একটি দেশের আমদানি নিশ্চিত করতে যে পরিমাণ রিজার্ভ দরকার, বাংলাদেশে তার চেয়ে বেশি আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে বলে মনে করে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘এখন সবাই রিজার্ভ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছে।’
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর কেবল বাংলাদেশে নয়, দেশে দেশেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে বলেও জানিয়েছেন সরকার প্রধান। বলেছেন, ব্যাংকে টাকা রাখা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের টাকাকেই বরং ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে চোরের হাতে তুলে দেয়ার উপক্রম হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বা স্বাচিপের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্যানে পৌঁছে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ প্রধান। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব এম এ আজিজ। স্বাচিপের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হওয়ায় সম্মেলনস্থল রূপ নেয় জনসভায়।
এরপর দীর্ঘ বক্তব্যে তার সরকারের আমলের উন্নয়ন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমহ্রাসমান রিজার্ভ পরিস্থিতি, ব্যাংকে টাকা রাখা নিয়ে গুজব প্রসঙ্গ, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমেরিকার বিভিন্ন নীতি নিয়ে বক্তব্য উঠে আসে।
বিদেশি ঋণ নিয়েও আশ্বস্ত করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ঋণ পরিশোধের সব পরিকল্পনাই করা আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যত ঋণ নেই, সময় মতো সব পরিশোধ করি। একমাত্র বাংলাদেশ কোনোদিন ডিফল্টার হয়নি। যত সমস্যা হোক, ঋণ বিতরণে এবং ঋণ পরিশোধ সবসময় ধরে রাখি।’
তার সরকারের শাসনামলে দেশের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা তৃতীয়বারে মতো এখন সরকারে। অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।’
২০০১ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, তার সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চায়।
‘প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই আছে রিজার্ভ’
এর মধ্যে শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি কথা বলেন রিজার্ভ নিয়ে। সোয়া এক বছরের মধ্যে রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন কমে ৩৪ বিলিয়নের কোটায় নেমে আসার পর এ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তারও জবাব দেন। বলেন, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়নে তুলেছিল তার সরকারই। এরপর করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেশি দামে পণ্য কিনতে গিয়ে রিজার্ভ কমেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে অতি চর্চা হচ্ছে বলেও মনে করেন সরকার প্রধান। বলেন, ‘কিছুদিন থেকে শুনলাম আমাদের দেশের সবাই রিজার্ভ সম্পর্কে এবং অর্থনীতি সম্পর্কে ভীষণভাবে পারদর্শী হয়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে চায়ের দোকানে রিজার্ভ নিয়ে কথা। সেখানে আমার কথা হচ্ছে জাতির পিতা তো যাত্রা শুরু করেছেন শূন্য রিজার্ভ নিয়ে। তিনি এই দেশটাকে গড়ে তুলেছিলেন।’
করোনাকালে আমদানি-রপ্তানি, হুন্ডি, বিদেশ যাওয়া বন্ধ থাকায় দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পরে তা কমে।
এখনও যে রিজার্ভ আছে, তা যথেষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ রাখা লাগে কীসের জন্য? যদি কোনো দৈব-দুর্বিপাক হয়, আমার তিন মাসের খাবার যেন আমি আমদানি করতে পারি।…আমাদের খরচ হচ্ছে রিজার্ভ। এটাও ঠিক। আমি বলব, আমাদের এখন যে রিজার্ভ তাতে তিন মাস না আমরা পাঁচ মাসের আমদানি করতে পারি এই পরিমাণ অর্থ আমাদের কাছে আছে।’
আমদানি যেন করতে না হয়, সেজন্য দেশের মানুষকে, এক ইঞ্চি জমি ফেলে না রেখে উৎপাদন করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান সরকারপ্রধান। বলেন, ‘নিজেরটা নিজে করে খান, নিজে সাশ্রয় করেন, নিজের খাদ্য নিজে যোগান দেন। আমরা কিন্তু তা করতে পারি। কারণ বাংলাদেশ মানুষ তা পারে।’
রিজার্ভ কমার সমস্যাটা কেবল বাংলাদেশের নয় বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেরই রিজার্ভ কমে গেছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে কিছু সহযোগিতা করেছি, আরও অনেক দেশ কিন্তু ওই সহযোগিতার পর আমাকে অনুরোধ করেছে। আমি নাম বলতে চাই না, কিন্তু আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি যে আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। কারণ, এখন যেটুকু রিজার্ভ তা আমার দেশের জন্য প্রয়োজন, সেটা আমাকে রাখতে হবে।’
কেন কমেছে রিজার্ভ
এই ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রী আগেও দিয়েছেন। আবার উল্লেখ করলেন। বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও ভোজ্য তেলসহ পণ্যমূল্যের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। সেই ধাক্কাটা দেশেও লেগেছে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড শেষ হলে আমাদের আমদানি বেড়েছে, রপ্তানি বেড়েছে, কাজ বেড়েছে।…এখন খাদ্য কেনা, যত দামই বাড়ুক।
‘ইউক্রেন থেকে আমরা গম কিনি, রাশিয়া থেকে গম কিনি। যুদ্ধকালীন সময়ে পাইনি। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কোন কোন জায়গায় পাওয়া যায়, যত বেশি দাম হোক… ২০০ ডলারে যে গম পাওয়া যেত ৬০০ ডলারে আমরা কিনে নিয়ে আসি।
‘ভোজ্য তেলেও একই অবস্থা। সেই ব্রাজিল থেকে শুরু করে পৃথিবীর যে দেশে পাওয়া যায়, যত দাম হোক, আমরা নিয়ে আসছি। মানুষের যেগুলো ভোগ্যপণ্য তার যেন কোনোরকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য যথাযথ কাজ আমরা করে যাচ্ছি, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
ভোগ্যপণ্যের কোনো অসুবিধা হবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে, রাশিয়া থেকে আমরা আমদানি শুরু করেছি। যদিও স্যাংশনের কারণে ডলারে পেমেন্টের অসুবিধে। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা কিভাবে করা যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
করোনার টিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘শুধু ভ্যাকসিনের মূল্য ধরলে তো হবে না। এর সঙ্গে সিরিঞ্জ কিনতে হয়েছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি মাত্র এক কোটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে পারে। তখন ছোট সিরিঞ্জ পাওয়া যাচ্ছিল না বিদেশে। বলে, একটু বড় সাইজ, পয়সা বেশি লাগবে। আমি বলি, লাগুক, আনতে হবে। যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে সোজা প্লেন পাঠিয়ে কোটি টাকা খরচ করে আমরা কিন্তু নিয়ে এসেছি, মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি।
‘ভ্যাকসিন রক্ষণাবেক্ষণ, ফ্রিজার কিনে সংরক্ষণ, পরিবহন ব্যয় গ্রাম থেকে শহরে তা নিয়ে যেতে অর্থ খরচ হয়েছে।’
বিনা খরচে করোনাপ্রতিরোধী টিকা দেয়ার কথাও স্মরণ করান শেখ হাসিনা। সবাইকে ভাইরাসটির বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। চিকিৎসা সেবায় যারা জড়িত তাদের অবশ্যই নিতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মজার ছলে বলেন, ‘যে না নেবে, তাকে ফাইন করব।’
টাকা বাড়িতে রাখলে চোরে নেবে
ব্যাংকে রাখা অনিরাপদ বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজবে বিশ্বাস করে যারা টাকা তুলে ফেলছেন, তাদেরকে সতর্কও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘একটা গুজব ছড়াচ্ছে, টাকা ব্যাংকে নাই, টাকা পাবে না। সবাইকে টাকা ব্যাংক থেকে তুলে যাতে ঘরে রাখে।
‘ঘরে টাকা রেখে তো চোরকে সুযোগ করে দেয়া, তাই না? চোরের পোয়াবারো! তারা বেশ ভালোভাবে জানবে ওই বাড়িতে টাকা আছে, যাই চুরি করি। চোরের হাতে তুলে দেবেন নাকি ব্যাংকে টাকা থাকবে, টাকার মালিক যারা তাদের ওপরই নির্ভর করে।’
‘মন্দা তো উন্নত বিশ্বেও, দেশের অর্থনীতি গতিশীল’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘সেখানে আমি সবাইকে আহ্বান করেছি যেন কৃচ্ছ্র্রতা সাধন করে। সবাইকে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ, পানি, বা খাদ্য কোনো কিছু যেন অপচয় না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালোই আছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা বা সক্ষমতা আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। যদিও আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা হয়।
‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা…বিশ্বব্যাপী, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, তারওপর আমেরিকার স্যাংশন, ইউরোপের স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন, যার ফলে আজকে প্রতিটি জিনিস আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়টি সামনে এনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে। সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা আছে। আমরা কিছু অগ্রগতিও পাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা
মানবাধিকারের কথা বললেও বঙ্গবন্ধুর সাজাপ্রাপ্ত খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রাখা এবং র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দৃষ্টিতে বিশ্বের এই পরাশক্তির নীতি দ্বিমুখি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় এক খুনি রয়ে গেছে। তাকে বার বার আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে, আমেরিকা সেই খুনিকে লালন পালন করছে।’
পরক্ষণেই যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অবশ্য আমেরিকার কারবারই এ রকম। এখানে যখন একজন ড্রাগ ডিলার, যখন ড্রাগসহ তাকে ধরতে গেছে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে, র্যাব ধরতে গেছে হামলা করেছে। ১৪টা মামলার আসামি এবং ড্রাগসহ ধরা পড়ে তার গ্রুপ পুলিশের ওপর গুলি করে, র্যাবের ওপর গুলি করে, তারপর সেও গুলি খায়, মারা যায়। তার জন্য আমাদের দেশের কিছু লোক বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে বেড়ায়।
‘অথচ এই ড্রাগ ডিলারদের খোঁজ আনতে যেয়ে, ধরতে যেয়ে আমাদেরই একজন এয়ার ফোর্সের অফিসার, তাকে ড্রাগ ডিলাররা অপহরণ করে নিয়ে যায়, অত্যন্ত নির্মমভাবে তাকে মারে, হত্যা করে।
‘এ ব্যাপারে তাদের কিন্তু উদ্বেগ নেই, মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও উদ্বেগ নেই বা যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেয়, আমেরিকা, তাদেরও কোনো উদ্বেগ নেই, কারও কোনো উদ্বেগ নেই। কেমন একটা অদ্ভুত বিশ্ব পরিস্থিতি, সেটাই আমার অবাক লাগে।’
দেশের উন্নয়নের বর্ণনা
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের উন্নয়নে কী কী করেছেন, সে কথা আবারও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বক্তব্যের মাঝে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিলে তাদের থামিয়ে তিনি বলেন, ‘স্লোগানটা একটু পরে। অনেক কথা বলার আছে, একটু বলে রাখি। শুনি, আমরা নাকি কিছুই করিনি। তাই যখন যে সেক্টরে যাচ্ছি, সেই সেক্টরে কী কাজ করেছি, একটু মানুষকে জানানো দরকার।
‘আসলে বাংলাদেশের মানুষ তো, ছয় ঋতুর দেশ। দুই মাস পর ঋতু বদলায়, পাখির ডাক বদলায়, পশু-পাখির কলকাকলি বদলায়, বাতাসের গতি বদলায়, মানুষের মনও বদলায়, আর যা কিছু করি ভুলে যায়। ভুলে যেন না যায়, মাঝে মাঝে একটু স্মরণ করাতে হয়।’
অন্য সব খাতের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা প্রতিষ্ঠা করব। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় আমরা মেডিক্যাল কলেজ করে দিচ্ছি।’
চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।
আরও পড়ুন:
নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল।
নেত্রকোনায় গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোনা জেলা শাখা। গত রোববার বিকাল ৩ টায় নেত্রকোনা কালেক্টরেট মাঠ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা জামায়াত। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বদরুল আমিনের সঞ্চালণায় ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও নেত্রকোনা -২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও পূর্বধলা আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনার -৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ও নেত্রকোনা-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক খায়রুল কবির নিয়োগী, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, নেত্রকোনা-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল হাসিম, নেত্রকোনা পৌর জামায়াতের আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি ইয়াসিন মাহমুদ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন নেতারা। বক্তারা বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিতে হবে। জুলাই সনদের আইনে ভিত্তি দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোনো কোনো জায়গায় একটি দল আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে। আমরা বলতে চাই, এটি বন্ধ করুন। আওয়ামী লীগের মত ফ্যাসিস্ট হইয়েন না। তাহলে জনগণ আপনাদের সাথেও আওয়ামী লীগের মতোই আচরণ করবে। জেলা জামায়াতের আমীর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষ যেনতেন কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না। প্রশাসনকে বলবো নিরপেক্ষ আচরণ করুন। কোন দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন না। এরপর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াতের ২ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে চায় বিএনপি। আর ঐক্য বজায় রাখতে কেউ যেন বিভেদের পথে না যায় সেই বার্তাও দিতে চায় দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক হচ্ছে। দল ও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার বার্তা দিতেই হাইকমান্ডের এই বৈঠক করছে বিএনপি।
এ সময়, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যনির্ভর মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তরুণ-যুবকদের রাজনৈতিক ভাবনাকে ধারণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কর্মসূচি প্রণয়ন করবে বিএনপি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন।
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলমগীর আলম (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিয়াজ ও আকিব নামে দুইজন যুবদল নেতাও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আলমগীর আলম বিএনপি নেতা। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।
আলমগীরের ছেলে আসফায়েত হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে পূর্ব রাউজান রশিদ পাড়ায় ফুফুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে আমার বাবাকে হত্যা করে।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে বিএনপি নেতা আলমগীর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে যারা হত্যা করেছে- তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ৭ অক্টোবর উপজেলার বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) রাউজানের খামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলায় আরও একটি হত্যার ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে জানা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘আদর্শ ও মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বিভেদের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাবো।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুই-চার কলাম লেখার জন্য আমাকে প্রায় সাড়ে নয় বছর নির্বাসনে থাকতে হয়েছে, আয়নাঘরে থাকতে হয়েছে, নির্যাতনে কারাগারে থাকতে হয়েছে। কিন্তু কখনো সংগ্রামের পথ থেকে পিছিয়ে যাইনি।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘এক সময় আমি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলাম। করোনারি কেয়ার ইউনিটের একটি সেলে আমাদের রাখা হয়। তিনি অনশন শুরু করলে তাকে বলেছিলাম, আপনি মারা গেলে শেখ হাসিনা খুশি হবে, দয়া করে অনশন ভঙ্গ করুন। ছয়-সাত দিন পর মুরুব্বিরা দেখা করে তার অনশন ভাঙ্গান।’
ছাত্রদের অভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাস বুকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের রক্তঝরা দিনগুলো স্মৃতিতে ধরে রেখে, তার ভিত্তিতেই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। সন্তানদের জন্য একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আমাদের দায়িত্ব।’
আমাদের সন্তানদের রক্তের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে বলে সকলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং মানিকগঞ্জ-১ আসনে এমপি প্রার্থী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে ভোট নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। সাধারণ ভোটাদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে মিথ্যা অপব্যাখ্যা দিয়ে বলে বেড়াচ্ছে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে জান্নাতে যাওয়া যাবে, নাওজুবিল্লাহ দেখেন কত বড় মিথ্যাবাদী।
তিনি বলেছেন, কোরআন শরীফের নিয়ম মেনে ও আল্লাহর সকল কিছু মেনে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হলে একমাত্র জান্নাত পাওয়া যেতে পারে। ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াতের মিথ্যা কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। স্বাধীনতাবিরোধী মিথ্যাবাদী, প্রতারণাকারী জামায়াতকে প্রতিহত করতে হবে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ঘিওর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথ বলেন।
ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানে আলমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হেসেন দিপু, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস ও জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা” বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে যাতে তারা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে নিজের যত্ন নেওয়া এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা।”
তারেক রহমান জানান, ভবিষ্যতে মেধাবীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা ও প্রণোদনা বাড়ানো হবে।
তারেক রহমান বলেন, “বিগত ১৫ বছরে প্রচুর অর্থবিত্ত পাচার হয়ে গেছে। পানির অপর নাম জীবন তাই খালগুলো পুনঃখনন ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে যে খাল খনন কর্মসূচি নিয়েছিলেন, তা পুনরায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানির সংকট ও আর্সেনিক সমস্যা সমাধানের পথ উন্মুক্ত হবে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “মেধাবীদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামীর নেতৃত্ব। তরুণরা যেন বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারে ভাষা শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে স্কুল থেকেই দক্ষতা গড়ে তোলা হবে।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো মেধাবী যেন আর ঝরে না পড়ে, সে লক্ষ্যে সরকার গঠন করলে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগান্তকারী সংস্কার আনা হবে।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ।
প্রধান অতিথি তারেক রহমানের বক্তব্যের আগে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তর দেন।
উল্লেখ্য যে, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট ১০ হাজারের ওপর শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এরমধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে এক লাখ করে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য