বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি স্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও। কিন্তু বাংলাদেশ আজ উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, আমরা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে আমরা দেশ তুলে দেব না। জনগণকে আমরা সে সব বিষয় ব্যাখ্যা করব।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আবার বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানের জমানায় দেশকে নিয়ে যেতে চায়। তাদের কাজ আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফাটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও।’
চট্টগ্রামে রোববার অনুষ্ঠেয় জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ড পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষ হবে।’
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের জনসভা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গণ্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা।
'বিএনপির আবেদন অনুযায়ী তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে- এটি বার বার ঘোষণা দেয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানো। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার মাঠের তুলনায় আট-দশগুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকবে।’
জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কী বার্তা দিতে চায়- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই- এসব বিষয় জনগণের সামনে উপস্থাপন করব। জনগণের দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে চট্টগ্রামে। জনসভার ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান শাহাবুদ্দিন ডেকোরেশনের মালিক শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সভাস্থলের কাজ প্রায় শেষ। মঞ্চও প্রস্তুত। এখন কিছু মাইক লাগানো বাকি। এখন পর্যন্ত সভাস্থলের আশপাশে দুইশ’ মাইক লাগানো হয়েছে। আরো একশ’ মাইক লাগানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘জনগনের পেটে লাথি মেরে সরকার উন্নয়নের গান গাইছে। উন্নয়ন মানে হলো জনগণের উন্নয়ন। কিন্তু এই সরকার জনগনের কোন উন্নয়ন করেনি। আজ দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা। বিদ্যুতসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই জনগণ আর এই সরকারকে চায় না।’
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। তাদের কেবল আছে দখল আর লুটপাট। এসব করে তারা আবার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।’
সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের ওপর চেপে বসেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করেছে। তাদের দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে জনগণ।
‘না খেয়ে মরার চেয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে মরা অনেক সম্মানের। তাই জনগণকে এই সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারকে বিদায় করতে না পারলে রাষ্ট্র মেরামত করা যাবে না। এজন্য বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে হায়েনাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। সরকার যদি গণতন্ত্রের ভাষা না বোঝে তাহলে দেশে শ্রীলংকার অবস্থা হবে।’
যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা যখন এখানে সমাবেশ করছি তখন সিলেটে আরেকটি সমাবেশ হচ্ছে। পিস্তল, রাইফেল, বন্দুক নিয়ে শান্তি সমাবেশ করা হচ্ছে। আমাদের চুলকানি দেয়ার জন্যই একই দিনে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান, শাম্মী আখতার প্রমুখ।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘সরকারকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তবে কোনো রক্তচক্ষু দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে দমানো যাবে না।’
শনিবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ বিকেল ৪টায় শুরু হলেও তার অনেক আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা সমাবেশস্থল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন।
সমাবেশে নানক বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি। এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। দেশে গণতন্ত্র আছে। কিন্তু বিএনপির জনসমর্থন নেই। জনগণের সমর্থন হারিয়ে দলটির নেতারা এখন আবোলতাবোল বলছেন।’
বিএনপিকে নেতাবিহীন দল উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তারেক রহমানের লন্ডনে রাজকীয় জীবনের টাকা কোথা থেকে আসে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, আব্দুল খালিক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনোরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সংসদকে ছোট করার জন্য বিএনপি হিরো আলমকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায় রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এতো দরদ উথলে উঠলো তার। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।’
বিএনপির চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পথ হারিয়ে বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হয়েছে। তাদের মিছিলের প্রস্থ বড়, দৈর্ঘ্য কমে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়েছে।’
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তান আমল তো ভালো ছিল, এখন পাকিস্তানের কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাস আমদানির রিজার্ভ আছে। পাকিস্তানে ৩ সপ্তাহের রিজার্ভও নেই।
‘ক্ষুধায় পুরো পাকিস্তান আজ কাঁপছে। সেই পাকিস্তান আপনার ভালো লাগে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপনারা যদি ক্ষমতায় যান বাংলাদেশ আজকের পাকিস্তান হবে।’ ফখরুল সাহেবরা বাংলাদেশকে পেয়ারের পাকিস্তান বানাতে চাইলেও আওয়ামী লীগ তা হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
আরও পড়ুন:বগুড়া-৪ ও ৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে পরাজিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছে অসহায় হয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শনিবার বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।
এ সময় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ধাপের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘গণপদযাত্রা’।
সমাবেশে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার হিরো আলমের কাছেও অসহায়। আজকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে পরাজিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ব্যক্তিকে জেতাতে নিজেদের প্রার্থীকে গুম করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের আন্দোলন। সেই লক্ষ্যেই আমরা দশ দফা ও ২৭ দফা প্রণয়ন করেছি। এর মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে যে তারা একটি দাবিকে আন্দোলন করছে। সেটা হলো এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ। আমরা বলে আসছি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সরকার টিকে আছে চাপার জোরে। গগ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তারা একদিকে ঋণ করছে, আরেকদিকে জনগণের পকেট কাটছে। আজকে তারা জনগণের দিকে তাকায় না। দেশ এখন লুটেরাদের কবলে পড়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে হাজার হাজার ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক তৈরি করেছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের কৃষ্টি কালচার নষ্ট করছে। সরকার সংসদ থেকে শুরু করে সবকিছু ধ্বংস করে একটি ব্যর্থ জাতি তৈরি করতে চায়। তারা প্রতিনিয়ত জনগণের ঘৃণা কুড়াচ্ছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা ও পণ্যের দাম কমানো, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিভাগগুলোতে সমাবেশ করছে বিএনপি।
দুপুর ও বিকেলে এসব সমাবেশে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিয়েছেন।
ঢাকা
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।
চট্টগ্রাম
নগরীর কাজীর দেউড়ী এলাকায় বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রাজশাহী
শহরের সোনাদিঘী মোড় এলাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
খুলনা
মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডের কেসিসি মার্কেট ও জেলা পরিষদ ভবনের সামনে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সিলেট
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরের রেজিস্টারি মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
ফরিদপুর
বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ ফরিদপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথি করা হয়েছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে।
রংপুর
বিভাগীয় শহরের গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা, যাতে প্রধান অতিথি দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।
ময়মনসিংহ
নগরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বরিশাল
নগরের জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে সমাবেশে অংশ নিয়েছে বিএনপি, যাতে প্রধান অতিথি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
কুমিল্লা
বিএনপির সাংগঠনিক আরেক বিভাগ কুমিল্লার টাউন হল প্রাঙ্গণে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এতে প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিউজবাংলার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আরাফাত বিন হাসান, রাজশাহী প্রতিনিধি আহসান হাবিব অপু, খুলনা প্রতিনিধি আওয়াল শেখ, সিলেট প্রতিনিধি দেবাশীষ দেবু, ফরিদপুর প্রতিনিধি রাশেদুল হাসান কাজল, রংপুর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান মিন্টু, বরিশাল প্রতিনিধি তন্ময় তপু ও কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু]
আরও পড়ুন:সিলেটে সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুই-একজন করে নেতা-কর্মীও আসতে শুরু করেছেন সমাবেশস্থলে।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ও রেজিস্টারি মাঠে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করবে।
দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বিএনপির সমাবেশস্থলে ও ১টায় আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দুই জায়গায় মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ চলছে। ডেকোরেটর কর্মীরা মঞ্চের ব্যানার ঠিকঠাক করছেন। মঞ্চ দুটির সামনেই স্তূপ করে রাখা রয়েছে চেয়ার। মঞ্চ প্রস্তুতের পর মাঠে এই চেয়ারগুলো দেয়া হবে বলে জানান কর্মীরা।
শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ তদারকি করছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘বিকেল ৩টায় আমাদের সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ইতোমধ্যে সিলেট এসে পৌঁছেছেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি থাকবেন দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।’
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ দুপুর ২টার পর শুরু হবে জানিয়ে দলটির সিলেট মহানগর কমিটির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘নামাজের পর থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হবেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।’
প্রায় ৫ বছর পর আলাদা কর্মসূচি নিয়ে সিলেটের রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটে মুখোমুখি হয় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।
ওই দিন খালেদা জিয়ার সাজার রায়কে কেন্দ্র করে নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অনেকে। এরপর উভয় দল নানা ইস্যুতে রাজপথে সরব থাকলেও কখনও মুখোমুখি হয়নি।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি না থাকলেও গত বছরের ৬ নভেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাতে নগরের রিকাবীবাজারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
শনিবার ‘বিভাগীয় সমাবেশ’ ও ‘শান্তি সমাবেশে’এর মাধ্যমে আবার রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। দীর্ঘদিন পর একই দিনে দুই দলের কর্মসূচির কারণে সংঘাতের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
সরকারের ‘দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের’ বিরুদ্ধে, বিরোধী দলের গ্রেপ্ততারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ ১০ দফা দাবিতে গত জানুয়ারিতেই সিলেটসহ সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
সমাবেশ সফলে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেটজুড়ে কর্মিসভা, পথসভা, জনসংযোগের মাধ্যমে সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের চেষ্টা করছেন তারা। সমাবেশের বিষয়টি অবহিত করে দলটির পক্ষ থেকে মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবরে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে একই দিনে সিলেটে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। প্রথমে এই সমাবেশ বিএনপির সমাবেশস্থল রেজিস্টারি মাঠে করার ঘোষণা দেয় দলটি, তবে পরে স্থান পরিবর্তন করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুপুর ৩টায় এই সমাবেশ শুরু হবে। শান্তি সমাবেশ সফলেও প্রচার চালাচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চায় দলটি।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার বিকেল থেকেই নগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস জানান, নগরের সবগুলো মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন:খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশস্থলে দলে দলে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতারাও এসেছেন সমাবেশস্থলে।
মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডের কেসিসি মার্কেট ও জেলা পরিষদ ভবনের সামনে শনিবার দুপুরের পর শুরু হবে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম বলেন, ‘রাত ১১টা থেকে এখানে নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় নেতারাও চলে এসেছে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা আসছে। আশা করি আজকে খুলনাতে জনতার ঢল নামবে।’
তিনি বলেন, ‘সমাবেশের জন্য আমরা সোনালী ব্যাংক চত্বর অথবা শহীদ হাদিস পার্কের যেকোনো একটি জায়গায় চেয়েছিলাম। তা না দিয়ে আমাদের কেসিসি মার্কেটের কাছে জায়গা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে আমরা মাইক টানানো ও রাত থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছি। এখন সব কাজ প্রায় শেষের পথে।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হবেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কণ্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান, সহ-তথ্য সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান, সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস।
এ ছাড়া বিভাগের ১০ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বয়াক কমিটির সদস্য (মিডিয়া সেলের দায়িত্বে) মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি, আওয়ামী সরকারের দমন পীড়ন, আওয়ামী সন্ত্রাস, নির্যাতনের প্রতিবাদ, বিদ্যুৎ গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সকল বিভাগীয় সদরে এই সমাবেশ পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সপ্তাহব্যাপী খুলনায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়। জেলায় জেলায় হাট-বাজার, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজকের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য