রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রশ্রয় দেয়াসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তার প্রশ্রয়েই জেলার বিভিন্ন উপজেলা শাখায় কর্মরত দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে দেয়া হয়েছে পছন্দের শাখায় পোস্টিং।
অন্যদিকে পছন্দমতো না হলে কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও অনেক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে দূর-দূরান্তে।
পরিচয় ও কর্মস্থল গোপন রাখার শর্তে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
মনোহারী পণ্য, কাগজ, টোনার ক্রয় এবং কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই সার্কুলার অমান্য করে ভুয়া ওভারটাইম বিল পাস করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও তারা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। তার অনিয়ম, দুর্নীতির বেশকিছু প্রমাণপত্র ইতোমধ্যেই নিউজবাংলার হাতে এসেছে।
সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের কটিয়াদী বাজার শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত আছেন মো. আতিকুর রহমান হালিম। এর আগে তিনি নিজ উপজেলা কুলিয়ারচরে ছিলেন। ২০২১ সালের ১০ আগস্ট তিনি কুলিয়ারচর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সরকারি বয়স্ক ভাতার ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৬ টাকা ওই অফিসের সহকারী কাম-কম্পিউটার মুত্রাক্ষরিক তুহিন মিয়ার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন। পরে বিভিন্ন তারিখে সেই টাকা উত্তোলন করে তারা মিলেমিশে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে একই বছরের ২১ অক্টোবর সেই টাকা আবারও ব্যাংকে জমা রাখেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আতিকুর রহমান হালিম ও তুহিন মিয়া ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বেড়ে ওঠেছেন। তাদের বাড়ি একই ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তুহিন মিয়া জানান, লোন ওঠানোর জন্য সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু চেকবই ছিল হালিমের কাছেই। আর এই সুযোগে সে টাকা তুলে খরচ করেছে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে হালিমকে চাপ দিলে তিনি আবারও সেই টাকা জমা দেন।
এ বিষয়ে আতিকুর রহমান হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। বলেন, ‘ভুলবশত এমনটা হয়েছিল। পরে সেই টাকা আবার জমা দিয়েছি। আমি ক্ষমাও চেয়েছি।’
টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি না হয় ভুলবশত কিন্তু উত্তোলনের বিষয়টি ভুলবশত হয় কীভাবে- এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।
এ বিষয়টিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ধামাচাপা দেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার। এমনকি নিকটবর্তী কটিয়াদী শাখায় বদলি করে হালিমকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেন তিনি। কারণ হালিম তার পছন্দের লোক।
ব্যাংক বদলি বিধান অনুযায়ী, প্রধান কার্যালয় কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্মস্থলে এক বছর অতিক্রম না হলে তাকে বদলি করতে হলে প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
কিন্তু ওই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সিনিয়র অফিসার স্বপ্না বর্মন, ফেরদৌসুল হক, মাহফুজুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, ঝুটন বর্মন, খাইরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে তাদের পূর্ববর্তী শাখায় আবারও বদলি করেন ডিজিএম।
ওভারটাইম শুধু কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও সে নিয়মেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে এক কর্মকর্তার ক্ষেত্রে। ডিজিএমের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত সিনিয়র অফিসার মাহফুজুর রহমান গোপনে ভুয়া ওয়ারটাইম বিল নেয়ার পর তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের ন্যায়পালে অভিযোগ উঠে। সে অভিযোগের তদন্তের পর প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক টাকা ফেরতও দেন তিনি। তার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি এখনও পর্যন্ত প্রিন্সিপাল অফিসে কর্মরত আছেন বহাল তবিয়তে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তার পছন্দের কর্মচারী/কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সুষ্ঠু তদন্ত না করে ধামাচাপা দেন। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অভিযোগকারীদের ম্যানেজ করার অপচেষ্টা চালান। এ তথ্যেরও সত্যতা মিলেছে কটিয়াদীর একটি বিষয়ে।
কিছুদিন আগে সোনালী ব্যাংকের কটিয়াদী শাখার ঋণ কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। গত ২৩ অক্টোবর এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখার ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় পাইকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদ কামাল।
বিভিন্ন ঋণের ক্ষেত্রে দ্রুত পাইয়ে দেয়ার নাম করে ২ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করতেন সজিব মিয়া। তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও তাদের পরিবার।
সেসব অভিযোগের তদন্ত না করে অভিযোগকারীকে ফোন করে ভীতি প্রদর্শন করেন ডিজিএম। এমন একটি অডিও রেকর্ডও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
সোনালী ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা জানান, ডিজিএমের সবচেয়ে পছন্দের কর্মকর্তা সাবেক যুগ্ম জিম্মাদার মো. সোলায়মান ও যুগ্ম জিম্মাদার শওকতুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শওকতুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ শাখায় এবং সোলায়মান প্রিন্সিপাল অফিসে প্রাইজ পোস্টিং হিসেবে কর্মরত আছেন।
২০১৯-২০২০ সালের সব মনোহারী দ্রব্য, কাগজ, টোনারসহ কম্পিউটার সামগ্রী কেনার দায়িত্বে থাকেন এ দুজন। তখন জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন এজিএম। তারা সেগুলো কিশোরগঞ্জ থেকে না কিনে পাকুন্দিয়া থেকে কিনেছেন। মূলত সেখান থেকে ফাঁকা ক্যাশমেমো এনে ১৮০ টাকার কাগজ ৩০০ টাকা, ৫০০ টাকা মূল্যের টোনার ৯০০, ১১০০ এবং ১৫০০ টাকা বিল করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করে পাকুন্দিয়ার মনির কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি ফাঁকা ক্যাশ মেমো দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ব্যাংকের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে তিনি বিভিন্ন শাখা পরিদর্শনে সহযোগী হিসেবে তার পছন্দের কর্মকর্তা সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সুলাইমানকে নিয়ে যাচ্ছেন। একজন অফিসার যেখানে অবস্থানভাতা নেন ৫০০ টাকা, সেখানে সুলাইমানকে দিতে হচ্ছে ১০০০ টাকা। এমন স্বজনপ্রীতিতে ব্যাংকের ব্যায় বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ইতোপূর্বে যাদের বিরুদ্ধেই কোনো না কোনো অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আতিকুর রহমান হালিমকে এই স্টেশন থেকে বদলি করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এই ব্যাংকেরই একটা কুচক্রীমহল বিভিন্ন সময়ে ছদ্মনামে অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করছে।’
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়েই আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেই কাজ করছি। কোনো কিছুই গোপন বা ধামাচাপা দেয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন:শিক্ষক পদে ছাত্রলীগ কর্মীর চাকরি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে শাটল ট্রেন অবরোধ করে রেখেছে তারা।
চবির সিন্ডিকেট সভা চলাকালে সোমবার বিকাল চারটার দিকে ভাঙচুর চালানো হয়।
চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘ছাত্রলীগের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ছেলেকে চাকরি না দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতা ও জামাত-শিবির মদদপুষ্ট নিয়োগপ্রার্থীকে নেয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি এদেরকে বাদ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জামাত-শিবির মদদপুষ্ট নিয়োগপ্রার্থীকে বাদ দেয়া হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন অবরোধ থাকবে।’
চবির প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, ‘ভাঙচুর কেন হয়েছে সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বুঝা যাবে। নিয়োগের বিষয়ে এক্সপার্ট বোর্ড যাদের ভালো মনে করছে তাদের নিয়েছে। শাটলের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লা নগরীতে ডাস্টবিন থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নগরীর ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ি এলাকা থেকে সোমবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, দুপুরের দিকে ডাস্টবিনে শিশুটির মরদেহটি দেখে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘নবজাতকের পরিচয় পাইনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। ’
নাটোরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে পাঁচটি পরিবারের বাড়ি ঘরসহ সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে।
শহরতলীর বড়হরিশপুর পূর্বপাড়া এলাকায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আকতার হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, দুপুরে কাঁচামাল ব্যবসায়ী সেন্টু হোসেনের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। দ্রুতই আগুন পাশে থাকা অপর তিন ভাই আনোয়ার, মজনু ও আতোয়ারসহ তাদের বাবার বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তার আগেই পুড়ে যায় নগদ ৯ লাখ টাকা, মোটর সাইকেল, ফ্রীজ, খাট, আসবাসসহ পাঁচ পরিবারের সব কিছু। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা।
কেমন হতো যদি দরিদ্র ক্ষুধার্ত মানুষ মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ব্যুফেতে ইচ্ছামতো তাদের পছন্দের খাবার খেতে পারতো! হ্যাঁ, এমনই এক সুযোগ মিলছে বিদ্যানন্দের ১ টাকায় রেস্টুরেন্টে।
কুড়িগ্রামের মঙ্গা পীড়িত এলাকায় বিদ্যানন্দ তৈরি করেছে এই ১ টাকায় রেস্টুরেন্ট। এই উদ্যোগের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ পার্টনার হিসেবে আছে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন লিমিটেড।
বিশেষ এই রেস্টুরেন্টে ১ টাকার বিনিময়ে অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষ মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে খেতে পারবে তাদের পছন্দের খাবার।
দেশে অনেকে আছেন যারা তিনবেলা ঠিকমতো খেতে পান না। প্রত্যেক বেলার খাবারের জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় অন্যদের সাহায্যের ওপর। এমন অবস্থায় তারা ভালোমানের কোনো রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তবে এই রেস্টুরেন্টে মিলছে খাবারের ভালো সুযোগ।
বিদ্যানন্দের আধুনিক ঘরোয়ানা এই রেস্টুরেন্টটি নিশ্চিত করে খাবার খাওয়ার এক মনোরম এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যেখানে রয়েছে পেশাদার বাবুর্চি, রেস্টুরেন্ট স্টাফ, মেন্যু কার্ড এবং বাহারি সব পুষ্টিকর খাবার।
বিদ্যানন্দের এই উদ্যোগে দরিদ্র ক্ষুধার্তরা খুঁজে পায় স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার অনুভুতি। তারা এখন এই ১ টাকায় রেস্টুরেন্টে মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে ব্যুফে থেকে বাছাই করে খেতে পারেন তাদের ইচ্ছা মতো পছন্দের খাবার।
আরও পড়ুন:মেহেরপুরে অপারেশনের টেবিলে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় বেসরকারি চিকিৎসা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দারুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম শরিয়তুল্লাহ স্বপ্রণোদিত হয়ে সোমবার দুপুরে মামলাটি করেন।
মামলাটি মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপারকে (সার্কেল) তদন্ত করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জনকে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলার সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি ক্লিনিকের তালিকা দেয়ার নির্দেশ দেয়।
গত ২৪ জানুয়ারি মেহেরপুর শহরের সরকারি কলেজ মোড়ের সামনে অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক দারুস সালাম ক্লিনিকে অপারেশনের টেবিলে ২৫ বছর বয়সী প্রসূতি সুমাইয়া খাতুনের সন্তান প্রসবের সময়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় প্রসূতির একটি সুস্থ্য মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
এ অপারেশনটি করেন ক্লিনিকের মালিক ডা. আব্দুস সালাম নিজেই। প্রাথমিকভাবে নিহত প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ তুললেও লিখিত কোনো অভিযোগ না করায় বিষয়টি এতোদিন ধামাচাপা হয়ে পড়েছিল। তবে ওইদিন স্থানীয় এক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিভিন্ন দাবিতে দুই দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিভিন্ন বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে দেশের নৌ, বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে এই কর্মবিরতি শুরু করেছে তারা।
সোমবার সকাল থেকে দুই দিনের এ কর্মবিরতি শুরু করে সংগঠনটি। এতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বন্দরগুলোতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল ও শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘আমরা গত জুনেও বেশ কয়েকবার এনবিআরের সঙ্গে কথা বলেছি। কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এ আগের কিছু আইন সংশোধন করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য বিষফোঁড়ার মত। এগুলো মোটেই ব্যবসাবান্ধব নয়। এই আইনের কিছু ধারা সংশোধন ও বাতিলের দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সুলতান হোসেন খান বলেন, ‘দেশের আমাদানি-রপ্তানির সিংহভাগ এই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। এ কারণে চট্টগ্রামকে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা, এটা সরকার বিরোধী আন্দোলনও না। আমাদের এই আন্দোলন ব্যবসা রক্ষা করে বেঁচে থাকার আন্দোলন।’
বিল অব এন্ট্রি ও শুল্কায়ন বন্ধের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো. ফয়জুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:বাঙালি যতবার সভ্যতার সংকটে পড়েছে ততবার কবিগুরুর কবিতা, গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির আত্মপরিচয় জাগিয়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কথা, কবিতা ও গানে বিশ্বকবি সামগ্রিকভাবে বাঙালি নন্দনতত্ত্বকে তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে। নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্বকে পরিচিত করতে প্রতিটি জেলায় রবীন্দ্র সম্মেলন আয়োজন করা দরকার।’
নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সোমবার দুপুর ১২টায় ৪১তম জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একাত্তরের কোটি মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের যে অনুভব তা আমরা লক্ষ করেছি। তিনি যে মুক্তির ডাক দিয়েছেন, তার রচিত স্বদেশের গানে তা অনুরণিত হতে দেখেছি একাত্তরে।’
সভায় জানানো হয়, আগামী ৩-৫ মার্চ নওগাঁ জেলায় ৪১ তম রবীন্দ্র সম্মিলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানমালায় সহস্রকণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন, পতিসরে রবীন্দ্র প্রীতি সম্মেলন ও স্মৃতিচারণ, রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং কবিগুরুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্তব্য