সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তারাই ২০৪১ সালের সৈনিক হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে (বিএমএ) রোববার সকালে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্যারেডে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্যে বাংলাদেশের অবস্থান শান্তির পক্ষে বলে জানান সরকারপ্রধান। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।
সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের একচল্লিশের সৈনিক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। জাতির পিতাই বলেছেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ আমরা তা যথাযথভাবে মেনে চলছি। সেভাবেই আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রাপ্তির প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি সেই সঙ্গে চাই, আজকে যারা নবীন অফিসার, আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
‘আমাদের আজকের নবীন অফিসাররাই হবে একচল্লিশের সৈনিক, যারা এই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার প্রসঙ্গটিও উঠে আসে তার বক্তব্যে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পরই ১৯৭৫ সালের পরে যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল বা বিকৃত করা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শে যাতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে, সেই পদক্ষেপ আমরা নিই। সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিই।’
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী করার জন্য সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তিনটি নতুন ডিভিশন, তিনটি ব্রিগেড, ৫৮টি ইউনিট আমরা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি অ্যাভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেজ এবং লালমনিরহাটে অ্যাভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তা ছাড়া মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে সেনানিবাস গড়ে তোলা হচ্ছে।
‘মাওয়া ও জাজিরা, আমাদের যে পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করেছি, সেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাসও আমরা গড়ে তুলি।’
সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বাহিনীর জন্য আমরা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেছি।’
সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাকাডেমিতে পরিণত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আমাদের প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ মানের ডিগ্রিও যেন অর্জন করতে পারে, সে পদক্ষেপও নিয়েছি।’
নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর কাঙ্ক্ষিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তির মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আজকে শপথের মধ্য দিয়ে আপনাদের ওপর যে দেশমাতৃকার, মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হলো, যথাযথভাবে সেটা পালন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ তথ্য বৃহস্পতিবার রাতে নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক।
তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকেলে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে পেয়েছেন।
দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই মেয়ে ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক ছেলে রাফিদুর রহিমের নামে-বেনামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোনো জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোনো মূল্যবান সম্পদ কেনা হয়ে থাকলে ওই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান করে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রেনের টিকিটপ্রাপ্তি অধিকতর সহজ, স্বচ্ছ ও যাত্রীবান্ধব করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ছাড়া দেশের রেল রুটে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি আরও সুবিধাজনক করা হবে।
বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইউএনবিকে এসব কথা বলেন রেলপথ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, রেলের টিকিট বিক্রির পদ্ধতি আরও সহজলভ্য করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। টিকিটপ্রাপ্তি ও ভ্রমণে যাত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জন করা হবে এবং যাত্রীরা যেন সহজে টিকিট কিনতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে। শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, টিকিটের ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাত্রীরা কতটুকু সন্তুষ্ট হতে পারছে, তা বিবেচ্য। অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা হতাশ হন। সে ক্ষেত্রে নিকটস্থ কোনো স্টেশনের কোনো সময়ের জন্য টিকিট অবশিষ্ট রয়েছে সার্চ অপশনে যাত্রীর নিকট যেন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থাপিত হয়, সে ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এ ব্যাপারে প্রয়োজনবোধে রেলওয়ের বাইরের এক্সপার্টদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের নামে টিকিট বরাদ্দ বন্ধ
উপদেষ্টা বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত কোটার টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রেলের সচিব বা কর্মকর্তাদের কাছে অনেক টিকিটের তদবির আসে। সরকারি কর্মকর্তারাও করেন। এ জন্য কিছু টিকিট আগেই বুক করে রাখা হয়। এটা চলবে না।
তিনি বলেন, কোনো সচিব বা কর্মকর্তার কথায় টিকিট রাখা যাবে না। সবার আগে সাধারণ জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
টিকিট কালোবাজারি বন্ধ
উপদেষ্টা বলেন, টিকিট কালোবাজারি ও রুট রেশনালাইজেশনের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) প্রধান করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। যারা কালোবাজারি করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা রেলের লোক তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি মানুষ কীভাবে টিকিট সহজে পেতে পারেন, সেই বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনলাইনে টিকিট
ফাওজুল কবির খান বলেন, অনলাইনে রেলের টিকিট কাটার নানা ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো ঠিক করার জন্য টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি সহজ ডটকমকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না, কিন্তু কালোবাজারে ২০০ বা ৩০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্যার গোড়ায় যেতে চাই। সবাই বলে এই সরকার কিছু করে না, কিন্তু এটা সময় লাগবে। আমরা গত আড়াই মাসে সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে গ্রাহক যাতে সম্ভাব্য বিকল্প কী করণীয় সেই তথ্য অ্যাপ থেকে জানতে পারেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিত সহজ ডটকমকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদারকির জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও করে দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ গোলাম নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রাখা হবে।
উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার গণভবনে নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি দেখতে এসে একথা বলেন।
গণভবনে রিকশাটি হস্তান্তরের সময় তিনি রিকশাচালক নূর মোহাম্মদকে তার সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
‘নাফিজের নিথর দেহ পড়ে থাকা রিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন নূরু’ শিরোনামে গণমাধ্যমে ৫ নভেম্বর সংবাদ প্রকাশের পর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক রিকশাটি ও এর চালককে খুঁজে বের করার জন্য তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা (রিকশা) ৩৫ হাজার টাকায় লন্ডনপ্রবাসী আহসানুল কবীর সিদ্দিকী কায়সারের কাছে বিক্রি করেছেন বলে জানান।
পরবর্তী সময়ে আহসানুল কবীর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে হস্তান্তরের ইচ্ছা পোষণ করেন। সে অনুযায়ী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফার্মগেটে ওভারব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ। গুলিবিদ্ধ নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেয়, তখনও তিনি রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলেন।
রিকশাচালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময়ে এই রিকশার ছবি কাঁদিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন:ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অনুমান করার দরকার নেই। আমরা অপেক্ষা করব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পৃক্ত থাকব।’
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভ এবং ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
তৌহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শুধু ওয়াশিংটনে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল দ্বারা নির্ধারিত হয় না। আমরা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি তা মূলত পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিকতা।
‘তিনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা বলেননি।’
উপদেষ্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) কোন ইঙ্গিত দিয়েছেন কি যে ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি হবে?’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী সম্মেলনে যোগ দিয়ে কুয়েত সিটি থেকে দেশে ফিরে আসার পরপরই এমন মন্তব্য করলেন।
সম্মেলনে তৌহিদ হোসেন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির প্রতি বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ২০ জেলে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে জেলেদের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয় বলে জানান বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের শাহ আলম, আসমত উল্লাহ, আবদুস শুক্কুর, আবুল হোছন, আয়ুব খান, নুর হোছন, বেলাল, সলিম, আবদুল কাদের, হাশিম, হোছেন,, মহি উদ্দিন, এনায়েত উল্লাহ, নুর হাফেজ, ইয়াছিন, আবদুর রহিম, হাছান আলী ও ওসমান গণি, মহেশখালী উপজেলার ইন্নামিন এবং উখিয়া উপজেলার আবদু শুক্কুর।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ট্রলার ঘাট এলাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশি জেলে ১৫টি হস্তচালিত ও দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে গমন করে। জেলেরা মাছ ধরতে ধরতে একসময় ভুলবশত সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমার নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে ঢুকে পড়ে।
‘এ সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আরাকান আর্মির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে ২০ বাংলাদইশ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে
তিনি জানান, ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও পাঁচ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
পদত্যাগী সদস্যরা হলেন- সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্য কংজরী চৌধুরী, সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও সদস্য ড. তানিয়া হক।
পদত্যাগপত্রে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য বিনীতভাবে উল্লেখ করছি যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি আমার পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে আজ ৭/১১/২৪ তারিখ, আমি আমার পদত্যাগপত্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ৬(৪) ধারার বিধান মোতাবেক আপনার নিকট দাখিল করলাম। অনুগ্রহপূর্বক এ পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের পদমর্যাদাসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদকে নিয়োগ দেন।
তার আগে তিনি ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কামাল উদ্দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানজনক পদ লাভ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জিসিএফ সাপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে ৪৫টি স্বল্পোন্নত দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ড. কামাল।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের অক্টোবরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে এক মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।
আর সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাস সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। বৃদ্ধির হার দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে অক্টোবরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। সে হিসাবে কমার হার দশমিক ১৪ শতাংশ।
মন্তব্য