পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির ২৫ বছরেও বন্ধ হয়নি রক্তপাত। হয়নি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন। সরকার বলছে, শান্তিচুক্তির কারণে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
পার্বত্য এলাকায় নৃগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকারের দাবিতে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে সহিংসতা। গড়ে ওঠে শান্তি বাহিনী নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। সংঘাতে অসংখ্য পাহাড়ি-বাঙালি নিহত-আহত হন। একসময় পাহাড় ছিল আতঙ্কের নাম।
শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন শান্তি বাহিনীর প্রায় ২ হাজার সদস্য। শান্তি ফিরতে শুরু করে পাহাড়ে।
এ চুক্তি পার্বত্যাঞ্চলের জনগণের বিশেষ মর্যাদা ও অবস্থানের স্বীকৃতি নিশ্চিত করেছে। চুক্তিটি চার খণ্ডে বিভক্ত, যেখানে ক খণ্ডে চারটি; খ খণ্ডে ৩৫টি; গ খণ্ডে ১৪টি এবং ঘ খণ্ডে ১৯টি অর্থাৎ মোট ৭২টি ধারা রয়েছে। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, চুক্তির ৭২টির মধ্যে ৬৫টিরও বেশি শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
সরকার বলছে, শান্তি চুক্তির কারণে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ফাইল ছবি
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একসময় এ এলাকায় মানুষ যেতে চাইত না। সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে বদলি হলে তাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক থাকত যে আমি কোথায় যাব? এখন কিন্তু সেখানে সবাই যেতে চায়। এটা এখন আর শাস্তির এলাকা নেই। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কারণে সেখানে একটি আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখানে এখন প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক আসছেন। এ উদ্যোগের কারণে মানুষের মধ্যে উন্নয়ন হয়েছে। যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, কৃষি প্রতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে।
‘সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। তিন জেলায় প্রায় ২৬টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে কলেজ হয়েছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা হাসপাতাল হয়েছে। স্কুলগুলো এমপিওভুক্ত হয়েছে, অনেক স্কুল সরকারিকরণ হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলাতেই বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। একদম রিমোট যে এলাকাগুলো রয়েছে, সেগুলোতেও বিশেষ ব্যবস্থায় ৫২ হাজার সোলার সিস্টেম বিনা পয়সায় বিতরণ করেছি। এই চুক্তির ফসলই হলো এই উন্নতি। চুক্তির যে ধারাগুলো রয়েছে ৭২টি, এর মধ্যে ৬৫টিরও বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে। আশা করি, এগুলোও বাস্তবায়ন হবে।’
যে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে শান্তি বাহিনী গড়ে উঠেছিল, সেটির শক্তিও অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। সংগঠনটি এখন চার থেকে পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত। বিভিন্ন সময়েই এই গ্রুপের সদস্যরা একে অন্যের ওপর হামলা চালিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শান্তি চুক্তির অন্যতম শর্ত অস্ত্র সমর্পণ গত ২৫ বছরেও পূরণ হয়নি। এসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র দলগুলো স্থানীয় পর্যায়ে অপহরণ, হত্যা ও চাঁদাবাজিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হিসাবে, পার্বত্যাঞ্চলে প্রতি বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাহাড়ে ৫৩৬ জন অপহরণ এবং ৩৭৬ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাহাড়ে ৩৭৬ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ফাইল ছবি
বিভিন্ন সময় পাহাড়ে রক্তপাত হয়, এটা কি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য? জানতে চাইলে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘সেখানে কি যুদ্ধাবস্থা আছে? যারা এগুলো করছে তারা কি এটা বলছে যে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এগুলো হচ্ছে? এটা তো বলছে না। এটা সিম্পলি, তাদের মধ্যে অনেক গ্রুপিং। এটা হলো চাঁদাবাজি, কিডন্যাপিং… এটা হলো অর্থ উপার্জন বা চাঁদাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে গোলাগুলি, কাটাকাটি হয়।
‘কিন্তু এগুলো হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর আছে। চুক্তি বাস্তবায়ন তো যুদ্ধের মাধ্যমে হবে না। হয়নি বলেই তো আমরা একটি জায়গায় এসেছি। হয়তো একটু দেরি হচ্ছে, কিন্তু থেমে তো নেই। চুক্তি বাস্তবায়নের সঙ্গে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে তো কথা বলার সুযোগ আছে। এ জন্য আমরাও দাবি করছি যে, অবৈধ অস্ত্র যেন উদ্ধার করা হয়। সেখানে সবাইকে বলব, সন্ত্রাস করে এলাকায় শান্তি ফিরবে না। সম্মিলিত প্রয়াস থাকতে হবে।’
পাহাড়ে একের পর এক সংগঠন
শান্তি চুক্তিকে কালো চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামে একটি দল। পাহাড়ে বেড়ে যায় পিসিজেএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত। এতে পাহাড়ের দলীয় কর্মীসহ সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
২০০৭ সালে জনসংহতি সমিতি আবার ভেঙ্গে জন্মলাভ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা সংস্কারপন্থি) নামে আরেকটি আঞ্চলিক দল। ইউপিডিএফ ভেঙ্গে ২০১৭ সালে ১৫ নভেম্বর তপন জ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে খাগড়াছড়িতে গঠিত হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে আরেক আঞ্চলিক সংগঠন। বিশেষ করে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় এ চারটি সংগঠনের আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়। বান্দরবানেও পিজেএসএসের আধিপত্য।
দুর্গম এ পাহাড়ি অঞ্চলে চার সংগঠনের মধ্যে হানাহানি লেগে আছে। তবে পিজেএসএস অভিযোগ, সরকারের শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে পাহাড়ে এসব আঞ্চলিক দলের সৃষ্টি হয়েছে।
এ চার সংগঠনের বাইরেও সক্রিয় আছে বেশ কয়েকটি গ্রুপ। এর মধ্যে বান্দরবানের গহীন জঙ্গলে অবস্থান রয়েছে আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি)। পরবর্তী সময়ে এটি ভেঙে ২০১৮ সালে গঠিত হয় মগ পার্টি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ‘এক পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শান্তি চুক্তির অনেকটা এখনও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অন্যদিকে বাস্তবায়ন কমিটি থেকে বলা হচ্ছে, আমরা অধিকাংশ বাস্তবায়ন করেছি। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে, বাকি ধারাগুলো বাস্তবায়নে দুই পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলে যাচ্ছেন, আমরা শান্তিচুক্তি করেছি, আমরাই বাস্তবায়ন করব। তিনি সবসময় বলেছেন, চুক্তির যে রূপরেখা ছিল, প্রত্যেকটি আমরা বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) নেতা এবং সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘সরকারের সাথে আমাদের বোঝাবুঝির অভাব রয়েছে। সরকারের কী ভাবনা সেটা পরিষ্কার হওয়া দরকার। সরকার যতই সময় ক্ষেপন করবে ততই দলবাজি, নানান অস্ত্রবাজি হবে, নানা চাঁদাবাজি হবে। তখন পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। মূল কথা হচ্ছে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভূমি কমিশন আইন তো ঠিকমত হয়েছে। এখন বিধিমালা তো সরকার করছে না। বিধিমালাটা করে ভূমি কমিশন কার্যকর করেন। সরকারের কিছু কিছু গাড়ি আছে, গাড়ির অনুমোদন আছে, কিন্তু গাড়ি নাই। ঠিক তেমনি এখন ভূমি কমিশন চলতে পারে না। আমরা চুক্তির সব একসঙ্গে বাস্তবায়ন চাচ্ছি না। একটা একটা করেন। কোনটা কখন করবেন, কখন কোন বিষয় বাস্তবায়ন করবেন, তা লিখিতভাবে সরকার জানিয়ে দিক এবং সেভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করুক এবং সেটাই হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির রোডম্যাপ।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, ‘আমরা রোডম্যাপ করতে চাচ্ছি না তা বলব না। কিন্তু রোডম্যাপ হলেই যে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হবে এটার কোনো গ্যারিন্টি আছে? শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন আমরাও চাই, তারাও চায়, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক। সে ক্ষেত্রে আমাদের উভয়ের বোঝাপোড়ায় আসতে হবে। কিন্তু এগুলো হচ্ছে না।’
দীপংকর তালুকদার এমপি আরও বলেন ‘শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করতে গেলে উভয় পক্ষকে শক্তিশালী হতে হবে এবং উভয় পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি শান্তিচুক্তির স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ রাঙ্গামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ি এ তিন জেলার যতগুলো আওয়ামী লীগের লোক আছে, তাদের বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ করা যাবে না। আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করে দেয় তারা, তাহলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করবে কে? যার কারণে একে অপরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাসের সংকটটা তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, তবেই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হবে।’
আরও পড়ুন:সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’
বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।
এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।
এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’
সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’
সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।
কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।
জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"
তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।
ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
মন্তব্য