নাটোরের সিংড়ায় পূর্ববিরোধ ও খাসজমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার ভোর ৬টায় উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বেড়াবাড়ি গ্রামে খাস জায়গা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছে।
এই লড়াইয়ে এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম, তার সহোদর সাইফুল ইসলাম, ডাহিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য মানিক হোসেন। অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
শনিবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি পরে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে স্থানীয় শামীম, সবুজ, রিপন, আব্দুল মান্নান হাজি, আব্দুর রউফ, লাকী, সাইদুল, বাবু, নয়ন, আমিরুল ইসলাম, মোজাম্মেল, জামাল, শিরিনা খাতুন, জয়নুল ও সেন্টু গুলিবিদ্ধ হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় এখন একে অপরকে দোষারোপ করছে দুই পক্ষ।
এক পক্ষের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘জরুরি কাজে নাটোর শহরে আছি। আমি ও আমার ভাই এই ঘটনার সাথে জড়িত না।’
এই পক্ষের ইউপি সদস্য মানিক হোসেন বলেন, ‘আমি গ্রামে থাকি না। তবে এ ঘটনায় আমার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
অন্য পক্ষের স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাইফুল ও মানিক মেম্বারের নেতৃত্বে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এতে আমাদের ১৬ জন আহত হয়েছে।’
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মইনুল হক রিকো বলেন, ‘আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ। তাদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও গুরুতর ১১ জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।’
সংঘর্ষের বিষয়ে ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আমি এখন হাসপাতালে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। তাদের সবাই গুলিবিদ্ধ।’
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাইলে জনগণকে কষ্ট দিতে পারত না। তারা চায় আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে।
শনিবার বিকেলে বন্দর নগরীর কাজীর দেউরীতে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম।
উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে বিএনপি পদযাত্রা করবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সারাদেশে চলছে। সেটা আরও বেগবান করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে।’
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা সংবিধানকে লঙ্ঘন করে আবার সেটা প্রয়োগের কথা বলছে। এ সরকারের পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আরও গতিশীল করতে হবে।
‘আমরা একটা মহাযুদ্ধের মধ্যে আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এ যুদ্ধ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যুদ্ধ, মানুষের ভোটের যুদ্ধ। দেশের মানুষ আজ না খেয়ে আছে। দেশে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যূনতম সু্যোগ-সুবিধা নেই।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ-কর্মসংস্থান সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন সাবু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আরও বক্তব্য দেন- উদয় কুসুম বড়ুয়া, সাচিং প্রু জেরী, ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনাম।
আরও পড়ুন:বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে শনিবার নিজেদের কর্মসূচিতে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এসব বক্তব্যের পর এদিন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে লাইভে এসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। যারা আমাকে জিরো বানাতে এসেছে, তারাই এখন জিরো হয়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে আমাকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। হিরো আলমকে নাকি বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমাকে কেন বিএনপি দাঁড় করাবে? ভোটের মাঠে আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখা গিয়েছিল?’
ফেসবুক লাইভে আশরাফুল হোসেন বলেন, ‘বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম স্যার বলেছেন, বর্তমান সরকার আজকে হিরো আলমের কাছে অসহায়। আমি বলতে চাই, আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়েছি। এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে। আমার ভোট যে কেড়ে নেয়া হলো তার প্রশ্নের জবাব কে দেবে?’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সঙ্গে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দেবেন না আমাকে নিয়ে।’
হিরো আলম বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারালেও বগুড়া-৪-এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন। ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেন।
বাদুড় থেকে সংক্রমিত নিপাহ ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মানিকগঞ্জ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে শনিবার রাতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমনটি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিপাহ একটি মারাত্বক ভাইরাস। এতে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশেরই মৃত্যু হয়। এ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা নেই। কাজেই আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’
জাহিদ মালেক জানান, চলতি শীত মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত আটজনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন। এরইমধ্যে আক্রান্তদের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) হাসপাতালে ২০টি এবং মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৫টি বেড চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে ও অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে, গরীব মানুষের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। কারন ইতিপূর্বে বিএনপির আমলে আমরা তা দেখেছি।’
বিএনপি করোনাভাইরাসের টিকাবিরোধী প্রচারণা চলিয়েছিল উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। কাজেই আমরা নিরাপদে আছি। বিএনপি ভ্যাকসিনকে গঙ্গার জল বলেছিল।’
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘জনগনের পেটে লাথি মেরে সরকার উন্নয়নের গান গাইছে। উন্নয়ন মানে হলো জনগণের উন্নয়ন। কিন্তু এই সরকার জনগনের কোন উন্নয়ন করেনি। আজ দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা। বিদ্যুতসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই জনগণ আর এই সরকারকে চায় না।’
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। তাদের কেবল আছে দখল আর লুটপাট। এসব করে তারা আবার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।’
সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের ওপর চেপে বসেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করেছে। তাদের দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে জনগণ।
‘না খেয়ে মরার চেয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে মরা অনেক সম্মানের। তাই জনগণকে এই সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারকে বিদায় করতে না পারলে রাষ্ট্র মেরামত করা যাবে না। এজন্য বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে হায়েনাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। সরকার যদি গণতন্ত্রের ভাষা না বোঝে তাহলে দেশে শ্রীলংকার অবস্থা হবে।’
যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা যখন এখানে সমাবেশ করছি তখন সিলেটে আরেকটি সমাবেশ হচ্ছে। পিস্তল, রাইফেল, বন্দুক নিয়ে শান্তি সমাবেশ করা হচ্ছে। আমাদের চুলকানি দেয়ার জন্যই একই দিনে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান, শাম্মী আখতার প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস এলাকায় তিনটি বাঘকে ঘুরতে দেখা গেছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের পাঁচ বনরক্ষীর মাঝে।
বনরক্ষীদের ভাষ্য, শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে তিনটি বাঘ তাদের অফিস প্রাঙ্গনে ঢুকে পড়ে। শনিবারও বাঘগুলো দেখা গেছে।
চান্দেশ্বর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, ‘ এখনও বাঘগুলো অফিসের দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে অবস্থান করছে। আমরাও সতর্ক অবস্থানে থেকে সেগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।’
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো সামসুল আরেফীন বলেন, এই সময়টা বাঘের প্রজননকাল। তাই সঙ্গীসহ বাঘগুলো নিজস্ব প্রকৃতিতে চলাচল করছে। তাদের কোনো ক্ষতি না করতে বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘সরকারকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তবে কোনো রক্তচক্ষু দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে দমানো যাবে না।’
শনিবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ বিকেল ৪টায় শুরু হলেও তার অনেক আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা সমাবেশস্থল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন।
সমাবেশে নানক বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি। এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। দেশে গণতন্ত্র আছে। কিন্তু বিএনপির জনসমর্থন নেই। জনগণের সমর্থন হারিয়ে দলটির নেতারা এখন আবোলতাবোল বলছেন।’
বিএনপিকে নেতাবিহীন দল উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তারেক রহমানের লন্ডনে রাজকীয় জীবনের টাকা কোথা থেকে আসে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, আব্দুল খালিক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনোরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম শিপুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের কলোনী বাজার থেকে শনিবার দুপুর সোয়া ২ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিপলু বগুড়া জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি।
হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন-বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ ও দৈনিক বগুড়ার পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম।
পুলিশের ভাষ্য, বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সংবাদ করায় ওই দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শনিবার মামলা করা হয়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হামলার সময় সাংবাদিককর হিরো আলমের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার সংবাদ লিখছিলেন।
মন্তব্য