্মীদের পাইকারিহারে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।’
ফখরুল বলেন, ‘গত পরশু দিন মতিঝিলে পরিত্যক্ত বিআরটিসির দোতলা বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়ে চুপসে গেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। অথচ তিনি বিএনপিকে দায়ী করে তারস্বরে নাশকতার কথা বলে যাচ্ছেন।’
‘খালেদার বাড়িতে ব্যারিকেড নিপীড়নের নতুন মাত্রা’
বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড বসানোরও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ‘গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নিপীড়নের আরেকটি নতুন মাত্রা।
‘আমি সরকারের এহেন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসি রায়ে কারারুদ্ধ রেখে চিকিৎসার সকল পথ রুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার। তার বাসভবন অবরোধ করে এবং জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’
জঙ্গি পলায়ন নাটক করে গ্রেপ্তার অভিযান
ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গির পলায়নের বিষয়টিকে নাটক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বেশ কিছুদিন চুপ থেকে এখন সেই জঙ্গি ধরার নামে মেস, আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে পুলিশ ব্লক রেইড দিচ্ছে। পুলিশের এই হানা মূলত বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারিহারে গ্রেপ্তার, হয়রানি ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য।
১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে পুলিশপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তাহলে কেন এই নাটক অভিযান? সরকার এক সুদূরপ্রসারী অশুভ মাস্টারপ্ল্যানের পথে হাঁটছে।’
বাধা দিয়েও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঠেকানো যাবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘সকল বাধাবিপত্তি প্রতিহত করে মানুষ নদী সাঁতরে ভেলায় ভেসে এসেছে। খালি পেটে নগ্ন পায়ে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে মানুষ এসেছে। নৌকা ও ট্রলারে দীর্ঘ নদীপথ অতিক্রম করে সমাবেশস্থলে এসেছে। মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে এসেছে।
‘সমাবেশ শুরু হওয়ার দুই-তিন দিন আগে থেকে মানুষ সমাবেশস্থলের আশপাশে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করেছে। মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছার কাছে স্বৈরাচারী ইচ্ছা সব সময় পরাজিত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশও অভূতপূর্ব, শান্তিপূর্ণ ও বিপুল সমাগমে পরিপূর্ণ হবে ইনশা আল্লাহ।'
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে মেহেরপুর জেলা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ লক্ষ্যে একটি বিল পাস হয়েছে।
অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর বিল-২০২৩’ উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর বিলের ওপর আনীত সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।
১০ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-১৯৭৩ এর বিধানাবঈ পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।
আচার্য নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ দেবেন। কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোনোভাবে উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদের বেশি নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। আচার্য যেকোনো সময় উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী, সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হতে প্রার্থী হতে চাইলে ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনে আচার্যের অনুমোদন নিয়ে ‘বিজনেস ইনকিউবেটর’ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। বিজনেস ইনকিউবেটর হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্থাপিত বা পরিচালিত কোনো বিজনেস ইনকিউবেটর, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সব সহযোগিতা দেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনো উদ্ভাবন, মেধাস্বত্ব, আবিষ্কার বা প্রক্রিয়া, বাজারজাত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা প্রদান।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের একের পর এক উন্নয়ন কাজ দেখে বিএনপি অন্তর্জ্বালায় ভুগছে। কত যে জ্বালা! পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের জ্বালা, উড়াল সেতুর জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, ১০০ সড়কের জ্বালা। এই জ্বালায় তারা মরে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে আছে রূপপুর, মাতারবাড়ি, পায়রা, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত বিজয়। এসবই শেখ হাসিনার উন্নয়নের অর্জন। এই অর্জন বিএনপি সইতে পারছে না।’
আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর সরকার পতন, তারেক রহমানের আগমন সবই ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ও সরকার পতন সবই ভুয়া। ‘বিএনপি শুরু করেছে বিক্ষোভ দিয়ে, এখন করছে নীরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায়।
‘আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কাজেই আপনারা প্রস্তুত থাকুন, সামনে খেলা হবে, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও অস্ত্র পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে?’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতার জন্য। তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে বিএনপি মহাসচিব এমনটা দাবি করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবারের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। বুধবারের তথাকথিত উপনির্বাচনে ভোট প্রদানের হার তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। তবে আমাদের হিসাবমতে এটা ৫ শতাংশের বেশি না।
‘পত্র-পত্রিকায় ছাপা হওয়া ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন একেবারে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হয়েছে। গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি, একই সময়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস করছে। একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশের সন্ত্রাস। এর মাধ্যমে তারা আন্দোলন দমন করতে চায়। এর প্রতিবাদে ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।’
২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে মির্জা ফখরুল চিঠি দিয়েছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি।
‘দেশে চলমান শাসন ব্যবস্থা, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম-খুন, প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে সরকার। এগুলা আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম এ জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক প্রমুখ।
আরও পড়ুন:গণফোরামের একাংশ এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে দলটির পক্ষে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়ীদ, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ও সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার।
পিপলস পার্টি থেকে বৈঠকে অংশ নেন পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, মহাসচিব আবদুল কাদের, কো-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রণো ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বিলকিস খন্দকার।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রাষ্ট্রের জনগণকে বাঁচাতে ১০ দফার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বেগবান করব। নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।’
বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে কম ভোট পড়ার সুনির্দিষ্ট তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বলেছে, ঠাকুরগাঁও ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি ভালো। তবে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্রে না আসায় বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোট কম কাস্ট হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। কমিশনের দাবি, ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
কমিশনার রাশেদা বলেন, ‘বগুড়া মূলত বিএনপির ঘাঁটি। আর সেই দল ভোটে আসেনি। আর উপনির্বাচনে এমনিতেই ভোট একটু কম কাস্ট হয়। আবার এই ভোটে সংসদ সদস্যদের বাকি মেয়াদকাল কম হওয়ায় ভোটার আগ্রহ পায়নি।’
বুধবার ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনের ভোট হয়। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে অনিয়মের কারণে দু’বার উপনির্বাচন হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে যে ভোট পড়েছে তার চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ কম ভোট পড়েছে এই ৬ আসনের নির্বাচনে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৮ শতাংশ। আর এই ৬ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ২৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়কালে ফরিদপুরে-২ আসনে ভোট পড়োছিল ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তবে এই কমিশনের করা কোনো সংসদীয় আসনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে, মাত্র ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে, ৪৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এছাড়া বগুড়া-৪ আসনে ২৩ দশমিক ৯২, বগুড়া-৬ আসনে ২২ দশমিক ৩৪, চাঁপানবাবগঞ্জ-২ আসনে ৩৪ দশমিক ৭৯ এবং চাঁপানবাবগঞ্জ-৩ আসনে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে ইসির কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটার উপস্থিতি ভাল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বগুড়ায় একটু কম।’
এই কমিশনার বলেন, ‘বগুড়া বিএনপির দুর্গ। এটা সবাই জানেন। ওখানে বেশিরভাগ ভোটার বিএনপির। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। সঙ্গত কারণেই ওখানে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি। এ কারণে ওখানে কম ভোট কাস্ট হয়েছে।
‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই ব্যাপার। বিএনপি এখানেও ভোটে আসেনি। একটি বড় দল, ওখানেও তাদের সমর্থন আছে। সেই সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেননি।’
ভোট কাস্টিং কম হওয়ার আরেকটি কারণ তুলে তিনি বলেন, ‘এই সংসদ সদস্যদের মেয়াদকাল খুব কম, আট মাস বা নয় মাস। এই অল্প সময়ের জন্য আসলে ভোটাররা আগ্রহ বোধ করেন না।’ তবে সার্বিকভাবে ভোটের এই উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট বলে মনে করেন এই কমিশনার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ইলেকশন ম্যাকানিজম হিসেবে দেখছেন এই কমিশনার। তিনি বলেন, ‘যারা ম্যাকানিজম করে তারা তো আর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করে না। এটি আসলে কৌশল।’
জাতীয় নির্বাচনে যদি একই কৌশল হয় তখন ইসির ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, ‘কৌশল দেখা ইলেকশন কমিশনের কাজ না। ৩৯টি দলের কে কী ম্যাকানিজম করছে এটা কমিশনের পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভবও না। এটা যার যার রাজনৈতিক কৌশল।’
সিসিটিভি ক্যামের না থাকায় ভোট পর্যবেক্ষণে সমস্যা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সরাসরি আর মাধ্যম হয়ে আসা- এ দুটি ক্ষেত্রে পার্থক্য তো থাকবেই। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অবশ্যই ভালো হয়। এটা আমরা চোখ দিয়ে দেখতে পারছি।
‘সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ হতো। আর তা যদি না-ই হতো তাহলে সব মহল থেকে আমাদের কেন জানানো হলো যে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেন? আমি মনে করি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে আরও বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারব কমিশন। আর তা বলতেও দ্বিধা নেই।’
আরও পড়ুন:বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
হিরো আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে বৃহস্পতিবার টেলিফোনে এ নির্দেশ দেন সিইসি।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টির ভোট না গণনা করেই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এই কেন্দ্রগুলো কতোগুলো ভোট পেলাম তা জানানো হলো না আমাকে। ’
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘হিরো আলমের ভোটের ফলাফল নিয়ে সিইসি ফোন দিয়েছেন। তিনি ফলাফল খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এ জন্য আমরা বগুড়া-৪ আসনের সব কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব সঠিক আছে। আমরা হিরো আলমকেও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের কপি দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা আবু আসিফ আহমেদের খোঁজ মিলেছে।
নানা ঘটনার পর ওই আসনের ভোটে বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার জয়ী হওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে তার খোঁজ মেলার তথ্য দেয়া হয়েছে।
ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবু আসিফ। ঘটনা তদন্তে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন আসিফের খোঁজ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আসিফের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিডি তদন্তের ক্ষেত্রে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তিনি ঢাকায় আছেন। এখন তিনি বসুন্ধরার বাসায় আছেন, শিগগিরিই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আসবেন।
এসপি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আসার পর সরাসরি তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বুঝতে পারবো আসল ঘটনা কি হয়েছিল; তিনি কোথায় গিয়েছিলেন এবং কেন গিয়েছিলেন।
বুধবারের নির্বাচন সামনে রেখে গত শুক্রবার রাত থেকে আসিফের খোঁজ মিলছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আবু আসিফের স্ত্রী ও বাসার কেয়ারটেকারের মধ্যকার একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তৈরি হয় নতুন প্রশ্ন-তাহলে কি ভোটের আগে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে যান?
ওই ফোনালাপে উঠে আসে আসিফ নিখোঁজ হওয়ার আগের ঘটনা। স্বেচ্ছায় আত্মগোপনের জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে দেয়া ও সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখার কৌশলের বিষয়ও রয়েছে ওই টেলি কথোপকথনে।
আবু আসিফ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও এই আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হন আসিফ। তার প্রতীক ছিল মোটরগাড়ি।
নির্বাচনে সাত্তারকে জেতাতে আওয়ামী লীগের তৎপরতার অভিযোগ করেন অনেকেই। এ অবস্থাতেই আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহরীন নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি করে হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা-যাওয়া করছে। এতে আমি অনেকটাই আতঙ্কিত!’
গত ১১ ডিসেম্বর উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপির অন্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে আসনটি শূন্য হয়। পরে আসনটিতে উপনির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। ভোটে আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় কোনো প্রার্থী ছিল না।
মন্তব্য