নওগাঁর মহাদেবপুরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মতবিনিময় সভাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ হতাহত হননি। এই ঘটনার প্রতিবাদে নওগাঁ-নজিপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
উপজেলার বুলবুল সিনেমা হলের সামনে সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই সভায় ছিলেন নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য সাকলাইন মাহমুদ রকি, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিলসহ স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি স্থানীয়দের বরাতে জানান, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সভাস্থলে দুই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা কয়েকজন এসে ৩টি ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়। সেগুলো বৈদ্যুতিক খুঁটিতে লেগে বিস্ফোরিত হওয়ায় কেউ হতাহত হননি।
এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গিয়ে নওগাঁ-নজিপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।
সদর ইউপির চেয়ারম্যান শাকিল বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমরা কয়েকজন মিলে বসে আলোচনা করছিলাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন কীভাবে করা যায় এ বিষয়ে। এর মধ্যে বিকট শব্দ হয়। আমরা ভেবেছিলাম কিছুক্ষণ আগে ট্রাক এদিক দিয়ে গেছে, হয়ত ট্রাকের চাকা ফেটে গেছে।
‘তারপর দেখি আবারও একই রকম বিকট শব্দ হয়। আমাদের ছেলেরা গিয়ে দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন পালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে ধাওয়া করেও ধরা সম্ভব হয়নি। এটা বিরোধী দলের একটি চক্রান্ত। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’
ওসি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হরতাল সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মশাল মিছিল থেকে গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ সময় ফতুল্লা থানা স্বেচ্চাসেবক দলের সদস্য সচিবকে আটক করে পুলিশ।
ফতুল্লার পঞ্চবটী মুক্তারপুর সড়কের ভুলাইল এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ফতু্ল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, রাত আটটার দিকে বিসিক সড়কের ভুলাইল এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করে থানা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতা-কর্মী। মশাল মিছিল থেকে হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীরা একটি তেলবাহী ট্রাকসহ তিনটি যানবাহন ভাংচুর করে।
মিছিল থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নেতা-কর্মীরা। এ সময় রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়।
খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ধাওয়া করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্চাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে আটক করে।
ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘মশাল মিছিলসহ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাকে ভাংচুর করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ধাওয়া করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে আটক করেছে। যারা হরতালের নামে সড়কে নাশকতা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ও তা নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর রোষের শিকার হয়েছেন সংবাদকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে ক্ষেপে যান তিনি। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সাংবাদিকদের।
বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না- এমন প্রশ্ন করতেই তিনি প্রশ্নকারী ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে ঘুষি দেন। এসময় তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মারধর শুরু করেন সংসদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় তারা মাছরাঙা টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ও ট্রাইপড আছড়ে ভেঙে ফেলেন। পাশাপাশি আরও কয়েকজন সাংবাদিকের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
মারধরের শিকার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি অনেক নেতা-কর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় আমার ওপর হামলা করেন এবং মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন। তিনি আমাকে পরবর্তীতে দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে সাংবাদিকরা মৌখিক অভিযোগ দিলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগসাপেক্ষে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভুক্তভোগী সাংবাদিককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান, দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর আবারও ‘নৌকা ভাগিয়ে নিয়ে’ আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছেন বিতর্কত এই নেতা।
আরও পড়ুন:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাদারীপুর-৩ ও বরিশাল-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস।
মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর এবং বিকেলে বরিশালে মনোনয়নপত্র জমা দেন এ শিল্পী।
রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-৩ আসনে প্রার্থিতার জন্য গত ২৭ নভেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন নকুল কুমার বিশ্বাস। ২৯ নভেম্বর তিনি বরিশাল-২ আসনের জন্যে মনোনয়নপত্র নেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নকুল কুমার বিশ্বাস জানান, দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভক্ত-অনুরাগীদের অনুরোধে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে সুখে-দুঃখে ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে মানুষের পাশে থাকবেন। বিগত দিনেও তিনি এলাকার জন্যে নিবেদিত ছিলেন; আগামীতেও থাকবেন।
নকুল কুমার বিশ্বাস ১৯৬৫ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের এক সংগীত অনুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার বাবা নাম সুরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস এবং মা মঙ্গলী দেবী। মাত্র ৮ বছর বয়সে যাত্রার দলে শিল্পী হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু হয়। সেই থেকে যাত্রাসহ গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অনেক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন তিনি।
গানের পাশাপাশি তিনি সেতার, তবলা, বাঁশি, সরোদসহ নানারকম বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী। হারমোনিয়াম বাজানোতে রয়েছে তার বিশেষ দক্ষতা।
বাংলাদেশ বেতারে যন্ত্র ও সংগীতশিল্পী হিসেবে চাকরি করেছেন অনেক দিন, তবে ক্যারিয়ারে তার সেরা সুযোগটি আসে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ইত্যাদিতে গান পরিবেশনের সুবাদেই শ্রোতা-দর্শকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নকুল কুমার বিশ্বাস জানান, তার পূর্বপুরুষ হরনাথ বাইন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের এমপি। বরিশালের সাতলা গ্রামে সাবেক এ সংসদ সদস্যের একটি বাড়ি আছে। এ কারণে বরিশাল ও মাদারীপুর দুই জায়গা থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন:আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো।
রাজধানীর তোপখানা মোড়ের শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বিকেলে দলগুলোর যৌথসভায় এমন দাবি জানানো হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের পক্ষে শাকিব আনোয়ারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছি। এ জন্য আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারকৃত সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের দাবিতে যুগপৎ ধারায় এক আন্দোলনে আছি।
‘এই দাবিগুলো ইতিমধ্যে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। গণদাবির এই আন্দোলনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতা ঘটনা ঘটিয়ে সরকার ও সরকারি দল গত ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয়। বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর এই দায় চাপিয়ে গত এক মাস দমন-নিপীড়ন ও গ্রেপ্তারের পথে দেশব্যাপী তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকার ও সরকারি দলের এইসব নৃশংসতায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করি। নিহত, আহত ও কারাবন্দিদের পরিবারের প্রতি আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’
সরকার একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি সরকারের পদত্যাগের গণদাবিকে উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। সরকারের এই রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকারের সহযোগী হিসেবে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। পাতানো এই নির্বাচনের অংশ হিসেবে আজ ৩০ নভেম্বর কথিত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখও নির্ধারণ করেছে।
‘জনগণের ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সমগ্র এই নির্বাচনের তফসিলকে আমরা প্রত্যাখান করছি। আমরা অনতিবিলম্বে ৭ জানুয়ারি ঘোষিত নির্বাচনি তফসিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাই।
‘আমরা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে চাই যে, সরকার যদি জেদ, অহমিকা নিয়ে জবরদস্তি করে নির্বাচনের নামে আরেকটি তামাশা মঞ্চস্থ করতে চায়, তাহলে সরকারের এই অশুভ তৎপরতা প্রতিরোধ করা ছাড়া দেশবাসীর সামনে অন্য কোনো পথ থাকবে না। আমরা সরকার ও সরকারি দলের সকল ধরনের উসকানি, সহিংসতা ও পরিকল্পিত নাশকতা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে চলমান গণআন্দোলন, গণসংগ্রামকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই। এই আন্দোলনে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশা ও সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানাই।’
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মুহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকীসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনের জন্য ৫৩ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তবে যারা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করবেন, তাদের অধিকাংশেরই রাজনীতিতে তেমন পরিচিতি নেই। হঠাৎ করেই তারা কেন সংসদ নির্বাচনে আগ্রহী হলেন- এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তর মেলেনি অধিকাংশ প্রার্থীদের কাছ থেকে।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ৬ জন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন এবং জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থীর রাজনীতিতে পূর্ব পরিচয় রয়েছে; বাকি ৪৪ জন প্রার্থী কখনও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন না।
খুলনা-১ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল, জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ, তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ চন্দ্র প্রমানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ও আবেদ আলী শেখ এবং জাকের পারর্টি মো. আজিজুর রহমান।
এদের মধ্যে ননী গোপাল মণ্ডল ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। রাজনীতিতে তার পরিচিতি রয়েছে। তবে বাকি চারজন রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারেই অপরিচিত। তারা প্রত্যেকে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করছেন।
এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচন করছি। আমাকে ডামি প্রার্থীও বলা যাবে। এটা দলীয় নির্দেশেই হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মন্ডল বলেন, ‘দল আমাকে আবারও সুযোগ দিয়েছে। আমি দলের সম্মান রাখবো বলে আশাবাদী।’
তবে বাকি চার প্রার্থীর তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচিতি নেই। জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ ও তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ চন্দ্র প্রমানিকের কাছে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেও কোনো যৌক্তিক উত্তর মেলেনি। আর জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছে, তাই মনোনয়ন জমা দিয়েছি।’
অন্যদিকে খুলনা-২ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৯ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, গণতন্ত্র পার্টির মো. মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রের দেবদাস সরকার, জাকের পার্টির ফরিদা পারভিন, ইসলামী ঐক্যজোটের হিদায়েতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবু কুমার রায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মো. আব্দুল্লাহ আল আমি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান।
এদের মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তবে বাকিদের আগে কখনও রাজনৈতিক ময়দানে দেখা যায়নি।
কেন প্রার্থী হয়েছেন- প্রশ্নে বাংলাদেশ কংগ্রের দেবদাস সরকার বলেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন জমা দেয়া হচ্ছে, তাই আমরাও দিচ্ছি।’
খুলনা-৩ আসনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এস এম কামাল হোসেন, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্গলাহ আল মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও ফাতেমা জামান সাথী।
এদের মধ্যেও শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে সরিয়ে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। তবে এ আসনেরও বাকি চারজনের তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই।
খুলনা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন মোট ১৪ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মূর্শেদী, জাকের পার্টির শেখ আনছার আলী, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এস এম আজমল হোসেন, জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিরুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুয়েল রানা, এম ডি এহসানুল হক, মো. রেজভী আলম, এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা, আতিকুর রহমান ও এইচ এম রওশান জমির।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মূর্শেদী বর্তমান সংসদ সদস্য। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের মনোনয় নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারার দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। তিনি ওই আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার আপন ভাই।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দারা বলেন, ‘এলাকার মানুষের দোয়া নিয়ে মাঠে নেমেছি। জয়-পরাজয় এলাকার মানুষই নির্ধারণ করবেন।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে বাকি ১২ জন প্রার্থীদের নামও কখনো শোনেনিনি বলে জানিয়েছেন এলাকার ভোটাররা।
খুলনা-৫ আসনের জন্য মনোনয় জমা দিয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. শহীদ আলম, জাকের পার্টির সামাদ সেখ, আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আখতার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন।
এদের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী। এ ছাড়া আকরাম হোসেন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই আসনেও আওয়ামী লীগের এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা স্থানীয় ভোটারদের। তবে বাকি যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের ভোটাররা রাজনৈতিকভাবে তাদের চেনেন না।
খুলনা-৬ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১২ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. রশীদুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আবু সুফিয়ান, জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মির্জা গোলাম আজম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এস এম নেওয়াজ মোরশেদ, তৃণমূল বিএনপির গাজী নাদীর উদ্দীন খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, জি এম মাহবুবুল আলম, মো. মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ও মো. অহিদুজ্জামান মোড়ল।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. রশীদুজ্জামানের কোনো দলীয় পদ নেই। তিনি একসময় পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যসচিব ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামানত হারিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকেই মনোনয়ন দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে ক্ষমতাসীন দল।
ওই আসনে রাজনৈতিকভাবে খুব ভালোভাবে পরিচিত জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি আগেও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বাকি প্রার্থীরা একেবারেই নতুন মুখ।
মো. শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘আমার সমমান জনপ্রিয় কোনো প্রার্থী এই আসনে নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজ দলের ভোট পাবেন কি না- তা নিয়েই সন্দেহ আছে। এবার নির্বাচনে খেলা হবে। আমি চমক দেখিয়ে দেব।’
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধামন্ত্রী মাঠ যাচাই করেই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ৫৯ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। জমা দিয়েছেন ৫৩ জন। মনোনয়নপত্রগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বৈধ প্রার্থীদের তালিকা নির্দিষ্ট তারিখে ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শাহজাহান ওমর দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে অবহিত করা হলো।’
এর আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইউটিসি ভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৌকা মার্কা নিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন শাহজাহান ওমর।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিনকে কোপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান প্যানেল মেয়র শফিকুল ইসলাম কুড়ানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে এ হামলার শিকার হন নিজাম উদ্দিন। ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে, নিজাম উদ্দিনের লোকজন শফিকুল ইসলাম কুড়ান আলীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ আনেন তার (কুড়ান) সমর্থকরা। আহত কুড়ানকেও বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল দত্ত জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কাজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিনের ভগ্নীপতি হবি শেখ পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র কুড়ান আলীকে মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। মারধরের খবর পেয়ে কুড়ানের লোকজন উত্তেজিত হয়ে হবিকে মারতে যান। কিন্তু তাকে না পেয়ে সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে কাজীপুর উপজেলার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দীনকে কুপিয়ে আহত করায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
মন্তব্য