ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের দুই অংশের সম্মেলন শুক্রবার। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। পরদিন শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ৬ ডিসেম্বর হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন।
তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিন কমিটি ঘোষণা করা হবে না বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দিন সব কমিটি একযোগে ঘোষণা করা হবে।
রাজধানী ঢাকার ছাত্র রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে উজ্জীবিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শীর্ষ পদ নিজের অনুকূলে নিশ্চিত করতে মরিয়া পদপ্রত্যাশীরা।
ছাত্রলীগের মহানগর নেতাদের সূত্রে জানা য়ায়, অন্যবারের তুলনায় এবার মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে শুধু সভাপতি-সম্পাদক পদে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। মহানগরের বেশিরভাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকরাও এবার মহানগরের শীর্ষ পদ পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর ভাগ হওয়ার পর থেকে নেতৃত্ব বাছাইয়েও নানা পক্ষ তৈরি হয়েছে। মহানগর উত্তরে শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কথিত রয়েছে দুই সিন্ডিকেটের নাম। একটি ‘ধানমণ্ডি বেল্ট’, অন্যটি ‘মিরপুর বেল্ট’।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয় কথিত এই দুটি সিন্ডিকেট। উত্তর ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে কারা আসবেন তাও দুই সিন্ডিকেট নেতারা বাছাই করতেন। যদিও এবার সেই সুযোগ তারা পাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা কমিটি দেবেন অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহিলা লীগ এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগেও স্বচ্ছ, বিকর্তমুক্ত এবং যোগ্যতমদের দিয়ে কমিটি করা হবে বলে আলোচনা আছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে আলোচনায় রয়েছে বেশকিছু নেতার নাম। তাদের মধ্যে মহানগর উত্তরে রয়েছেন- আদাবর থানার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক জুয়েল পোদ্দার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান নোবেল, সাইফ হোসেন রুমান, আফসান নাদিয়ান, মারুফ হোসেন মিঠু, পলিটেকনিকের সভাপতি মেহেদি হাসান, কাজী মিজান, আসাদুজ্জামান আল গালিব (মিরপুর কলেজ সভাপতি), আকরাম হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আশিক ইকবাল, উত্তরের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান খান প্রান্ত, ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণে শীর্ষ পদে আলোচনায় আছেন- বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ও রমনা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব হাসান, বারেক হোসাইন আপন, মাজেদুল মোল্লা মিন্টু, সাব্বির আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম মিরাজ, ইয়াসিন আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল আলম পুলক, রফিকুল ইসলাম রাছেল, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, প্রচার সম্পাদক রিয়াজ মোল্লা, গণশিক্ষা বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল-নোমান সরকার অনিক, উপ-সম্পাদক নুরুদীন হাওলাদার ও সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পাভেল।
ছাত্রলীগের সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন, সৎচরিত্র, ছাত্রসমাজের মাঝে গ্রহণযোগ্য ও পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট- এমন নেতাই সম্মেলনের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। বয়সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।’
আরও পড়ুন:ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবাহনী মাঠের বিপরীতে ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের’ ব্যানারে মঙ্গলবার প্রায় কয়েকশত মানুষ গাছ কাটা বন্ধের প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সড়কদ্বীপ উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। এটি এমনভাবে তৈরি হচ্ছে যেখানে পরবর্তী সময়ে গাছ রোপণ করা হলেও টিকে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বক্তারা বলেন, গাছ কেটে কোনো উন্নয়ন হয় না। প্রতিবাদী ফেস্টুন ও বক্তৃতার ভেতর দিয়ে তারা গাছ বাঁচানোর এই আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেয়ারও আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, এলাকাবাসীর মধ্য থেকে শারমিন মুর্শিদ, ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, আমিরুল রাজিব, মান্নান মুনির, ইমতিয়াজ আলম বেগ, মোস্তফা জামান, সৈয়দ মুহাম্মদ জাকির এবং আমিনুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।
প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদর ও জমজকে ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাদের অভিভাবকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানান, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০২২ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই/বোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে, সেসব সহোদর বা জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই বিধান অনুযায়ী, ৪১ জন সহোদর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে, কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়। যেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর ও জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। কারণ তারা যখন আবেদন করে, তখন ৫ শতাংশের বিধান ছিল না। এ কারণে আদালত এই ৪১ জনের ক্ষেত্রে ওই বিধান স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি তাদের ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার রাতে র্যাব-২ এর একটি দল রাজধানীর দক্ষিণখান ও আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেসুর রহমান মুকুল।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নদী পারাপারে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগিতার কারণে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা বীর মুক্তিযুদ্ধা ইউনুছ আলীকে রাজাকারদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় এবং রাজাকার ক্যাম্পের টর্চার সেলে নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শহীদ ইউনুস আলীর ছেলে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে আদালত বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০১৭ সালে অভিযোগের তদন্ত শেষে তদন্ত সংস্থা নকিব হোসেন ও মোখলেছুরসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। গত ২৩ জানুয়ারি এ দুজনসহ ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার নকিব হোসেন ও মোখলেছুর ২০১৫ সালে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তারা আত্মগোপনে চলে যান।
গ্রেপ্তার এড়াতে নাকিব রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং মোখলেছুর আশুলিয়া ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। তারা দুইজনেই একাধিকবার বাসা পরিবর্তন করেন।
র্যাব আরও জানায়, এ সময় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তারা অন্যের রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড দিয়ে মোবাইল ফোনে ব্যবহার করতেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ভাটারায় মধ্যরাতে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার এক চালক নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভাটারা গোলচত্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
২৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ রূপচাঁদ মিয়া ময়মনসিংহের ধুবাউড়া থানার রঘু রামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
নিহতের ভাই কালা চাঁদ মিয়া বলেন, রাতে আমার ভাই অটো চালিয়ে ভাটারা গোলচত্বরে টার্ন নিচ্ছিল। এ সময় পেছন থেকে একটি বালিভর্তি ট্রাক তার রিকশাকে ধাক্কায় দেয়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন।
তিনি বলেন, পরে আমরা খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসক আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদহে ময়নতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে রাজধানীতে মেট্রোরেলের টিকিট বিক্রি করে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি টাকা আয় হয়েছে। আর যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার।
মঙ্গলবার এলিফ্যান্ট রোডে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন সিদ্দিক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬-এর উদ্বোধন হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর। এর একদিন পর থেকে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মেট্রোরেলে মোট ৩ লাখ ৩৫ যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের বিষয়ে এমএএন সিদ্দিক বলেন, দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন ১-এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি জনসম্মুখে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর সুধি সবাবেশে ভাষণ দেবেন। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে।
মেট্রোরেলের লাইন-১ এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জের জেলার পিতলগঞ্জ। এই কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২ টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। এরমধ্যে প্যাকেজে সিপি-১ এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভুমি উন্নয়ন করার কাজটি শুরু হবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর। যেখানে ডিপো নির্মাণ করা হবে সেখানে অনেক উঁচু নিচু জায়গা আছে। সেগুলো ভরাট করার কাজ শুরু হবে। তারপর সেখানেই ডিপো নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের নথি বলছে, পাতাল ও উড়াল মিলে মেট্রোরেল লাইন-১ এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ হবে উড়ালপথ, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। পাতাল পথে স্টেশন হবে ১২টি এবং উড়ালপথে থাকবে ৭টি। উভয় পথে মোট ১৯টি স্টেশন হবে ।
আরও পড়ুন:লেখক-প্রকাশকদের নিরাপত্তার হুমকি থাকলে তা পুলিশকে জানাতে বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। পুলিশ সে অনুযায়ী নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একুশে বইমেলা প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একুশে বইমেলায় ধর্মীয় উসকানিমূলক লেখা বা বই প্রকাশের নামে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা ঠেকাতে সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কোনো লেখক বা প্রকাশকের হুমকির শঙ্কা থাকলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও হুমকি মাথায় নিয়ে এবার অন্য বছরের চেয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘বইমেলায় থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলা কেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও শাহবাগ-নীলক্ষেত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে তল্লাশি দল থাকবে, সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবেন। মূল মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।
‘এ ছাড়া কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। মেলা প্রাঙ্গনসহ আশেপাশের এলাকার প্রতিটি জায়গা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্যও মোতায়েন থাকবে। মেলার আশেপাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহল থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সিটিটিসি, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
‘মেলায় মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গনে আসবেন ও নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।’
আরও পড়ুন:‘আওয়ামী লীগ পালায় না’- রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক এগারোতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা পালিয়েছিল তা সবাই জানে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পদযাত্রা শুরু আগে দেয়া বক্তব্যে সোমবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে এ পদযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘১/১১ সরকারের সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা-কারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তা সবাই জানে। তখন দেশে ছিলেন একজন, তিনি হলেন খালেদা জিয়া।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দিকে পালাবার পথ নেই। কোন দিকে পালাবেন ? তাই এখনও বলছি, সময় আছে আমাদের দাবি ১০ দফা এই দাবি মানে মানে মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। সংসদ বাতিল করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আসুন। নতুন কমিশন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিন।’
পদযাত্রা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের পদযাত্রা, গণতন্ত্রের জয়যাত্রা। আমাদের এই পদযাত্রা মানুষের অধিকার আদায়ের পদযাত্রা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা।’
সরকার জনগণের পকেটের টাকা কেড়ে নিচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এই পুরান ঢাকায় গ্যাস নেই। শুধু পুরান ঢাকা নয়, গোটা বাংলাদেশে এখন গ্যাস নেই। ওরা গ্যাসও খেয়ে ফেলেছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে নিয়েছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। আর সেই টাকা তারা বিদেশে পাচার করছে।’
বক্তব্য শেষে যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন রেলগেটের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পদযাত্রায় অংশ নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরতক উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রকিফুল আলম মঞ্জু প্রমুখ।
মন্তব্য