১৮ কোটি টাকার বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় দিনাজপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। বিদ্যুৎ না থাকায় জন্মনিবন্ধনসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। করোনার ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিনও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আগে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম খান। তবে পুনরায় সংযোগ পেতে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভা কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎহীন দিনাজপুর পৌরসভা কার্যালয়। কেবল কর্মকর্তাদের রুমের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে একটি জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় জন্ম সনদসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। সকাল থেকে শত শত মানুষ পৌরসভায় এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
অপরদিকে পৌরসভায় বিভিন্ন টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর। এই টিকা কার্যক্রমের জন্য প্রায় চার হাজার করোনা ভ্যাকসিন ও কয়েক হাজার অন্যান্য ভ্যাকসিন পৌরসভায় ফ্রিজারে রাখা আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাকসিনগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সেবা নিতে আসা মুন্সিপাড়ার আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদন দেয়ার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমার আবেদন নেয়া হচ্ছে না। আমার জন্মনিবন্ধন করাটা খুব জরুরি।’
পৌরসভার ইপিআই সুপারভাইজার মোমরেস সুলতানা বলেন, পৌরসভার ২টি ডিপ ও ২টি সাধারণ ফ্রিজারে করোনা ভ্যাকসিন ও শিশুদের দেয়ার জন্য টিকা রয়েছে। আগামীকাল (আজ) করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার প্রোগ্রাম আছে। এখানে করোনার ভ্যাকসিন আছে ৪ হাজার। অন্যান্য টিকা রয়েছে কয়েক হাজার। অথচ মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুৎ নেই। এ অবস্থায় টিকাগুলো কার্যকর থাকবে কিনা বলা মুশকিল।’
পৌরসভার হেপাটাইটিস বি কার্যক্রমের কর্মী নার্গিস বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় টিকা দিতে পারছি না। অন্ধকারে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি।’
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে পৌর মেয়রের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুলফিকার আলী স্বপন।
তিনি বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর হয়েছি দুই বছর হলো। এই দুই বছরে ২৪টি মাসিক সমন্বয় সভা হয়েছে। কিন্তু কোনো সভায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। এখন আমরা অন্ধকারের মধ্যে আছি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য দায়ী মেয়র।’
পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের কার্যালয়ে গিয়ে তার কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মিটিং আছেন জানিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
দিনাজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম খান বলেন, ‘দিনাজপুর পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১ ও ২-এ মোট ১৮ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১-এর অফিসটি দিনাজপুর পৌরসভার সম্পত্তি। এ বাবদ প্রথম থেকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা তাদের কাছে আমাদের পাওনা রয়েছে।’
দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শাহাদত হোসেন বলেন, ‘পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিভাগ ১ ও ২-এর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ধরনের টাকা পরিশোধ করছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে শুধু পৌরসভা ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আর আমাদের কাছে পৌরসভা জমি ভাড়া বাবদ যদি কোনো টাকা পেয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে কাগজপত্র দেখাক। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছে না।’
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. বোরহন-উল হক বলেন, ‘পৌরসভায় আমাদের টিকা রয়েছে। আইসল্যান্ড রেফ্রিজারেটর থাকলে ৭২ ঘণ্টা টিকা ঠিক থাকে। বিষয়টি জানার পর পৌরসভার কাছে থাকা টিকাগুলো বিকল্প জায়গায় ফ্রিজিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকায় এক নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম নিশাত আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
নিশাত আহমেদ শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার গফুর সওদাগরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি চকরিয়ার ডুলাহাজারায়। তিনি আন্তর্জাতিক একটি এনজিও সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাড়ির মালিক গফুর সওদাগর বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বাসার দ্বিতীয় তলায় নিশাতের রুমের দিকে যায় আমার মেয়েরা। বরাবরের মতোই তার বাসার দরজা ভেড়ানো ছিল। ধাক্কা দিতেই দরোজা খুলে যায়। মেয়েরা তার দেহ ঝুলন্ত দেখতে পায়। তারপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হয়।’
ঘটনাস্থলে থাকা কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছি। মরদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুটি ইউনিয়নের ৫০ হাজারের বেশি মানুষের। সেতুর অভাবে হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা সদরে যেতে হলে নৌকাই একমাত্র ভরসা এখানকার বাসিন্দাদের। ফলে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।
উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঘোড়াউত্রা নদী পার হতে হয় ছোট ছোট নৌকা দিয়ে। বর্ষায় উত্তাল ঢেউয়ে অনেক সময় নৌকা ডুবে ঘটে দুর্ঘটনা আর শুকনো মৌসুমে কাঁদা-পানিতে ভিজে নৌকায় ওঠতে হয় তাদের।
এতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। উৎপাদিত কৃষি পণ্যের সঠিক মূল্যও পাচ্ছে না কৃষক। চরম ভোগান্তি পোহায় কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ এ নদী। এই নদী পার হয়েই শিক্ষার্থীদের যেতে হয় উচ্চ শিক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য সেবা নিতে ও সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং বাজারেও যেতে হয় একই পথে। উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের লোকজন পার হন দিলালপুর ঘাট দিয়ে।
এ ছাড়াও পাশ্ববর্তী হুমাইপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে পার হন। বর্ষা মৌসুমে বাড়ির ঘাট থেকে নৌকায় উঠতে পারলেও শুকনো মৌসুমে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এসে নদী পার হতে হয় তাদের। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বাড়লে ইঞ্জিনচালিত নৌকা তীরে ভিড়ে তবে পানি কমে গেলে বাধে বিপত্তি।
দিলালপুর আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হেরা মনি বলেন, ‘বছরের অধিকাংশ সময় নদীতে অনেক পানি থাকে। এই সময়ে নদী পার হতে অনেক ভয় লাগে। অনেক সময় নৌকা দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। শুকনো মৌসুমে পানি কমে গেলে নদী পার হতে গিয়ে কাঁদা লেপ্টে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থায় ওইদিন আর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থাকে না।’
বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জায়েদ উল্লাহ ফুরকান বলেন, ‘এই নদীতে সেতু না থাকায় সারা বছর আমাদের খুবই কষ্ট করতে হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে আমাদেরকেও এর অংশীদার করতে হবে। তাই সেতু নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই।’
দিলালপুর আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আ. কাইয়ুম জানান, মাইজচর ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বিদ্যালয়ে আসে। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ঘোড়াউত্রা নদীতে একটি সেতু নির্মিত হলে শিশুরাও বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহী হবে। ফলে পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলোতেও শিক্ষার হার বাড়বে।
মাইজচর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ‘এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানকার কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়াতে সবজি উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট করছে। ঘোড়াউত্রা নদীতে একটি সেতু নির্মিত হলে কৃষকেরাও তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে। আমাদেরও কষ্ট দূর হবে।’
মাইজচর ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘একটা বিরিজের লাগি সারাডা জীবন কষ্ট কইরে গেলাম। অহনও করতাছি। বিরিজ আর অইলো না। আমরার দাবি এহানো একটা বিরিজ দরহার।’
মাইজচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজি বলেন, ‘উপজেলা সদর থেকে আমাদের ইউনিয়নটি একেবারেই বিচ্ছিন্ন। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি থাকলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। এ নদী পার হতে গিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও কেউ অসুস্থ হলে সময়মতো চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় নদী পার হওয়ার আগেই বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মো. আফজল হোসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক সেতু নির্মাণের এলাকা পরিদর্শন করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের পল্লি সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণে সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এবাদত আলী বলেন, ‘স্থানীয় প্রকৌশলী এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আমি সেতু নির্মাণের এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। শুধু আশ্বাস নয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোড়াউত্রা নদীর উপর মাইজচর ও দিলালপুর সংযোগ সেতু নির্মিত হবে।’
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের ফকিরহাটে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মজুদ করা ২০ হাজার টন চাল জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্য্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গোডাউন থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
অবৈধ মজুদের অপরাধে গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তী নামের এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত গুদামটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন। এ সময় র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকাঈ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গুদামে মজুদ করা বিপুল পরিমাণ চাল পাওয়া যায়। এই চালগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির জন্য সেখানে রাখা হয়েছিল।’
তবে গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীর দাবি, জব্দ চালগুলো সরকারি গুদামে দেয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু চালগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর গুদামে দেয়া যায়নি। চালের পরিমাণ ১ হাজার ১৮৯ টন।’
জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, ‘খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এই চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চালের মান খারাপ উল্লেখ করে চালগুলো আর সরকারি খাদ্য গুদামে দেয়নি চাল ব্যবসায়ী। আসলে এর মধ্যে মাত্র দুই-তিন বস্তা চাল খারাপ হতে পারে। বাকিগুলোর মান ভাল।
‘গুদামে ২০ হাজার টন চাল রয়েছে। জুট মিলে এত চাল থাকার কথা নয়। সব চাল ভালো থাকা সত্ত্বেও তারা নষ্ট বলে উল্লেখ করছে। মূলত অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ করা হয়েছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাল আমদানিকারক বৈধ কাগজপত্র ও খাদ্য বিভাগের নির্দেশনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করবেন। জেলা প্রশাসক তার কাগজপত্র, চালের পরিমাণ, স্থানীয় সাক্ষীদের বক্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন। আপাতত গুদামটি সিলগালা থাকবে।’
আরও পড়ুন:মানসিক চাপের কারণেই ভোটের আগে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা থেকে আশুগঞ্জে ফেরার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এমনটি জানান।
এক সময়কার বিএনপি নেতা আসিফ বলেন, নির্বাচনে নানা কারণে মানসিক চাপে ছিলাম। আর এই চাপ থেকে মুক্ত হতে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলাম। যেহেতু ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন শেষ হয়েছে, তাই বাড়িতে ফিরে এসেছি।
আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিসা মেহরিন জানান, ভয়ের কারণে তার স্বামী আত্মগোপনে ছিলেন । তাই তিনি নিজের ফোনটিও নিয়ে যাননি।
এর আগে আবু আসিফ নিজের রাজধানীর বসুন্ধরার বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানান পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আসিফের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন:বগুড়ার উপনির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের সংবাদ প্রকাশ করার জেরে দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের টেম্পল রোডের জেলা আওয়ামী লীগ অফিস-সংলগ্ন টাউন ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার দুজন হলেন বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ এবং স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম।
মারধরের ঘটনার পর থেকে পালিয়ে আছেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শিপুল।
হামলার শিকার জে এম রউফ জানান, তিনি টাউন ক্লাবের অফিসে (ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে) বসে উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ লিখছিলেন। ওই কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিক প্রদীপ মহন্ত ও জহুরুল ইসলাম ছাড়াও তার আরও দুই বন্ধু উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা শিপুল মদ্যপ অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় আমি হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও অফিসের মেইলে পাঠিয়েছি বলে অফিসে ফোনে জানাচ্ছিলাম। এটি শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন শিপুল। তিনি আমাদের ওপর হামলা করেন।
জে এম রউফ বলেন, হামলার বিষয়ে শিপুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করব। সেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
আরেক সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিপুল মদ্যপ অবস্থায় এসেই অকথ্য ভাষায় কথা বলছিল। হিরো আলমের নিউজের কথা শুনেই আরও ক্ষিপ্ত হয়। প্রথমে তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে আবার এসে মারপিট শুরু করে শিপুল। আমার জামার কলার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ধরেছিল।’
এ বিষয়ে জানতে শরিফুল ইসলাম শিপুলকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, শরিফুল ইসলাম শিপুল জেলার প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই সদর থানা ও সদর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু ততক্ষণে শিপুল পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বুধবার বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোটে লড়েন হিরো আলম। এর মধ্যে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।
আরও পড়ুন:বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে কম ভোট পড়ার সুনির্দিষ্ট তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বলেছে, ঠাকুরগাঁও ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি ভালো। তবে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্রে না আসায় বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোট কম কাস্ট হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। কমিশনের দাবি, ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
কমিশনার রাশেদা বলেন, ‘বগুড়া মূলত বিএনপির ঘাঁটি। আর সেই দল ভোটে আসেনি। আর উপনির্বাচনে এমনিতেই ভোট একটু কম কাস্ট হয়। আবার এই ভোটে সংসদ সদস্যদের বাকি মেয়াদকাল কম হওয়ায় ভোটার আগ্রহ পায়নি।’
বুধবার ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনের ভোট হয়। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে অনিয়মের কারণে দু’বার উপনির্বাচন হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে যে ভোট পড়েছে তার চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ কম ভোট পড়েছে এই ৬ আসনের নির্বাচনে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৮ শতাংশ। আর এই ৬ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ২৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়কালে ফরিদপুরে-২ আসনে ভোট পড়োছিল ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তবে এই কমিশনের করা কোনো সংসদীয় আসনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে, মাত্র ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে, ৪৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এছাড়া বগুড়া-৪ আসনে ২৩ দশমিক ৯২, বগুড়া-৬ আসনে ২২ দশমিক ৩৪, চাঁপানবাবগঞ্জ-২ আসনে ৩৪ দশমিক ৭৯ এবং চাঁপানবাবগঞ্জ-৩ আসনে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে ইসির কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটার উপস্থিতি ভাল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বগুড়ায় একটু কম।’
এই কমিশনার বলেন, ‘বগুড়া বিএনপির দুর্গ। এটা সবাই জানেন। ওখানে বেশিরভাগ ভোটার বিএনপির। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। সঙ্গত কারণেই ওখানে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি। এ কারণে ওখানে কম ভোট কাস্ট হয়েছে।
‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই ব্যাপার। বিএনপি এখানেও ভোটে আসেনি। একটি বড় দল, ওখানেও তাদের সমর্থন আছে। সেই সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেননি।’
ভোট কাস্টিং কম হওয়ার আরেকটি কারণ তুলে তিনি বলেন, ‘এই সংসদ সদস্যদের মেয়াদকাল খুব কম, আট মাস বা নয় মাস। এই অল্প সময়ের জন্য আসলে ভোটাররা আগ্রহ বোধ করেন না।’ তবে সার্বিকভাবে ভোটের এই উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট বলে মনে করেন এই কমিশনার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ইলেকশন ম্যাকানিজম হিসেবে দেখছেন এই কমিশনার। তিনি বলেন, ‘যারা ম্যাকানিজম করে তারা তো আর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করে না। এটি আসলে কৌশল।’
জাতীয় নির্বাচনে যদি একই কৌশল হয় তখন ইসির ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, ‘কৌশল দেখা ইলেকশন কমিশনের কাজ না। ৩৯টি দলের কে কী ম্যাকানিজম করছে এটা কমিশনের পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভবও না। এটা যার যার রাজনৈতিক কৌশল।’
সিসিটিভি ক্যামের না থাকায় ভোট পর্যবেক্ষণে সমস্যা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সরাসরি আর মাধ্যম হয়ে আসা- এ দুটি ক্ষেত্রে পার্থক্য তো থাকবেই। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অবশ্যই ভালো হয়। এটা আমরা চোখ দিয়ে দেখতে পারছি।
‘সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ হতো। আর তা যদি না-ই হতো তাহলে সব মহল থেকে আমাদের কেন জানানো হলো যে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেন? আমি মনে করি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে আরও বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারব কমিশন। আর তা বলতেও দ্বিধা নেই।’
আরও পড়ুন:বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে পুরুষ ও নারী কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে দিনব্যাপী চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শেরপুরে। বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)। এই আয়োজন জেলা জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয় সকাল ১০টায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
জেলার ৬ শতাধিক চাকরী প্রত্যাশী পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ স্বশরীরে মেলায় হাজির হয়ে আবেদন করেন। প্রবাস প্রত্যাগত এবং প্রবাসীরাও মেলায় অংশ নেন।
কামারেরচরের রফিক মিয়া বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে বিদেশে গেলে নানাভাবে প্রতারিত হতে হয়। অনেকে জমি বিক্রি করে বা ধারদেনা করে বিদেশে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। কারণ দালালের কাজ ও কথায় কোনো মিল থাকে না। এমন সুযোগ করে দেয়ায় এখন আমরা সরকারিভাবে নিরাপদে বিদেশে যেতে পারব।’
যোগনীমুরা থেকে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘নারীরা দালাল বা অন্য প্রতিষ্ঠনের মাধ্যমে বিদেশে গেলে যৌন নির্যাতনসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। তবে বোয়েসেল-এর মাধ্যমে গেলে হয়রানির আশঙ্কা নেই বলে আমরা শুনেছি। তাই আবেদন করেছি।’
ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বোয়েসেল নৈতিক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী অভিবাসন নিশ্চিত করে। দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে কোনো সমস্যা হয় না। আমরা সারাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠাচ্ছি।
‘অতীতে দালালের মধ্যেমে বিদেশে গিয়ে অনেকে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছে। এখন বোয়েসেল-এর মাধ্যেমে বিনা ভোগান্তিতে হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ ইউরোপের নানা দেশে যাওয়া যাবে।’
এদিকে চাকরির এই মেলা ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বোয়েসেল-এর মাধ্যমে সরকারিভাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সহজ উপায়ে বিদেশে কর্মী পাঠানোর নানা বিষয় তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য