বাংলাদেশে ঘানার অনারারি কনসাল হয়েছেন ইব্রাহিম দাউদ মামুন (ইমরান)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচারপ্রধান এম আমানুল হক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সোমবার তার নিয়োগের চূড়ান্তপত্র দিয়েছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো ঘানার অনারারি কনসাল নিযুক্ত হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ইব্রাহিম দাউদ মামুন ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। পেশায় একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি।
বিলাল ট্রেডিং লিমিটেডের পরিচালক এবং একই সঙ্গে কাই বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড, অ্যালটেক অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্টিলটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গারদা শিল্ড সিকিউরিটি সার্ভিস, প্রিন্স ইলেকট্রিক্যাল, প্যারাগন এক্সপোর্ট লিমিটেড এবং কাইরোজ ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইব্রাহিম দাউদ মামুন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতর পড়ে এক শিশু মারা গেছে।
সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের উত্তর গোয়ালবন্দ ব্যাংককলোনী আবাসিক এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সাড়ে ৫ বছর বয়সী মুশফিকা আক্তার ওই এলাকার মো. খলিলের মেয়ে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা থাকায় ভেতরে পড়ে যায় মুশফিকা আক্তার নামে ওই শিশু। শিশুটির মা তাকে ভেতর থেকে বের করে আনে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক মোরশেদা বেগম বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকেও তিনি সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা লাগানো দেখেছেন। কেউ ঢাকনাটি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি। বিকেল ৪টার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা দেখি। পরে ট্যাংকের ভেতর উঁকি দিয়ে বাচ্চা বয়সী কারও টুপি ও জুতা ভাসতে দেখি। পরে আশেপাশের লোকজনকে ডাক দেই।
‘আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় পাশের বাসা থেকে বাচ্চার মা বেরিয়ে আসে। পরে টর্চলাইটের আলো জ্বেলে বাচ্চাটিতে ভাসতে দেখা যায়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হৈ-চৈ শুনে শিশুটির মা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাচ্চাটিকে বের করার পর তার মুখ সাদা হয়ে গেছে। পরে শিশুটির পেটে চাপ দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করা হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এস কে ফরহাদ জানান, শিশুটির মরদেহ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়েছে।
ওসি রকিবুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শিশুর পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা হবে।
আরও পড়ুন:কৃচ্ছ্র সাধনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খাতে খরচ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। জ্বালানি তেলে খরচ কমানো হয়েছে প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ। পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও ব্যয় কমানো হয়েছে।
ব্যয় সংকোচনে এসব পদক্ষেপের সুবাদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয়ের হিসাব থেকে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল কমেছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার কমানো হয়েছে ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমানো হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিছু খাতে ব্যয় সংকোচন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দের কিছু টাকা বাঁচিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া যায় কি না। ২০২০ সাল থেকে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই ব্যয় কমানো শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হলো এবং ঢেউটা বাংলাদেশ পর্যন্ত আসল। তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় আরও কমানোর কাজ শুরু করলাম।
‘প্রথমত আমরা বিদ্যুতে হাত দিলাম। তারপরে পেট্রল এবং লুব্রিকেন্টের খাতে খুবই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাড়িগুলোকে একটু রেশনিং করে আমরা সেটাও কমিয়ে এনেছি। একইভাবে আপ্যায়ন খাতেও আমরা ব্যয় কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যে আপ্যায়নের মেন্যুটি করেছি, সেটি খুবই সাদামাটা।’
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে আহসান কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংসদীয় বাজেট থেকে অর্থ বিভাগের কাছে সমর্পণ করেছি। এ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুনে বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় ছিল ২৩ লাখ ৮ হাজার ৮৩৮ টাকা। জুন থেকে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিয়ে জুলাইয়ে খরচ হয় ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ টাকা। জুন থেকে খরচ ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের ব্যয় হয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৩ টাকা। জুন থেকে খরচ ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ (প্রায় অর্ধেক) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় দাঁড়ায় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ টাকা।
২০২২ সালের জুনে পরিবহনের জন্য জ্বালানি খাতে অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪১ হাজার ৪০২ লিটার। জুন থেকে ৪ হাজার ৪০০ লিটার (১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ) কমিয়ে জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৭ হাজার ২ লিটার। জুন থেকে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমিয়ে আগস্টে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৪ হাজার ৮৪১ লিটার। আর জুন থেকে ৯ হাজার ৬৬৬ লিটার তেল (২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে তেলের ব্যবহার ৩১ হাজার ৭৩৬ লিটারে নামিয়ে আনা হয়।
জুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৬৫ টাকা। ওই মাস থেকে ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ কমিয়ে জুলাইয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
জুন থেকে ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ওই মাস থেকে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ খরচ কমিয়ে সেপ্টেম্বর আপ্যায়ন ব্যয় হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২০ টাকা।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে একটি খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির মালিকের বাসায় দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারখানা মালিকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মহানগরীর বিসিক শিল্প এলাকার মডার্ণ ফুড নামের কোম্পানির মালিকের বাসায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে এ ঘটনা।
প্রাণ হারানো শ্রমিকদের একজন রেজাউল ইসলাম। তিনি নওগাঁর মান্দা থানার সুগনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অপর শ্রমিকের পরিচয় জানা যায় নি।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, সপুরার মডার্ণ ফুডের মালিক আব্দুল মালেক হাজীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কারখানা সংলগ্ন বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন দুই শ্রমিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে দুই শ্রমিককে খুঁটিতে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করা হয় সারা শরীরে।
চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত দুই শ্রমিকের ওপর নির্যাতন চলে। নির্যাতনের সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়। এমন দুটি ভিডিও পুলিশ উদ্ধার করেছে।
ওসি মাজহারুল জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারখানার সংলগ্ন মালিকের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় দুই শ্রমিককে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশ পিকআপ ভ্যানে তুলে তাদের দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। এ সময় চিকিৎসকরা এক শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রেজাউলকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু ভর্তির কয়েক মিনিট পর তারও মৃত্যু হয়।
দুই শ্রমিককে উদ্ধারের সময় কারখানা মালিকের ছেলে আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহর শ্বশুর মাসুম রেজা, শ্যালক মহিউদ্দিন রিয়াল ও ম্যানেজার এমরান হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ । তাদের বোয়ালিয়া থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি বলেন, ‘ওই শ্রমিকদের পরিবারকে রাতেই খবর দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকায় এক নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম নিশাত আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
নিশাত আহমেদ শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার গফুর সওদাগরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি চকরিয়ার ডুলাহাজারায়। তিনি আন্তর্জাতিক একটি এনজিও সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাড়ির মালিক গফুর সওদাগর বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বাসার দ্বিতীয় তলায় নিশাতের রুমের দিকে যায় আমার মেয়েরা। বরাবরের মতোই তার বাসার দরজা ভেড়ানো ছিল। ধাক্কা দিতেই দরোজা খুলে যায়। মেয়েরা তার দেহ ঝুলন্ত দেখতে পায়। তারপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হয়।’
ঘটনাস্থলে থাকা কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছি। মরদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিয়াম হোসেন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিয়াম উপজেলার করমদোশী গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় দোবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সিয়ামের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কাঁচা খেজুরের রস খায় সিয়াম। তারপর গত ২৯ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
সিভিল সার্জন ড. রোজী আরা খাতুন জানান, সিয়াম অসুস্থ হলে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরে শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে ল্যাব টেস্টে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের জেরে ঘটেছিল বিচ্ছেদ। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের একটি মামলাও করেছিলেন স্ত্রী। সেই মামলার শুনানি চলাকালে তাদের একমাত্র শিশু সন্তানের কান্নায় চোখ আটকে যায় আদালত কক্ষের বিচারকসহ উপস্থিত সবার। শেষ পর্যন্ত এতে হস্তক্ষেপ করেন বিচারক নিজেই। আদালতেই বিয়ে পড়ানো হয় ওই শিশুর বাবা ও মায়ের ।
রাজশাহী মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-২-এ বৃহস্পতিবার এমন ঘটনা ঘটেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে কর্মচারী শিমুল পারভেজের সঙ্গে ২০২১ সালের ২ এপ্রিল জান্নাত ফেরদৌসের বিয়ে হয়। তাদের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাঁটাখালি এলাকায়, তবে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে গত বছরের অক্টোবর মাসে তাদের সংসার ভেঙে যায়। গত ১২ অক্টোবর শিমুলের বিরুদ্ধে জান্নাত ফেরদৌস আদালতে মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুজজামানের আদালতে সেই মামলার জামিন শুনানি চলছিল। সাক্ষীর কাঠগড়ায় মামলার বাদী জান্নাত ফেরদৌসের কোলে তার ছয় মাসের শিশু কাঁদছিল। আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বাবা শিমুল। আদালতে জান্নাতের বাবা-মা এবং শিমুলের বাবা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিকালে জান্নাতের কোলে কাঁদছিলো তার ছোট্ট সন্তান। জান্নাতের চোখ গড়িয়েও পড়ছিল পানি। মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন শিমুল। দুই পক্ষের আইনজীবী পক্ষে-বিপক্ষে তাদের বক্তব্য রাখছিলেন। ওই সময়ই আদালতের দৃষ্টি পড়ে শিশুটির ওপর।
একপর্যায়ে আদালত দুই পক্ষকেই কিছু উপদেশমূলক কথা বলেন। এ সময় শিমুল ও জান্নাত দুজনই আপস করতে রাজি হন, কিন্তু তা অবশ্যই আদালতের মধ্যস্থতায়। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীর অনুরোধে আদালত বিচারকাজ শেষে আদালতে কক্ষের ভেতরেই উভয় পক্ষের আইনজীবী, অভিভাবক ও বার সমিতির সম্পাদকের উপস্থিতিতে কাজী ডাকেন। আদালতের ভেতরেই এক লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পুনরায় শিমুল ও জান্নাতের বিয়ে দেয়া হয়। পরে আদালত সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিচারক স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই তার খাসকামরায় ডেকে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান এবং শিশুটিকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ আদর করেন। আদালতের এই মানবিক উদ্যোগে বাদী, আসামি, আইনজীবী, আদালতের পেশকার, পিয়ন, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সবাই তখন আনন্দাশ্রুতে ভিজছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী রেবেকা সুলতানা বলেন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুজ্জামান এই আদালতে যোগ দেওয়ার পর থেকে মানবিক বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবার আদালতকক্ষে ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজনের মাধ্যমে একটি সংসারের ভাঙন ঠেকানো গেল।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের একের পর এক উন্নয়ন কাজ দেখে বিএনপি অন্তর্জ্বালায় ভুগছে। কত যে জ্বালা! পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের জ্বালা, উড়াল সেতুর জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, ১০০ সড়কের জ্বালা। এই জ্বালায় তারা মরে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে আছে রূপপুর, মাতারবাড়ি, পায়রা, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত বিজয়। এসবই শেখ হাসিনার উন্নয়নের অর্জন। এই অর্জন বিএনপি সইতে পারছে না।’
আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর সরকার পতন, তারেক রহমানের আগমন সবই ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ও সরকার পতন সবই ভুয়া। ‘বিএনপি শুরু করেছে বিক্ষোভ দিয়ে, এখন করছে নীরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায়।
‘আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কাজেই আপনারা প্রস্তুত থাকুন, সামনে খেলা হবে, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও অস্ত্র পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে?’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতার জন্য। তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য