× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Argument with judge Khulnas 3 lawyer leaders insulted
google_news print-icon

বিচারকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা: খুলনার ৩ আইনজীবী নেতাকে ভর্ৎসনা

বিচারকের-সঙ্গে-বাগবিতণ্ডা-খুলনার-৩-আইনজীবী-নেতাকে-ভর্ৎসনা
সুপ্রিম কোর্ট ভবনের একাংশ। ফাইল ছবি
খুলনা বার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে মাফ করে দিন।’ এ সময় আদালতে থাকা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা লজ্জিত, তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।’

এক বিচারকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ঘটনায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট।

সভাপতি সাইফুল ইসলাম ছাড়াও খুলনা বারের সদস্য শেখ নাজমুল হোসেন ও শেখ আশরাফ আলী পাপ্পু।

মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের এ ভর্ৎসনা করে।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে আজ এ তিন আইনজীবী হাজির হন। পরে তাদের পক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরসহ একাধিক আইনজীবী।

শুনানির সময় আদালত খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে উদ্দেশ করে বলে, ‘আপনি একজন বিচারকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন কোনো সভ্য সমাজের মানুষ এ আচরণ করতে পারে না।’ কোনো সভ্য লোক কি বিচারকের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারে এমন প্রশ্নও করে আদালত।

বিচারক বলেন, ‘বার সভাপতি হয়ে আদালতে দাপট দেখাচ্ছেন। তাদের পক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা কেন এসব মানুষের পক্ষ নিয়ে আদালতে আসেন? আপনারা তাদের পক্ষে দাঁড়ালে আমরা বিব্রত হই।’

মানুষ কতটা নিচু হলে একজন বিচারকের সঙ্গে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারে- এমনটি উল্লেখ করে বিচারক বলেন, ‘একজন আইনজীবীর কথা হবে ভদ্রতাসুলভ। বরং আপনারা যেটা করেছেন সেটা চর দখলের মতো করে।’

তখন খুলনা বার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে মাফ করে দিন।’

এ সময় আদালতে থাকা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা লজ্জিত, তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।’

আদালত বলে, আইনজীবীরা যদি আদালতের সঙ্গে এ রকম আচরণ করেন তাহলে আদালত, বার কিছুই থাকবে না। তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।

তিন আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ছাড়াও সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, নাহিদ সুলতানা যুথি, রবিউল আলম বুদু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এ সময় ওই তিন আইনজীবীর পক্ষে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিচারক বলেন, ‘যারা আদালত অবমাননা করে, বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, আপনারা তাদের পক্ষ নিয়ে আসবেন না।’

পরে এ বিষয়ে আগামীকাল আদেশের জন্য রেখে আজকের জন্য মুলতবি রাখে।

গত ১ নভেম্বর খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ) নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে তলব করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ) নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর একটি মোকদ্দমায় আইনজীবী পিযুষ কান্তি দত্ত জেরা করছিলেন। সে সময় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম শেখ আশরাফ আলী পাপ্পু, শেখ নাজমুল হোসেন, জেসমিন পারভিন, এম এম সাজ্জাদ আলী, এস এম তারিক মাহমুদ তারা (সাধারণ সম্পাদক), সুস্মিতা, সাদিক সাদ, মিল্টন বাগচী, রাজুসহ একাধিক আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেন এবং সামনে দাঁড়িয়ে গুঞ্জন করতে থাকেন।

তখন বিচারক বলেন, ‘আপনারা বসেন’। কিন্তু তারা তার কথায় কর্ণপাত না করে তাদের মতো গুঞ্জন করতে থাকেন। একপর্যায়ে বারের সভাপতি সাইফুল ইসলাম কৈফিয়ত তলবের সুরে বলেন, ‘আমরা একটা মোকদ্দমায় উভয় পক্ষ সময়ের দরখাস্ত করেছিলাম, আপনি সেই দরখাস্ত নামঞ্জুর করেছেন। এরপর জিপি সাহেব হাতে লেখা দরখাস্ত দিয়েছেন। তারপর সাক্ষী হয়েছে। পরে আমরা সময়ের দরখাস্ত দিলে নেয়া হয়নি। কেন নেয়া হয়নি এবং সময়ের দরখাস্ত কেন নামঞ্জুর করলেন, আমাকে বলতে হবে।' তখন বিচারক বলেন, 'সভাপতি সাহেব আপনি এভাবে আমার কাছে জানতে চাইতে পারেন?' উনি বলেন, 'কিভাবে পারি। কোনভাবে জানব, বলেন।' বিচারক বলেন, 'আপনি আমার কাছে সময়ের আবেদন করছেন। আমি নামঞ্জুর করছি। আদেশে কারণ দেখে নিবেন। কিন্তু আপনি আমার কাছে এখন কৈফিয়ত তলব করলে তো হবে না।'

তখন তিনি (উক্ত আইনজীবী) বলেন, 'কৈফিয়ত চাচ্ছি তো। কারণ আপনি যখন টাকা নিয়ে, ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে সিদ্ধান্ত দেন, সেটার তো জবাব আমরা চাই না।'

তিনি আবার বলেন, 'আপনি টাকা নিয়ে, ঘুষ নিয়ে বে-আইনিভাবে কাজ করেন...'। তিনি (সংশ্লিষ্ট বিচারক) বলেন, 'না না, এভাবে বলতে পারেন না।' উক্ত আইনজীবী ধমক দিয়ে বলেন, 'দাঁড়ান আপনি।'

আরও পড়ুন:
২৬৩ বিচারপতি-আইনজীবীর স্মরণে ফুলকোর্ট রেফারেন্স
বিচারককে গালির অভিযোগে আইনপেশায় ১৫ দিন বিরতির নোটিশ
বিচারকের বিরুদ্ধেই জমি দখলের অভিযোগ
নাশতা খেয়ে হাসপাতালে বিচারক দম্পতি, ভাতিজি ‘পলাতক’
আদালতকে প্রতারণায় বিচারকের মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Alleged rape of intellectually challenged girl in Natore Youth arrested

নাটোরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

নাটোরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি
পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘ঘটনা শুনে কিশোরির মা শরনখোলা থানায় মামলা করলে আমাদের অভিযানে গভীর রাতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

বাগেরহাটে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জেলার শরণখোলায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফয়জুল ইসলাম ওরফে মিজানকে গ্রেপ্তার করে।

ওই কিশোরীকে শুক্রবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শরণখোলা উপজেলার একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাবা গত ২৩ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায়। এ সময় তার মা তাকে পাশের ফুফুর বাড়িতে রেখে ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য খুলনায় যান।

এ সুযোগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী ফয়জুল ইসলাম মিজান ওই কিশোরিকে ধর্ষণ করে। খুলনা থেকে তার মা বাড়িতে আসলে ওই কিশোরী ধর্ষণের কথা খুলে বলে।

পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘ঘটনা শুনে কিশোরীর মা শরনখোলা থানায় মামলা করলে আমাদের অভিযানে গভীর রাতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed in road accident in Gopalganj

ইজিবাইকে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত

ইজিবাইকে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে শুক্রবার বাস ও ইজিবাইকের ধাক্কায় দুর্ঘটনার পর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা। ছবি: নিউজবাংলা
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই মো. আবু নোমান জানান, বাসটিকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা। এ কারণে মহাসড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ইজিবাইকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ইজিবাইকে থাকা আরও চারজন।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মুকসুদপুর উপজেলার দাশেরহাট এলাকার বি কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন কাশিয়ানী উপজেলার আকমাল শেখের স্ত্রী রানু বেগম ও একই ইউনিয়নের হায়াত শেখ।

দুর্ঘটনায় আহত হন ইজিবাইকের চালক ফুল মিয়া, যাত্রী লামিয়া, জাবেদা ও খুকি বেগম।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. আবু নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দোলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খুলনার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাশেরহাট এলাকার বি কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে কাশিয়ানী থেকে ছেড়ে আসা মুকসুদপুরগামী একটি ইজিবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন।’

তিনি জানান, ওই সময় বাসটিকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা। এ কারণে মহাসড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১৫ মিনিটের চেষ্টায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত যাত্রীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আবু নোমান।

আরও পড়ুন:
বছিলায় অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত, আহত ৫  
বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে সৌদিপ্রবাসী নিহত
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে প্রাণ গেল নারী শিক্ষা কর্মকর্তার
মাঝ নদীতে নৌকা ভেঙে পানিতে ইউএনও-এসিল্যান্ড-ওসি
গাছে বাইকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ডুয়েট ছাত্রের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Surprised at Bachchu Razakars supporters NGO management

বাচ্চু রাজাকারের আশ্রয়দাতার এনজিও কারবার নিয়ে বিস্ময়

বাচ্চু রাজাকারের আশ্রয়দাতার এনজিও কারবার নিয়ে বিস্ময় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী আবু ইউসুফ। ছবি: নিউজবাংলা
আবু ইউসুফের এনজিও পরিচালনা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই রকম একজন অপরাধী কীভাবে হাইকোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে এনজিও পরিচালনা করছে, সেটা অবশ্যই সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০১২ সালের ২ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী সাবেক জামায়াত নেতা ও তৎকালীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। এরপর কারাগার থেকে বের হয়েই সবার চোখের সামনে গড়ে তোলেন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সাম্রাজ্য। সেই এনজিও দেশ-বিদেশ থেকে আনছে বিপুল অর্থ।

বাচ্চু রাজাকারকে সহায়তাকারী কীভাবে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে এনজিও চালাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

ঘটনার সময় ২০১২ সালের ৩০ মার্চ। ওই দিন একটি মাইক্রোবাস করে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে প্রথমে আগারগাঁওয়ের নিজের বাসায় লুকিয়ে রাখার পর ওই বছরের ২ এপ্রিল হিলি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন আবু ইউসুফ। এরপর কী করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে গেলেন, তা নিয়ে দেশে শুরু হয় হইচই।

আবু ইউসুফ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটি জানায়, গ্রেপ্তার আবু ইউসুফ পিসল্যান্ড কোম্পানির একটি মাইক্রোবাসে করেই বাচ্চু রাজাকারকে পালাতে সহযোগিতা করেছিলেন।

বাচ্চু রাজাকারের আশ্রয়দাতার এনজিও কারবার নিয়ে বিস্ময়

ওই গাড়িতে ছিলেন বাচ্চু রাজাকারের ছেলে মুহাম্মদ মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ, আবু ইউসুফ ও বাচ্চু রাজাকার। এরপর আদালতে নিজের জবানবন্দিতেও তার অপরাধ স্বীকার করেন আবু ইউসুফ। পরে এই অপরাধের দায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন তিনি।

এরপর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। এখন কী করছেন সেই আবু ইউসুফ, কোথায় আছেন তিনি, এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজ করে জানা গেছে, তিনি এখন গড়ে তুলেছেন এনজিও সাম্রাজ্য। রাজধানীর শ্যামলী এক নম্বর রোডের ওয়ান বাই বি ঠিকানায় অ্যাসোসিয়শেন ফর ম্যাস এডভাসমেন্ট নেটওয়ার্ক (আমান) নামের একটি এনজিও পরিচালনা করেন তিনি। কাজ করছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমান ছাড়াও চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, আল ইমদাদ ফাউন্ডেশনের নামে কয়েকটি সহযোগী সংস্থাও চালাচ্ছেন এই আবু ইউসুফ।

এসব বিষয়ে কথা হয় আবু ইউসুফের সঙ্গে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার এই প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১৯৯৫ সালে। ২০০২ সাল পর্যন্ত এটা লোকাল ফান্ডে চলে। এরপর এটা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ২০১২ সালে আমি গ্রেপ্তার হয়ে ২ মাস ২২ দিন কারাকারে ছিলাম।

‘পরে ২০১৫ সালে এটা (এনজিও) আবার শুরু করি। এটা এখন দেশি-বিদেশি ফান্ডে চলে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড আর সাউথ আফ্রিকা থেকে টাকা আসে।’

বাচ্চু রাজাকারের পালিয়ে যাওয়ায় সহযোগিতার মামলার এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই মামলা হাইকোর্ট স্টে দিয়েছে। সময়টা সঠিক মনে নেই, তবে সম্ভবত ২০১৫-২০১৬ সালে হাইকোর্ট এটা স্টে করে।’

‘গ্রেপ্তারের সময় আপনি জবানবন্দিতে স্বীকার করেছিলেন বাচ্চু রাজাকারকে আপনি পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।’

উল্লিখিত তথ্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, স্বীকার করেছিলাম।’

‘সে সেময় জামায়াতে ইসলামী আপনার পক্ষে স্টেটমেন্ট দিয়েছিল?’ বলা হলে তিনি বলেন, ‘মনে হয় দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এনজিও ব্যুরোর সকল নিয়ম কানুন মেনেই ফান্ড রিসিভ করি এবং ব্যয় করি। আমি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বনায়ন, খাদ্যসহ আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করি। আমার কাজে কোনো সমস্যা নেই, থাকলে তো সরকার এটা বন্ধ করে দিত।’

এনজিও পরিচালনা নিয়ে বিস্ময়

আবু ইউসুফের এনজিও পরিচালনা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই রকম একজন অপরাধী কীভাবে হাইকোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে এনজিও পরিচালনা করছে, সেটা অবশ্যই সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিয়ে একটা তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত হলে জানা যাবে কীভাবে সে এত বড় একটা অপরাধ করেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এনজিও ব্যবসা করছে। আমাদের আইনেই আছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধিতেই আছে ক্রাইমকে যে সহযোগিতা করে, ক্রিমিনালকে যে সহযোগিতা করে, সেও সমানভাবে অপরাধী। আবু ইউসুফ বাচ্চু রাজাকারকে পালাতে সাহায্য করেছে। তাই সেও অপরাধী।’

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘যেহেতু এটা যুদ্ধাপরাধের মামলা, তাই এখন ট্রাইব্যুনালকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে হাইকোর্টে এই স্টে কনটেস্ট করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে এটা উঠে যাবে। তখন তাকে গ্রেপ্তার করতে কোনো বাধা থাকবে না।’

র‌্যাবের ভাষ্য

এ বিষয়ে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আবু ইউসুফকে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে তিনি সম্ভবত এনজিও ব্যুরোর অনুমতিতেই আবার এনজিওর কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

‘এই এনজিও পরিচালনার মাধ্যমে তার কোন অপরাধের তথ্য যদি গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা এনজিও ব্যুরো পায়, ওই সকল তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
গ্রাহকের ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
১৩০০ কর্মী নেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস
নানা আয়োজনে পালিত বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস
দেশে কমছে জাপানি এনজিও
পেয়ারা বাগানে পড়ে ছিল এনজিও কর্মকর্তার মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Six members of skeleton thief gang arrested

কঙ্কাল চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

কঙ্কাল চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার শেরপুরে পুলিশ কঙ্কাল চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ছবি: নিউজবাংলা
শেরপুর সদর থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ও এসআই নাঈম মিয়াসহ পুলিশের একটি স্পেশাল টিম বৃহস্পতিবার শেরপুর, নকলা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে কঙ্কাল চুরির মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। চক্রটি কঙ্কাল চুরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

শেরপুরে কঙ্কাল চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের রাসেল হাওলাদার, নরসিংদীর রায়পুরের সোহেল রানা, শেরপুর জেলার সদর উপজেলার আবদুর রহিম, একইজেলার নকলা উপজেলার সোহেল, নালিতাবাড়ি উপজেলার গোলাম রব্বানী ও বিল্লাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শেরপুর জেলায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে আসছিল। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

চলতি মাসেই দুটি পৃথক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে শেরপুর সদর ও নকলা থানায় দুটি মামলা হয়। মামলার পর শেরপুর জেলা পুলিশ কঙ্কাল চোর চক্রকে ধরতে মাঠে নামে।

সদর থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ও এসআই নাঈম মিয়াসহ পুলিশের একটি স্পেশাল টিম বৃহস্পতিবার শেরপুর, নকলা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে কঙ্কাল চুরির মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। চক্রটি কঙ্কাল চুরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার বলেন, ‘কঙ্কাল চোরেরা বিভিন্ন সময় জেলার বিভিন্ন কবরস্থানে কঙ্কাল চুরি করে আসছিল। এরা রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এক বছরের পুরনো কবর, বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করে আসছিল।

‘পরে কঙ্কালগুলো ব্যাগে ভরে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে ৪ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করতো। এসব কঙ্কাল সিদ্ধ করে কেমিক্যাল মিশিয়ে প্রক্রিয়া করে ইন্টার্নি ও ডাক্তারদের কাছে বিক্রি করা হয়। গ্রেপ্তার চোরদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।‘

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police inspector dies in road accident

সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক নিহত

সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক নিহত প্রতীকী ছবি
সীতাকুণ্ড কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ 

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ পরিদর্শক নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন।

সীতাকুণ্ডের সুলতানা মন্দির এবং মিরসরাইয়ের ছোট কমলদহ এলাকায় বৃহস্পতিবার পৃথক এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।

সীতাকুণ্ড কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক এস এম জাহিদ ইকবাল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে সকাল ৮টার দিকে ছোট কমলদহ এলাকায় তার মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের মাঝখানে উল্টে যায়। এ সময় ৯ জন আহত হন।

তিনি বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

অপর দুর্ঘটনা সম্পর্কে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার এএসআই গোলাম রাব্বানী জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারগামী বাস সীতাকুণ্ডের সুলতানা মন্দির এলাকায় একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ১২ যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A 2 month old baby was stolen from a residence

বসতঘর থেকে ২ মাসের শিশু চুরি

বসতঘর থেকে ২ মাসের শিশু চুরি বৃহস্পতিবার সকালে চুরি হওয়া শিশু আযান। ছবি: সংগৃহীত
শিশুটির মামা মোক্তার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে কারো কোনো বিরোধ নেই। তবে কেউ আমার ভাগ্নেকে চুরি করে থাকতে পারে। আমরা আমাদের ভাগনেকে ফিরে চাই।’

মুন্সিগঞ্জে মিরকাদিম পৌরসভায় দুই মাস বয়সী এক শিশুকে ঘর থেকে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পৌরসভার গোপালনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শিশু চুরির এ ঘটনা ঘটে।

নবজাতক মো. আযান স্থানীয় শরীফের ছেলে। এ বিষয়ে চুরি হওয়া শিশুর মামা মোক্তার সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকালে মা শ্রাবণী বেগম তার দুই মাসের ছেলে আযানকে বসতঘরে খাটে ঘুমিয়ে রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। এ সময় ঘরের ভেতরে অন্য কেউ ছিলেন না, বাড়ির অন্যরাও নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় শিশুকে চুরির ঘটনাটি ঘটে। শ্রাবনী বেগম ঘরে এসে দেখে আযান আর ঘরে নেই। পরে খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শিশুর মামা মোক্তার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে কারো কোনো বিরোধ নেই। তবে কেউ আমার ভাগ্নেকে চুরি করে থাকতে পারে। আমরা আমাদের ভাগনেকে ফিরে চাই।’

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে শিশুকে খুঁজে বের করা হবে যত দ্রুত সম্ভব।

আরও পড়ুন:
নিখোঁজের সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর পুকুরে শিশুর মরদেহ
নিখোঁজের পরদিন ডোবায় ভাই-বোনের মরদেহ
এক বছরে নিউ ইয়র্কে গাড়ি চুরি বেড়েছে ১৯%
সাঁতার শিখতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর
মন্দির থেকে ১৪টি মূর্তি চুরি, তিনজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A party of Awami League attacked the Prime Ministers birthday party

শেখ হাসিনার জন্মদিনের মিলাদে হামলা

শেখ হাসিনার জন্মদিনের মিলাদে হামলা বৃহস্পতিবার বিকেলে এ হামলায় অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল মান্নান বলেন, ‘হামলায় মনির নামে এক ফল বিক্রেতাসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। নিরীহ মনিরকে হয়তো বাঁচানো যাবে না।’

কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল মান্নানের বাড়িঘরে ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে লাকসাম উপজেলার গাজীমুড়া কামিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশিত ওই ফুটেজে দেখা যায়, হামলা হওয়া বাড়ির সামনে ইটপাটকেল এবং বাড়ির ভেতরে ঘরের মেঝেতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।

ঘটনার বর্ণনায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল মান্নান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আমি সামাজিকভাবে দোয়ার আয়োজন করি। বিকেল ৪টায় আমাদের মূল কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগে মানুষ আসা শুরু করে।

‘দুপুর আড়াইটার দিকে খালি গায়ে ও মুখোশ পরা কিছু লোক রামদা, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় মনির নামে এক ফল বিক্রেতাসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিরীহ মনিরকে হয়তো বাঁচানো যাবে না।’

হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ও পিকআপে করে আসে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সবাই আওয়ামী লীগের একটি অংশের লোকজন।‘

এ বিষয়ে জানতে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলীও ফোন ধরেননি।

লাকসাম থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, ‘একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু বাজে কথা বলায় অপর পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দুটি গ্রামের মধ্যে বিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

আরও পড়ুন:
রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব: গাড়িচালকের হাত-পা ভাঙলেন বিএনপি নেতা
মু‌ক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মাদারীপুরের সভাপ‌তিকে কুপিয়ে জখম
‘বিএনপির মিছিল থেকে’ সিলেটে নাট্যোৎসবে হামলা
মানিকগঞ্জে যুবদলের পাঁচ নেতা-কর্মীকে কোপাল দুর্বৃত্তরা

মন্তব্য

p
উপরে