রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন।
মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত মেয়র পদে ১০ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ১১ পদের বিপরীতে ৬৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলরের ৩৩ পদের বিপরীতে ১৯৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেয়র পদে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, জাসদের শফিয়ার রহমান।
এ ছাড়াও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আতাউর জামান বাবু, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম এবং ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন, মেহেদী হাসান বনি, আবু রায়হান মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র নিয়েও জমা দেননি জাপার বহিষ্কৃত নেতা এ কে এম আব্দুর রউফ মানিক, শ্রমিক লীগ নেতা এম এ মজিদ ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবার রহমান বেলাল।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই ১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ ডিসেম্বর।
রংপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয়বারের নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়ে আইনের বেশ কয়েকটি ধারা ও অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। যার ফলে সংরক্ষিত নারী প্রার্থীদের জামানত বেড়েছে দ্বিগুণ।
আগে ১০ হাজার টাকা জামানত নিলেও এখন তা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে শূন্য আাসনে নির্বাচনের সময় ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনি আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনের প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সংবিধানে নারী আসন ৪৫টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। নির্বাচনি আইনে এখনও ৪৫টি আছে। তাই আইনের ৪৫ থেকে ৫০টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘এ ছাড়া বিদ্যমান আইনে সময় নির্বাচনের সময় ছিল ৪৫ দিন। সাধারণ আসনে নির্বাচনের সময় ৯০দিন। সেটার অনুরুপ করা হয়েছে। অন্যদিকে নারী আসনে প্রার্থীদের ১০ হাজার টাকা জামানত ছিল। সাধারণ আসনের মতো ২০ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন আইন সংস্কার কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন সভায় বিষয়গুলো অনুমোদন হয়েছে। এখন এটা আইন মন্ত্রণালয়ে এখন পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা কেবিনেটে পাঠাবেন। তারপর সংসদে যাবে। এরপর পাশ হবে। আইনটি পাশ না হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘আলাচ্যসূচির বিবিধ বিষয়ে ইভিএম বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করবো।’
আরও পড়ুন:ব্যালট থেকে সরে এসে সর্বাধিক দেড়শ আসনে ইলেকট্রানিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের যে পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা এখনও অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। ১৫ জানুযারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে কমিশনাররা এর আগে একাধিকবার ঘোষণা দিলেও এখন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘১৫ তারিখ বলা মানেই তো ১৫ তারিখ নয়। দু’এক দিন এদিক-সেদিকও হতে পারে।’
১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেছিলেন, এখন আপনাদের কী অবস্থান-এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন,‘ আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। এটা একজাক্ট বলা যায়নি কারণ কতটা ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করতে পারব। ’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন,‘ ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।’
ইভিএম কেনার জন্য কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন যে প্রকল্প নেয় তাতে ২ লাখ ইভিএম কেনাসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কেটি ৪৪ লাখ টাকা।
দুই লাখ না হয়ে আরো কম হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ হয়ত এক লাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেনি। চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারব।’
ছয় সংসদীয় উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অর্থাভাবে বন্ধ হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অর্থটা তো বাৎসরিক ভিত্তিতে দেয়া হয়। বর্তমান অর্থ বছরে যে টাকা দেয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যেই। এটা জন্য কিন্তু আমরা সরকারের কাছে আমরা অতিরিক্ত বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না।
জাতীয় নির্বাচনে পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় হবে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘তখন কী লাগবে না লাগবে সেটা ধরে আমরা বাজেট করব। তখন বাজেট দিলে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ওইটার সঙ্গে এইটার কোনো সম্পর্ক নেই।’
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে বিএনপিসহ সমমনা বেশ কয়েকটি দল ভোটে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। তবে বর্তমান কমিশন ভোটের দেড় বছর আগেই কমপক্ষে দেড়শ আসনে ইভিএম ভোট করার সিদ্ধান্ত জানায় সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
আরও পড়ুন:নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের মনোনয়নের বৈধতা পেয়েছেন। তবে এ দুই আসন থেকেই মনোনয়ন তুলে আলোচনায় আসা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একটিতেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি।
এছাড়া যাচাই বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১১ প্রার্থীর কেউই তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার বিকেলে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন বগুড়া অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, আপিলে প্রার্থীতা ফেরত পাওয়া দুজন হলেন বগুড়া-৪ আসনের কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল এবং বগুড়া-৬ আসনের আব্দুল মান্নান আকন্দ। বগুড়ার দুটি আসনে মোট ১৩ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে পাঁচ জন প্রার্থী। আর বগুড়া-৬ আসনে আটজন সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গত ৮ জানুয়ারি উপনির্বাচনের প্রার্থী যাচাই-বাছাই ছিল। ওইদিন মনোনয়নে দেয়া ভোটার তালিকার তথ্যে নানা রকম গড়মিল থাকায় দুই আসনের মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। পরে এই ১১ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। রোববার সেই আপিলের শুনানি ছিল। এতে আব্দুল মান্নান আকন্দ ও কামরুল হাসান সিদ্দিকী প্রার্থীতা ফিরে পান।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, ‘গত বুধবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলাম। রোববার শুনানির পর আমার প্রার্থীতা ফিরে দেয়া হয়েছে।’
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকীও জানিয়েছেন একই কথা।
এদিকে হিরো আলম বলেন, ‘আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা দেয়নি আমাকে। আমি সোমবার হাইকোর্টে আপিল করবো। কাগজপত্র রেডি করছি।’
আরও পড়ুন:মাদারীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সোবাহান মিয়ার (গোলাপ) বিরুদ্ধে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ভুল তথ্য দেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।
এমপি গোলাপের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন- এ প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, ‘হলফনামা আমাদের একটা জমা দেবে প্রার্থীরা। কিন্তু সেই হলফনামার সত্য-অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কোনো কিছু করার আইনের ভিত্তি নাই। হলফনামা যেটা দেবে, সেটা এক ধরনের তথ্য। জাতিকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের।’
যথাসময়ে দেশে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন হবে এবং সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানান এই কমিশনার।
মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সস্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।
সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন এমপি গোলাপ। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি।
কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘এই সংসদ সদদ্যের (গোলাপ) বিরুদ্ধে দুর্নীতির যদি কিছু থাকে তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন দেখবে। তারা মামলা করবে। রাজস্ব বোর্ড এনবিআর মামলা করতে পারবে। পরবর্তীতে আইনে যেটা আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। একজন সংসদ সদস্যদের পদ হারানোর জন্য যেসব বিষয় আছে সেটা কর্তৃপক্ষ দেখবে।’
তিনি বলেন, ‘উনি (এমপি গোলাপ) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তার ভোটারদের জানিয়েছেন ওনার নাম কি, শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে। কি সম্পদ আছে। আমাদের এখানে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নাই।’
দ্বৈত নাগরিকরা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘দুই দেশের নাগরিকরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। তাদের বাংলাদেশ নাগরিকত্ব দেখে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা দেখবে। তারা আমাদের বললে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
প্রার্থী ভুল তথ্য দিলে তিনি কোয়ালিফাইড হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি চ্যালেঞ্জ না করে, তাহলে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যান। উনি ভুল তথ্য দিয়েছেন এটা বললে হবে না, প্রমাণ করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।’
এ ব্যাপারে কমিশনের সীমাবদ্ধতা আছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘সীমাবদ্ধতা না। উনি হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নমিনেশন সাবমিটের আগে জানালে ব্যবস্থা নেব।’
হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের আগে তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য মানেই প্রতারণা। প্রতারণার মামলা আছে আলাদা৷ কোর্ট শাস্তি দিয়ে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। যথা সময়ে নির্বাচন হবে। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। পার্লামেন্টে স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আলাপ হবে। তারপর দিন-তারিখ ঠিক হবে।’
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খসড়া দেয়া হলো। প্রতিবছর মার্চ মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করি। এবারও তাই হবে। যদি কারো কোনো আপত্তি থাকে। তারা আপত্তি দেবেন। ত্রুটি থাকে তাহল সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন। পরে আমরা চূড়ান্ত করে ভোটার দিবসে প্রকাশ করবো।’
ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বৈত ভোটার হওয়া অপরাধ জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘শাস্তি, অনেক কঠিন শাস্তি। তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা হবে। ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যাবে, পাশাপাশি জেল খাটতে হবে।’
আরও পড়ুন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। বাতিল হয়েছেন ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। সবমিলিয়ে ভোটার বেড়েছে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম। আগামী ২ মার্চ পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই তালিকা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা।
সব মিলিয়ে ১১ কোটি ৯০ লাখ ভোটার রয়েছে ২০২৩ সালে। এবার গত জুন থেকে নভেম্বর পযন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাযক্রম চলে। আর ২০১৬ ও ২০১৯ সাল থেকে তিন বছর পর পর (১৫-১৭ বছর বয়সী ও ভোটারযোগ্যদের) বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ চলে।
হালনাগাদের তথ্য তুলে ধরে সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভোট দেয়ার যোগ্য হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৩ লাখ ২৭৭ জন। ২০২২ সালে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন।’
সচিব বলেন, ‘সব মিলিয়ে মৃতদের বাদ ও নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করে এ বছরের খসড়া ভোটার তালিকা নতুন অন্তর্ভুক্তযোগ্য ভোটারের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন, যা ৫.১০%।’
খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম বা অন্য তথ্য সংশোধনের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন এমন ভোটারের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন।
২ মার্চ ২০২২ ভোটার ছিল-১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং হিজড়া ৪৫৪ জন। হালনাগাদে যুক্ত ২০২২ সালে ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। পুরুষ ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৪৫৫ জন, নারী ৩৯ লাখ ১০ হাজার ৪৩৯ জন এবং হিজড়া ৩৮৩ জন। মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন।
খসড়া তালিকার ভোটারসহ মোট ভোটার এখন ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন, নারী ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন এবং হিজড়া ৮৩৭ জন। ২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে, এসব ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
এ বছর ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে চার ধাপে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ চলে। এ সময় বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে মৃতদের তথ্য সংগ্রহও করা হয়েছে; এবার মৃত ভোটারের তথ্যও নেয়া হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৫-১৭ বছর বয়সী এবং ভোটারযোগ্য বাদ পড়া নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২০২৩ সালে নতুন যারা ভোটার তালিকাভুক্ত হচ্ছেন, তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
তারা জানান, বাকিরা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে পাঁচবার।
আরও পড়ুন:সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) সংসদীয় আসনের মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে যদি ব্যর্থ হন তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি দুইটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলে উভয় আসনেই নির্বাচন করবেন তিনি। সুষ্ঠু ভোট হলে একশভাগ জয়লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকাই সিনেমায় আলোচিত এই অভিনেতা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইন শাখায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন জমা দেন।
এর আগে গত রোববার ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা৷
হিরো আলম বলেন, ‘কাগজ-পাতি সব সহকারে আমি এখানে জমা দিয়েছি। এখন বাদ-বাকিটা তাদের যাচাই-বাছাইয়ে বুঝতে পারবো তারা সুষ্ঠু বিচার করলো আমাদের না অবিচার করলো। এখান থেকে বাতিল করলে আমি আবার হাইকোর্টে যাব। দুই আসন থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেলে দুইটি আসন থেকেই ভোট করব।’
আমি পরিপূর্ণ করেই জমা দিয়েছি দাবি করে তিনি বলেন, ‘কারণ একই ভুলের কিন্তু ২০১৮ সালের ভোট বাতিল করেছিল। আপনারা সবাই জানেন। আমি আপিল করি। আপিল করার পর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করি। এবার তো এই ভুল করার কথা না। ওনারা যে কথা বলেছে একটা ভুল দেখা গেছে। একটা ভোটারের নাকি নাম্বারই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জমাই দেই নাই আমি। আমরা নাম্বার পেয়েছি ওটা জমা দিয়েছি।’
হাইকোর্ট থেকে মনোনয়ন ফিরে পেয়ে গতবারের সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘তখন প্রথমবার আমি এমপি ইলেকশন করি। তখন অভিজ্ঞতা একটু কম ছিল। বুঝিনি এত ঝামেলা হবে। আমি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদ নির্বাচন করছি এতকিছু তখন ছিল না।’
সেবার আমি হাল ছাড়লাম না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে রিট করলাম মনোনয়ন ফিরে পেলাম। সেই নির্বাচনে ভোটের দিন আমার সঙ্গে মারামারি হয়। পরে দুপুর বেলা আমি ভোট বর্জন করি।’
সব পরিপূর্ণ থাকার পরও কেন এমন ঝামেলা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমার না। দুইটা আসনে সর্বমোট ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। সবারই একই ভুল। আমার নামে কোনো মামলা বলেন। ঋণখেলাপি বলেন কোনো কিছু নেই। আরো আইনে অনেক সমস্যা থাকে না। কিন্তু একটা দোষ ও তারা খুঁজে৷ বের করতে পারে না।’
বগুড়া পুলিশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে এমন দাবি সম্পর্কে জানতে ঢাকাই সিনেমায় আলোচিত এই অভিনেতা বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান আমাকে হিরো আলম বলে তো তারা বাইরে রাখবে না। আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
দুইটা আসনে মনোনয়ন জমা দেয়ায় পর দুইটা বাতিল হয়েছে কেন এমন প্রশ্ন তুলে হিরো আলম বলেন, ‘এর তো কোনো কারণ থাকতে পারে। সামনে নির্বাচন এই মূহুর্তে আমরা বলবো না ষড়যন্ত্র কারা করতেছে। আগে ভোটের মাঠে যাবো। ফলাফল দেখবো। তারপর আপনারাই দেখতে পারবেন কারা ষড়যন্ত্র করে।’
দুইটা আসনে মনোনয়ন কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুইটা কেনার কারণ হলো বগুড়া-৪ থেকে মনোনয়ন কিনেছিলাম প্রথমে। তারপরে আমি যখন দেখেছিলাম তারা (বগুড়া সদর) পছন্দের প্রার্থী পাচ্ছিল না। তখন এলাকাবাসী বলল আমাদের সবার দাবি তুমি এবার বগুড়া সদর থেকে নির্বাচন করব। আর আমার বাসা বগুড়া সদরে। সবাই চাইতেছে। আর আগে কাহালু নন্দীগ্রাম থেকে যেহেতু আমি নির্বাচন করেছি। এজন্য সবার মন রক্ষা করার জন্যে ভালোবাসা রক্ষা করার জন্যে আমি দুইটা আসন থেকে নির্বাচন করছি।’
ইউনিয়ন পরিষদে জয় না পেয়েও সংসদ নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আশাবাদী। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। একশ পার্সেন্ট আমি দিতে পারি যে জয়লাভ করব।’
গত একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাই দাবি করে তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন আমার সঙ্গে মারামারি হয়েছিল। তারপর ভোট আমরা বর্জন করছি।’
প্রতিটা লোকের নির্বাচন করার অধিকার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি আগেও করেছি এবারও টার্গেট আছে। কথা আছে একবার না পাড়িলে দেখ শতবার। যেহেতু জীবন যুদ্ধে নেমেছি, শেষ কতদূর লড়তে পারি।’
হিরো আলমের কোটি টাকার সম্পদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু লোক আছে তিলরে তাল করে। লিখতে তো আর সমস্যা হয় না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সরাসরি জমা দেয়ার বিধান থেকে সরে আসতে চাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেয়ার বিধান সংযোজন করতে চায় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
আগামী কমিশন সভায় অনলাইনে মনোনয়ন সাবমিশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আহসাব হাবিব খান।
ভবিষ্যতে সবকিছু অনলাইনে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘এখন নিজেদের স্মার্ট বাংলাদেশ দাবি করি। এখন স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সবকিছুর আবেদনই অনলাইনে সাবমিশন হচ্ছে। অনলাইনে সাবমিশন দিলে সুবিধা আছে। জনপ্রতিনিধিরা শোডাউন দিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। অভিযোগ আছে, যারা সাবমিশন করতে চায় তাদের অনেকে বাধাগ্রস্ত হয়। খেলার মাঠে খেলোয়ার নেই তাহলে জিতে লাভ কি?’
তিনি বলেন, ‘এই চিন্তা-ভাবনা কিভাবে বাস্তবায়ন করব আমরা আইসিটি বিভাগ সেটির একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। মনোনয়ন জমায় যেন অসুবিধা না হয়-সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।’
আগামী কমিশন সভায় অনলাইন মনোনয়নপত্র সাবমিশন বাস্তবায়ন করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশনে সিদ্ধান্ত হলে এটিকে বাস্তবায়ন করব। প্রথমে এটির পাইলট প্রজেক্ট নেব। চ্যালেঞ্জ কি ধরণের তা দেখব। আমরা চিন্তা করি, সুন্দর জিনিস সবাই একসেপ্ট করবে।’
এই কমিশনার বলেন, ‘প্লার্টফর্ম রেডি হওয়ার পর প্রথমে ছোট ছোট নির্বাচনে পাইলট হিসেবে শুরু করা হবে। প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ, তারপর উপজেলা, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। এগুলোতে সফল হলে জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
অনলাইনের পাশাপাশি কেউ চাইলে সশরীরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান রাখা হবে কি-না জানতে চাইলে আহসান হাবিব বলেন, ‘সমস্ত কিছু বিবেচনা করেই অনলাইনে করা হবে। দুইটা অপশন থাকবে না।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫০০ এর বেশি নির্বাচন ইভিএমে করেছি। সেখানে কোনও সমস্যা হয়নি। স্বচ্ছতা-আন্তরিকতা নিয়ে। কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছে শতভাগ কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবস্থা করা। আমরা এখন পর্যন্ত অনড় ইভিএমে ভোটের ব্যাপারে। আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করে প্লানিং কমিশন মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত জানাবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য