আগের দিন সূচক ১৭ পয়েন্ট ও লেনদেন সামান্য বাড়লেও হতাশা কাটাতে না পারা পুঁজিবাজারে এক দিন পরই দ্বিগুণ পতন হলো।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার দরপতনের কারণ ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর উড়তে থাকা কোম্পানিগুলো দরপতন। কারণ ওই সব কোম্পানির দর কমছে ঝড়ের গতিতে।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল পাঁচ কর্মদিবস আগে ২১ নভেম্বর। সেদিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৯০ পয়েন্টে।
সূচক পতনে ভূমিকা রেখেছে লাফিয়ে দর বাড়া বিকন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মতো কোম্পানিগুলো। গত ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর ৩০টি শেয়ারের দরবৃদ্ধির ওপর ভর করে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দেয়, ওই দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে এসব কোম্পানির শেয়ার।
সেই উত্থানে সামগ্রিক পুঁজিবাজার লাভবান না হলেও বর্তমানে সেসব শেয়ারের দরপতনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে।
আজ ওরিয়ন গ্রুপের বিকন ফার্মার দর ৫ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বসুন্ধরা পেপার কমিয়েছে ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। বহুল আলোচিত ওরিয়ন ইনফিউশন ও ওরিয়ন ফার্মা যথাক্রমে ২ দশমিক ০৩ ও ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট করে সূচক কমিয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, জেনেক্স ইনফোসিস, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, লাফার্জ হোলসিম, জেএমআই হসপিটালের দরপতনে সূচক কমেছে। এ ১০টি কোম্পানি ২৫ দশমিক ১৯ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
ডিএসইতে শেয়ার হাতবদল হয়নি ১০১টি কোম্পানির। এর মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে ১১টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ ছিল।
বাকি যে ২৮৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়, তার মধ্যে ২০৬টির শেয়ার হাতবদল হয় সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে। আর দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতনের সংখ্যা সাত গুণের বেশি। এদিন ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ৭৩টির।
আগের দিনের মতো আজও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। দিনভর হাতবদল হয়েছে ৪১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় ৭৭ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেশি। রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার।
১১৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে। কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেনে হয়েছে মাত্র ৫১টি কোম্পানির। এ লেনদেনের পরিমাণ ২৮৮ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার টাকার। বাকি ২৩৮টি কোম্পানিতে লেনদেন হয় ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ ২২ হাজার টাকার।
যেভাবে কমছে দর
তুমুল আলোচিত ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমছে ধারাবাহিকভাবেই। ২৮ জুলাইয়ে ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা লেনদেন হওয়া শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর উড়তে শুরু করে। ২৭ অক্টোবর এর দর সর্বোচ্চ ৯৭৩ টাকা ৯০ পয়সায় ঠেকে। মাঝেমধ্যে বাড়লেও ক্রমাগত দর হারাচ্ছে কোম্পানিটি। ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ দর কমে সোমবার শেয়ারটি হাতবদল হয় ৫৬৬ টাকা ৯০ পয়সায়।
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ৭৮ টাকায় লেনদেন হওয়া গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর সেপ্টেম্বরে ১৪৯ টাকায় ঠেকে। সোমবার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমে শেয়ার হাতবদল হয় ৮৩ টাকা ৪০ পয়সায়।
ওই গ্রুপেরই বিকন ফার্মার দর কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। জুলাইয়ে এ কোম্পানির দর ছিল ২৪০ টাকার মতো। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তা ৩৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সোমবার সেটি হাতবদল হয় ২৭৫ টাকা ৮০ পয়সায়।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেও বসুন্ধরা পেপারের লেনদেন হয়েছিল ৭০ টাকার নিচে। ১৫ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১২১ টাকার ওপরে। এরপর মাঝে মাঝে বাড়লেও প্রায় প্রতিদিনই দর কমছে।
সোমবার ১০ শতাংশ কমে শেয়ারটি হাতবদল হয় ৭৮ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে দর ছিল ৮৭ টাকা।
দর দ্বিগুণ বেড়ে ১১৬ টাকায় উঠেছিল জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারদর। এরপরই উল্টো পথে ছুটতে দেখা গেছে শেয়ারটি। আজ ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয় ৯০ টাকা ৪০ পয়সা।
সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্সের দর উঠেছিল ৩৮ টাকা ২০ পয়সায়, যা ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে লেনদেন হয় ৩০ টাকায়।
সেপ্টেম্বরে ৭৬ টাকায় লেনদেন হওয়া ইস্টার্ন হাউজিং অক্টোবরে ১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। সেখান থেকে কমতে কমতে আজ হাতবদল হয় ৭৬ টাকা ৮০ পয়সায়। দর কমেছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
একই সময়ে বিডি কমের দর ৩২ টাকা ৭৫ টাকায় ঠেকেছিল। বর্তমানে দর দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা। দর কমেছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ করকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের বর্তমান অবস্থায় ফান্ড অ্যাক্টিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যারা শেয়ার বিক্রি করে ক্যাশ করতে পেরেছিলেন, তারা সবাই সাইডলাইনে রয়েছেন, বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। আর যারা ক্যাশ করতে পারেননি, ফ্লোর প্রাইসে বা লোকসানের কারণে আটকে আছেন তাদের থেকে অ্যাক্টিভিটি আসা করা যায় না।’
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সোনালী পেপার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বেক্সিমকো সুকুকের দর শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। পূবালী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে যমুনা অয়েল, পেপার প্রসেসিং, মুন্নু অ্যাগ্রো, কে অ্যান্ড কিউ, জুট স্পিনার্স, সোনালী আঁশ ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির যেমন
যে ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বেড়ে জুট স্পিনার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১২ টাকা ৬০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৯৭ টাকা ৮০ পয়সায়।
এরপরই ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে মুন্নু অ্যাগ্রোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯৯ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫৭৯ টাকা। তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল পেপার প্রসেসিং। ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৯৭ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১৯১ টাকা ৬০ পয়সা।
এর পর কে অ্যান্ড কিউ এবং সোনালী পেপারের দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। এর বাইরে সোনালী আঁশ, পূবালী ব্যাংক, যমুনা অয়েল, বেঙ্গল উইন্ডসর ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ১ শতাংশের কম।
আরও পড়ুন:
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য