শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জমির বিরোধের জেরে কৃষককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করে।
ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের মাধারপুর গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কৃষকের নাম আবু রাইহান গাজী।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এসব নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন ও কৃষক গাজীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকদিন ধরেই প্রতিবেশী মো. শাহজাদা, আবুল কালাম আজাদ ও মো. সামিউলের সঙ্গে গাজীর বিরোধ চলছিল। দুই পক্ষই অপর পক্ষের জমির উপর দিয়ে চলাচল করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেকবার তর্কাতর্কি হয়েছিল। এরই জেরে রোববার প্রতিপক্ষের লোকজন রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে গাজীকে মারধর করে।
গাজীর স্ত্রী রাণী বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীরে ওরা ধইরা নিয়া বাইন্দা মাইরপিট করে। কত ডাকচিৎকার পারলো। ওগোরে ডরে কেউ ফিরাবার যাবার সাহস পাই নাই। আমি এর বিচার চাই।’
গাজীর ভাই জালাল জানান ফেসবুকে মারধরের ভিডিও দেখে তিনি ৯৯৯ এ কল দিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ গিয়ে গাজীকে উদ্ধার করে।
গাজীকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করেছেন আবুল কালাম আজাদের পুত্রবধূ হাছনা হেনা। তিনি বলেন, ‘গাজী আমাদের অত্যাচার করছে, তাই তারে বাইন্দা রাইখে কিছু মাইরপিট করা হইছে।’
ঝিনাইগাতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাজী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন জানিয়ে চিকিৎসা কর্মকর্তা তাসনুভা হোসেন বলেন, ‘এখন তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।’
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে আহত অবস্থায় গাজীকে উদ্ধার করেছি। অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করেছি।’
আরও পড়ুন:সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক আবুল খায়ের কল্যাণ সংস্থা (একেকেএস)।
জেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার প্রথম আলো বন্ধুসভা এ সম্মাননা দেয়।
ওই সময় এক হাজার ৩৫৭ শিক্ষার্থীর সামনে সম্মাননাটি গ্রহণ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসে শিতাব।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে প্রথম আলো বন্ধুসভা আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় একেকেএসকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন, প্রথম আলোর পলিটিক্যাল এডিটর কাদির কল্লোল সম্মাননা স্মারকটি হাতে তুলে দেন।
আবুল খায়ের কল্যাণ সংস্থার যাত্রা শুরু হয় এক কক্ষের টিনের ঘরে। নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের গরিব ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া ছিল এর প্রধান লক্ষ্য।
বিগত আড়াই বছর ধরে প্রতি রোববার সংগঠনের পক্ষ থেকে দুজন এমবিবিএস চিকিৎসক বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করে আসছেন। পাশাপাশি কম্বল বিতরণ, কৃতী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা এবং ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং দেয়াসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে সংগঠনটি।
নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মঈদুল হোসাইন মার্শাল সংগঠনটির উদ্যোক্তা।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে শহিদুল আলম নামে এক ব্যক্তির মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে ১৬ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বহেরার চালা এলাকা থেকে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৪১ বছর বয়সী আব্দুল কুদ্দুস টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানাধীন ভাবনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, ২০০৪ সালে ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ৩৪ বছর বয়সী শহিদুল আলম ও তার বন্ধু আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন।
সঞ্চয়, ঋণদান ও ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল তারা। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একসময় তাদের অ্যাকাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে শহিদুলকে হত্যার পূর্ণ ছক আঁকে আব্দুল কুদ্দুস। ২০০৬ সালের ২০ মে শাহিন নামের একজনের জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলে বন্ধু শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলা হয়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাধীন বেতুলিয়া গ্রামে নিয়ে সন্ত্রাসী রাজা মিয়াসহ সাহেদ, আব্দুল কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপার গলায় রশি পেচিয়ে, রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় গোপন করার উদ্দেশে গলা কেটে নিথর দেহ থেকে শহিদুলের মাথা আলাদা করে ফেলা হয়। পরে সাটুরিয়ায় মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খণ্ডিত মাথা ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পরদিন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আ. জলিল অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, মামলা হওয়ার পর থেকেই হত্যায় জড়িত আব্দুল কুদ্দুস পলাতক ছিল। সে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে আপন মামাতো ভাইয়ের নাম, বাবার নাম ও মায়ের নাম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। সেখানে আব্দুল কুদ্দুস তার মামাতো ভাইয়ের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি গ্রহণ করে বসবাস করে আসছিল। সে তার বাবার নাম রহম আলী বলে পরিচয় দিত।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুসকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫০ নেতা-কর্মীর মধ্যে ৪২ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
দায়রা জজ আদালতে নেতা-কর্মীরা আত্মসমর্পণ করলে রোববার দুপুর ১টার দিকে ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মোতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হালিম হোসেন জানান, ৩০ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। ওই মামলায় ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন নেতা-কর্মীরা।
তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার ৪২ নেতা-কর্মী দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। পরে আদালত তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন বিএনপি নেতা-কর্মীদের জামিন মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দায়রা জজ আদালতে তারা জামিনের আবেদন করেন। এতে আদালতের বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে রোববার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জনসভায় যোগ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সকালে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে বেলা সোয়া ৩টার দিকে জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।
গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চে উঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। পরে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তার জনসভাস্থল। রাজশাহী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রোববার সকাল ৮টার দিকে মাঠে ঢুকতে শুরু করেন, যেটি দুপুরের আগেই ভরে যায়।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাজশাহী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয়, যাতে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা জনসভা পরিচালনা করছেন।
সভার শুরুতে চারটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রেজোয়ানুল হক পিনু মোল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নেতা তন্ময় শর্মা পবিত্র গীতা, খায়রুল বাসার টোটন বাইবেল পাঠ এবং শ্রাবণী বড়ুয়া ত্রিপিটক পাঠ করেন।
সভার শুরুতেই বক্তব্য দেন নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন জলিল জয়। এরপর একে একে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভাস্থল ভরে যাওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন আশপাশের এলাকায়। িনগরীর ১৩টি পয়েন্ট লাগানো হয়েছে বড় পর্দা, যেগুলোতে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে জনসভা।
জনসভাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে। সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও র্যাব তল্লাশি চালিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের। জনসভাস্থলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আগমনের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে তার জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ।
রাজশাহী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রোববার সকাল ৮টার দিকে মাঠে ঢুকতে শুরু করেন। দুপুরের আগেই পুরো মাঠ ভরে যায়।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাজশাহী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয়, যাতে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা জনসভা পরিচালনা করছেন।
সভার শুরুতে চারটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রেজোয়ানুল হক পিনু মোল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নেতা তন্ময় শর্মা পবিত্র গীতা, খায়রুল বাসার টোটন বাইবেল পাঠ এবং শ্রাবণী বড়ুয়া ত্রিপিটক পাঠ করেন।
সভার শুরুতেই বক্তব্য দেন নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন জলিল জয়। এরপর একে একে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভাস্থল ভরে যাওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন আশপাশের এলাকায়।
নগরীর ১৩টি পয়েন্ট লাগানো হয়েছে বড় পর্দা, যেগুলোতে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে জনসভা।
জনসভাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে। সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও র্যাব তল্লাশি চালিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের।
জনসভাস্থলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:কুমিল্লার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শিখন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উপজেলা প্রশাসন।
কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানার উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপ ‘শিক্ষায়তন’ ব্যবহার করে উপজেলা ও জেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিখন ব্যবস্থাপনায় এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। রুটিন থেকে শুরু করে লেসন প্ল্যান, শিক্ষা সহায়ক ডিজিটাল উপকরণসহ শিখন কার্যক্রমের পুরোটা এখন চলছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
নতুন বছরের শুরুতে অ্যাপ ভিত্তিক শিখন শেখানো কার্যক্রম হাতের মুঠোয় পেয়ে খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেও এ অ্যাপ হতে পারে দারুণ সহায়ক।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্তমানে কুমিল্লার ৫টি স্কুলে বাস্তবায়নাধীন আছে সফটওয়্যারটি। স্কুল ৫টি হলো কুমিল্লার কালেক্টরেট স্কুল, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাধীন শিদলাই আশরাফ স্কুল, ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ওশান হাই স্কুল এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। মূলত এই প্ল্যাটফর্মে স্কুলের সব কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপে করতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ইউএনও সোহেল রানা বলেন, ‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ধারণাটি বেশ পুরনো। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্যানভাস, মুডল, স্কুলজি, ব্ল্যাকবোর্ড ইত্যাদি নানা ধরনের লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার আছে। এগুলো স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার থেকে কিছুটা ভিন্ন ধাচের। তবে নানা ধরনের সফটওয়্যার এর ডিজাইন বিশ্লেষণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন আঙ্গিকে সফটওয়্যারটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
‘সফটওয়্যার প্রস্তুত ও স্কুলে বাস্তবায়নের এই উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কুমিল্লার সাবেক ও বর্তমান জেলা প্রশাসক। আমাদের প্রণীত ডিজাইনে সফটওয়্যারটি প্রস্তুত করেছে বিজনেস একসিলারেট লিমিটেড নামে এক কোম্পানি। প্রথমে আমরা কুমিল্লার সব স্কুলে এটি বাস্তবায়ন করতে চাই ও পরবর্তীতে সরকার বড় পরিসরে পুরো বাংলাদেশে এটি ছড়িয়ে দিতে পারে। শিক্ষার মানোন্নয়নে ও সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নেও এটি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়নের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে যেগুলো মোকাবিলা করে সামনে এগুতে হবে।’
সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব জনাব মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসনে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে আসছি। কাজ করতে গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করে তোলার কথা মাথায় আসে। ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা শিক্ষাক্ষেত্রে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আধুনিকায়নের কথা বললে আমরা সেই অভাব পূরণের লক্ষ্যে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি এবং পরবর্তীতে তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেই। সেখান থেকেই মূলত শিক্ষায়তনের যাত্রা শুরু।’
শিক্ষায়তনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা বিজনেস একসিলারেটের সিইও কামরুল হাসান সুমন বলেন, ‘এ ধরনের সফটওয়্যারের ব্যবহার দেশে নেই। দেশে প্রচলিত সফটওয়্যারগুলোতে ক্লাসরুমে কী পড়ানো হচ্ছে সে বিষয়টি সংযোগ করার অপশন কম। শিক্ষায়তনের মাধ্যমে অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন তার বাচ্চারা কী পড়ছে। যেগুলো আছে (যেমন টেন মিনিট স্কুল) তাদের অধিকাংশ কনটেন্ট নির্ভর সেবা দেয়। আমাদের এই সফটওয়্যার কনটেন্ট নির্ভর নয়।
‘জেলা প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে এরকম সফটওয়্যার এর ডিজাইন অভাবনীয়। আমরা এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং ভবিষ্যতে এটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
উপজেলার ভগবান সরকারি স্কুলে শিক্ষায়তন বাস্তবায়ন করছেন বিজ্ঞান শিক্ষক মহিউদ্দিন পলাশ। তিনি জানান, শিক্ষায়তন এমন একটি সফটওয়্যার যেখানে এক কথায় শ্রেণি কার্যক্রমের সবকিছু রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে উন্নতমানের শিক্ষা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বিশেষ করে তাদের টিচিং প্ল্যান সাজানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে ৪০০ বাস-ট্রাকে রাজশাহী যাচ্ছেন নওগাঁ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রোববার ভোরে তারা রওনা দিয়েছেন জনসভার উদ্দেশ্যে।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় রোববার দুপুরে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের জনসমাগম হবে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এরই মধ্যে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এই জনসভা থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন।
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রায় ২৫০ বাস ও ১৫০ ট্রাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলোতে করেই জেলার ৯৯ ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা জনসভায় যাবেন। প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর জন্য নির্দিষ্ট টিশার্ট ও ক্যাপ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন জানান, নওগাঁ থেকেই ৭০ হাজারের মত লোক সমবেত হবেন জনসভায়। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে দেয়া বাস-ট্রাক ছাড়াও ব্যক্তিগত যানবাহনে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ওঠে আসা মূল্যবান দিকনির্দেশনা নিয়ে আগামীতে আরও গতিশীলতা নিয়ে কাজ করবে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় বলেন, ‘প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য নওগাঁর নেতা-কর্মীরা অধীর আগ্রহে রয়েছেন। আমরা রওনা দিয়েছি রাজশাহীর পথে। শুধু দলীয় নেতা-কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও আমাদের নেত্রীর ভাষণ শুনতে ও তাকে দেখতে জনসভায় যোগ দেবেন।’
দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা তথা আগমন ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য