× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chittagong is waiting for the Prime Minister
google_news print-icon

প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রীর-অপেক্ষায়-চট্টগ্রাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সেজেছে নতুন সাজে। ছবি: নিউজবাংলা
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশ চট্টগ্রামে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে বলে আশা করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ১০ বছর পর চট্টগ্রামে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন ৩০টি প্রকল্প।

একদিন পরই রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা চট্টগ্রামে। আর জনসভাকে ঘিরে বন্দরনগরী সেজেছে নতুন সাজে। বেশ কয়েক দিন আগে থেকে মাইকিং চলছে শহরের মোড়ে মোড়ে। ব্যানার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সড়ক বিভাজক থেকে শুরু করে সড়কের পাশের পুরোনো দেয়াল– সব কিছু ঘষামাজা করে পরিষ্কার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নানা জায়গায় আঁকা হয়েছে গ্রাফিতি। এমনকি সভাস্থলের আশপাশের সড়কে পড়েছে নতুন ঢালাই। প্রস্তুত হয়েছে জনসভার মঞ্চও।

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমনকে ঘিরে উৎসবের আমেজে আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সভার দিন, অর্থাৎ রোববার লাল-সবুজ টুপি-টিশার্ট পরে জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে মিছিলে-মিছিলে সভায় যোগ দেবেন নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ চট্টগ্রামে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে বলে আশা নেতা-কর্মীদের।

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুরশেদুল আলম সুজন বলেন, ‘আমি সবার মতো এত লক্ষ লোক হবে, এত কোটি লোক হবে– এসব বলার পক্ষে না। চট্টগ্রামে প্রায় দেড় কোটির ওপর লোক আছে, সেখান থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক লোক ইনশাআল্লাহ জনসভায় থাকবেন। আমরা আশা করছি, এটা চট্টগ্রামে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মঞ্চ। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর পর আসছেন। উনি খালিহাতে আসছেন না। চট্টগ্রামে একটা শক্তপোক্ত অবকাঠামো উনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটার মাধ্যমে আগামী দিনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটা শ্রেষ্ঠ কানেক্টিভিটি সেন্টারে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটা সিঙ্গাপুরের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

‘এই যে বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম, এগিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, এটা হয়েছে শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তাই চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ওনাকে বরণ করবেন, ওনার বক্তব্য শুনবেন। উনি চট্টগ্রামের জন্য আরও কী কী গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, কী কী ঘোষণা দেন- এটা শোনার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আগামীকাল সমাবেশে দলে দলে যোগদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাবে, তার বক্তব্য শুনবে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের মতো প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে বিশেষ প্রস্তুতি আছে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগেরও। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। চট্টগ্রামের আনাচকানাচে ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটা হবে স্মরণকালের সব রেকর্ড ভাঙা সমাবেশ।’

শুধু দক্ষিণ জেলা ইউনিট থেকে সমাবেশে আওয়ামী লীগের দেড় লাখ নেতা-কর্মী যোগ দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক থানা থেকে আমাদের ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক সমাবেশে যাবে। আমাদের ৮ থানা থেকে দেড় লাখের মতো লোক আসবে সমাবেশে।’

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে আমাদের উত্তর জেলার সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা উৎসবের আমেজ আসছে। তৃণমূল পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে সবাই। আমার উত্তর জেলা ইউনিট থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নেতা-কর্মী সমাবেশে যাবে। সবাই প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে আছে।’

আওয়ামী লীগ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে নানাভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোসরাফুল হক চৌধুরী পাভেল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর পর একটা জনসভায় আসছেন, আমাদের সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক। ওনার আগমন উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) আমরা সাইকেল শোভাযাত্রা করেছি। সিআরবি থেকে কয়েকটা থানা প্রদক্ষিণ করেছে এটি। নেত্রীর আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রামের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডের নেতারা সবাই মিলে আমরা সিআরবি থেকে মিছিল সহকারে পলোগ্রাউন্ড মাঠে যোগ দিব। আমাদের চট্টগ্রামে যে মেগা প্রকল্পগুলো, যেগুলো নেত্রী আমাদের চট্টগ্রামকে উপহার দিয়েছেন, আমরা সেগুলো বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারের মাধ্যমে নেত্রীর সামনে উপস্থাপন করে নেত্রীকে ধন্যবাদ জানাব এবং নেত্রী আমাদের আবার কী দিয়ে যান, সেটার আশায় আমরা বসে আছি।’

জনসভার দিন সকালেই সভাস্থলে নেতা-কর্মীদের নিয়ে হাজির হবেন বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বলেন, ‘মহানগরে আমাদের ৫০ হাজার নেতা-কর্মী আছে। আমরা সকালেই সবাইকে নিয়ে মিছিলসহ গিয়ে সভাস্থলের অগ্রভাগে উপস্থিত থাকব। চট্টগ্রামের প্রতি ওনার একটা আলাদা আন্তরিকতা আছে, উনি যতবারই এসেছেন চট্টগ্রামকে কিছু না কিছু উপহার দিয়ে গেছেন। এবারও ওনার আগমন উপলক্ষে সবার মধ্যে একটা উদ্দীপনা কাজ করছে। আমরা ওনাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি।’

প্রস্তুত মঞ্চ

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। জনসভা ঘিরে তৈরি করা হয়েছে চট্টগ্রামে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। পলোগ্রাউন্ড মাঠের পশ্চিম পাশে পূর্বমুখ করে ভূমি থেকে ছয় ফুট ওপরে তৈরি করা হয়েছে এই মঞ্চ। নৌকার আদলে তৈরি এই মঞ্চ লম্বায় ১৬০ ফুট। তবে এর মধ্যে মূল মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৯০ ফুট ও প্রস্থ ৪০ ফুট। ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুটের এই মঞ্চ চট্টগ্রামে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় মঞ্চ বলে দাবি এটি তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সাহাবুদ্দিন ডেকোরেশনের মালিক মো. শাহাবুদ্দিনের।

তিনি বলেন, ‘এটা দেশের সবচেয়ে বড় নৌকা। নৌকার আদলে এত বড় মঞ্চ আর তৈরি হয়নি। মঞ্চে অন্তত ২০০ লোক বসতে পারবে। এর দুই পাশে ৮০০ বর্গফুটের আরও দুটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই দুটির একটিতে যেসব প্রকল্প উদ্বোধনের কথা, সেসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যটিতে ভিআইপি অতিথিরা বসবেন। চট্টগ্রামের বড় বড় প্রোগ্রামগুলোর মঞ্চ আমরা তৈরি করি। এর আগে চট্টগ্রামের কোনো প্রোগ্রামে এত বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়নি।’

তিনি জানান, মঞ্চের সামনে তিন স্তরের বাঁশের ব্যারিকেড থাকবে। যেন সেসব ভেদ করে কেউ সামনে যেতে না পারে। তা ছাড়া প্রবেশপথের চারদিকেও ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে।

৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভায় এসে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন তিনটি প্রকল্প, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন ছয়টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১৪টি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে দুটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ও চট্টগ্রাম বন্দরের একটি প্রকল্প।

এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ, আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে চট্টগ্রামে বিপিসি ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জনসভায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। সম্প্রতি সভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ ফোর্স কখন মোতায়েন হবে, এটা আমরা পাবলিকলি ওপেন করি না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে নির্দেশনা যেভাবে এসেছে এবং আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, সেভাবেই কাজ করব। পুলিশ এখন থেকেই নিরাপত্তার কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাব্যবস্থা সমন্বয় করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স। তাদের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শক্রমে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে।

‘এসএসএফ, পিজিএফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, ইউনিফর্মের পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তায় আর্চওয়ে, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ড্রোনসহ প্রযুক্তিগত সব কিছু যুক্ত থাকবে। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিচ্ছি। শুধু পলোগ্রাউন্ডেই পুলিশ থাকবে না, পুরো শহর একটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে।’

জনসভার দিন, অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর সকাল ও বিকেল দুই শিফটে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘যারা গাড়ি ও মিছিল নিয়ে জনসভায় আসবেন, তারা কোথায় গাড়ি থেকে নামবেন, মিছিল কোথায় থামবে– সেটি আমরা জানিয়ে দেব। একটি বিষয় হচ্ছে, জনসভার দিন সকাল এবং বিকেলের শিফটে পরীক্ষা আছে। দুই শিফটে ১ হাজার ৪০০ এর মতো করে পরীক্ষার্থী আছে। জনসভাস্থলের পাশেও একটি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে।

'শব্দযন্ত্র এমনভাবে স্থাপন করা হবে, যাতে সেখানে কোনো সমস্যা না হয়। পরীক্ষার্থীরা যেন একটু আগেভাগে বাসা থেকে বের হন। এরপরও কেউ আটকে গেলে কিংবা সমস্যায় পড়লে ট্রিপল নাইনে ফোন করে আমাদের জানালে পুলিশ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ, হাতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় নিয়ে যেন সবাই বাসা থেকে বের হন।’

আরও পড়ুন:
৬ বছর পর ময়মনসিংহে আ. লীগের সম্মেলন, নেতৃত্বে আসছেন কারা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ভয় পায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
সড়কে আ.লীগের মঞ্চ, ক্ষোভ নগরবাসীর
সমাবেশ ঘিরে অপরাজনীতি হলে রাজপথেই জবাব: মেয়র লিটন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
People in the country do not want PR method Mirza Fakhrul

দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি চায় না: মির্জা ফখরুল

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই
দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি চায় না: মির্জা ফখরুল

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। থাইল্যান্ড থেকে চিকিৎসা শেষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষ নয় বিএনপি এমনটা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতিতে এদেশের মানুষ অভ্যস্ত নয়, এতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আছে তা থেকে উদ্ধারের একমাত্র পথ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন। যারা সংস্কার চাচ্ছে না, সেটা তাদের দলের ব্যাপার।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই প্রত্যাশা।’

এর আগে গত বুধবার সকালে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে স্ত্রীসহ চিকিৎসার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। দেশে ফিরে সুস্থ আছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The inauguration of the Naogaon District BNP biennial conference will be led by the leadership?

উদ্বোধন হলো নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন; কারা আসবে নেতৃত্বে?

উদ্বোধন হলো নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন; কারা আসবে নেতৃত্বে?

নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার ১১ আগষ্ট দুপুর ১ টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলনের অধিবেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম

উদ্বোধনের শুরুতেই জাতীয় সংগীত ও দলীয় গান পরিবেশন করে সন্মান প্রদর্শন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদ ও জুলাই আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নতুনভাবে দল পরিচালনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।

এদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলার ১৪টি ইউনিটের ১ হাজার ৪১৪ ভোটার গোপন ব্যালটে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।

কাজেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদ কারা পাচ্ছেন, কারা হাসবে জয়ের হাসি, কাদের নেতৃত্বে চলবে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কার্যক্রম তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এতদিন নানা সীমাবদ্ধতায় সম্মেলন করতে না পারলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ ঘটা করে সম্মেলনের আয়োজন করেছে দলটি। তাই সম্মেলন ঘিরে পুরো শহর সেজেছে নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসা নেতাদের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে। এই সম্মেলন ঘিরে ১৭ বছর হামলা, মামলা, নির্যাতন ও কারাবরনে জর্জরিত নেতাকর্মীরা ফিরে পেয়েছেন প্রাণচাঞ্চল্য। কর্মীরাও মুখে আছেন নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে।

এই সম্মেলনে নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে তৃনমূল থেকে শুরু করে শহরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেক নেতাকর্মী ভাবছেন নতুন নেতৃত্ব আসবে, আবার কেউ কেউ ভাবছেন ধারাবাহিক নেতার মধ্যে দুই একজন জয়ী হতে পারেন।

তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, যারা বিএনপির রাজনীতিতে রাজপথে ছিলেন, রাজপথ থেকে উঠে এসেছেন, রাজনীতিতে যাদের দলীয় পরিচয় বেশি, যারা কর্মী বান্ধব তারাই আসুক নেতৃত্বে। দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা যেন সঠিক মূল্যায়ন পান। এছাড়াও সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন করে দলকে পুনরুজ্জীবিত ও সুসংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্ব চান নেতাকর্মীরা।

দলীয় সুত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন হয়নি।

এরপর ২০২২ সালে আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুকে আহ্বায়ক ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছিল।

পট পরিবর্তনের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে, ঘোষিত সম্মেলন উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। গত রোববার (৩ আগষ্ট) তফসিল ঘোষণা করেন সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। পরের দিন সোমবার জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই দুইটি পদপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ, সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান তুহিন, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুস শুকুর, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এস এম মামুনুর রহমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এ বি এম আমিনুর রহমান।

সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য লড়ছেন চারজন। তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল হক বেলাল। এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদের জন্য আটজন মনোনয়ন তুলেছেন। তারা হলেন শফিউল আজম (ভিপি) রানা, নূর-ই আলম, ফরিদুজ্জামান, খায়রুল আলম, শবনম মোস্তারী, সুলতান মামুনুর রশিদ, কামরুজ্জামান কামাল ও জহুরুল হক।

এদিকে এই সম্মেলনের আগের দিন রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সম্মেলনের কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকাকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বেলাল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul the top five leaders of the BNP will be going to the July Declaration

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র শীর্ষ ৫ নেতা

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র শীর্ষ ৫ নেতা

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপি’র শীর্ষ ৫ জন নেতা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির ৫ সদস্য এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

এদিকে, সোমবার রাতে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকটি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় শেষ হয়।

বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia and Tareq Rahman are expected to surround the BNP leader

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার বহিষ্কৃত নেতার ছবি

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা চিঠিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। তবে বহিষ্কারের বিষয়টি বুধবার সকালে প্রকাশ পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তিনি বলেন, বহিষ্কারের তথ্যটি সঠিক।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় নীতি, আদর্শ ও সংহতির পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৩ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনবো। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেবো কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করবো।

তিনি বলেন, বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।

এদিকে এই ঘটনার দুই দিন পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘেরাও করার মন্তব্যটি সঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The actual reform is not possible without the elected representative Fakhrul

নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল

নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত না করে এবং একটি সঠিক গণতান্ত্রিক কাঠামো জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা না করে কোনও প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক আলোচনাসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি তাদের সমালোচনা করেন যারা মনে করেন, সংস্কার রাতারাতি বা কয়েকটি বৈঠকের মধ্য দিয়েই হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

বিএনপি নেতা বলেন, যদি সরকার মনে করে যে, তারা চাইলেই কাল থেকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে, তাহলে সেটা হবে না। ‘আপনাকে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেখানে ঘুষ নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়।’

জিয়া পরিষদ এই আলোচনাসভার আয়োজন করে, যার শিরোনাম ছিল ‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’। এটি গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল দেশের উন্নয়নে বাধা হিসেবে বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আমলাতন্ত্র উন্নয়নের একটি বড় বাধা। এটি একটি নেতিবাচক আমলাতন্ত্র এবং এটিকে একটি ইতিবাচক কাঠামোয় রূপান্তর করতে হবে। তা করতে হলে মূলত জনগণকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া, তাদের চাহিদা বোঝা এবং সেই চাহিদাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত করা।

নির্বাচন চাওয়ার কারণে বিএনপিকে ঘিরে চলমান সমালোচনার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই বলা হলো, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে, আমরা কেন নির্বাচন চাই?’

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচন ছাড়া প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা যায় না। ‘আর যদি প্রতিনিধি না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে সংসদে যাবে? আর যদি নির্বাচিত সংসদ না থাকে, তাহলে কীভাবে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?’

ফখরুল বলেন, ‘আপনি দেশ চালাতে বাড়ি ও বিদেশ থেকে কয়েকজন লোক ভাড়া করে আনতে পারেন না। এটি সম্ভব নয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Every crisis in the country must deal with solidarity from unity Tareq Rahman

ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে : তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে : তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেন, জাতির এই শোকের সময়ে আমি সকল গণতন্ত্রপন্থী সহযোদ্ধার প্রতি শান্ত ও সংহত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বিভেদমূলক সংঘাত কিংবা জনতার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধ করতে হলে আমাদের সহনশীলতা ও আত্মসংযমের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু সদস্যের মাধ্যমে জনতা ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব গোষ্ঠীকে অনুরোধ করব, বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একটি শোকাবহ মুহূর্তকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সহানুভূতি ও সংহতি প্রদর্শনের দিকেই আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের শক্তি ব্যয় হোক নিখোঁজ প্রিয়জনদের খুঁজে বের করা, নিহতদের সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করা, আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং বিমান দুর্ঘটনার মূল কারণ নির্ধারণে কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্তের সুযোগ করে দেওয়ার কাজে।

তারেক রহমান বলেন, প্রাণহানির শিকার নিরীহ ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে রয়েছে আমাদের হৃদয়ের গভীর সহানুভূতি। বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rizvi question on training aircraft flying in densely populated areas

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের পাশে কী ধরনের লোকালয় গড়ে উঠবে, তার পরিকল্পনা থাকা উচিত।

ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন, তাদের দেখতে গতকাল সোমবার বিকাল পাঁচটার দিকে যান রুহুল কবির রিজভী। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ প্রশ্ন তোলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অন্য নেতারা ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ এলাকার মধ্যে প্রশিক্ষণ বিমান দিয়ে উড্ডয়ন শিখবে, এটা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়। এটা বিস্তীর্ণ প্রান্তরে হতে পারে। যশোর, কক্সবাজারের মতো জায়গায় হতে পারে। সেখানে পাশে সমুদ্র আছে, বিস্তীর্ণ জায়গা আছে। কিন্তু এ ধরনের ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় প্রশিক্ষণ বিমানে প্রশিক্ষণ নেবে, এটা আমি কোনোভাবেই যেন মেনে নিতে পারছি না।’

রুহুল কবির আরও বলেন, ‘নেভিগেশন বা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আমি অবশ্যই জানব না। কিন্তু সাদা চোখে যেটা মনে হয়েছে, চারদিকে এত বাড়িঘর, মানুষ থইথই করছে, এর মধ্যে একটা প্রশিক্ষণ বিমানে প্রশিক্ষণ নিতে পারে না। এটা নিয়ে প্রশাসন, সরকারের গুরুদায়িত্ব আছে। দায়িত্বে অবহেলা করলে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন বিপন্ন হতে থাকবে।’

রিজভী বলেন, ‘বিমানবন্দরের পাশে কী ধরনের লোকালয় গড়ে উঠবে, তার পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমার মনে হয়, যেসব লোকালয় গড়ে উঠেছে, তা পরিকল্পনার অংশ নয়। এত ঘনবসতি এই এলাকায় হতে পারে না।’

বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা রক্তের জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা করছে। দলের কয়েকটি কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে